পুঁজিবাজার
মাল্টি সিকিউরিটিজের মার্জিন ঋণসহ সকল সুবিধা স্থগিত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের সকল নন-মার্জিন লিমিট ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব সুবিধা বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ০৪ জুলাই কমিশনের অধীনে গঠিত তদন্ত কমিটি মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড ও কোম্পানির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তদন্ত পরিচালনা করছে। গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (স্টক-ব্রোকার) অফিস প্রাঙ্গনে স্পট ভিজিট করেছে। তবে স্টক ব্রোকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তদন্তে সহায়তা বা সুবিধা দিতে অস্বীকার করেছেন। তদন্ত কমিটির সদস্যদের দ্বারা অনুরোধ করা হলেও কোনও নথি উপস্থাপন বা অফিস প্রাঙ্গনে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর ধারা ২১ এর উপ-ধারা (৩) এবং ধারা ১৭ক (৩) সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
এতে আরও বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি স্টক ব্রোকারের কোনো ব্যাক-অফিস সফ্টওয়্যার, রেকর্ডের প্রাসঙ্গিক বই এবং তথ্য এবং বিভিন্ন নথির প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেনি। তদন্ত কমিটি উল্লিখিত স্টক-ব্রোকারের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের (বিও আইডি ধারকদের) সম্পদ এবং সিকিউরিটিজ এবং স্টক-ব্রোকারের ডিপোজিটরি পার্টিসিপ্যান্টের (ডিপি) নিয়ন্ত্রণে সংরক্ষিত সিকিউরিটিজগুলোর সুরক্ষা এবং সুরক্ষার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড, হাসান তাহের ইমাম এবং চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ/সন্দেহজনক লেনদেন সম্পর্কে তদন্ত কমিটি অস্পষ্ট রয়েছে। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, 1969-এর ধারা ২০এ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগে, ডিপজিটরি আইন, ১৯৯৯ এর ধারা ১৪ সহ, কমিশন ডিপোজিটরি এবং স্টক-এক্সচেঞ্জকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিনিয়োগকারীর স্বার্থের সুরক্ষা ও মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের অধীনে সিকিউরিটিজগুলোর হেফাজত করতে বিশেষ সুবিধা স্থগিত করছে।
ব্রোকারেজ হাউজটির যেসব সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (টিআরইসি হোল্ডারস মার্জিন) রেগুলেশন, ২০১৩ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (টিআরইসি হোল্ডারস মার্জিন) রেগুলেশনস, ২০১৩ এর অধীনে উপলব্ধ নন-মার্জিন লিমিট ফ্রি লিমিট সুবিধা কমিশনের পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের জন্য নতুন শাখা বা ডিজিটাল বুথ খোলার সুবিধা কমিশনের দেওয়া পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের এক্সচেঞ্জের মালিকানা শেয়ারের বিপরীতে বকেয়া লভ্যাংশের অর্থ কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত স্থগিত করা হবে। যোগ্য বিনিয়োগকারী হিসাবে আিইপিও/আরপিও/কিউআইও-তে কোটার যোগ্যতা যোগ্য বিনিয়োগকারী কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত স্থগিত করা হবে। মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের স্টক ব্রোকার এবং ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারী হিসাবে নিবন্ধনের শংসাপত্রের পুনর্নবীকরণ কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত পরবর্তী আদেশ পর্যন্ত স্থগিত করা হবে। মো. জালাল একরামুল কবির, হাসান তাহের ইমাম, চৌধুরী নাফিজ সারাফাত, মরহুম আহমেদ কবির খানের (মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের ট্রেড প্রতিনিধি) নামে যেকোন বিও আইডির সমস্ত ধরণের লেনদেন এবং সিকিউরিটিজ স্থানান্তর কমিশনের পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িক স্থগিত থাকবেন। মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের ধারা৬ এ উল্লেখিত ব্যক্তিদের অর্থ প্রদান বা সিকিউরিটিজ ট্রান্সটারের যেকোন অনুরোধ কমিশনের পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হবে। মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের অধীনে একত্রিত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট এবং গ্রাহকদের সিকিউরিটিতে অর্থের ঘাটতি সমন্বয় করার পরে, সংশ্লিষ্ট এক্সচেঞ্জ কমপক্ষে এক বছরের জন্য ট্রেড হোল্ডার কোম্পানির বিশেষ তত্ত্বাবধান পরিচালনা করবে। এছাড়াও, একত্রিত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট (সিসিএ) এবং সংশ্লিষ্ট ডিপোজিটরি পার্টিসিপ্যান্ট (ডিপি) এ রাখা সিকিউরিটিগুলো প্রতি মাসে দুবার পরীক্ষা করা হবে; এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি, চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড কমিশনের উপরোক্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং সেই অনুযায়ী বিওআইডিতে হোল্ডিং স্ট্যাটাসসহ কমিশনের কাছে পরবর্তী ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে একটি রিপোর্ট পেশ করবে।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
এসএম

পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে ফারইস্ট ফাইন্যান্স

বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ আগস্ট-০৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের। সপ্তাহজুড়ে ফারইস্ট ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ২০ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ১৪.২৯ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ১৩.৩৩ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে পিপলস লিজিং। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ২০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জিএসপি ফাইন্যান্সের ১১.৪৩ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ১১.১১ শতাংশ, এইচআর টেক্সটাইলের ১০.৮৬ শতাংশ, সাফকো স্পিনিংয়ের ৭.৮৮ শতাংশ, আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৭.৬৯ শতাংশ, রিলায়েন্স-১ মিউচুয়াল ফান্ডের ৭.৫৩ এবং বিকন ফার্মার ৭.২১ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে ইনটেক

বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ আগস্ট-০৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইনটেক লিমিটেড। সপ্তাহের ব্যবধানে ইনটেক অনলাইনের দর বেড়েছে ১৭ টাকা ১০ পয়সা বা ৬০.৬৪ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ১৪ টাকা বা ২৬.৯৭ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ২৫.১৯ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে বিডিকম অনলাইন। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে শ্যামপুর সুগারের ২২.৮৩ শতাংশ, সিএপিএমবিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ২২.৩৫ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সটের ২০ শতাংশ, বে লিজিংয়ের ২০ শতাংশ, আমরা টেকনোলজির ১৯.৮৫ শতাংশ, বিবিএস কেবলসের ১৯.৯৭ শতাংশ এবং খান ব্রাদার্সের ১৮.৩৬ শতাংশ।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ আগস্ট-০৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকার শীর্ষে উঠেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.৩৭ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিটি ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৪১ কোটি ০৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.২০ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে খান ব্রাদার্স। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ৩১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৪৩ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে লাভেলো আইসক্রীমের ৩০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ২২ কোটি ২৬ লাখ টাকা, রবি আজিয়াটার ২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, সেনালী পেপারের ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা, সিনোবাংলার ১৮ কোটি ১১ লাখ টাকা, যমুনা ব্যাংকের ১৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং আটিসির ১৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার।
পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (৩১ আগস্ট থেকে ০৪ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৯ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা।
সমাপ্ত সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৬ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬ হাজার ৪৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৭২৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৭৬২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বা ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৩টি কোম্পানির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. এম এ কাসেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, নির্বাচিত ভূমি কেনাকাটায় ৩০৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার, বিলাসবহুল গাড়ি বাজেট ব্যবহার, অতিরিক্ত সিটিং ভাতা গ্রহণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল সাউথইস্ট ব্যাংকে এফডিআর করার মতো গঠনমূলক কেন্দ্র নিয়ে অনিয়মের অনুসন্ধান ও তদন্ত চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালে এম এ কাসেমের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি অনুসন্ধানে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে দুদক। অনুসন্ধান টিমের সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক আজিজুল হক, সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী মুসা জেবিন ও সহকারী পরিচালক আল-আমিন।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ কাসেম ক্যাম্পাসের উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা হস্তন্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কাসেম কম মূল্যের জমি বেশি দামে ক্রয় দেখানো, ডেভেলপার কোম্পানি থেকে কমিশন নেওয়া, ছাত্রদের টিউশন ফি থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয়, লাখ টাকা করে সিটিং অ্যালাউন্স, অনলাইনে মিটিং করেও সমপরিমাণ অ্যালাউন্স গ্রহণ, নিয়ম ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডের ৪০৮ কোটি টাকা নিজেদের মালিকানাধীন ব্যাংকে এফডিআর, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে কয়েকগুণ শিক্ষার্থী ভর্তিসহ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়মের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও অজ্ঞাত কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি পূর্বাচল সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৫০ বিঘা নিচু জমি কিনে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা লোপাট করেছেন। তারা ২০১৪ সালে আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভলপার্স লিমিটেডের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকার জমি ৫০০ কোটি দেখিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। এরপর নিচু জমি ভরাটের নামে ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা লোপাট করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির অর্থ থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের ৯ জন সদস্যের জন্য ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল আটটি রেঞ্জ রোভার ও একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি কেনা হয়। এ গাড়ির চালকদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং তেলের খরচও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে বহন করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অমান্য করে আটটি কমিটির বিপরীতে ২৫টি কমিটি গঠন করে অতিরিক্ত সিটিং অ্যালাউন্স আদায় করেন। এসব কমিটির মাধ্যমে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সম্পত্তির ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য ২০২১ সালের ৩১ আগস্টের হিসাব অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অর্থের ৪৩ শতাংশেরও বেশি ৪০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা নিজেদের মালিকানাধীন সাউথইস্ট ব্যাংকে জমা রেখেছেন। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে এম এ কাসেমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।