Connect with us

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে ইউনিসেফ

Published

on

ব্লক

রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল এ কথা জানিয়েছেন।

সংস্থাটি বলেছে, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার সাত বছর পরও রাখাইন প্রদেশে শিশুদের ওপর মারাত্মক হামলা অব্যাহত রয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি একথা জানায়।

এতে বলা হয়, মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ার সাত বছর পর দেশটির পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত রাখাইন প্রদেশে সংঘাত আরও তীব্রতর হয়েছে। ফলে রাখাইনের মংডু শহরে হতাহতের সংখ্যা ও বাস্তুচ্যুতি বেড়েছে এবং ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষ নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা করছেন বলে খবর রয়েছে।

ইউনিসেফ এমন উদ্বেগজনক প্রতিবেদনও পেয়েছে যে- বেসামরিক ব্যক্তিরা, বিশেষ করে শিশু এবং পরিবারগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে বা তারা সংঘর্ষের ভেতরে আটকা পড়ছেন, যার ফলে মৃত্যু এবং গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। রাখাইনে মানবিক সহায়তার প্রবেশ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। নিরাপদ পানি এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। গত জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের কারণে এই ভোগান্তি আরও বেড়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতি বেসামরিক কার্যক্রম এবং মানবিক কার্যক্রম উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, মারাত্মক সহিংসতার সাত বছর পর হাজার হাজার পরিবারকে তাদের বাড়িঘর থেকে নিরাপত্তার সন্ধানে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। সহিংসতার নতুন এই প্রতিবেদন মিয়ানমারে শিশুদের জন্য অব্যাহত হুমকির বেদনাদায়ক কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে এবং সারা দেশে, শিশু এবং পরিবারগুলো তাদের জীবন, জীবিকা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে সংঘাতের মূল্য দিয়ে চলেছে। সংঘাতের পক্ষগুলোকে অবশ্যই শিশুদের সুরক্ষার জন্য তাদের দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে হবে।

গত ৫ আগস্ট আর্টিলারি শেলিং এবং ড্রোন হামলায় নাফ নদীর তীরে জড়ো হওয়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশুসহ প্রায় ১৮০ জন নিহত হয়। এটি দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর-পশ্চিম মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত এলাকা। হতাহত এসব মানুষ সংঘর্ষ থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিল। এছাড়া একইদিনে মংডু শহরের তিনটি ওয়ার্ড থেকে আনুমানিক ২০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া গত ৬ এবং ১৯ আগস্ট পৃথক ঘটনায় নারী ও শিশুসহ বহু লোককে বহনকারী বেশ কয়েকটি নৌকা নাফ নদীতে ডুবে যায়। এতে হতাহতদের মধ্যে শিশুও ছিল। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের ফলে রাখাইন প্রদেশ এবং চিন প্রদেশের পালেতওয়া শহরে আনুমানিক ৩ লাখ ২৭ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

ইউনিসেফ বলছে, মিয়ানমারজুড়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া মানবিক সংকটের দ্রুত অবনতি ঘটছে। শিশুদের প্রতি গুরুতর অধিকার লঙ্ঘন, ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবা ব্যবস্থার প্রায় পতনসহ অবিরাম সহিংসতার সবচেয়ে ভারী বোঝা বহন করে চলেছে দেশটি। ক্রমবর্ধমান আক্রমণ এবং সংঘর্ষের ফলে আনুমানিক ৩৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যাদের প্রায় ৪০ শতাংশই শিশু। বর্তমানে ৬০ লাখ শিশুসহ দেশটির রেকর্ড ১ কোটি ৮৬ লাখ লোকের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।

