বিনোদন
‘ভিডিওটা প্রধানমন্ত্রী দেখবে, তারপর তুমি আপলোড করবা’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন দেশের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় তরুণ সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। কখনো পরোক্ষভাবে আবার কখনো প্রত্যক্ষভাবেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছেন তিনি।
যে কারণে বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল এই গায়ককে। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাসরিফ জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে। এমনকি রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় কুড়েঘর ব্যান্ডের ড্রামার শান্তকে।
যেসব ঘটনার পরে নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তাসরিফ। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে সেই লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
‘কিছু নির্মম ইতিহাস টাইমলাইনে থাকুক’ শিরোনামে সেই পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘২৩ জুলাই রাত রাত ১টার কথা বলছি। একজন সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সার কল দিয়ে বললেন, ‘তাসরিফ, তোর বাসার নিচে নাম, চা খাইতে আসতেছি, গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আছে।’
৫ জুলাই থেকে ছাত্রদের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট করা, কবিতা লিখতে থাকা এবং ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ গানটা ফেসবুকে চলতে থাকায় সরকারি গুণ্ডা বাহিনীর থ্রেটে আমি তখন বাসার বাইরে অবস্থান করছিলাম। ওই সিনিয়র ইনফ্লুয়েন্সারের কথায় বিশ্বাস করে আমি তখন বাসার সামনে আসি উনার সঙ্গে দেখা করতে। গাড়ি থেকে ৬-৭ জনের মতো নেমে আসে। ইনফ্লুয়েন্সার সাহেব আমাকে একটু সাইডে নিয়ে আস্তে করে বুঝিয়ে বলেন, ‘সাথে যারা আছে তারা একটা এজেন্সির লোক এবং আইন প্রয়োগ সংস্থার বাহিনীর কয়েকজনও আছে এখানে।’
আমি তখন উনার কাছে জানতে চাই যে, উনারা কেন এসেছেন, কী চাচ্ছেন মূলত! উনি তখন বুঝায়ে বলেন, ‘সরকারি একটা কাজ আছে, এই সরকার আরও ৭-৮ বছর ক্ষমতায় থাকব। আমরা ঠিকমতো বাঁচতে চাইলে সরকারের পক্ষে কাজ করতে হইব, এর বাইরে কোনো রাস্তা নাই।’
এই কথা বলে উনি (ইনফ্লুয়েন্সার) আবার আমাকে গাড়ির কাছে নিয়ে যান। সেই ৬-৭ জনের মধ্য থেকে একজন আমাকে বলে, ‘তাসরিফ, তোমাকে আমরা চিনি। আমরা তোমাকে একটা স্ক্রিপ্ট দিতেছি, ছোট্ট একটা ভিডিও করতে হবে। এই ভিডিওটা আমাদের কালকের মধ্যে লাগবে। পরশু সরাসরি প্রধানমন্ত্রী এই ভিডিওটা দেখবেন এবং তারপর তুমি আপলোড করবা।’
সেই ইনফ্লুয়েন্সার তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমাকে বলেন, ‘দেখ তাসরিফ, পিএমের চোখে পড়ার এটাই সুবর্ণ সুযোগ, ভিডিওটা ভালো করে কর, সরকার যতদিন আছে সুবিধা পাবি।’ কথা শেষ করার আগেই উনি পকেট থেকে এক লাখ টাকার তিনটা বান্ডেল, মোট তিন লাখ টাকা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এইটা সামান্য ছোট একটা গিফট! টাকা যত চাস, তত দেওয়া হবে, ভিডিওটা সুন্দর কইরা কর।’
ঠিক এই সময় আমার ফোনে আমার ব্যান্ডের ড্রামার শান্তর নম্বর থেকে একটা কল আসে। ফোন রিসিভ করতেই শান্ত আমাকে কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘তাসরিফ! পাঁচ-ছয়জন পুলিশ এবং সিভিল ড্রেসের কয়েকজন মিলে আমাকে রোল দিয়া সারা শরীরে মারছে!’
