জাতীয়
দুর্যোগের মধ্যে আশীর্বাদ হয়ে বন্যার্তদের পাশে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। দুর্গত ও অসহায় মানুষের সেবা-সহযোগিতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা সংগঠনটিই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। চলমান বন্যা পরিস্থিতিতেও উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে সংগঠনটি। বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় থেকে তুরস্ক–সিরিয়া ভূমিকম্পের সময়ে তুরস্কে সহায়তা পাঠানো ও এখন পর্যন্ত দেশের বন্যার্তদের মধ্যে জরুরী ত্রাণ বিতরণ, ক্ষুধার্তদের মধ্যে অন্ন বিতরণ ও দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিসহ নানা সেবামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংগঠনটি।
ভারি বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেসব এলাকায় তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। বিপর্যস্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহ আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ত্রাণের পাহাড় নিয়ে বন্যার্তদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার একদিনে ২০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। প্রতিদিন বাড়ছে এই হিসাব। তাছাড়া ত্রাণ সামগ্রী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরও বহুভাবে গোছানো সব উদ্যোগ নিচ্ছে ফাউন্ডেশনটি। হাজার হাজার ভলান্টিয়ার আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজ করছে এই দুর্যোগ মোকাবিলায়। শুধু মুসলিমরাই না, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও এবার ডোনেশন করেছেন এখানে। তারাও ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করেছেন।
দেশে চলমান এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১ জেলায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪৯ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন উদ্যোগ নিয়েছে ১০ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণের। চরম দুর্দশায় দিন পার করা বন্যার্তদের জন্য ৫০০ টন ত্রাণ বিতরণ প্রস্তুত করছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ গণমাধ্যম ও নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, আমরা তিন ধাপে এবার ত্রাণ বিতরণ করবো। এছাড়া পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দেবো।
শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, যেহেতু এখন রান্না করার পরিস্থিতি নেই, সেহেতু প্রথম ধাপে ২০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম ধাপের কিছু অংশের কাজ শেষ হয়েছে আজ। এ ধাপে দুই কেজি খেজুর, দুই কেজি চিড়া, এক কেজি লবণ ও এক কেজি চিনি দিচ্ছি। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উদ্ধার তৎরতা, যা প্রশিক্ষিত ও সংশ্লিষ্ট ইকুইপমেন্ট ছাড়া সম্ভব নয়। এ কাজটি বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীসহ অনেকে করছেন। স্থানীয়ভাবেও যার যার জায়গা থেকে সবাইকে উদ্ধার কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।
দ্বিতীয় ধাপে আমরা আরও ৫০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো ও ভারী ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করছি। যার জন্য ৫০০ টন মালামাল কেনার কাজ সম্পন্ন করেছি। যার মধ্যে রয়েছে ২০০ টন চাল, ২০ হাজার বোতল তেল (২ লিটার), ৩০ টন খেজুর, ৩০ টন চিড়া, ৪০ টন ডাল, সাড়ে ২৭ টন লবণ, ১৫ টন চিনি, ২০ হাজার পিস পানির বোতল (৫ লিটার) এবং দেড় লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মোমবাতি ও দিয়াশলাই। আর তৃতীয় ধাপে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ৪ হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা থাকলেও সেটাকে বাড়িয়ে ৫ হাজার করা হয়েছে। ঘরহারা ৫ হাজার পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থসহায়তা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলো বাংলাদেশ-ভিত্তিক একটি অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা। এটি শিক্ষা, দাওয়াত ও মানবকল্যাণসহ নানা বিষয়ে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশী ইসলামি পণ্ডিত শায়খ আহমাদুল্লাহ এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং শুরু থেকেই তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে এটি পরিচালনা করছেন। এই সংস্থার অধীনে আস-সুন্নাহ স্কিল ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ও মাদরাসাতুস-সুন্নাহ নামক মাদ্রাসা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এছাড়াও সংস্থাটি বন্যার্তদের মধ্যে জরুরী ত্রাণ বিতরণ, শীতার্তদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, ক্ষুধার্তদের মধ্যে অন্ন বিতরণ ও দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিসহ নানা সেবামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
