জাতীয়
শপথ নিলেন আরও চার উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরো চার উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
নতুন উপদেষ্টারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জনে।
এর আগে তিন দফায় শপথ গ্রহণ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।
পরদিন শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর বিলুপ্ত করা হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ছাত্র আন্দোলনে ৬৫০ জন মারা গেছেন: জাতিসংঘ
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ৬৫০ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
১০ পাতার প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মারা গেছে ৪০০ জন। আর ৫ থেকে ৬ আগস্টে মারা গেছে ২৫০ জন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও আন্দোলনকারীদের মুভমেন্টকে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে।
এতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে আছে বিক্ষোভকারী, পথচারী, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যও।
১০ পাতার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুতর এবং বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, বিগত সরকার শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলনকারীদের দমন করার চেষ্টা করে গেছে। জাতিসংঘ বলছে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নির্বিচারে বল প্রয়োগে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সার্বিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। যেখানে মোট ২১টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আছে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও ফৌজাদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অভিযোগের সমাধানের জন্য উন্মুক্ত সংলাপের ব্যবস্থা করা। যার অন্যতম লক্ষ্য হবে বাংলাদেশের সকল মানুষের স্বার্থে কাজ করা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৮ দিনের রিমান্ডে বরখাস্ত সেনাসদস্য জিয়াউল আহসান
রাজধানীর নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় গ্রেফতার সদ্য বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) নেয়া হয়।
পরে জিয়াউল আহসানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে খিলক্ষেত এলাকা থেকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক এই মহাপরিচালককে গ্রেফতার করা হয় বলে জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গত ৬ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে জানিয়েছিল।
তার বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করার সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিরোধী নেতারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘ
প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বলেন, সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেখামাত্র গুলির নির্দেশের জেরে বাংলাদেশে যে নৃশংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্তে আগামী সপ্তাহে দেশটিতে যাবে জাতিসংঘের একটি দল। এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মত কী?
জবাবে ফারহান হক বলেন, এই দলটির কাজ কী, তা তাদের দেখতে হবে। এই পর্যায়ে দলটি সম্পর্কে তার কোনো মন্তব্য নেই।
পরে অবশ্য ফারহান হক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও উত্তরণ নিয়ে জাতিসংঘ থেকে কী সমর্থন দেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে জবাবদিহির প্রসঙ্গও আছে।
ফারহান হক বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের জন্য সহায়তার ক্ষেত্র ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের একটি দল ঢাকা সফর করবে। মানবাধিকার সুরক্ষাকে শক্তিশালী করে- এমন একটি সফল উত্তরণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সমর্থনের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
একই সাংবাদিক আরেক প্রশ্নে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতিসংঘ একজন অংশীদার হিসেবে দেখে থাকে। এই বিবেচনায় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করার জন্য দেশটির সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব আরও সম্পৃক্ত হবেন কি না? অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশ ভারত বসে অপতথ্য ছড়াচ্ছেন, মিথ্যাচার করছেন, সহিংসতার উসকানি দিচ্ছেন।
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে আপনি যা বলেছেন, আমি অবশ্যই নিশ্চিত করতে পারি যে আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গ্রাম পুলিশের চাকরি জাতীয়করণের যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরও চার উপদেষ্টার শপথ উপলক্ষে বঙ্গভবনে যখন অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে, ঠিক তখন বৈষম্যের বিরুদ্ধে, চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বিক্ষোভ করছে গ্রাম পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গভবন ও রাজউকের সামনের অংশে জড়ো হয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
আন্দোলনরতদের এ অবস্থা দেখে বঙ্গভবনে প্রবেশের আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি গ্রাম পুলিশের সামনে এসে তাদের দাবি দেওয়ার সব কাগজপত্র নেন। এ সময় গ্রাম পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের উদ্দেশে বলেন, আমি আপনাদের বক্তব্য শুনলাম, আপনাদের লিখিত বক্তব্যগুলো নিয়ে গেলাম। রোববার অফিসের প্রথম দিকেই আপনাদের বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবো। প্রয়োজনে আপনারাও আসতে পারেন। সংশ্লিষ্ট সচিবসহ সবাইকে নিয়ে বসে আমরা আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। সম্ভব হলে সবটুকু বাস্তবায়ন করবো। আমি বলছি না, বসার পর দিনেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এতটুকু বলতে পারি, আপনাদের সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করবো। সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করবো। আপনারা এখন রাস্তা ছেড়ে চলে যান।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে সড়ক ছেড়ে চলে যান গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাসাভাড়ার ১৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেননি বিচারপতি মানিক
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থাকাকালে বসবাস করা সরকারি বাড়ির ভাড়াও পরিশোধ করেননি আলোচিত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। জানা গেছে, রাজধানীর গুলশানে ৩৫ নম্বর সড়কে একটি সরকারি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিচারপতি মানিক। ২০১২ সালের নভেম্বরে ওই বাসায় ওঠেন তিনি। অবসরের পর যেটি ২০১৬ সালের এপ্রিলে ছাড়ার কথা ছিল।
তবে বাড়িটিতে আরও দুই বছর থাকবেন বলে জানিয়ে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরকে চিঠি দেন তিনি, তবে আবাসন পরিদপ্তর তাকে ছয় মাস থাকার অনুমতি দেয়। তবুও এক বছরের বেশি সময় ওই বাড়িটি দখলে রেখেছিলেন তিনি।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাড়িটি ছাড়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলে অবশেষে ২০১৭ সালের মে মাসে বাড়িটি ছাড়েন তিনি। তবে ওই বাড়িটি ছাড়লেও বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানির বিল বাবদ সরকারের পাওনা ১৪ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা তিনি এখনও পরিশোধ করেননি বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
ওই আবাসন পরিদপ্তরের চিঠির জবাবে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতিরা ১২ মাস বিনা ভাড়ায় সরকারি বাসায় বসবাস করতে পারেন। তবে পরিদপ্তর থেকে জানানো হয়, বিচারপতিরা অবসরে যাওয়ার পর এক বছর বিনা ভাড়ায় থাকতে পারার সরকারি কোনো আদেশ, নির্দেশ বা পরিপত্র নেই।
এ বিষয়ে শামসুদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি কল কেটে দেন।
এমআই