সারাদেশ
খাগড়াছড়িতে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনী
বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের আওতাধীন সকল জোনের সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গত কয়েকদিন ধরেই বানভাসি জনসাধারণের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। বন্যার্তদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা এবং তাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে যাচ্ছেন সেনাসদস্যরা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জেলা সদরের গঞ্জপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না, ততদিন পর্যন্ত খাগড়াছড়ি রিজিয়নের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, ত্রাণ ও বিভিন্ন ধরনের মানবসেবা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের বিএম মেজর সাদাত রহমান, ক্যাপ্টেন গালিব বিন সাইফসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
এর আগে, বৃহস্পতিবার বন্যার পানিতে ডুবেছে খাগড়াছড়ি। জেলা সদর উপজেলার এবং পৌরসভার অধিকাংশ এলাকার অন্তত তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
জাফলংয়ে বন্ধ পাথর উত্তোলন
পরিবেশগত সমস্যার কারণে সিলেটের জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় চরম সংকটে পড়েছেন সেখানকার শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক পরিবারগুলো বাধ্য হচ্ছে বিকল্প পেশা বেছে নিতে। অনেকে জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে, যা সামাজিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলেছে।
সিলেটের জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন পেশার সঙ্গে জড়িত শত শত শ্রমিক। পরিবেশগত কারণে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক দৈন্যতা দেখা দিয়েছে শ্রমিক পরিবারগুলোতে।
জীবিকার মাধ্যম হারিয়ে বিপাকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারে দেখা দিয়েছে নানান সমস্যা। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সন্তানদের শিক্ষায়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ভিন্ন পেশা। কোনো কোনো শ্রমিক কম মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে, আবার কেউ কেউ জড়াচ্ছেন নানান ঝুঁকিপূর্ণ কাজে।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা জানিয়েছেন, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় আয়-রোজগার কমে গেছে এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধে তারা ভীষণ বিপাকে পড়েছেন। প্রায় সব ব্যবসায়ীরই স্থানীয় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ রয়েছে, যা পরিশোধ করতে না পারায় ক্রমেই তাদের ঋণ বাড়ছে। অনেকে সম্পত্তি বন্ধক রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।
তবে, এই পাথর উত্তোলন বন্ধের নেপথ্যে পাথর আমদানি সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, স্থানীয় উৎস থেকে পাথর সরবরাহ বন্ধ রেখে আমদানি করা পাথরকে বাজারে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।
জাফলংয়ের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য এবং পরিবেশগত বিপর্যয় এড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব নিয়েও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
গাজীপুরে সড়ক অবরোধ করে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর মহানগরের মালেকের বাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে টি এন জেড অ্যাপারেলস্ লিমিটেড নামে একটি কারখানার পোশাক শ্রমিকরা। এছাড়া কারখানার খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বোর্ড বাজারের এসএমএস ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড ও কোনাবাড়ীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় লাইফ ট্যাক্স মিলিটেড নামে কারখানার শ্রমিকরা ৩৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগরের মালেকের বাড়ি এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে টি এন জেড অ্যাপারেলস্ লিমিটেড নামে কারখানার শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। ব্যস্ততম মহাসড়ক অবরোধের কারণে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় শত শত কর্মজীবী মানুষ বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
গাজীপুর শিল্পপুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মালেকের বাড়ি এলাকায় টি এন জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি পোশাক তৈরি কারখানা আছে। ওই কারখানার শ্রমিকদের বেতন ভাতা না দিয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ রেখেছে। বকেয়া বেতনের দাবিতে টি এন জেড গ্রুপের ছয়টি কারখানার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া আছে। এ নিয়ে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করেনি। পরে আজ (শনিবার) সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা মালেকের বাড়ি কলম্বিয়া মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বেতন সংক্রান্ত সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজারের এসএমএস ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড শ্রমিকরা কারখানার নিচে অবস্থান করছেন।
শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধ না করে গত ৬ নভেম্বর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন। আজ ৯ নভেম্বর কারখানা খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ আজও কারখানা বন্ধ রেখেছে। বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া বেতনের দাবিতে ৩০-৩৫ জন শ্রমিক কারখানার নিচে অবস্থান করছেন।
এসএমএস ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী মালিক শফিকুল আলম বলেন, আগামী সোমবার কল কারখানা কর্তৃপক্ষে সঙ্গে একটি সভা আছে। সেখানেই শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শ্রমিক বেতনসহ অন্যান্য দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণ করা হবে।
এদিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় লাইফ ট্যাক্স লিমিটেড নামে কারখানার শ্রমিকরা ৩৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে।
পুলিশ ও আন্দোলত শ্রমিকরা বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার বিসিক শিল্প নগরী এলাকার লাইফ ট্যাক্স লিমিটেডের শ্রমিকরা ৩৫ দফা দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিরতি, টিফিন বিল, নাইট বিল, কারখানার ম্যানেজমেন্টদের অপসারণসহ ৩৫ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। কারখানায় প্রবেশ না করে বিসিক শিল্প নগরীর প্রবেশ গেটের সামনে শ্রমিকরা অবস্থান নেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তারা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান।
কোনাবাড়ী শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. মোরশেদ জানান, লাইফ ট্যাক্স লিমিটেড শ্রমিক অসন্তোষের খবর ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মালিকপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডরিন পাওয়ারের এমডি তাহজীব গ্রেপ্তার
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ঢাকার সাভারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে তাহজীব আলম সিদ্দিকীর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০১৩ সালে ঝিনাইদহ শহরে বিক্ষোভ মিছিলে সহিংসতার ঘটনায় জামায়াত নেতা আবদুস সালাম নিহত হন। সেই ঘটনায় সম্প্রতি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় গতকাল রাতে সাভার থেকে সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাঁকে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে আসা হয়।
আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, গত ৪ আগস্ট জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর এবং জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা আরও দুটি মামলায় তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক তিন মামলায় এক দিন করে মোট তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঝিনাইদহে জামায়াতের কর্মী আবদুস সালাম হত্যার ঘটনায় ২৭ আগস্ট একটি মামলা করা হয়। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত আবদুস সালামের শ্বশুর ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ঝিনাইদহ-২ আসন (সদর আংশিক ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা) থেকে তাহজীব আলম সিদ্দিকী ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আবারও জয়ী হন। তাঁর বাবা নূরে আলম সিদ্দিকী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
পর্যটকদের জন্য খুললো সাজেক-খাগড়াছড়ি
নিরাপত্তা সংকটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের দুয়ার। খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এতে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটক ও পর্যটনব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় পর্যটকরা পাহাড়ি এ জেলার সব পর্যটন স্থানের পাশাপাশি যেতে পারবেন সাজেকও।
এতে করে দীর্ঘ একমাস পর এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ছাড়সহ নানান সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এখানকার গাড়ি চালকরা জানান, এটাই তাদের জীবিকা। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষকে পাহাড়ি সৌন্দর্য ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো তাদের কাছে বিশাল আনন্দের ব্যাপার। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ায় তারা বেশ আনন্দে আছেন।
হোটেল ও মোটেল মালিকরা বলছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় গত একমাসে খাগড়াছড়িতে পর্যটন খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। এবার তা কাটিয়ে উঠতে চান তারা।
এদিকে, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পর্যটনকে কেন্দ্র করে এখানকার জীবন-জীবিকা গড়ে ওঠেছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এ এলাকা আবারও পর্যটকদের উপস্থিতিতে সরব থাকবে।’
তবে সাজেক খুললেও বান্দরবান পর্যটন কেন্দ্র নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখনও সেখানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
রাজশাহী জেলার প্রথম নারী ডিসি আফিয়া আখতার
রাজশাহী জেলায় প্রথমবারের মতো নারী জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আফিয়া আখতার। রাজশাহী জেলা গঠন হওয়ার ২৫৫ বছর পরে এই প্রথম কোনো নারীকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হল।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সরকার অসীম কুমারের কাছ থেকে ১২৭তম জেলা প্রশাসক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
দায়িত্ব নিয়ে প্রথমদিন ব্যস্ত সময় কাটান আফিয়া আখতার। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর নিজ কার্যালয়ে জেলার প্রথম নারী ডিসি আফিয়া আখতারকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আফিয়া আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, আগে কখনো জেলা প্রশাসক হইনি, এবারই প্রথম হয়েছি, সেটা জেলার প্রথম নারী প্রশাসক। ভালোই লাগছে। প্রথমদিন ব্যস্ততায় কেটেছে। আশা করছি ভালোভাবেই দায়িত্ব পালন করতে পারবো।
আফিয়া আখতার যশোর জেলার কোতয়ালী থানায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে এসএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৯৮ সালে অনার্স ও ১৯৯৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
২৫তম বিসিএসের মাধ্যমে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পর তার প্রথম কর্মস্থল ছিল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।
এমআই