এছাড়া ২০১৭ সালে হামলা ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছেন লাখ লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকেই বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে একত্রে বাস্তুচ্যুত এসব মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এর সাত বছর পরে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশু বিশ্বের বৃহত্তম এই শরণার্থী শিবিরে বেড়ে উঠছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই শরণার্থী হিসাবে জন্ম হয়েছে। শরণার্থী সম্প্রদায় সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করে এবং অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্পে অস্থায়ী আশ্রয়ে তারা বাস করে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে ইউনিসেফ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা প্রদান করার পাশাপাশি ডায়রিয়া নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করেছে, শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিষেবা প্রদান করছে। সেইসাথে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান ও সুরক্ষা এবং সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সহায়তায়ও কাজ করছে ইউনিসেফ।

ক্যাথরিন রাসেল বলেন, শরণার্থী জনসংখ্যা- বিশেষ করে শিশুদের জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত সহায়তা প্রশংসনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। গত ১২ মাস ধরে, আমরা শিবিরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি, যাতে এই শিশুরা সুরক্ষিত থাকে এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো পেতে পারে।

অন্যদিকে মিয়ানমারে সংঘাতে লিপ্ত সকল পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে বেসামরিক নাগরিকদের, বিশেষ করে শিশুদের সুরক্ষা এবং তাদের নিরাপত্তা ও মঙ্গল নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক

বিএসএফ বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে: মমতা

Published

on

ব্লক

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করতে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে বিএসএফ এবং সেটি করানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের মদদে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনা উঠলে মমতা এমন দাবি করেন।

বৈঠকে রাজ্যের পুলিশকে নিয়েও কড়া কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্য পুলিশের একাংশ বিএসএফের সঙ্গে ‘অ্যাডজাস্ট’ করে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বাংলায় ঢোকাচ্ছে। আমি জানি আপনারা (পুলিশ) ঢোকাচ্ছেন না, ঢোকাচ্ছে বিএসএফ। আমাদের কাছে খবর আছে, বিএসএফ মালদার ইসলামপুর, সীতাই, চোপড়া দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে, আরও অনেক জায়গা দিয়ে ঢোকাচ্ছে। বিএসএফ নারীদের ওপর অত্যাচার করছে। পুলিশের দিক থেকে কেন কোনো প্রতিবাদ হচ্ছে না?

‘আমি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) রাজীব কুমারকে বলব, কোন কোন জায়গা দিয়ে কত লোক বাংলায় ঢুকেছে তার তথ্য দিতে। কারণ, বর্ডার আমাদের হাতে নেই। বর্ডার হচ্ছে বিএসএফের হাতে। ভিসাও আমাদের হাতে নেই। সেটাও কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। ’

মমতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা বাংলাদেশ থেকে আসতো, তাদের লিস্ট আমাদের আগে দেওয়া হতো। কিন্তু এখন আমাদের দেওয়া হয় না। ফলে আমরা জানতে পারি না কারা আসছে। এখন দেখছি, প্লেনও চলছে, ট্রেনও চলছে, বাসও চলছে, সঙ্গে বিএসএফও চলছে। কেউ যদি মনে করে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করবে, তাহলে ভুল ভাবছে। কারণ, তৃণমূল কাউকে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে না। দুয়েকটা টিভি চ্যানেল বিএসএফের দায়িত্বটা তৃণমূলের ঘাড়ে চাপাচ্ছে। মনে রাখবেন, সীমান্ত রক্ষা তৃণমূল করে না, এমনকি পুলিশও করে না। সেটা বিএসএফের দায়িত্ব। আমি এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি কড়া চিঠি দেব। কেন বাংলায় এত অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা চাই দুপাড়েই শান্তি থাক। আমাদের তো দুই বাংলার মধ্যে কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই। আমরা এক ভাষায় কথা বলি, এক ভাষায় পথ চলি। চিকিৎসার কারণে কেউ আসতেই পারে। মানবিকতার কারণেও কেউ আসতে পারে। কিন্তু আমাদের তো জানাতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কোনো তথ্য দিচ্ছে না। আমি সাধারণ বাংলাদেশিদের কথা বলছি না। আমি বলছি এখানে গুন্ডা (সন্ত্রাসবাদী) পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে এসে তারা খুন করছে। আবার তারা বর্ডার দিয়ে চলে যাচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে তাদের আসা যাওয়া বিএসএফের মদদে হচ্ছে।

