ফ্যাক্টচেক
ভাইরাল শিশুর ছবি সম্পর্কে যা জানা গেল
দেশের আটটি জেলা বন্যাকবলিত এবং এসব জেলার প্রায় সাড়ে চার লাখ পরিবার বন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছেন। এখন পর্যন্ত প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল সাহায্য কঠিন করে তুলেছে সেসব জেলার মানুষের পরিস্থিতি। তাদের মানবেতর জীবনযাপনের, দুঃখ দুর্দশার বিভিন্ন চিত্র ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরমধ্যে বিশেষ একটি ছবি সবার নজর কেড়েছে। অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই এ ছবি ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করছেন। ছবিতে একটি শিশুকে বন্যার পানির মধ্যে অর্ধ নিমজ্জিত অবস্থায় দেখা গেছে। সাদাকালো এই ছবিটি কোনো আলোকচিত্রীর ধারণ করা নয়।
ছবিটি আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে তৈরি। বিভিন্ন এআই ইমেজ ডিটেক্টর যেমন- ইসইটএআই ডটকম এবং হাইভ মডারেশন ডটকম টুলসে ইমেজটি চেক করে দেখা গেছে ছবিটি এআই দিয়েই তৈরি।
তবে এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ছবিটি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ছবিটি শেয়ার করেছেন। অনেকে শিশুটির সন্ধান চেয়েছেন। অনেকে স্থান জানতে চেয়েছেন। কেউবা ছবিটি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে ছবিটি চেক করে এবং এআই দিয়ে তৈরি বলে জানা গেছে।
এদিকে ছবিটি নিয়ে মতামত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকবিষয়ক সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। তিনি তার ফেসবুকে ছবিটি সম্পর্কে যা জানিয়েছেন তা হুবহু নিচে দেওয়া হলো।
ছবিটি নিয়ে অনেকে জানতে চেয়েছেন- সত্যিকারের ছবি নাকি এআই জেনারেটেড।
প্রথমত, কোনো ইমেজ আএই জেনারেটেড কিনা তা এখনও কোন টুল ব্যবহার করে শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে বলার সুযোগ নেই। টুলগুলোর দেয়া ফলাফল করোবোরেটিং এভিডেন্স হিসেবে রাখা যায় শুধু।
আমি ৩টি এআই ডিটেক্টর টুলে ছবিটি ট্রাই করে ৩ ধরনের ফলাফল পেয়েছি। একটিতে দেখিয়েছে ছবিটি ৯১ শতাংশ এআই জেনারেটেড। অন্যটিতে ৪০ শতাংশ এবং একটিতে দেখাচ্ছে ‘লাইকলি হিউম্যান মেইড’। ছবিটির অরিজিনাল ভার্সন পেলে হয়তো এই ভিন্নতর ফলাফল হতো না। কোনো এআই জেনেরেটেড ছবির অরিজিনাল ভার্সন ডিটেক্টর টুলে চেক করলে মোটামুটি সব ক্ষেত্রেই কনক্লুসিভ ফলাফল পাওয়া যায়। (কোন ছবি একাধিক টুলের প্রতিটিতে ৭০ শতাংশের বেশি আইএই জেনারেটেড দেখালে আমরা সেটাকে কনক্লুসিভ ফলাফল হিসেবে গ্রহণ করে থাকি)।
কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রে, বুঝাই যাচ্ছে শুধু টুল দিয়ে এআই জেনারেটেড কিনা তা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন ভিন্ন কিছু এঙ্গেল থেকে এটি বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।
ছবিটি গতকাল থেকে অনলাইনে ছড়িয়েছে। নানানভাবে সার্চ করেও গতকালের আগে এবং সামাজিক মাধ্যমগুলোর বাইরে কোথাও এটি খুঁজে পাওয়া যায় না এবং দেখেই বুঝা যাচ্ছে, এটি পেশাদার কোন ফটোগ্রাফারের ক্যামেরার ছবি।
যদি ধরে নেওয়া হয় যে, এটি ফেনী নোয়াখালী অঞ্চলের চলমান বন্যার ছবি, তাহলে এটি অনেক মূল্যবান একটি ছবি হওয়ার কথা। কোন পেশাদার ফটোগ্রাফার এই ছবি তুললে অবশ্যই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় এটি তিনি যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করছেন সেটিতে প্রকাশ করবেন। তিনি ফ্রিলান্সার হলে অনেক দামে ছবিটি কোন সংবাদমাধ্যমের কাছে বিক্রি করবেন। অর্থাৎ, ছবিটি যেভাবে শুধু ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে তেমনটি হওয়া কথা না। প্রথমে এটি কোন সংবাদমাধ্যম বা এরকম প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে ক্রেডিট ও ক্যাপশন সহ প্রকাশিত হয়ে পরে ফেসবুকে আসার কথা। কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রে তা হয়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
মাশরাফির গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার খবরটি গুজব
বেশ কিছুদিন ধরে ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা মারা গেছেন শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, দুবাইতে মাশরাফি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার মারা যাওয়ার দাবিটি সঠিক নয় বরং কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভুয়া দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো সংবাদমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রে মাশরাফির দুবাইয়ে অবস্থান বা তার মৃত্যুর দাবি সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পরবর্তী সময়ে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি দলটির সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফিকে। তবে চলমান বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাঠে নামার কথা ছিল তার। যদিও মাঠে আর দেখা যায়নি তাকে। এ জন্য অবশ্য ফিটনেসের ঘাটতি থাকার কথা জানিয়েছিলেন সিলেট স্ট্রাইকারস কোচ মাহমুদ ইমন।
বিপিএল শুরুর আগে মাশরাফিকে নিয়ে সিলেট কোচ বলছিলেন, ‘সে এখনও আমাদের স্কোয়াডে আছে। কারণ এই দলের ওতপ্রোত অংশ হচ্ছে মাশরাফি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে (তার খেলার বিষয়), ও কী অনুভব করছে এবং ফিটনেসের অবস্থা কী এসবও বিবেচনায় থাকছে। সে যদি খেলার পর্যায়ে থাকে বা পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই খেলবে।’
গত জুলাই আগস্টে বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরব ছিলেন দেশের বেশির ভাগ তারকাই। তবে অনেকটা নিরব ভূমিকা ছিল মাশরাফির। যা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হলেও সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন ক্রিকেট দিয়েই। তাই মাশরাফির নিরব থাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন তার ভক্তরা।