আহমাদুল্লাহ সংগঠনটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করলেও ২০১৮ সালে সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি দাওয়াহ কেন্দ্র থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশে ফিরে এসে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেন। এবং ২০১৮ সালের শেষের দিকে ফেসবুকে পেইজ খুলে কার্যক্রমের প্রচার করতে থাকেন।
২০২০ সালের করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় সংগঠনটি দাতব্য কার্যক্রম প্রশংসিত হয়। ২০২২ সালে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে প্রবল বন্যা দেখা দিলে সংগঠনটি সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও চট্টগ্রামে বন্যার্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা করে। ২০২৩ তুরস্ক–সিরিয়া ভূমিকম্পের সময়ে তুরস্কে শীতবস্ত্র পাঠায় সংস্থাটি। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানাস্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করে। সংস্থাটি সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে লক্ষাধিক গাছ লাগিয়েছে। এছাড়াও সংস্থাটি নগদ অর্থ বা কাজ করার যন্ত্র কিনে দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং সারাদেশে কুরবানির মাংস বিতরণ করে থাকে।
এছাড়াও, সংস্থাটি একটি দাওয়াহ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে থাকে, আলেমদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রয়েছে। আস সুন্নাহ পাবলিকেশন থেকে শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজে চারটি বই পাবলিক হয়েছে। সংস্থাটি ২০২১ সালে নবীন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সম্মাননা’ নামক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং ৫০ জন উদ্যোক্তাকে পুরষ্কিত করা হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সারাদেশে সেনা অভিযানে সাতদিনে গ্রেপ্তার ৬০৮

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৬০৮ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানের পাশাপাশি ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে টার্মিনাল ও স্টেশনগুলোতে টহল, সচেতনতামূলক মাইকিং, কালোবাজারি রোধ ও টিকিটের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিট কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসব যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চোর, ডাকাত, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার পলাতক আসামি, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত এবং দালালচক্রের সদস্যসহ মোট ৬০৮ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারদের কাছ ২১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ২৯৫টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশি অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, জালনোট, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইএসপিআর আরও জানায়, ঈদ উপলক্ষে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে গণপরিবহনের টার্মিনাল ও স্টেশনগুলোতে টহল, সচেতনতামূলক মাইকিং, কালোবাজারি রোধ ও টিকিটের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।
মহাসড়কে বিকল্প রুট, পার্কিং ব্যবস্থা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং রোড ব্লক প্রতিরোধে দিনরাত কাজ করেছে সেনা টহল দল, যা ঘরমুখো মানুষের যাত্রাকে করেছে সহজ ও নিরাপদ।
আইএসপিআর জানায়, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে সম্পৃক্তদের আটক করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করেছে সেনাবাহিনী।
এছাড়াও, নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালাসহ অবৈধ পার্কিং এবং রাস্তা ও ফুটপাত বেদখলকারীদের অপসারণ করা হয়।
এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব মহা অষ্টমী, পূণ্যস্নান ও বাসন্তী পূজা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পূজামণ্ডপ ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী।
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১২ এপ্রিলের সমাবেশ নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারির ফেসবুক পোস্ট

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণজমায়েত কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ ও জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ফেসবুক পেজে এ আহ্বান জানান তারা।
ফেসবুক পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এমন একটি বিক্ষোভ-সমাবেশ হতে যাচ্ছে, যেখানে সব রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দল-মতের মানুষের সম্মিলিত স্রোত আগামী ১২ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোহনায় মিলিত হবে ইনশাআল্লাহ। যেখানে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় দলের ক্রিকেটার, অভিনেতা, তাবলিগ জামাত, আহলে হাদিস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের মতো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। যেমন : বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শায়খ মিজানুর রহমান আজহারি, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আয়মান সাদিক, আরজে কিবরিয়া, লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ বিভিন্ন সেক্টরের সেলিব্রেটিরা।’