মমতা আরও বলেন, এটা অনেক গভীর চক্রান্ত। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্লু প্রিন্ট (নীল নকশা) আছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত না থাকলে এটা হতো না। আমি বারবারে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, বাংলাদেশ নিয়ে যা আপনারা করবেন সেটাই আমাদের পথ। কিন্তু আমি যদি দেখি, কেউ মদদ দিচ্ছে সেক্ষেত্রে আমরা প্রতিবাদ করব। সেজন্য আমরা প্রতিবাদপত্র পাঠাবো কেন্দ্রীয় সরকারকে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বছরের প্রথম দিনে বিশ্ববাজারে বাড়ল সোনার দাম

Published

on

ব্লক

২০২৪ সালজুড়ে দাম বেড়েছে স্বর্ণের। নতুন বছরের প্রথম দিনই আউন্সপ্রতি ১৮ দশমিক ২৫ ডলার বেড়েছে ধাতুটির দাম। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ছিল আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৬২৪ দশমিক ৪৯ ডলার।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৪ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বা ৫৪৬ দশমিক ৬৩ ডলার। ২০১০ সালের পর স্বর্ণের সবচেয়ে বাজার ছিল ২০২৪ সাল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ক্রয়, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মুদ্রানীতির রাশ আলগা হওয়ার কারণে গত বছর পণ্যটির দাম বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম বেড়েছে দশমিক ৪ শতাংশ; প্রতি আউন্সের দাম ওঠে ২ হাজার ৬১৫ ডলারে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, সবশেষ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৮৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩২ হাজার ১ টাকা। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪১ টাকা। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ৮৬৯ টাকা।

সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

Published

on

ব্লক

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির পর কয়েকদিনের মধ্যে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অভিশংসিত ও পরে বরখাস্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তের দায়িত্বে থাকা দ্য করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস ফর দ্য হাই-র‌্যাঙ্কিং অফিশিয়ালস (সিআইও) নিশ্চিত করেছে, সামরিক আইন জারি কেন্দ্র করে তদন্তকারীদের অনুরোধে প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা। দেশটির বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ সিআইওকে উদ্ধৃত করে বলেছে, বর্তমান এই পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে ও এটি প্রয়োগ করা হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অবশ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা মঞ্জুর করার বিষয়ে আদালতের যুক্তি সম্পর্কে সিআইও কোনো মন্তব্য করেননি। আদালতও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে কোরিয়ান প্রজাতন্ত্র রক্ষা, জনগণের স্বাধীনতা, উত্তর কোরিয়াপন্থি ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলোকে’ নির্মূল ও উদার সাংবিধানিক সুরক্ষার ঘোষণা দিয়ে হঠাৎ করে দেশজুড়ে সামরিক আইন জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।

যদিও বিরোধীদের তীব্র আপত্তি ও সংসদে ভোটাভুটির পর মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সেই সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত চলমান আছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ইউন অভিশংসিত হওয়ায় তার স্থানে এখন একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। অবশ্য সংসদে অভিশংসিত হলেও জটিল আইনি প্রক্রিয়ার কারণে সাংবিধানিক আদালতে সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন ইউন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনো নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে না তার।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন টিউলিপ

Published

on

ব্লক

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক আইন লঙ্ঘনের কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন। ভাড়া দেওয়া ফ্ল্যাটের এনার্জি সার্টিফিকেট না থাকার কারণে তার ১০ হাজার ইউরো জরিমানা হতে পারে। মেইল অন সানডে এক প্রতিবেদনে এমনটি জানায়।

