পুঁজিবাজার
গোপনে পর্ষদ সভা ডেকেও নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন এনআরবিসি ব্যাংকের

গোপনে পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক ডেকেও তা আবার নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করেছে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঋণ জালিয়াতিতে আলোচিত এনআরবিসি ব্যাংক। প্রথমে সাপ্তাহিক ছুটির দিন আগামীকাল শনিবার দুপুর দেড়টায় ব্যাংকের গুলশান শাখার বোর্ড রুমে এ বৈঠক ডাকা হয়। পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে একই বৈঠক অনলাইনে (ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটাও হচ্ছেনা। পর্ষদ সভা ডাকার জন্য ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টা সময় রাখতে হয়। আইন লঙ্গন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোপনে পর্ষদ সভার জন্য পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নোটিশ দেওয়া হয়। এ পর্ষদ সভায় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পারভেজ তমাল সরে দাঁড়িয়ে তার পছন্দের কাউকে দায়িত্ব দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ব্যাংকের বোর্ড সেক্রেটারি মোহাম্মদ আহসান হাবিব পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের ই-মেইল করে বৈঠকের তথ্য জানিয়েছেন। আহসান হাবিব হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর থেকে পদত্যাগ করে পলাতক আব্দুর রউফ তালুকদারের আপন ভগ্নিপতি। ব্যাংকের নিজস্ব নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে রউফ তালুকদারের প্রভাবে তিনি ব্যাংকটির বোর্ড সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পান। কোনো ব্যাংকের পর্ষদ সচিব হতে ন্যূনতম কাজের যে অভিজ্ঞতা দরকার হয় এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল অর্থসংবাদকে বলেন, আমি ছুটিতে আছি, আমি পর্ষদ সভা সম্পর্কে কিছুই জনিনা। সবসময় তো চেয়ারম্যানের বোর্ড মিটিং ডাকতে হয়না।
এদিকে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে অনেকের মতো এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমাম ও ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়াঁ আর্জু আত্মগোপনে চলে যান। এনআরবিসি ব্যাংকেরর ঋণ অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য, আলাদা কোম্পানি খুলে ব্যাংকের ব্যবসা বাগিয়ে নেওয়া, সৎ কর্মকর্তাদের মারধর করে বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সময় এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। মূলত পলাতক সাবেক গভর্নর রউফ তালুকদারের ভগ্নিপতি আহসান হাবিব সব ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ব্যাংকের একাধিক পরিচালক অর্থসংবাদকে জানান, ব্যাংকের কোম্পানি সচিব ও সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের ভগ্নিপতি মেজর (অব.) আহসান হাবিব বৃহস্পতিবার বিকেলে ইমেইল করে পর্ষদ সভার নোটিশ দিয়েছেন। সভার নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো এজেন্ডা জানানো হয়নি। তিনি শুনেছেন, এই বৈঠকে পারভেজ তমাল চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে তার অনুগত কাউকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবেন। একই সঙ্গে পর্ষদের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদেও পরিবর্তন আসতে পারে। এছাড়া ঋণসহ অন্যান্য বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এমআই

আন্তর্জাতিক
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে পতন

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রযুক্তি যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। বিশেষ করে সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্পের শেয়ারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে, যা মার্কিন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শনিবার (২১ জুন) ফ্রান্স ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজার সূচকগুলোর মধ্যে ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সামান্য ০.১ শতাংশ বাড়লেও, প্রধান সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ০.২ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে নেমে এসেছে। প্রযুক্তি খাতের সূচক নাসডাক কম্পোজিট ০.৫ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক বিক্রি দেখা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীনে প্রযুক্তি সরবরাহে শর্তাবলী কঠোর করার সম্ভাবনা এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের তীব্রতায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে ‘ডি-রিস্কিং’ অর্থাৎ ঝুঁকি কমানোর প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগ করতে শেয়ার বিক্রি করছেন।
৫০ পার্ক ইনভেস্টমেন্টসের বিশেষজ্ঞ অ্যাডাম সারহান বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ অব্যাহত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় বিক্রি করছে।”
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও, শুল্ক নীতির কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা কমাতে ব্যাংকগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কোম্পানি পর্যায়ে, যদিও ক্রোগার ও কারম্যাক্সের মতো কিছু কোম্পানির শেয়ার উন্নতি করেছে, তবুও সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মনোবল কমেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের অচলাবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়তে পারে, যা পুঁজিবাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে থাকবে।
পুঁজিবাজার
শ্যামপুর সুগার মিলসের সর্বোচ্চ দরপতন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন -১৯ জুন) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষ তালিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে শ্যামপুর সুগার মিলস। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহজুড়ে শ্যামপুর সুগার মিলের দর কমেছে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৩৪ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৪০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।
শীর্ষ দর পতন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৫২ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
শীর্ষ পতন তালিকায় তৃতীয় স্থানে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে আনলিমা ইয়ার্ন। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর কমেছে আরএসআরএম স্টিলের ৭ দশমিক ২২ শতাংশ, এসইএমএল গ্রোথ ফান্ডের ৭ দশমিক ০২ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, নূরানী ডাইংয়ের ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং ফাস ফাইন্যান্সের ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন-১৯ জুন) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ২৪ টাকা ৯০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৭০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাহিন স্পিনিং। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৫ টাকা ৭০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে দেশ গার্মেন্টস। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৭৫ টাকা ৮০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৯১ টাকা ৭০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ১৫ টাকা ৯০ পয়সা বা ২০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে লাভেলো আইসক্রীমের ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ, স্টাইলক্রাপ্টের ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বিচ হ্যাচারির ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ, ন্যাশনাল হাউজিংয়ের ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং অ্যাপেক্স ফুডের ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন-১৯ জুন) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে লাভেলো আইসক্রিম। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকা দ্বিতীয় স্থানে কোম্পানি ছিল বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪ দশমিক ১২ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে অগ্নি সিস্টেমের ৮ কোটি ৩ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টর ৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসির ৫ কোটি ০৭ লাখ টাকার।
কাফি
পুঁজিবাজার
সূচক-লেনদেনের সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ জুন থেকে ১৯ জুন) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিলো ৬ লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। আর সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১৫২ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ০২ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৯৬৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৬৬২ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ২৪১ কোটি ১ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম