জাতীয়
ঢাকায় জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের ৩ সদস্যের টিম ঢাকা পৌঁছেছে। এই দলটির নেতৃত্বে রয়েছে সংস্থাটির হাইকমিশনার দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন।
গতকাল (বুধবার) মধ্যরাতে দেশে পৌঁছায় দলটি। প্রাথমিক কারিগরি দলটি বাংলাদেশে প্রায় এক সপ্তাহের সফর করার কথা রয়েছে।
বর্তমানে দলটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সফরে তারা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজের ধারা, প্রক্রিয়া, শর্তসহ সব বিষয় চূড়ান্ত করবে।
ধারণা করা হচ্ছে যে, দলটি তথ্য সংগ্রহের জন্য সফরকালে বেশ কয়েকজন সরকারি উপদেষ্টা এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের সাথে দেখা করবে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের টিমকে সহযোগিতা করতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
গত ১৪ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের ফোনে কথা হয়। ওই সময় তাদের মধ্যে এ আন্দোলন ঘিরে হত্যাকাণ্ড তদন্তের বিষয়ে কথা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রাফিক আইন ভঙ্গে ৬২৭ মামলা, জরিমানা সাড়ে ২৬ লাখ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৬২৭টি মামলা ও ২৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পরিচালিত অভিযানে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া অভিযানকালে ১৬৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নীতিবান অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা
‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার (৬ আগস্ট) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ উদ্বোধন করেন।
প্রথম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তারা পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইএসপিআর জানায়, পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সবাইকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার প্রতি। তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সব বীর সেনানীদের যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেন।
এছাড়া সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সব অফিসারদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে তিনি তার মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, চিফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা ৭ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০টি দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দুই বছর আগে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা। এবার ঝুঁকিতে থাকা সাতটি দেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি টিভি১৮।
সংবাদমাধ্যমটির শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে এরকম সাতটি দেশের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে- পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভেনেজুয়েলা, আর্জেন্টিনা, জাম্বিয়া ও ঘানা।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ঋণের পরিমাণ ১৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০০৮ সালের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। যেখানে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের মতো বিশ্বব্যাপী রেটিং এজেন্সিগুলো বাংলাদেশকে ‘জাঙ্ক’ বা জঞ্জালের স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এছাড়া সম্প্রতি যে রাজনৈতিক সংকট ও ক্ষমতার পটপরিবর্তন হয়েছে তার আগে থেকেই বাংলাদেশের ঋণ গ্রহণ এবং তা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল নিম্নমুখী।
এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত কয়েক বছরে টাকার অবমূল্যায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান আসেনি। খাদ্যমূল্য বাড়ার কারণে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
প্রতিবেদন বলছে, অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ বাড়ায় ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট আরো তীব্র হতে পারে। যদিও এখনই কোনো ঋণ সংকট নেই, তবে অর্থনীতির ক্রমাবনতি ঘটছে। এর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে কিছুটা চাঙ্গা করেছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে এই ঋণের অর্থ ছাড় করছে তারা।
২০২২ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রধান আচিম স্টেইনার সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকির মুখোমুখি। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএনডিপি প্রধানের সেই সতর্কবার্তা এখনো প্রাসঙ্গিক। কারণ, এরই মধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলনে আহতদের চাকরি দেবে বাক্কো
তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমৃদ্ধশালী ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে চায় দেশের বিপিও ও কল সেন্টার খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ এবং বাক্কোর মধ্যে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নবগঠিত বাক্কোর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারের সদস্য ও আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
বাক্কো সভাপতি তানভীর ইব্রাহীম বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে চায় বাক্কো। গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা যেন পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে সেজন্য আমরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করতে চাই।
বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আলিম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন তারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই আত্মত্যাগকে আমরা বৃথা যেতে দেবো না। বাক্কো পরিবার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।
সভায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) বলেন, আমি পেশাগত জীবনের শুরু থেকেই আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির অপার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাক্কো পরিচালক আব্দুল কাদের, জায়েদ উদ্দীন আহমেদ, সায়মা শওকত, নির্বাহী পরিচালক লে. কর্নেল (অব) মো. মাহতাবুল হক এবং দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলো তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদনগুলো দেবে। সেগুলো নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। এরপর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফার সংলাপ শেষে শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এসময় নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী রোড ম্যাপের ব্যাপারে যে আলাপটা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ছয়টা কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। বাকিটা দু’একদিনের মধ্যে ঘোষণা হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ছয়টি কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলবে, তাদের তিন মাসের টাইমলাইনের মধ্যে। এরপর তিন মাসের মধ্যে একটা রিপোর্ট দেবেন। প্রতিবেদনগুলো নিয়ে আবার উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দল, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর রিফর্মের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ন্যূনতম ঐকমত্যে আসবে। ঐকমত্যের ওপর নির্ভর করবে টাইমলাইনটা। কারণ কতটুকু রিফর্ম লাগবে সেটা দেখার বিষয়।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন নির্বাচনী কাজগুলো এগিয়ে যাবে, নির্বাচনের প্রস্তুতি, নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজগুলো এগিয়ে যাবে। কারণ ঐকমত্যটা রিফর্মের ব্যাপারে রিচ হলে যাতে খুব দ্রুত নির্বাচনটা দিয়ে দেওয়া যায়।
শফিকুল আলম বলেন, এখনই আমরা টাইমটা বলতে পারছি না। প্রসিডিওরটা কীভাবে হবে তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।