চলতি বছরের শুরুতে ওই ফ্ল্যাটের ভাড়া থেকে আয়ের নিবন্ধন না করার জন্য টিউলিপ সিদ্দিক তদন্তের মুখে পড়েছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে তিনি একজন বাড়িওয়ালা হিসেবে তার আইনি দায়িত্ব পালন করেছেন কি না।

ভাড়াটে সম্পত্তির জন্য এনার্জি পারফরম্যান্স সার্টিফিকেট (ইপিসি) থাকা বাধ্যতামূলক। তবে সংবাদপত্রটি উত্তর লন্ডনের ওই ঠিকানার জন্য কোনো ইপিসি খুঁজে পায়নি। তিনি ও তার স্বামী ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ওই বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন।

বাড়িওয়ালারা ইপিসি নিয়ম তিন মাসের বেশি না মানলে সর্বনিম্ন ১০ হাজার ইউরো জরিমানায় পড়তে পারেন। সম্পত্তির মূল্য অনুযায়ী ২০ শতাংশ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মোট দেড় লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

মেইল অন সানডে জানতে পেরেছে, ওই সম্পত্তি টিউলিপ সিদ্দিক ও তার স্বামী সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ক্রিস্টিয়ান পার্সি ২০১৮ সালে আট লাখ ৬৫ হাজার ইউরোতে কিনেছিলেন। একটি লেটিং এজেন্সি ওই সম্পত্তির দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে।

লেটিং এজেন্সি হলো একটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যা ভাড়া দেওয়ার জন্য সম্পত্তি দেখভাল এবং মালিকদের পক্ষ থেকে ভাড়াটে খোঁজা, চুক্তি তৈরি করা এবং অন্যান্য কাজগুলো সম্পন্ন করে।

মন্ত্রী টিউলিপ এর আগে ভাড়া থেকে আসা আয় সঠিকভাবে দেখাতে ব্যর্থ হন। প্রায় ১৪ মাসে ১০ হাজার পাউন্ডেরও বেশি অর্থ ভাড়া থেকে আয়ের কথা প্রতিবেদনে বলা হয়। এই ব্যর্থতায় তিনি পার্লামেন্টারি কমিটির তদন্তের মুখে পড়েন।

স্ট্যান্ডার্ডস কমিশনার টিউলিপের পার্লামেন্টারি নিয়ম লঙ্ঘনের তথ্য খুঁজে পায়। তবে তার প্রশাসনিক ত্রুটির ব্যাখ্যাও মেনে নেয়। তিনি ইতোমধ্যে লন্ডনের আরেকটি সম্পত্তি থেকে আয়ের তথ্য জানিয়েছেন। ওই সম্পত্তির ইপিসি রয়েছে।

টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে চার বিলিয়ন ইউরো পরিমাণ অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন দুই সপ্তাহ আগে টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা, তার খালা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

তবে তিনি অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন এখন পর্যন্ত তার সাথে কোনো কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেনি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বিবিসির চোখে সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার ‘আয়নাঘর’

Published

on

ব্লক

সিরিয়ার মানুষদের কাছে ভীতিকর এই জায়গাটিতে অনেককে আটক ও নির্যাতন করা হতো। মাটির নিচে সাবেক সরকারের এই গোপন আস্তানায় প্রবেশ করেন বিবিসি অ্যারাবিক সার্ভিসের সংবাদদাতা ফেরাস কিলানি। এটি এমনই এক জগত, যেখানে বাইরের মানুষ খুব কমই ঢুকতে পেরেছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সদর দপ্তরের বেইসমেন্টে এই ভয়ানক জায়গা দেখা যায়।

যেটি দেশটির গোপন গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের অংশ, যা কয়েক দশক ধরে নৃশংস নেতৃত্বকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে। পুরু ইস্পাতের দরজা দেওয়া সারিবদ্ধ ছোট ছোট কক্ষ দেখা যায়, যেখানে বন্দিদের রাখা হতো। একটি কক্ষের ভেতর তাকিয়ে দেখা যায়, ঘরটি মাত্র দুই মিটার লম্বা ও এক মিটার চওড়া। ময়লা দেয়ালে গাঢ় দাগ লেগে রয়েছে।

