জাতীয়
দুর্যোগের মধ্যে আশীর্বাদ হয়ে বন্যার্তদের পাশে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। দুর্গত ও অসহায় মানুষের সেবা-সহযোগিতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করা সংগঠনটিই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। চলমান বন্যা পরিস্থিতিতেও উদ্ধার কার্যক্রম ও ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে সংগঠনটি। বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় থেকে তুরস্ক–সিরিয়া ভূমিকম্পের সময়ে তুরস্কে সহায়তা পাঠানো ও এখন পর্যন্ত দেশের বন্যার্তদের মধ্যে জরুরী ত্রাণ বিতরণ, ক্ষুধার্তদের মধ্যে অন্ন বিতরণ ও দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিসহ নানা সেবামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংগঠনটি।
ভারি বৃষ্টি ও বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেসব এলাকায় তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। বিপর্যস্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহ আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশন। ত্রাণের পাহাড় নিয়ে বন্যার্তদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার একদিনে ২০ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। প্রতিদিন বাড়ছে এই হিসাব। তাছাড়া ত্রাণ সামগ্রী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরও বহুভাবে গোছানো সব উদ্যোগ নিচ্ছে ফাউন্ডেশনটি। হাজার হাজার ভলান্টিয়ার আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজ করছে এই দুর্যোগ মোকাবিলায়। শুধু মুসলিমরাই না, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও এবার ডোনেশন করেছেন এখানে। তারাও ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করেছেন।
দেশে চলমান এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১ জেলায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪৯ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন উদ্যোগ নিয়েছে ১০ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণের। চরম দুর্দশায় দিন পার করা বন্যার্তদের জন্য ৫০০ টন ত্রাণ বিতরণ প্রস্তুত করছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ গণমাধ্যম ও নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, আমরা তিন ধাপে এবার ত্রাণ বিতরণ করবো। এছাড়া পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দেবো।
শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, যেহেতু এখন রান্না করার পরিস্থিতি নেই, সেহেতু প্রথম ধাপে ২০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম ধাপের কিছু অংশের কাজ শেষ হয়েছে আজ। এ ধাপে দুই কেজি খেজুর, দুই কেজি চিড়া, এক কেজি লবণ ও এক কেজি চিনি দিচ্ছি। এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উদ্ধার তৎরতা, যা প্রশিক্ষিত ও সংশ্লিষ্ট ইকুইপমেন্ট ছাড়া সম্ভব নয়। এ কাজটি বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীসহ অনেকে করছেন। স্থানীয়ভাবেও যার যার জায়গা থেকে সবাইকে উদ্ধার কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।
দ্বিতীয় ধাপে আমরা আরও ৫০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো ও ভারী ত্রাণসামগ্রীর ব্যবস্থা করছি। যার জন্য ৫০০ টন মালামাল কেনার কাজ সম্পন্ন করেছি। যার মধ্যে রয়েছে ২০০ টন চাল, ২০ হাজার বোতল তেল (২ লিটার), ৩০ টন খেজুর, ৩০ টন চিড়া, ৪০ টন ডাল, সাড়ে ২৭ টন লবণ, ১৫ টন চিনি, ২০ হাজার পিস পানির বোতল (৫ লিটার) এবং দেড় লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মোমবাতি ও দিয়াশলাই। আর তৃতীয় ধাপে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ৪ হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা থাকলেও সেটাকে বাড়িয়ে ৫ হাজার করা হয়েছে। ঘরহারা ৫ হাজার পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থসহায়তা করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন হলো বাংলাদেশ-ভিত্তিক একটি অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা। এটি শিক্ষা, দাওয়াত ও মানবকল্যাণসহ নানা বিষয়ে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশী ইসলামি পণ্ডিত শায়খ আহমাদুল্লাহ এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং শুরু থেকেই তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে এটি পরিচালনা করছেন। এই সংস্থার অধীনে আস-সুন্নাহ স্কিল ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ও মাদরাসাতুস-সুন্নাহ নামক মাদ্রাসা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এছাড়াও সংস্থাটি বন্যার্তদের মধ্যে জরুরী ত্রাণ বিতরণ, শীতার্তদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, ক্ষুধার্তদের মধ্যে অন্ন বিতরণ ও দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিসহ নানা সেবামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
আহমাদুল্লাহ সংগঠনটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করলেও ২০১৮ সালে সৌদি আরবের পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি দাওয়াহ কেন্দ্র থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশে ফিরে এসে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেন। এবং ২০১৮ সালের শেষের দিকে ফেসবুকে পেইজ খুলে কার্যক্রমের প্রচার করতে থাকেন।
২০২০ সালের করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় সংগঠনটি দাতব্য কার্যক্রম প্রশংসিত হয়। ২০২২ সালে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে প্রবল বন্যা দেখা দিলে সংগঠনটি সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও চট্টগ্রামে বন্যার্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহায়তা করে। ২০২৩ তুরস্ক–সিরিয়া ভূমিকম্পের সময়ে তুরস্কে শীতবস্ত্র পাঠায় সংস্থাটি। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানাস্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করে। সংস্থাটি সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে লক্ষাধিক গাছ লাগিয়েছে। এছাড়াও সংস্থাটি নগদ অর্থ বা কাজ করার যন্ত্র কিনে দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং সারাদেশে কুরবানির মাংস বিতরণ করে থাকে।
এছাড়াও, সংস্থাটি একটি দাওয়াহ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে থাকে, আলেমদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি রয়েছে। আস সুন্নাহ পাবলিকেশন থেকে শায়খ আহমাদুল্লাহ নিজে চারটি বই পাবলিক হয়েছে। সংস্থাটি ২০২১ সালে নবীন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সম্মাননা’ নামক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং ৫০ জন উদ্যোক্তাকে পুরষ্কিত করা হয়।
এসএম

