জাতীয়
জন্মাষ্টমী ঘিরে থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আগামী ২৬ আগস্ট উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা মহানগরীতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২১ আগস্ট) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দকে আসন্ন জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান অনুষ্ঠান যা বিশেষ ঐতিহ্য বহন করে। আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে অতীতের মতো আমাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অনুষ্ঠানটি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো।
জন্মাষ্টমী ঘিরে থাকছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, জন্মাষ্টমী পালনে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য ডিএমপি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থাকবে। নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় প্রতিটি মন্দিরে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, শোভাযাত্রা নির্দিষ্ট সময় শুরু ও শেষ করা, নির্ধারিত পোশাকে বা দৃশ্যমান আইডি কার্ডে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখা, ব্যাগ নিয়ে শোভাযাত্রায় না আসা এবং আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসবি, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার রাজবাড়ী সফর স্থগিত
ঘন কুয়াশায় ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাজবাড়ীর কালুখালিতে সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া (ম্যানুভার অনুশীলন) স্থগিত করা হয়েছে। সেখানে প্রধান অতিথি হওয়ার কথা ছিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। একই কারণে প্রধান উপদেষ্টার সফরও স্থগিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়ার চরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই মহড়া। ঘন কুয়াশা ও বৈরী আবহাওয়ায় কারণে হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেওয়া মহড়া স্থগিত করা হয়।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা গণমাধ্যমকে জানান, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়ার চর এলাকায় সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া হওয়ার কথা ছিল। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২৫ থেকে ২৯ মিনিটের মধ্যে হেলিকপ্টারযোগে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আসার কথা ছিল।
তিনি জানান, মহড়া দেখার পর মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তবে ঘন কুয়াশা ও বৈরী আবহাওয়ায় কারণে হেলিকপ্টার উড্ডয়নে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেওয়ায় মহড়া স্থগিত করা হয়েছে
জেলা প্রশাসক আরও জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে এবং মহড়ায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। মহড়া শেষে তিনি হেলিকপ্টারে ঢাকায় ফিরে যাবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে উপস্থিত হন সেনাপ্রধান। সাক্ষাৎশেষে রাত ৯টার কিছু পর তিনি ‘ফিরোজা’ ভিলা ত্যাগ করেন।
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষাতের সময় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন সেনাপ্রধান এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়ার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৬ আগস্ট মুক্তির পর ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাওসহ বহু মানুষ ফিরোজায় গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এবিষয়ে বিএনপি মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এসেছিলেন সেনাপ্রধান। এসময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে ওনার সহধর্মিণী ছিলেন। তারা প্রায় ৪০ মিনিট ফিরোজায় ছিলেন।
তিনি আরও জানান, সেনাপ্রধান বাসভবনে পৌঁছালে মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর তাকে স্বাগত জানান। ফজলে এলাহি আকবরকে উদ্ধৃত করে শায়রুল কবির জানান, সেনাপ্রধান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেজন্য তিনি দোয়া করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন
বাংলাদেশের জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন কাজী নজরুল ইসলাম। ১৯৭২ সালের ৪ মে স্বাধীন বাংলাদেশে আসার তারিখ থেকে তাকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আতাউর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করা হয়েছে। এটি সবার অবগতির জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয় কবির মর্যাদার বিষয়টি এরই মধ্যে বাংলাদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য। এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও স্বীকৃত। তবে কবির ঢাকায় আসার দিন থেকে তাকে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেওয়ার একটা দাবি ছিল বাংলাদেশের জনগণের। এবার সেই স্বীকৃতি দিয়ে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হলো।
কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কলকাতা থেকে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে আসে তৎকালীন সরকার। তার বসবাসের জন্য ধানমন্ডির ২৮ নম্বর (পুরাতন) সড়কের ৩৩০-বি বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়।
১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট এই চির বিদ্রোহী কবির জীবনাবসান হয়। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
কবির প্রয়াণে দুইদিনের রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন করে বাংলাদেশ। পরবর্তীকালে তাকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে সম্বোধন করে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮ জারি করা হয়।
১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের কলকাতার আলবার্ট হলে গোটা বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, এস. ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ্র দাশসহ বহু বরণ্যে ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কাণ্ডারী’ ও ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে বাংলাদেশে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টারাও কবিকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তবে জাতীয় কবি হিসেবে নজরুল সর্বজনস্বীকৃত হলেও এর আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও মুজিব কিল্লা নির্মাণে দুর্নীতির অনুসন্ধান
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, ম্যুরাল এবং মুজিব কিল্লা নির্মাণে সংঘটিত দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরাল স্থাপনে সরকারি অর্থ অপচয় ও তছরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি জানান, মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত বিল প্রদান এবং গভীর নলকূপের দুই-তৃতীয়াংশ বিকল থাকার অভিযোগও রয়েছে।
কমিশনের মহাপরিচালক বলেন, দুদক এসব অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পিএসসিতে আরও ছয় সদস্য নিয়োগ
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে আরও ছয়জন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে সই করেছেন উপসচিব আবুল হায়াত মো. রফিক।
নতুন যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা হলেন- অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার, মো. মুনির হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ এফ জগলুল আহমেদ, ড. মো. মিজানুর রহমান, সাব্বির আহমেদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. সৈয়দা শাহিনা সোবহান।
এর আগে দুই ধাপে ৮ জন সদস্য নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। নতুন ৬ জন নিয়োগ পাওয়ায় পিএসসির সদস্য সংখ্যা হলো ১৪ জন।
ছয়টি পৃথক প্রজ্ঞাপনে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংবিধানের ১৩৮ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি ছয়জনকে জনস্বার্থে পিএসসির সদস্য পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্তরা দায়িত্বভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যা আগে ঘটে, সে সময় পর্যন্ত পিএসসির সদস্য পদে বহাল থাকবেন।
কাফি