শান্তর কথা শুনে আমার হাত-পা একরকম কাঁপতে থাকে। আমি বোঝার চেষ্টা করি, এই মাইর খাওয়াটা কি আমাকে এদিকে রাজি করানোর জন্য ভয় দেখানো? নাকি কেবলমাত্র একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা? শান্তর লাইন কেটে যায়।
আমি আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয় দেওয়া তাদেরকে বলি, ‘ভাই, এইমাত্র কয়েকজন মিলে আমার ভাই, আমার ব্যান্ডের ড্রামার শান্তকে প্রচুর মারছে!’ ওরা জাস্ট আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে, ‘আরেহ! দেশের যে অবস্থা, এটা এখন কিছু করা যাবে না। ওরে বলো বাসায় চলে যাইতে।’
আমার তখন মাথায় আসে, এখন যদি আমি ওদেরকে টাকা ফিরিয়ে দিই অথবা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানাই, তবে তারা আমাকে চাইলেই গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ভিডিও করে জোরপূর্বক আপলোড করাতে পারে। আমি তাই মাথা ঠাণ্ডা করে ওদেরকে বলি ঠিক আছে আমি দেখতেছি কী করতে পারি, কালকের মধ্যে জানাচ্ছি। ওরা আমাকে তখনও একরকম থ্রেট দিয়ে বলে, ‘ভাই জানাচ্ছির সুযোগ নাই! সিচুয়েশন তো বুঝেনই। ভিডিও কালকেই লাগবে।’ সাথে ওই ইনফ্লুয়েন্সারও আমাকে বলে, ‘তাসরিফ, ভিডিওটা তো পিএম দেখবে সো বুইঝা-শুইনা সুন্দর কইরা করিস।’
ওদের সাথে কথা শেষ করে আমি বাসায় ফেরত যাই। বাসায় সবাইকে সব সিচুয়েশন জানিয়ে আমি আমার ম্যানেজার আয়মান সাবিতকে ফোন দিয়ে বলি, ‘আয়মান, আমি বাসা ছেড়ে দিচ্ছি, এই এই ঘটনা ঘটছে। আমি তোকে নম্বর দিচ্ছি, তুই ওই এজেন্সিকে আমার বাসা থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে ওদেরকে দিয়ে দিবি কালকেই। আমি আপাতত বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছি, কারণ আমি বাসায় থাকলে ওরা আমাকে তুলে নিয়ে যাবে।’
ওই সময় আমার মনের অবস্থা আমি জানি। আমার বাসার অবস্থা, ডায়াবেটিসের রোগী আমার আম্মুর অবস্থা, আব্বুর টেনশন, গুম হয়ে যাওয়ার চিন্তা এবং দেশের সাথে বেইমানি করতে ওরা আমাকে বাধ্য করতে চাচ্ছে। সব কিছুই আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সাথে বারবার আমার কানে বাজছে শান্তর ওই কান্না ভরা আর্তনাদ।
কষ্টের ব্যাপার কী জানেন? এই ঘটনার ঘণ্টাখানেক আগে শান্ত আমাকে ফোন দিয়ে বলছিল, ‘খান, আমার বাসায় আম্মা নাই। এদিকে কারফিউ চলছে, দুপুরের খাওয়া হয় নাই, একটা দোকানও খোলা নাই আমার প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগছে, কী করব?’ আমি শান্তকে বলছিলাম, ‘এক বড় ভাই ফোন দিয়েছে, আমার বাসার সামনে যাওয়া লাগছে, তো তুমি আমার বাসায় চইলা আসো, দুই ভাই একসাথে খাব।’
ছেলেটা চেয়েছিল আমার বাসায় এসে ভাত খাইতে অথচ তাকে রাস্তায় বেধড়কভাবে মাইর খাইতে হইল। মার খাওয়ার পরে ফোনকলে ও আমাকে এটাও বলছিল যে, ‘খান! সবাই আমারে একসাথে রোল দিয়ে মারতেছিল আর একজন বন্দুক তাক করে চিল্লায়ে বলছিল, চুপচাপ মাইর খা অমুকের পোলা নাইলে গুলি কইরা মাইরা ফালামু, লাশ খুঁজে পাইব না তোর পরিবার!’
শান্ত এই কথাটা বলতে বলতে কাঁদতেছিল যে, ‘আমাকে ছাত্র বইলা বইলা ওরা মারছে আর বারবার বলতেছিল যে এই অমুকের পোলা ছাত্র! ওরে মার!’ ওই রাতে আমি বাসা থেকে পালিয়ে যাই।
আমি জানি কয়েকটা পোস্ট, কবিতা লেখা আর ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’-এর মতো কিছু গান করা ছাড়া দেশের জন্য তেমন কিছুই করতে পারি নাই। আমি জানি, আমি আবু সাঈদের মতো পথে গিয়ে বুক পেতে দিতে পারি নাই। হয়তোবা এতটুকু সাহস আমার তখন হয় নাই। তবে, আল্লাহ জানেন আর আমি জানি, আমি টাকার কাছে বিক্রি হয় নাই আর দেশের সাথে বেইমানি করি নাই।
এই পোস্ট, পোস্টে শান্তর ছবিগুলো এবং ওদের নির্মমতার কথাগুলো আমি লিখে পোস্ট করছি এই কারণে, যেন ভবিষ্যতে কখনও এই স্বৈরাচারের প্রতি আমার ঘৃণা এতটুকু পরিমাণও কমে না যায়।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বিনোদন
ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন আর নেই

বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন আর নেই। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এক সপ্তাহ ধরে তিনি এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। সন্জীদা খাতুনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাঁর পুত্রবধূ ও ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা।
দীর্ঘদিন ধরে সন্জীদা খাতুন ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া এবং কিডনির রোগে ভুগছিলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এর আগেও একই অসুস্থতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানান লাইসা আহমদ লিসা।
ছায়ানট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়াত সন্জীদা খাতুনের প্রতি সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবদেন আগামীকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সন্জীদা খাতুনের বিপুল কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবন সামগ্রিকভাবে বাঙালির মানস ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে।
সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। তাঁর বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তাঁর কর্মজীবন শুরু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন তিনি।
সন্জীদা খাতুন জীবনের শুরু থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন প্রতিবাদী ভূমিকায়। দেশের যে কোনো সংকটে সোচ্চার ছিলেন এই বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। যখন তিনি কলেজের শিক্ষার্থী, তখন থেকেই পড়াশোনা, আবৃত্তি ও অভিনয়ের পাশাপাশি গানের চর্চা করেছেন। পাশাপাশি কিছু সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত হয়েছেন।
শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে সন্জীদা খাতুন ব্রতচারী আন্দোলনে যোগ দেন। তাঁর প্রথম গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন। তাঁর কাছে তিনি শিখেছিলেন নজরুলসংগীত, আধুনিক বাংলা গান ও পল্লিগীতি। পরে রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে। পরে আরও অনেকের কাছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনসহ কয়েকজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই সন্জীদা খাতুন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
ছেলের বীরের জন্মদিনে যে দোয়া করলেন শাকিব খান

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শবনম বুবলীর ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিন আজ (২১ মার্চ)। চার পেরিয়ে পাঁচ বছরে পা রেখেছে সে। ছেলের জন্মদিনে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তার সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন বাবা শাকিব খান। পাশাপাশি তার ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করেছেন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ফেসবুকে বীরের পুরনো একটি ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানান শাকিব খান। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন আমার ছোট্ট রাজকুমার। বড় হয়ে একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ হও। মহান আল্লাহর কাছে সবসময় প্রার্থনা করি, পৃথিবীর সব সুখ আর সফলতাকে যেন তুমি স্পর্শ করতে পারো তোমার জীবনে। মনে রেখো, যখনই তোমার আমাকে প্রয়োজন হবে, আমি সবসময় তোমার পাশে আছি, ভালোবাসি!’
শাকিব খানের হাত ধরে ২০১৬ সালে ঢাকাই সিনেমায় পা রাখেন অভিনেত্রী শবনম বুবলী। পরে শাকিবের জুটি হয়ে কাজ করেছেন ‘শুট্যার’, ‘রংবাজ’, ‘অহংকার’, ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’, ‘সুপার হিরো’, ‘ক্যাপ্টেন খান’, ‘পাসওয়ার্ড’সহ টানা ১২টি সিনেমায়।
২০১৯ সালে ‘বীর’ সিনেমার শুটিং শুরু করেন শাকিব খান-বুবলী। ওই সময়ই ছড়িয়ে পড়ে বুবলী অন্তঃসত্ত্বা। তার গর্ভে শাকিব খানের সন্তান। যদিও কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শেষ হয় ‘বীর’ছবির শুটিং। এরপরই আড়ালে চলে যান বুবলী।
সন্তান জন্মেরও বেশ কিছুদিন পর ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জানানো হয়, গোপনে বিয়ে করেছিলেন বুবলী ও শাকিব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
হাসপাতালে ভর্তি এ আর রহমান

অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুকে ব্যথা দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ (১৬ মার্চ) ভোরে তাকে চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছে।
জানা গেছে, এ আর রহমানকে চেন্নাইয়ের গ্রিমস রোডের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকদের একটি দল। সংগীত পরিচালকের অ্যাঞ্জিয়োগ্রাফিও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে রহমানকে।
একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা নিয়ে বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন রহমান। তারপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে যান তিনি।
গত বছর হঠাৎ প্রকাশ্যে এসেছিল রহমান ও তার স্ত্রী সায়রা বানুর বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা। টানা ২৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানার এই ঘটনা অনুরাগীরাই মেনে নিতে পারেননি সহজে। দম্পতির আইনজীবীও জানিয়েছিলেন, তারা বুকে পাথর রেখেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
যখন কাউকে প্রয়োজন হবে, তখনই আপনি একা: পরীমণি

ব্যক্তিজীবন নিয়ে বারবার আলোচনা-সমালোচনায় এসেছেন ঢাকাই চিত্রনায়িকা পরীমণি। নায়ক শরীফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই সন্তানকে নিয়ে সিংগেল মাদারের দায়িত্ব পালন করছেন নায়িকা। মাতৃত্ব যে এখন তার গুরুদায়িত্ব, তা বলার বাকি রাখে না।
এরই মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে নিজের একাকীত্ব ও দায়িত্ব নিয়ে আবেগঘন কথা ভাগ করে নিলেন পরীমণি। ফেসবুকে দেওয়া সেই পোস্টে পাওয়া গেল পরীমণির অসুস্থতারও ইঙ্গিত! বোঝাতে চাইলেন, এমন মুহূর্তে অন্তত কাউকে পাশে রাখার প্রয়োজন পড়ে!
পরী সেই পোস্টে লেখেন,‘এই একজীবন যে কত অভিজ্ঞতার! একা একজন হয়ে ১০০ জনের কাজ বা দায়িত্ব সামলানো কি যে নিদারুণ সুন্দর! আপনি ভাববেন, এই তো কত মানুষ আছে আপনার কাছে, আপনি যেমন থাকেন সবার হয়ে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, শুধু একবার অসুস্থ বা কোনো কারণে কাউকে ভিষণ প্রয়োজন হয়ে উঠুক আপনার, ঠিক তখনই দেখবেন আপনি একা, একদম ই একা।’
পরীমণি লেখেন, ‘প্রত্যেকটা মানুষের এই জীবনে এই সময়টা আসা দরকার। যত তাড়াতাড়ি আসবে আর আপনার এমন উপলব্ধি যত তাড়াতাড়ি হবে ততই ভালো। আপনার ভালো সময় উদযাপন বা উপভোগের লোকের যেমন অভাব পরে না, ঠিক তেমনি আপনার নিজের দরকারে আপনি আপনার একাই সব- এটা বুঝে যাওয়া জীবনের সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার।’
পরীমণি আরও লেখেন, ‘এখানে একটা বার আপনি উতরে গেলেন, তো কে ঠেকায় আপনাকে আর?’
অভিনয়ের পাশাপাশি এখন নিজের ব্যাবসাতেও মন দিয়েছেন পরীমণি। মূলত মা ও বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় সব পণ্য নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। সঙ্গে ফেসবুকে চালাচ্ছেন নিয়মিত প্রচারণাও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন

তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শাহবাজের মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।
তিনি লিখেন, অভিনেতা শাহবাজ সানী আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন। সবাই সানীর জন্য দোয়া করবেন।
জানা গেছে, ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাত সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান তিনি।
তরুণ এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের ‘কাছে আশার পর’ নাটক দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন শাহবাজ সানী।
অল্প সময়েই অভিনয় গুণে দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং সেইসাথে অর্জন করেছেন নির্মাতাদের আস্থাও। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করলেও এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে ‘আব্দুল্লাহ’ নাটকে তাকে প্রথমবার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এটি পরিচালনা করেন গোলাম কিবরিয়া ফারুকী।