দেয়ালের উঁচুতে থাকা ছোট ছোট ঝাঁঝরি দিয়ে যে সামান্য সূর্যের আলো পৌঁছয়, সেটাই এসব কক্ষের একমাত্র আলোর উৎস। এই বদ্ধ কক্ষে বন্দিদের মাসের পর মাস আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতন করা হতো। এগুলোর অবস্থান দামেস্কের কেন্দ্রের কাফর সউসা এলাকার একটি ব্যস্ত রাস্তার ঠিক নিচে, যেখানে নিরাপত্তা সদর দপ্তর অবস্থিত।

প্রতিদিন হাজার হাজার সিরীয় এই পথ দিয়ে যাওয়া আসা ক্যার, তাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম চালিয়ে যেত।

অথচ, তাদের কোনো ধারণাই ছিল না যে মাত্র কয়েক মিটার দূরে তাদের মতো কিছু নাগরিককে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।

একটি করিডরে দেখা যায়, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের ছিন্নভিন্ন ছবিগুলো মাটিতে পড়ে আছে। এর সঙ্গে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার ফাইলের স্তূপ, যেসব নথি লাখো মানুষের কর্মকাণ্ড নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হতো।

এই স্থানে বন্দিদের সাময়িকভাবে আটকে রাখার পর, তাদের দীর্ঘমেয়াদে আটক রাখতে বন্দিশিবিরে পাঠানো হতো।

রাজধানীর উপকণ্ঠে অবস্থিত সাইদনায়া কারাগার, এমনই এক কুখ্যাত বন্দীশিবির। এই স্থাপনাটি সিরিয়ার সাবেক সরকারের পরিচালিত বিশাল নেটওয়ার্কের একটি অংশ।

স্বাধীন পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটস (এসএনএইচআর) ২০১১ সালে আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে গত জুলাই পর্যন্ত ১৫ হাজার ১০২টি মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছে, যা দেশটির কারাগারে নির্যাতনের কারণে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আটক বা জোর করে বন্দি করে রাখা হয়।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, সাবেক সিরীয় সরকার ভিন্নমত দমন করার জন্য বহু বছর ধরে নির্যাতন ও গুম করত। সংস্থাটির মতে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাউকে জবাবদিহি করত না।

স্টেট সিকিউরিটি সদর দপ্তর থেকে কয়েক শ মিটার দূরে জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট নামে আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থার অফিস রয়েছে, যা দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার নেটওয়ার্কের আরেকটি অংশ। আসাদ সরকারবিরোধীরা অভিযোগ করেছে, এটি এমন একটি সংস্থা, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি বিষয় নজরদারি করত।

অফিসের ভেতরে একটি কম্পিউটার সার্ভার রুম পাওয়া যায়। মেঝে ও দেয়াল একদম ঝকঝকে সাদা এবং সারি ধরে কালো ডাটা স্টোরেজ ইউনিটগুলো শান্তভাবে গুঞ্জন করছে।

দামেস্কের বেশির ভাগ স্থানে বিদ্যুৎ নেই। তবে এই স্থাপনাটি হয়ত এত গুরুত্বপূর্ণ যে এর নিজস্ব বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। ডিজিটাল সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও সেখানে প্রচুর কাগজের নথিও রয়েছে, যা সবই অক্ষত আছে বলে মনে হচ্ছে। একটি কক্ষের দেয়ালজুড়ে লোহার পুরনো আলমারিতে নথিগুলি ঠেসে রাখা হয়েছে। আরেকটি দেয়ালে সারি ধরে নোটবইগুলো মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত থরে থরে সাজানো আছে।