জাতীয়
ঈদের তৃতীয় দিনেও চলবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: উপদেষ্টা আসিফ

ঈদের তৃতীয় দিনেও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একইসঙ্গে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন কোরবানি করা পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ মোট তিন দিন ধরে কোরবানি হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই সেদিনও বর্জ্য তৈরি হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করা পশুর বর্জ্য নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেটি দ্বিতীয় দিনের কোরবানি করা পশুর বর্জ্য। তবে অনেকেই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি না করলেও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ঈদের তৃতীয় দিনেও চলমান থাকবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
এর আগে ঈদের দিন দিবাগত রাতে আসিফ মাহমুদ এক পোস্টে উল্লেখ করেন, সব সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩৫ হাজার ২৭২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে সুন্দর করেছেন আমাদের ঈদ উদযাপন। এজন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় দিক থেকে ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনও কোরবানি করা যায়। তাই অনেকেই আজও কোরবানি করবেন। তাই সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনগুলোর পক্ষ থেকে ঈদের তৃতীয় দিনেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন আজ

চারদিনের সফরে আজ সোমবার (৯ জুন) যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরসঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।
এ সফরে ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ গ্রহণ করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, আসন্ন সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। এছাড়া দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ার লক্ষ্যে এ সফর অনুষ্ঠিত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যে টাকা পাচার করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা হবে।
জাতীয়
মধ্য রাতে দেশে ফিরলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। রোববার (৮ জুন) দিনগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় আসেন।
ফ্লাইটটি (টিজি ৩৩৯) অবতরণের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত পৌনে তিনটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় তার পরনে ছিল শার্ট ও লুঙ্গি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ গণমাধ্যমকে জানান, আবদুল হামিদ সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে এসেছেন। কোনো প্রটোকল চাননি। রাত দেড়টার দিকে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
গত ৮ মে দিনগত রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি ৩৪০) ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার ও শ্যালক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান যান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একের পর এক ঘটনা ঘটে। আন্দোলনের মুখে ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।
আবদুল হামিদ ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি, ২০১৮ সালে ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। বঙ্গভবন ছাড়ার পর আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে তারা বাসায় ওঠেন।
জাতীয়
সচিবালয়-যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রবিবার (৮ জুন) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.সাজ্জাত আলীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ০৯ জুন ২০২৫ খ্রি., সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
জাতীয়
টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুরোধ জানিয়ে যুক্তরাজ্যের এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠির বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন এমন কোনো চিঠি তারা পাননি।
রবিবার (৮ জুন) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, আমরা টিউলিপ সিদ্দিকের কোনো চিঠি পাইনি। গত ৫ জুন তারিখ থেকে আমরা ছুটিতে আছি।
জানা যায়, আগামীকাল সোমবার (৯ জুন) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরে আসবেন। এর মধ্যে রোববার (৮ জুন) যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ‘ভুল–বোঝাবুঝির’ অবসান করতে চান টিউলিপ সিদ্দিক। তাই অধ্যাপক ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরের সময় তার সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, আমি যুক্তরাজ্যের একজন নাগরিক, লন্ডনে জন্মেছি এবং গত এক দশক ধরে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিনিধিত্ব করছি।
‘বাংলাদেশে আমার কোনো সম্পত্তি নেই এবং সেখানে কোনো সম্পত্তি বা বাণিজ্য করার কোনো আগ্রহ বা পরিকল্পনা আমার ছিল না, এখনও নেই। আমি বাংলাদেশকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি, কিন্তু দেশটি আমার জন্মভূমি নয়। আমি যুক্তরাজ্যেই বড় হয়েছি, বেড়ে উঠেছি এবং নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করেছি।’
‘আমি দুদকের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চেয়েছি। লন্ডনে আমার আইনজীবীরা এ ইস্যুতে দুদকের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে কিন্তু দুদক আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে চায়নি। তারা আমাকে তলব করে ঢাকার যে ঠিকানায় চিঠি পাঠাচ্ছে, সেটিও সঠিক নয়।
‘এই যে একটি অলীক অনুসন্ধান দুদক শুরু করেছে— তার প্রতিটি পদক্ষেপ মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করা হচ্ছে এবং তা করা হচ্ছে আমার লিগ্যাল টিমের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ না করেই।’
‘আপনি যুক্তরাজ্য সফরে আসছেন। আমি আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী। আমার সঙ্গে আমার মায়ের বোন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক নিয়ে যেসব ভুল ধারণা বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের বরাতে ছড়িয়ে পড়েছে, আমি আশাবাদী যে আপনার সঙ্গে আমার সাক্ষাতের পর সেসব দূর হবে।’
প্রসঙ্গত, রাজা চার্লসের আমন্ত্রণে আগামীকাল ৯ জুন চার দিনের এক সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে রাজা এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে।