জাতীয়
বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর জরুরি নম্বর

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে কয়েকটি জেলার লাখ লাখ মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট-ঘরবাড়ি। এ অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে জেলায় জেলায় সেনা কর্মকর্তাদের জরুরি নম্বরে ফোন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, রাজনগর, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলা:
০১৭৬৯১৭৫৬৮০
০১৭৬৯১৭২৪০০
কুলাউড়া, জুরি, বড়লেখা, মৌলভীবাজার জেলা: ০১৭৬৩৯০১৬৯৮
হবিগঞ্জ জেলা:
০১৭৬৯১৭২৫৯৬
০১৭৬৯১৭২৬৩৪
ফেনী জেলা:
০১৭৬৯৩৩৫৪৬১
০১৭৬৯৩৩৫৪৩৪
০১৬১৪৪০৯৫৬৫
০১৯১৯৭৭৪৮৪০
টেলিফোন: ০২৩৩৭৭৩৪১১০
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন: ০১৭৬৯-২৪৪০১২
সীতাকুন্ড-মীরসরাই, চট্টগ্রাম জেলা:
০১৭২৮-২০২৬৭৭ ০১৭৬৯-২৪২১৩২ ০১৭৬৯-২৪২১২৮
ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম জেলা: ০১৭৬৯-২৭২৩৪২ ০১৭৬৯-২৭২৩৩৬
খাগড়াছড়ি জেলা: ০১৭৬৯-৩০২৩৪২ ০১৭৬৯-৩০২৩৩৬

জাতীয়
জুলাই থেকে বিশেষ সুবিধা পাবেন চাকরিরত ও পেনশনভোগীরা

সরকারি-বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে চাকরিরতদের বিশেষ সুবিধা হিসেবে ন্যূনতম এক হাজার টাকা ও পেনশন ভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দেবে সরকার। যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগ প্রবিধি-৩ শাখা থেকে এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহীনা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতনস্কেল এর আওতাভুক্ত সরকারি-বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ, ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনাররাসহ পেনশনভোগী ব্যক্তিদের জন্য ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে বেতনগ্রেড ভেদে (গ্রেড ১ এবং তদূর্ধ্ব হতে গ্রেড ৯ পর্যন্ত) ১০ শতাংশ এবং (গ্রেড ১০ হতে গ্রেড ২০ পর্যন্ত) ১৫শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান করা হলো। এ ‘বিশেষ সুবিধা’ চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০০০ (এক হাজার) টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হারে প্রদেয় হবে।
এ বিশেষ সুবিধা নিম্নরূপভাবে কার্যকর হবে:
(ক) ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে প্রতিবছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর গ্রেড ১ ও তদূর্ধ্ব হতে গ্রেড ৯ এর অন্তর্ভুক্ত চাকরিরত কর্মচারীরা ১০ শতাংশ হারে এবং গ্রেড ১০ হতে গ্রেড ২০ এর অন্তর্ভুক্ত চাকরিরত কর্মচারীরা ১৫ শতাংশ হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(খ) অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএল গমনের পূর্বকালীন সর্বশেষ প্রাপ্ত মূলবেতনের ভিত্তিতে উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(গ) পেনশন পুনঃস্থাপনকৃত কর্মচারীরাসহ সরকার হতে পেনশন গ্রহণকারী কর্মচারীরা পেনশনের বিদ্যমান অংশের ওপর উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(ঘ) যে সব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের জন্য উপযুক্ত হননি তাদের ক্ষেত্রে এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রযোজ্য হবে না।
(ঙ) জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে সরকারি কর্মচারি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অব্যবহিত পূর্বে সর্বশেষ আহরিত তার মূলবেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে পেনশনের বিদ্যমান অংশ অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বের সর্বশেষ আহরিত মূল বেতনের ভিত্তিতে যে কোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
(চ) সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ (অর্ধেক) এর ওপর উপর্যুক্ত (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত গ্রেডভিত্তিক হারে ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন।
(ছ) বিনা বেতনে ছুটিতে (লিভ উইথআউট পে) থাকাকালীন কর্মচারীরা এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন না।
সরকারের রাজস্ব বাজেট হতে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের ক্ষেত্রে, যারা জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর আওতাভুক্ত, এ ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের নিজস্ব বাজেট হতে মেটাতে হবে।
অর্থ বিভাগের আদেশ নং ০৭.০০.০০০০.১৬১,৯৯.০১০,২৩-১৩২, তারিখ: ১৮/০৭/২০২৩ এতদ্বারা বাতিল করা হলো।
জনস্বার্থে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো এবং ১ জুলাই ২০২৫ তারিখ হতে এটি কার্যকর হবে।
কাফি
জাতীয়
এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: র্যাব

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে নামিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে র্যাব। এছাড়া হাটে ও বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি করলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলীতে পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সর্ববৃহৎ পশুর হাট গাবতলীসহ অন্যান্য পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। র্যাব-৪ হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনসহ মিরপুর বেনারসী পল্লী এলাকা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এছাড়া হাটে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে; যাতে জনসাধারণ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার না হয়। নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে।
মাহবুব আলম বলেন, পশু পরিবহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নেওয়া বা মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে বা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ঘরমুখো মানুষ যেন ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টিসহ কোনো অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতিতে না পড়ে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিশেষ করে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল এলাকা এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় নিয়মিত টহল দল মোতায়েন রয়েছে। বাসের টিকিট সিন্ডিকেট, কালোবাজারি কিংবা বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়য়ের মতো অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। সোমবারও গাবতলী বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরসহ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা ও সার্বক্ষণিক টহল দেওয়া হচ্ছে।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, পশু ক্রয় বিক্রয়কারীর জাল টাকা আদান-প্রদান বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যাতে কোনো অসাধু চক্র অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। অজ্ঞানপার্টি এবং মলম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত ১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৭ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা, যেকোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ করতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে। ঈদুল আজহা উদযাপন ও পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন অনেকে। ঈদের আগে ও পরে র্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ টহল ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব-৪ এর পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত থাকবে বলেও জানিয়েছেন লে. কর্নেল মাহবুব আলম।
জাতীয়
ঈদুল আজহায় বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (৩ জুন) ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমিনের সই করা ওই বার্তায় বলা হয়েছে, আগামী আরবি ১০ জিলহজ (১৪৪৬ হিজরি) এবং ইংরেজি ৭ জুন (শনিবার) সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতগুলো পরিচালনায় দায়িত্বে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও দেশের খ্যাতনামা আলেমরা।
প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করবেন যাত্রাবাড়ীর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. খলিলুর রহমান মাদানী। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতির দায়িত্বে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির হবেন মো. নাসির উল্লাহ।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো. বিল্লাল হোসেন।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মো. আব্দুল্লাহ এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন মো. আমির হোসেন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন। মুকাব্বির হবেন মো. জহিরুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, কোনো জামাতে নির্ধারিত ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মাওলানা মো. শহিদুল ইসলাম। পাশাপাশি, বিকল্প মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন খাদেম মো. রুহুল আমীন।
জাতীয়
যেসব এলাকায় ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না আজ