ধারণা করা হচ্ছে, যখন শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তখন এখানে যারা কাজ করতেন, তারা পালানোর আগে কিছুই ধ্বংস করার সুযোগ পাননি। নথিগুলো অনেক পুরনো, বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করা, কিন্তু কিছুই ধ্বংস করা হয়নি। এমনকি সেখানে গুলির খালি খোসা ভরা বাক্সও পাওয়া যায়। আরেকটি ঘরে দেখা গিয়েছে নানা ধরণের অস্ত্রশস্ত্র, যার মধ্যে মর্টার আর স্থলমাইনও আছে।

বিবিসি সংবাদদাতার সঙ্গে এইচটিএস নামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর একজন যোদ্ধা ছিলেন, যারা এখন দামেস্ক নিয়ন্ত্রণ করছে। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, এখানে এত অস্ত্র কেন? তিনি বলেন, ‘আসাদ সরকারের সময়, রাশিয়ার সহযোগিতায় সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিরিয়ার মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও নিপীড়নের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।’

জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেটে জমা থাকা পাহাড় সমান নথি ও কম্পিউটার রেকর্ড, ভবিষ্যতে সিরিয়ার নাগরিকদের আটক ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারা, যিনি আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি নামেও পরিচিত, তিনি এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন, বিগত শাসনামলে যারা আটক ব্যক্তিদের নির্যাতন বা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে খুঁজে বের করে বিচার করা হবে; ক্ষমা করার প্রশ্নই আসে না। তিনি টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা সিরিয়ার ভেতরে তাদের খুঁজে বের করব এবং যারা পালিয়ে গেছে তাদেরকে আমাদের হাতে তুলে দিতে অন্যান্য দেশের কাছে অনুরোধ জানাব, যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়।’

কিন্তু সিরিয়ার গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ার প্রভাব দেশের সীমানার বাইরে অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার এমন অনেক নথি পাওয়া গিয়েছে যেগুলো জর্দান, লেবানন ও ইরাকের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদি এই নথিগুলো প্রকাশ্যে আসে এবং ওই দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আসাদ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগ সামনে আসে, তাহলে পুরো অঞ্চলেই বড় ধাক্কা লাগতে পারে। আসাদ সরকারের সাবেক গোয়েন্দা সংস্থার যত তথ্য সামনে আসবে, এর প্রভাব তত বড় হতে পারে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার19 hours ago

ব্লকে ৮ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ ও বছরের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ১৯টি কোম্পানির শেয়ার...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার22 hours ago

প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮টি কোম্পানির...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার22 hours ago

দরবৃদ্ধির শীর্ষে রূপালী ব্যাংক

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার22 hours ago

লেনদেনের শীর্ষে রবি আজিয়াটা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার23 hours ago

সূচকের পতনে লেনদেন কমেছে পুঁজিবাজারে

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার1 day ago

সূচকের পতনে দুই ঘণ্টায় লেনদেন ১২৯ কোটি টাকা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নেতিবাচক প্রবণতায় চলছে লেনদেন।...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার1 day ago

পরিচালন মুনাফা বৃদ্ধির খবরে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে রুপালী ব্যাংকের শেয়ার

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরুর দুই ঘন্টার মধ্যে বিক্রেতা উধাও হয়ে...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার1 day ago

দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার2 days ago

লোকসান কাটাতে পারেনি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪)...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার2 days ago

লোকসানে এইচ আর টেক্সটাইল

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এইচ আর টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার2 days ago

পুঁজি হারানোর হাহাকারে বছর পার করলেন বিনিয়োগকারীরা

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন দেশের পুঁজিবাজার ২০২৪ সালে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে। বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ, প্রতিবাদ এবং বাজার...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার2 days ago

কোম্পানিসমূহের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে কাজ করছি: বিএসইসি চেয়ারম্যান

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন আমরা তথ্যের অবাধ প্রবাহ বৃদ্ধি করে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তথ্যের প্রবাহ বা...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার2 days ago

ব্লকে ১৩ কোটি টাকার লেনদেন

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৩৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর...