সবাইকে এই সমাবেশে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো লিখেছেন, ‘মানবতার জন্য এদিন আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
কাছের মানুষকে আসতে উদ্বুদ্ধ করুন। সম্ভব হলে সন্তানকেও সঙ্গে আনুন। তারাও জানুক পবিত্র ভূমির মানুষের মর্মন্তুদ দুঃখগাথা। পাশাপাশি বিপুল জমায়েতের সুযোগে কোনো অসাধু চক্র যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন।
মিজানুর রহমান আজহারির পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এমন একটি গণজমায়েত হতে যাচ্ছে, যেখানে সব রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দলমতের মানুষের সম্মিলিত স্রোত আগামী ১২ এপ্রিল রোজ শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোহনায় মিলিত হবে ইনশাআল্লাহ।
যেখানে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় দলের ক্রিকেটার, অভিনেতা, তাবলীগ জামাত, আহলে হাদীস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের মতো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
যেমন: বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শায়খ আহমাদুল্লাহ, মামুনুল হক, সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম, আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, প্রফেসর মোখতার আহমাদ, ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আয়মান সাদিক, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আরজে কিবরিয়া, কবি মুহিব খান, লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ বিভিন্ন সেক্টরের সেলিব্রেটিগণ।
মানবতার জন্য এদিন আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কাছের মানুষকে আসতে উদ্বুদ্ধ করুন। সম্ভব হলে সন্তানকেও সঙ্গে আনুন। তারাও জানুক পবিত্র ভূমির মানুষের মর্মন্তুদ দুঃখগাথা। পাশাপাশি বিপুল জমায়েতের সুযোগে কোনো অসাধু চক্র যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন।
এর আগে ৭ এপ্রিল ভিডিও বার্তায় আজহারি বলেছেন, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে ফিলিস্তিনের গাজায় সংগঠিত শতাব্দীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণজমায়েতের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ১২ এপ্রিল (শনিবার) শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়েতে গিয়ে এই মার্চটি শেষ হবে। ইনশাআল্লাহ আমি নিজে সশরীরে এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থাকব। আপনারাও দলে দলে যোগদান করুন।
তিনি আরও বলেন, মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, গাজাবাসীদের পক্ষে দল-মত-জাতি-পেশা নির্বিশেষে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘নো ওয়ার্ক-নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পদোন্নতিতে সংস্কৃতি সচিব হলেন মফিদুর রহমান

পদোন্নতি পেয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়েছেন একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মফিদুর রহমান।
মফিদুর রহমানকে পদোন্নতির পর এ পদায়ন করে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন থেকে সংস্কৃতি সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব মহিদুর রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শুক্রবার থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন সিইসি

স্ত্রী ও কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নয়দিনের সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ইসির উপসচিব মো. শাহ আলমের সই করা সরকারি আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে জানানো হয়, ১১ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, তার স্ত্রী ও কন্যার চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। ৯ দিনের এ সফর শেষে আগামী ১৯ এপ্রিল দেশে ফিরবেন তিনি।
আদেশে আরও জানানো হয়, এ ভ্রমণের সব খরচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই বহন করবেন। সিইসির সঙ্গে থাকবেন তার স্ত্রী শাহীন ফেরদৌসী, মেয়ে তাসনিমা নাসির উদ্দিন এবং তার নাতি-নাতনি জুহাইনা রিজওয়ান ও আরশান রিজওয়ান। ভ্রমণকালীন সময়ে তার অনুপস্থিতি বাংলাদেশের বাইরে গৃহীত ছুটি হিসাবে বিবেচিত হবে বলে জানানো হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) ভোগরত ময়নুল ইসলামকে পিআরএল ও এ সংক্রান্ত সুবিধা স্থগিত করে ১০ এপ্রিল থেকে দুই বছরের চুক্তিতে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ময়নুলকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।