জাতীয়
বন্যা কবলিত এলাকায় ডাক বিভাগের সবার ছুটি বাতিল

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যাকবলিত এলাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন সকল দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডাক বিভাগ থেকে জানানো হয়, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, কুমিল্লাসহ অন্যান্য অঞ্চলের জনগণের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া বন্যা প্লাবিত ফেনী, কুমিল্লা ও অন্যান্য অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
পদক্ষেপগুলো হলো- ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং এর আওতাধীন দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করা হচ্ছে। কন্ট্রোলরুমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।
এছাড়াও বিটিআরসি, বিটিসিএল ও টেলিটক হতে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
কাফি

জাতীয়
শহরে নিম্নআয়ের ৬৯ শতাংশ মানুষ টয়লেট ব্যবহার করে

গত পাঁচ বছরে শহরাঞ্চলের সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহারের হার ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। পাশাপাশি নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা এবং মাতৃ স্বাস্থ্যসেবাসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
এ সময়কালে এসব এলাকায় নিরাপদ পানি ব্যবহার ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। নারীদের মধ্যে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের হার ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০ শতাংশ এবং অন্তত চারবার প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণের হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশে। প্রসব-পরবর্তী সেবা নেওয়ার হার ২১ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ৯৪ শতাংশ পরিবার বর্তমানে তাদের খাবার পানি ঢেকে রাখে এবং এই এলাকাগুলোতে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ শতাংশ।
বুধবার (২ জুলাই) ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। যেখানে ব্র্যাকের পাঁচ বছর মেয়াদি ‘স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেবার জন্য সমন্বিত পুনর্বাসন কর্মসূচি’-এর তথ্য-উপাত্ত এবং নীতিগত সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এবং সৈয়দপুর পৌরসভায় অবস্থিত নিম্নআয়ের নগর বসতিগুলোতে বাস্তবায়িত এই কর্মসূচিটি অর্থায়ন করে কিং আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ প্রোগ্রাম এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি)।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক অংশিদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ এমন একটি খাত যেখানে ১ ডলার বিনিয়োগে ৪.৩ ডলার ফেরত পাওয়া সম্ভব। তিনি প্রকল্পটিতে বৈচিত্র্য আনা বা ভিন্ন কোনো দিক তুলে ধরার প্রস্তাব দেন যা সিটি করপোরেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুফল বয়ে আনবে এবং তা নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সমাপনী বক্তব্যে ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি, নগর উন্নয়ন কর্মসূচি ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী বলেন, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল সাশ্রয়ী মূল্যে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। তবে এতে মাতৃসেবা, প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী সেবা, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি, স্যানিটেশন এবং আচরণগত পরিবর্তনের মতো খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। এই অর্জনগুলো ভবিষ্যতের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ এবং চলমান কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. আরিফ শহীদ স্বাস্থ্যখাতকে অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে রেখে কমিউনিটির অংশগ্রহণসহ যৌথ অর্থায়নের কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আগামীতেও এমন আরও উদ্যোগ নেওয়ার আশা প্রকাশ করেন।
ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক ডা. শায়লা ইসলাম প্রসব-পরবর্তী সেবা ও যক্ষ্মা রোগ ব্যবস্থাপনায় অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে সমন্বিতভাবে কাজের বিষয়টিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। এসব কার্যক্রমের সমন্বয়ের জন্য স্থানীয় সরকার বা সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে ডা. শায়লা ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে দীর্ঘমেয়াদে আচরণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব।
জনস্বাস্থ্য নীতি, পরিকল্পনা ও গবেষণা বিশেষজ্ঞ এবং ভালো অ্যাভান্ট-গার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার নাজনীন আখতার জাতীয় নগর স্বাস্থ্য ও ওয়াশ পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশদ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ঢাকা ও সৈয়দপুরের কমিউনিটি প্রতিনিধিরাও কর্মশালায় অংশ নেন। তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নগর বস্তিগুলোর স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীদারত্বমূলক আলোচনা ও সম্মিলিত উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জোন ২-এর জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. জিয়াউর রহমান, জোন ৫-এর জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার এ এন এম বদরুদ্দোজা ও প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান এবং সৈয়দপুর পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী।
জাতীয়
জাইকার কাছে বনভূমিকে ন্যাচার লার্নিং হাবে রূপান্তরের প্রস্তাব পরিবেশ উপদেষ্টার