ব্লক ব্লক
পুঁজিবাজার2 days ago

ঋণ শোধে আরও ৩ মাস সময় পাচ্ছে পুঁজিবাজারের পাঁচ ব্যাংক

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন প্রথম ধাপের ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি দুর্বল ব্যাংকগুলো। ধার পরিশোধে আরও তিন মাস সময় বাড়াচ্ছে...

paper processing paper processing
পুঁজিবাজার2 days ago

পেপার প্রসেসিংয়ের দুই উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার স্থানান্তর

অর্থসংবাদ whatsapp চ্যানেল ফলো করুন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কাগজ ও মুদ্রণ খাতের কোম্পানি পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের দুই উদ্যোক্তা পরিচালক...

Advertisement
Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
ব্লক
রাজনীতি2 minutes ago

আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না: জামায়াত আমির

ব্লক
জাতীয়7 minutes ago

শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ

ব্লক
সারাদেশ22 minutes ago

শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে

ব্লক
অর্থনীতি33 minutes ago

সবজিতে স্বস্তি থাকলেও চাল-মুরগির বাজারে অস্থিরতা

ব্লক
ধর্ম ও জীবন1 hour ago

ইসলাম যে ১৪ নারীকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছে

ব্লক
জাতীয়2 hours ago

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ব্লক
অর্থনীতি2 hours ago

মার্চ থেকে আমদানি-রপ্তানির সব কাজ অনলাইনে: অর্থ উপদেষ্টা

ব্লক
জাতীয়2 hours ago

ইজতেমা ময়দানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ব্লক
জাতীয়3 hours ago

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

ব্লক
ধর্ম ও জীবন3 hours ago

ইসলামে রাগ কমানোর উপায়

ব্লক
রাজনীতি2 minutes ago

আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না: জামায়াত আমির

ব্লক
জাতীয়7 minutes ago

শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ

ব্লক
সারাদেশ22 minutes ago

শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে

ব্লক
অর্থনীতি33 minutes ago

সবজিতে স্বস্তি থাকলেও চাল-মুরগির বাজারে অস্থিরতা

ব্লক
ধর্ম ও জীবন1 hour ago

ইসলাম যে ১৪ নারীকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছে

ব্লক
জাতীয়2 hours ago

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ব্লক
অর্থনীতি2 hours ago

মার্চ থেকে আমদানি-রপ্তানির সব কাজ অনলাইনে: অর্থ উপদেষ্টা

ব্লক
জাতীয়2 hours ago

ইজতেমা ময়দানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ব্লক
জাতীয়3 hours ago

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

ব্লক
ধর্ম ও জীবন3 hours ago

ইসলামে রাগ কমানোর উপায়

ব্লক
রাজনীতি2 minutes ago

আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না: জামায়াত আমির

ব্লক
জাতীয়7 minutes ago

শীতার্তদের জন্য কম্বল কিনতে ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ

ব্লক
সারাদেশ22 minutes ago

শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির ঘরে

ব্লক
অর্থনীতি33 minutes ago

সবজিতে স্বস্তি থাকলেও চাল-মুরগির বাজারে অস্থিরতা

ব্লক
ধর্ম ও জীবন1 hour ago

ইসলাম যে ১৪ নারীকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছে

ব্লক
জাতীয়2 hours ago

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ব্লক
অর্থনীতি2 hours ago

মার্চ থেকে আমদানি-রপ্তানির সব কাজ অনলাইনে: অর্থ উপদেষ্টা

ব্লক
জাতীয়2 hours ago

ইজতেমা ময়দানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

ব্লক
জাতীয়3 hours ago

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

ব্লক
ধর্ম ও জীবন3 hours ago

ইসলামে রাগ কমানোর উপায়