গণমাধ্যম
এবার ‘ঠিকানা’য় সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন
জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের দায়িত্ব ছাড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’তে যোগ দিয়েছেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কাজে যোগ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন।
চলতি বছরের ২৬ জুলাই ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ এর শেষ টকশো’র মাধ্যমে ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের দায়িত্ব ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন।
দীর্ঘ সময় ধরে খালেদ মুহিউদ্দীন গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোতে। পরে তিনি বিডিনিউজ২৪, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
সাংবাদিকতা দিয়ে পেশা শুরু হলেও খালেদ মুহিউদ্দীন এক সময় যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারে। তবে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি আবার ফিরে আসেন সাংবাদিকতায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
পিআইবি ডিজি জাফর ওয়াজেদের পদত্যাগ
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জাফর ওয়াজেদ। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) জাফর ওয়াজেদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র দেন।
চলতি বছরের ৭ মে টানা চতুর্থবারের মতো দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ। এর আগে ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল পিআইবির মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন তিনি।
এরপর আরো দুইবার পিআইবি-এর মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান জাফর ওয়াজেদ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের প্রশংসায় প্রধান বিচারপতি
গণজাগরণের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, সে গণজাগরণে সাংবাদিকদের ‘অংশীজন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের দেওয়া ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে এ মন্তব্য করেন বিচার বিভাগের প্রধান।
এর আগে প্রধান বিচারপতিকে তার নিজ দপ্তরে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সুপ্রিম কোর্ট বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)’র নেতৃবৃন্দ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, গণজাগরণের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, সে গণজাগরণে দেশের সাংবাদিকরাও অংশীজন। সাংবাদিক সম্প্রদায়ের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করার মত না। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকদের মাধ্যমেই আমরা খবরা-খবর জেনে থাকি। ফলে পেশাদারত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ মানের সাংবাদিকতা আমরা প্রত্যাশা করি। সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গনের সাংবাদিকদের কাছে সে প্রত্যাশা আরও বেশি।
সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনের নিয়মিত সাংবাদিকদের পেশাগত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তাঁদের শুভকামনা জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
ড. ইউনূসের প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন শফিকুল আলম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবীদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সেক্রেটারি হচ্ছেন বার্তাসংস্থা এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।
সোমবার (১২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি নিজে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি জানান, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আমাকে অন্তর্বর্তী সরকারে তার প্রেস সচিব হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। আমি তাকে এবং জাতির সেবার এ সুযোগ পেয়ে গর্বিত। আমি এখনো নিয়োগপত্র পাইনি। আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যে পেয়ে যাব।
শফিকুল আলম জানান, ২০ বছর ধরে কাজ করে যাওয়া বার্তাসংস্থা এএফপিও চায় আমি তাদের সাথে থাকি। তারা একটি বড় পরিবার. তারা আমাকে এত বছর ধরে সমর্থন করেছে যেমন একজন বাবা তার সন্তানকে সমর্থন করেন। তবে আমি নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। আমি আপনার দোয়া চাই!!
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
অভিযুক্ত সাংবাদিকদের তালিকা দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
দেশের ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরানোর ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি করে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বরাবর আবেদন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের স্বাক্ষরিত এ আবেদনপত্রটি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের হাতে তুলে দেন।
আবেদনপত্রে সমন্বয়করা বলেন, প্রেসক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রেসক্লাব বরাবরই জাতির দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এ প্রতিষ্ঠানটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে এর ভাবমূর্তি ধবংস করে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন (যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের শুধু দালালই নয় পার্লামেন্ট মেম্বার), সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রতিনিয়ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে মদদ দিয়ে এবং টকশোতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদের রক্ত ঝরানোর মতো মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত ছিল।
এছাড়াও ছাত্রদের রক্ত ঝরানোর মতো অমানবিক কাজে জড়িত ছিলেন প্রেসক্লাবের সদস্য প্রভাষ আমিন, জায়েদুল আহসান পিন্টু (ছাত্রদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মিথ্যাচার করেছে), মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রুপা, আরিফ জেপ্তিক, অশোক চৌধুরী, শাহজান সরদার, সুভাষ সিংহ রায়, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মঞ্জুরুল ইসলাম (ডিবিসি), প্রণবসাহা (ডিবিসি), নঈম নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), খায়রুল আলম (ভারতীয় গোয়ান্দা সংস্থার এজেন্ট ও ডিইউজে নেতা), সাইফুল আলম (যুগান্তর), আবেদ খান, সুভাষ চন্দ্র বাদল, জ,ই মামুন, জাফর ওয়াজেদ (পিআইবি), শাহনাজ সিদ্দিকী (বিএসএস), সাইফুল ইসলাম কল্লোল (বিএসএস), পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ বোরহান কবির, শাবান মাহমুদ, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মোল্লা আমজাদ, শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মামুন আবদুল্লাহ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), সোমা ইসলাম (চ্যানেল আই), শ্যামল সরকার (ইত্তেফাক), অজয় দাশ ( সমকাল), আলমগীর হোসেন (সমকাল), শাকিল আহমেদ (৭১ টিভি), রামা প্রসাদ (সমকাল), সঞ্জয় সাহা পিয়াল (সমকাল), ফরাজী আজমল (ইত্তেফাক), আনিসুর রহমান (বিএসএস), স্বপন বসু (বিএসএস), হাসান জাবেদ (এনটিভি), মিথিলা ফারজানা (৭১ টিভি), শবনম আজিম (৭১ টিভি), এনামুল হক চৌধুরী, দিপক কুমার আচার্য, নাঈমুল ইসলাম খান।
আবেদনপত্রে আরো বলা হয়, আমরা মনে করি সাংবাদিকতার আড়ালে এদের কর্মকাণ্ড ছিল জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্র বিরোধী। ছাত্ররা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। এসব জাতীয় দুশমনরা প্রেসক্লাবের বা সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে আর যাতে জাতির ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য তাদের বহিষ্কার ও সাংবাদিকদের অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার নিবেদন জানাচ্ছি।
ইতোমধ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সময় টিভির এমডি আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি
সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার গুলশানের সিটি হাউসে সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, একই সভায় পরিচালক শম্পা রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন থেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে প্রতিষ্ঠানটি।