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কাছে দেশের বন সংলগ্ন রিসোর্স সেন্টারগুলোকে ‘ন্যাচার লার্নিং হাব’ এ রূপান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি জাইকার প্রতিনিধি দলকে এ প্রস্তাব দেন। সভায় জাপানি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)-এর নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরা।
বৈঠকে উপদেষ্টা জাইকার সহযোগিতায় বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফআইডিসি)-কে আধুনিকায়ন করে পরিবেশবান্ধব আসবাবপত্র উৎপাদন ও নতুন বাজারে প্রবেশের দিকেও গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি, সাফারি পার্কগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে জোরদার করে অবৈধ কাঠ আহরণ প্রতিরোধেরও আহ্বান জানান। পরিবেশ উপদেষ্টা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, সরকারি দপ্তরে সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।
বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড এবং নবগঠিত ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ প্ল্যাটফর্মের কথাও উল্লেখ করেন, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়ন কার্যকরভাবে পরিচালিত হবে। পাশাপাশি তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে একটি পৃথক ট্রাস্ট গঠনের প্রস্তাব দিয়ে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।
মিয়াজাকি কাতসুরা বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীল উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে জাইকার পক্ষ থেকে ‘জিরো দারিদ্র্য’ ও ‘জিরো বেকারত্ব’-এর বৈশ্বিক লক্ষ্যের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি ‘ক্লিন ঢাকা’ প্রকল্পসহ পরিবেশ খাতে জাইকার দীর্ঘমেয়াদি ভূমিকা এবং অভিযোজন কার্যক্রমে তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, জ্ঞান বিনিময়, জ্বালানি রূপান্তর ও বেসরকারি বিনিয়োগের ওপর চারটি মূল সহায়তা ক্ষেত্র তুলে ধরেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ ও অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল হাসান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী এবং জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইয়ামাদা তেতসুয়া, বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে ও সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ মিউরা মারি।
জাতীয়
ড. ইউনূস-রুবিওর ফোনালাপে শিগগিরই নির্বাচন করার আলোচনা

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সেই ফোনালাপে শিগগিরই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা এসেছে।
ইউনূস-রুবিও’র ফোনালাপ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তৌহিদ হোসেন জানান, তারা খুব চমৎকার পরিবেশে কথা বলেছে। তখন আমি সামনে বসা ছিলাম। সেখানে সংস্কার কার্যক্রমে তাদের সমর্থনের কথা বলেছে এবং কথায় উঠে এসেছে যথা শিগগিরই সম্ভব নির্বাচন করা হোক।
তিনি বলেন, মিশন চালুর বিষয়ে চার দফা খসড়া আদান-প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে চুক্তির খসড়াটি বিবেচনা করছে জাতিসংঘ। এরপর কোনও পরিবর্তন না হলে দুপক্ষ এটি সই করবে। তিন বছরের জন্য অফিস খোলার বিষয়ে দুপক্ষ সম্মত। তিন বছর পরে নবায়ন না হলে অফিস থাকবে না।
খসড়া কত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হতে পারে— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের কোনও টাইমফ্রেম নেই। এরই মধ্যে দুপক্ষের চারবার খসড়া চালাচালি হয়েছে। এরপর আমরা সেটিকে পরিবর্তন করেছি। তারা আবার কিছু পরিবর্তনের কথা বলেছে। কাছাকাছি যাওয়ার পরে অন্যান্য যে প্রক্রিয়া আছে, সেটি শুরু করেছি। তবে সেই পর্যায়ে তাদের দেওয়া কিছু পরিবর্তন আছে এবং অনেকটা আমরা সম্মত হয়েছি। বাকি পরিবর্তনগুলো যদি তারা গ্রহণ করে এবং বলে যে আবার পরিবর্তন কর, তবে আমরা দেখব সেটি পরিবর্তন করা যাবে কিনা।
শিগগিরই নির্বাচন করার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন কিনা, প্রশ্ন রাখা হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, দু’পক্ষের কথা হচ্ছিল আন্তরিক পরিবেশে। তার মধ্যে এ কথাগুলো উঠে এসেছে। নির্বাচন সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছে এবং সংস্কার কার্যক্রমের ব্যাপারে সমর্থনের কথা বলেছে। তখন তাদের জানানো হয়েছে, যথা শিগগিরই সম্ভব নির্বাচন করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আলোচনা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আজকে ওয়াশিংটনে বৈঠক হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখানে গেছেন। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সেখানে আছেন। কাজেই আমরা আশা করব যে একটি সমাধানে আমরা দুপক্ষ পৌঁছাতে পারব এবং বাণিজ্যে তেমন প্রভাব পড়বে না।
মানবিক করিডর নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, না, এ ধরণের কোনো কথা হয়নি।
গত সোমবার ইউনূস-রুবিও ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে অভিন্ন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতেও অভিন্ন অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই ফোনালাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রায় ১৫ মিনিটব্যাপী ফোনালাপ ছিল উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক, যা দুই দেশের মধ্যকার দৃঢ় দ্বিপক্ষীয় সম্প্রীতির প্রতিফলন। আলোচনার সময় উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন, যার মধ্যে ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আলোচনা, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া, গণতান্ত্রিক উত্তরণের রূপরেখা, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি এবং আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগকে সমর্থন জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য এবং রেমিট্যান্সের শীর্ষ উৎস। এর পরিপ্রেক্ষিতে উভয় নেতা শিগগিরই শুল্ক বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের প্রসার ঘটাবে।
জাতীয়
জাপানে শিক্ষাবৃত্তি ও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান

বাংলাদেশে বিনিয়োগ, মৎস্য খাত, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং শিক্ষা ও খেলাধুলাসহ যুব উন্নয়নের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পাশাপাশি তিনি দেশটিতে বাংলাদেশি তরুণদের শিক্ষাবৃত্তি ও কর্মী নিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাটসুরার সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
মিয়াজাকি কাটসুরার সঙ্গে বৈঠককালে ড. ইউনূস বলেন, জাপান সবসময় বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমি সম্প্রতি আপনার দেশ সফর করেছি। আমি ও আমার প্রতিনিধিদল যে আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা পেয়েছি, তাতে আমি গভীরভাবে মুগ্ধ।
মিয়াজাকি বলেন, বাংলাদেশ এশিয়ায় জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জাপানের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জুলাইয়ের (গণঅভ্যুত্থানে) নিহত ও আহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মাতারবাড়ি প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে একে দেশের ভবিষ্যতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে অভিহিত করেন এবং বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, আমি জাপানে জাইকা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বলেছিলাম আমরা সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর হতে চাই।
ড. ইউনূস বাংলাদেশের তরুণদের জন্য জাপানে শিক্ষাবৃত্তি বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোরও অনুরোধ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেক তরুণ জাপানে কাজ করতে যেতে চায়। সমস্যা হলো ভাষা। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি- জাপানি শিক্ষকরা এখানে আসুক, অথবা দূরশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের মানুষকে জাপানি ভাষা ও কর্মক্ষেত্রের আচরণ শেখানো হোক।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটি একটি দুঃখজনক পরিস্থিতি। হাজার হাজার তরুণ শরণার্থী শিবিরে বেড়ে উঠছে কোনো আশা ছাড়াই। তারা হতাশ হচ্ছে, রাগান্বিত হচ্ছে।
জবাবে মিয়াজাকি বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং জাইকা বিচার বিভাগ, সরকারি প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি জানান, জাইকা বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার, কোম্পানি এবং উভয় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় উন্নতমানের তথ্যপ্রযুক্তি ও মানবসম্পদ গড়ে তোলা হবে।
যুব উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা খেলাধুলায় বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের মেয়েরা সর্বত্র জয় পাচ্ছে। গতকাল তারা আবারও জিতেছে এবং ফাইনালে পৌঁছেছে। আমরা হোস্টেল সুবিধা বাড়াচ্ছি, তবে তাদের স্বাস্থ্য ও প্রশিক্ষণের জন্য সাহায্য প্রয়োজন।
মিয়াজাকি এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে জানান, জাপান এরইমধ্যে অনেক দেশে স্কুল প্রকল্পে স্বেচ্ছাসেবক পাঠাচ্ছে এবং বাংলাদেশের নারী খেলাধুলায় সহযোগিতার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
বৈঠকের শেষদিকে ড. ইউনূস সম্প্রতি সই হওয়া ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ ও অনুদান চুক্তির জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান, যা অর্থনৈতিক সংস্কার, রেলপথ নির্মাণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নের কাজে ব্যবহৃত হবে। একইসঙ্গে তিনি বার্ষিক জাপানি ওডিএ সহায়তা ৩০০ বিলিয়ন ইয়েন থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ বিলিয়ন ইয়েনে উন্নীত করার অনুরোধ জানান, যাতে আরও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়।
বাংলাদেশ চিরকাল জাপানের বন্ধুত্ব ও অবদান মনে রাখবে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতীয়
আশুরা-তাজিয়া মিছিল ঘিরে থাকবে কঠোর নিরাপত্তা বলয়: ডিএমপি

পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি, ব্যাগ, সুটকেস বা সন্দেহজনক কোনো প্যাকেট নিয়ে অংশ নেওয়া যাবে না। এই মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা আতশবাজি বা পটকা ব্যবহার করতে পারবেন না।
একই সঙ্গে ইমামবাড়া ও মিছিল আয়োজনকারীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি থেকে বলা হয়েছে, আশুরার নানা অনুষ্ঠান ও তাজিয়া মিছিলে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করে যেন পুলিশি নিরাপত্তা জোরদারে সহযোগিতা করা হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিকল্প হিসেবে জেনারেটর রাখার পরামর্শও দিয়েছে ডিএমপি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর লালবাগে হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মো. সরওয়ার।
তিনি বলেন, হোসেনি দালান ইমামবাড়া, বড়কাটারা, মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্প, শিয়া মসজিদ, বিবিকা রওজা, মিরপুর পল্লবী বিহারি ক্যাম্পসহ যেসব স্থানে পবিত্র আশুরা পালিত হয় সেসব স্থানে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মো. সরওয়ার বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে সকল বিভাগ কর্তৃক শিয়া ধর্মাবলম্বীসহ সকল ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করা হয়েছে। ইমামবাড়ার আশপাশে সংশ্লিষ্ট এলাকায় চেকপোস্ট কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ইমামবাড়ার সাথে সাথে আশপাশে পার্শ্ববর্তী উঁচুভবন থেকে ইতোমধ্যে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে পুলিশ উপস্থিত থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পালন করছে।
তিনি বলেন, ইমামবাড়া থেকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ডগস্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ইমামবাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। সকল অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশমুখে আর্চওয়ে গেট স্থাপন, হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টর দ্বারা তল্লাশির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তল্লাশির মধ্য দিয়ে আগত সকলকে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নারীদের তল্লাশির জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। অনুষ্ঠানসমূহের স্থির ও ভিডিও চিত্র ধারণের ব্যবস্থা থাকবে। ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি আমাদের সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
তাজিয়া ও শোক মিছিলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
১ মহররম (২৭ জুন) থেকে শোক মিছিল ঢাকা শহরে ডিএমপি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিচ্ছে এবং দেবে। যেসব রাস্তায় শোক মিছিল বা তাজিয়া মিছিল হবে সেসব রাস্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। রাস্তার পার্শ্ববর্তী উঁচুভবনে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। তাজিয়া মিছিলের সামনে পেছনে ও মাঝখানে পুলিশের স্পেশাল টিম মোতায়েন থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসমূহ সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নজরদারি করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
তাজিয়া মিছিল চলাকালে যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বড় মিছিল শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট এলাকা সুইপিং করা হবে। ফুটপাতে কোনো দোকান থাকলে সরিয়ে নেওয়া হবে।
অস্থায়ী কারবালা ধানমন্ডি লেকে থাকবে বিশেষজ্ঞ দল
ধানমন্ডি লেকে অস্থায়ী কারবালায়, ডুবুরি দল ও ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ উপস্থিত থাকবেন। বোমা, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল, সিআইডির ক্রাইম সিন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকবেন।
নিষিদ্ধ সংগঠন-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
নিষিদ্ধ সংগঠন বা অন্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সাইবার ক্রাইম ইউনিট মনিটরিং করবে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেবা সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শব্দদূষণরোধে ঢোল-মাইক ব্যবহারে নিরুৎসাহ পুলিশের
শব্দদূষণ করে এমন উচ্চশব্দ সৃষ্টিকারী ঢোল, মাইক ব্যবহার করে নগরবাসীর ভোগান্তি তৈরি করা যাবে না। সুশৃঙ্খলভাবে মিছিলে অংশ নিতে হবে। তাজিয়া মিছিল শেষে স্ব-স্ব গন্তব্যে ফিরে যেতে হবে সুশৃঙ্খলভাবে। অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে সেজন্য সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দুই বা ততোধিক হলে গ্যাপ রেখে মিছিলে অংশ নিতে হবে। লোডশেডিং হতে পারে, সেজন্য বিকল্প হিসেবে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখলে ভালো হয়। সন্দেহজনক কিছু মনে হলে ৯৯৯-এ জানানো বা ডিএমপিকে জানাতে পারেন।
ট্রাফিক ব্যবস্থা
ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. সরওয়ার বলেন, হোসেনি দালান ইমামবাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু হয়ে নীলক্ষেত, মিরপুর রোড, ঢাকা কলেজ, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, ধানমন্ডি আবাসিক লেক, চার নম্বর গেট, সাত মসজিদ হয়ে ধানমন্ডি লেকে অস্থায়ী কারবালা মিলিত হবে। এই অস্থায়ী কারবালা লেকে অনেকগুলো মিছিল মিলিত হবে। সেজন্য এসব এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। রোড ডাইভারশন করা হবে অন্যান্য রাস্তায় যান চলাচল করতে পারবে।
সাধারণ নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তাজিয়ার মিছিল চলাকালে সংশ্লিষ্ট রাস্তা পরিহার করে অন্য রাস্তায় চলাচল করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্), এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ১০ মহররমের অনেক গুরুত্ব। আগামী ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা আছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে উল্টো গিয়ে স্বামীবাগে ইস্কন মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। সেজন্যও থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।