টঙ্গী-কালিগঞ্জ মহাসড়কের টঙ্গী নিমতলী ব্রিজ নামক স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামত কাজের জন্য মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় তিতাস গ্যাসের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তিতাস জানায়, টঙ্গী বিসিক, পাগাড়, মরকুন, শিলমুন, মাজুখান বাজার, আরিচপুর, গোপালপুর ও তালটিয়া বাজার এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া এই এলাকার আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলেও জানানো হয়। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
জাতীয়
কালোটাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের মূল লক্ষ্যের বিপরীত: টিআইবি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি অন্তর্বর্তী সরকারের এ উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, বিষয়টিকে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের মূল উদ্দেশের সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত একই সঙ্গে অনৈতিক, বৈষম্যমূলক ও সংবিধান পরিপন্থি।
সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্র সংস্কার—বিশেষ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারের মূল উদ্দেশ্যকে রীতিমতো উপেক্ষা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে, দুর্নীতিকে উৎসাহ দিয়ে রিয়েল এস্টেট লবির ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। করহার যা-ই হোক না কেন, এটি সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যেখানে বলা হয়েছে রাষ্ট্র এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যে অনুপার্জিত আয় অবৈধ হবে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ একইসঙ্গে বৈষম্যমূলক, কারণ এ সিদ্ধান্তের ফলে আবাসন খাতে অবৈধ অর্থের মালিকদের অধিকতর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সৎ উপার্জনকারীদের ফ্ল্যাট বা ভবনের অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সবচেয়ে আশঙ্কা ও হতাশার ব্যাপার হলো, সরকারের এ সিদ্ধান্ত দুর্নীতিকে উৎসাহ দেবে। এর মাধ্যমে সরকার বাস্তবে পুরো বছরজুড়ে অবৈধ ও অপ্রদর্শিত অর্থ-সম্পদ অর্জনের জন্য নাগরিকদের উৎসাহিত করছে এবং বছর শেষে কালো টাকাকে বৈধতা দেওয়ার অঙ্গীকার করছে। বৈধতা দেওয়ার অজুহাত হিসেবে যে খাতের তোষণ করা হচ্ছে, সে আবাসন খাতই দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের একটি হিসেবে চিহ্নিত। অবিলম্বে কালো টাকা সাদা করার এ দুর্নীতিবান্ধব সুযোগ চিরতরে বাতিল করার জোর দাবি জানাই আমরা, যার সূচনা হওয়া উচিত সংশোধিত বাজেটে এ সুযোগ রহিত করার মাধ্যমে। পাশাপাশি, কালো টাকার উৎস অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা, করব্যবস্থায় সমতা ও ন্যায় নিশ্চিতের দাবি জানাই আমরা।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইবি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সরকার যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান বাস্তব ও কার্যকর বলে দাবি করতে চায়, তবে কালোটাকা বৈধ করার যাবতীয় পথ চিরতরে বন্ধ করতে হবে। অন্যথায়, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম ও নীতিনির্ধারণী উদ্যোগগুলোকে জনগণ শুধুই লোকদেখানো মনে করবে, যার পরিণতিতে দুর্নীতির স্বাভাবিকতার সংস্কৃতি আরও গভীরতর হবে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র লোক দেখানো হিসেবেই থেকে যাবে। মনে রাখতে হবে এ সরকার কর্তৃক গঠিত দুদক সংস্কার কমিশনের অন্যতম সুপারিশ হচ্ছে কালোটাকাকে বৈধতা দেওয়ার সব পথ চিরতরে রুদ্ধ করা, যার প্রতি এরই মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ, অন্তর্বর্তী সরকার এর বিপরীতে অবস্থান নিয়ে স্ববিরোধিতা করছে, সরকার নিজেকে বিব্রত করছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, একইভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ বাজেটে প্রত্যাশা ছিল, দেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে কতটা অগ্রগতি হলো তার একটি ধারণা দেওয়া হবে। কিন্তু সে ব্যাপারে মাত্র একটি বাক্য ব্যবহার করেই দায় সেরেছেন অর্থ উপদেষ্টা। আবার দেশ থেকে অর্থসম্পদ পাচার করেছেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন, এমন ব্যক্তিদের অর্থ-সম্পদের ওপর কর ও জরিমানা আরোপের বিধান করা হয়েছে। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় তা বাস্তবায়ন করা হবে- তাও পরিষ্কার করা হয়নি। এর বাইরে রাজস্ব আদায় বাড়াতে এর ব্যবস্থাপনা থেকে নীতিকে আলাদা করার সঙ্গে এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের কৌশলগুলো কী হবে- সে উত্তরও পাওয়া যায়নি বাজেট বক্তৃতায়, যা সত্যিই হতাশার বলে মনে করে টিআইবি।
কাফি