জাতীয়
মেধার ভিত্তিতে হবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়: উপদেষ্টা

সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, মেধার ভিত্তিতে হবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। মেধাকে আমরা পুঁজি করব। সবাই মিলে সমাজ সংস্কার করতে হবে, নতুন সমাজ গড়তে হবে। এ কাজে আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের কাজে লাগাতে হবে।
রোববার (১৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক সমন্বয় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। এই বিশ্বাস গড়ে তুলতে পারলে অনিশ্চয়তাকে অনেকাংশেই জয় করা সম্ভব। অন্যের ভালো কাজে অভিনন্দন জানান। তাদের প্রশংসা করুন। এতে করে আশেপাশের মানুষের মধ্যে আপনার সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। আপনাদের কথার প্রতিফলন দেখতে চাই। আপনি কি করছেন? কি ভাবছেন আপনার কর্মক্ষেত্রকে নিয়ে? সর্বোপরি ভালো কিছু করার চর্চা দেখতে চাই।
বিভিন্ন দপ্তরের শূন্যপদ পূরণ নিয়ে তিনি বলেন, লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া পরিহার করে সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। একই দপ্তরে কাউকে দীর্ঘদিন রাখলে কাজের প্রতি অনীহা জন্মায়, সেক্ষেত্রে বিধিমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শুধু মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের কথা ভাবলে হবে না, দেশের কথা ভাবতে হবে। পাশাপাশি শুধু নিজের কথা নয় মন্ত্রণালয়ের কথাও ভাবতে হবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, মেধার ভিত্তিতে হবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। মেধাকে আমরা পুঁজি করব। সবাই মিলে সমাজ সংস্কার করতে হবে, নতুন সমাজ গড়তে হবে। এ কাজে আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের কাজে লাগাতে হবে। মেধা, বিজ্ঞান ও যুক্তি, এতেই জাতির মুক্তি- এই প্রত্যয় নিয়ে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজ ও দেশ গঠনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো দলীয়করণ চলবে না। কোনো দলের জন্য কাজ করতে আসিনি। আমরা মনুষ্যত্বের জন্য কাজ করতে এসেছি। ভালো কাজ করতে হলে নৈতিক জায়গায় আরো মনোযোগী হতে হবে। আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। নিয়মানুবর্তিতার বাইরে কেউ যাবেন না। নিয়মানুবর্তিতা লঙ্ঘন করলে আপনাদের কথা শুনব না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটের দিকে এ কম্পন অনুভূত হয়।
ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার উত্তর এবং ভারতের আগরতলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পটি স্বল্পস্থায়ী হলেও এর প্রভাবে বিভিন্ন স্থাপনা কেঁপে ওঠে। ফলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্পের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেখা যায়। অনেকে তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন এবং নিরাপদ থাকার জন্য পরামর্শ দেন।
ভূমিকম্পের পর ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মার্চ ফর গাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাঁচ নির্দেশনা

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের অব্যাহত বর্বর হামলার প্রতিবাদে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করতে ৫ নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামিক স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ। শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। ওই গণজমায়েতে উপস্থিত থাকবেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি ৫টি নির্দেশনা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-
১. সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রাখব। অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করার দায়িত্বও আমিই পালন করব—এই সংকল্প নিয়েই ঘর থেকে বের হবো।
২. আসার পথে কিংবা মার্চ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল আমরা নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখব। পানি, ছাতা, মাস্কসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখব। মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেব।
৩. যেকোনো পরিস্থিতিতে উত্তেজনা পরিহার করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হব, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
৪. শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমন কোনো প্রদর্শনী করব না যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণ হতে পারে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করব।
৫. জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে যারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করব। দুষ্কৃতিকারীদেরকে প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেব। আর মনে রাখব, জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, সকল শ্রেণি-পেশা ও দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে উল্লিখিত নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পহেলা বৈশাখে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দুটি মেট্রো স্টেশন

মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে এ শোভাযাত্রার নাম হবে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রা’র শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য দুটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার চারুকলা অনুষদে শোভাযাত্রা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী পয়লা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোর শাহবাগ ও টিএসসির স্টেশন দুটি বন্ধ থাকবে। এখানে যাত্রী উঠবে না এবং নামবে না, তবে মেট্রো চলবে। আমাদের শোভাযাত্রা শেষ হয়ে গেলে গেট দুটি ওপেন হয়ে যাবে।
শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ও জনতার সমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ইতোমধ্যে অবহিত করেছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শোভাযাত্রার রুট নিয়ে বলা হয়, সকালে শোভাযাত্রাটি চারুকলা ও পাবলিক লাইব্রেরির সামনে দিয়ে শুরু করে শাহবাগের গোলচত্বর ঘুরে টিএসএসিতে গিয়ে রাজু ভাস্কর্য ও ডাস ডানে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। এরপর ডান দিকে থাকবে শামসুন্নাহার হল, বাঁয়ে টিএসসি দিয়ে সামনের দিকে গিয়ে অফিসার্স টাওয়ার বাঁয়ে রেখে শহীদ মিনারের দিকে যাবে। শহীদ মিনার ডানে রেখে এনেক্স ভবন বাঁয়ে রেখে দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনে দিয়ে চারুকলায় এসে শেষ হবে। শোভাযাত্রা চলাকালে শুধু নীলক্ষেত ও পলাশী থেকে ঢোকার পথ দুটি খোলা থাকবে। বাকি পথ ব্লক করে দেওয়া হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তিনটি গেট ছবির হাট, রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেট এবং বাংলা একাডেমির সামনের গেট বন্ধ থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।
অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরের শোভাযাত্রাটি হবে সর্ববৃহৎ, বর্ণাঢ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ। শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য ও বিভিন্ন জাতিসত্তার অংশগ্রহণ থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইসরায়েলের পণ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধের দাবি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলের পণ্য নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এমন দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের যে সব দোকানে বা মার্কেটে ইসরায়েলের পণ্য বিক্রি করা হবে সেগুলোকেও সম্মিলিতভাবে বয়কটের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জুমার নামাজের পর ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, আল কুদস কমিটিসহ একাধিক ইসলামি প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে ইসরায়েল বিরোধী কর্মসূচি শুরু করেন। তারা গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহকে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন মানবতার বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ। বিশ্ব সম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহ এখনো কার্যকর কোনো ভূমিকা নিতে পারেনি। বাংলাদেশের উচিত ইসরায়েলের পণ্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা এবং পররাষ্ট্রনীতিতে কঠোর বার্তা দেওয়া।
সংগঠনটির মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, নিশ্চয়ই, ইসরায়েল আজ যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তা শুধু ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে নয় বরং পুরো মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করা হোক। যারা গণহত্যা চালায়, তাদের সঙ্গে কোনো রকম বাণিজ্যিক বা কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা মানবতা বিরোধী।
সহসভাপতি মুফতি শওকত ওসমান বলেন, ফিলিস্তিনে প্রতিদিন শিশুরা বোমায় ছিন্নভিন্ন হচ্ছে। মায়েরা সন্তানের লাশ কাঁধে নিচ্ছেন— এই দৃশ্য আর কতদিন চুপচাপ দেখবো? মুসলমান হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে, এবার রাষ্ট্রকেও জেগে উঠতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারী বিক্ষোভকারীদের ফিলিস্তিনের পতাকা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আঁকা বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
এসময় তাদের,‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’, ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ফিলিস্তিনের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’, ‘গণহত্যা বন্ধ কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’, ‘বিশ্ব মুসলিম লড়াই কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মেঘনা আলমকে অপহরণের তথ্য সত্য নয়: ডিএমপি

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে। তবে তাকে অপহরণের অভিযোগটি সঠিক নয়। মেঘনা আলমের আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘলা আলমকে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়।
তালেবুর রহমান আরও জানান, মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয়। তার আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে ৩০ দিন কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।