এরপর এক ভিডিও বার্তায় নিজের অবস্থান জানান দিয়ে সব কিছুর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন মাশরাফি। বলেন, ‘আমি কিছু করার চেষ্টা করিনি, তা নয়। আমি শুধু কিছু লেখার ভাবনায় থাকতে চাইনি। চেয়েছিলাম ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতে, আলোচনার মাধ্যমে কিছু করা যায় কি না। সেই শুরুর দিকেই চেষ্টা করেছি। কারণ তাদের দাবি আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। কিন্তু সেটাও করতে পারিনি। সব মিলিয়ে অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছি।’
মাশরাফির শারীরিক অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলছিলেন, ‘শারীরিকভাবে ঠিক আছি। মানসিকভাবে অবশ্যই ভালো অবস্থায় নেই। আছি আর কী। ঢাকাতেই আছি, পরিবারের সঙ্গে।’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবরটি ভুয়া
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ ড্রোন মোতায়েন করেছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি করা এ খবরটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়েছে, সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের খবরটি ভুয়া ও বানোয়াট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাংলাদেশ তার রুটিন কার্যক্রম ছাড়া দেশের কোনো অংশে কোনো ড্রোন মোতায়েন করেনি। খবরটি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি সাজানো অভিযানের অংশ।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশ ড্রোন মোতায়েন করেছে দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী এলাকায় তুরস্কের তৈরি অত্যাধুনিক ‘বায়রাকতার টিবি-২’ ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। ধারণা করা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও বলা হয়, মূলত এ ধরনের ড্রোনগুলো নজরদারি এবং নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতার জন্য পরিচালনা করা হয়। ভারতের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ অঞ্চল ঘিরে এ ড্রোন মোতায়েন উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে ভারত।
ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (আইডিআরডব্লিউ) ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্ক থেকে ১২টি বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোনের প্রথম ধাপে ৬টি পেয়েছে। বাংলাদেশের ডিফেন্স টেকনোলজি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
নিহত আইনজীবী নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যাচার
চট্টগ্রামে গতকাল মঙ্গলবার নির্মমভাবে খুন হওয়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী বলে দাবি করে কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, দাবিটি মিথ্যা এবং এটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে।
প্রেস উইং জানায়, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পেশকৃত ওকালতনামা থেকে দেখা যায় যে তার আইনজীবীর নাম অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সকলকে যেকোন প্রকার উস্কানিমূলক, মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
উপদেষ্টা মাহফুজ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ালেন জয়!
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন-এমন ভুয়া তথ্য নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
“চেতনা” নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত “ইউনূসের প্রধান সহকারী মাহফুজের ভয়ঙ্কর অতীত” শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও শেয়ার করে জয় লিখেছেন, ‘অনির্বাচিত ও অবৈধ ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম অনেক বছর আগে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিল।
এর আগে মাহফুজ আলমের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর সম্প্রতি কিছু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে সেই খবর যে ভুয়া, তা আগেই নিশ্চিত করেছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দুজন সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি। নামের মিল থাকায় তাদের একই ব্যক্তি হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। দুই মাহফুজের ছবি, জেলা, বয়স ইত্যাদি যাচাই করে দেখা যায়, তারা দুজন সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যক্তি। অর্থাৎ, সজীব ওয়াজেদ জয় এমন একটি তথ্য প্রচার করেছেন, যা এরই মধ্যে মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ফ্যাক্টচেক
হিযবুত তাহরীর সদস্য নন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টটি গুজব বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস। গুজব প্রতিরোধে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে চালু করা ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করে ফেসবুকে বেশ কিছু পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এতে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট রয়েছে, যেখানে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম দুজন ভিন্ন ব্যক্তি। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম। তিনি কখনোই হিজবুত-তাহরীর বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ বা ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন না বলে একটি পোস্টে জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, আমি ইসলামপন্থী বা জঙ্গী বিশেষ করে হিযবুত তাহরীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম বলে কিছু ভারতীয় মিডিয়া ও আওয়ামী লীগের গুজব সেলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এসব দাবি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি হিযবুত তাহরীর বা অন্য কোনো অগণতান্ত্রিক দলের আদর্শের বিরুদ্ধে আগেও ছিলাম এবং এখনো আছি। তিনি ছাত্রশিবিরের সদস্য এবং সুবিধাভোগী ছিলেন না বলেও জানান তিনি।