জাতীয়
সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান গ্রেপ্তার
অব্যাহতি পাওয়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) নিউ মার্কেট থানায় হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিউ মার্কেট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
এর আগে গত ৬ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে জানিয়েছিল।
এছাড়া গত ১৩ আগস্ট সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায় গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। একই সঙ্গে সংগঠনটি জিয়াউল আহসানসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলেও জানিয়েছিল। আর গত ৬ আগস্ট তার খোঁজে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তল্লাশি করা হয়। তবে ফ্লাইটে তল্লাশি করে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর এই সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিরোধী নেতারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাসাভাড়ার ১৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেননি বিচারপতি মানিক
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থাকাকালে বসবাস করা সরকারি বাড়ির ভাড়াও পরিশোধ করেননি আলোচিত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। জানা গেছে, রাজধানীর গুলশানে ৩৫ নম্বর সড়কে একটি সরকারি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিচারপতি মানিক। ২০১২ সালের নভেম্বরে ওই বাসায় ওঠেন তিনি। অবসরের পর যেটি ২০১৬ সালের এপ্রিলে ছাড়ার কথা ছিল।
তবে বাড়িটিতে আরও দুই বছর থাকবেন বলে জানিয়ে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরকে চিঠি দেন তিনি, তবে আবাসন পরিদপ্তর তাকে ছয় মাস থাকার অনুমতি দেয়। তবুও এক বছরের বেশি সময় ওই বাড়িটি দখলে রেখেছিলেন তিনি।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাড়িটি ছাড়ার জন্য বারবার তাগাদা দিলে অবশেষে ২০১৭ সালের মে মাসে বাড়িটি ছাড়েন তিনি। তবে ওই বাড়িটি ছাড়লেও বাড়িভাড়া, গ্যাস ও পানির বিল বাবদ সরকারের পাওনা ১৪ লাখ ১৯ হাজার ২০০ টাকা তিনি এখনও পরিশোধ করেননি বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
ওই আবাসন পরিদপ্তরের চিঠির জবাবে শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেছিলেন, অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতিরা ১২ মাস বিনা ভাড়ায় সরকারি বাসায় বসবাস করতে পারেন। তবে পরিদপ্তর থেকে জানানো হয়, বিচারপতিরা অবসরে যাওয়ার পর এক বছর বিনা ভাড়ায় থাকতে পারার সরকারি কোনো আদেশ, নির্দেশ বা পরিপত্র নেই।
এ বিষয়ে শামসুদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি কল কেটে দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মানুষকে বিবস্ত্র করা, গায়ে হাত তোলা মানবাধিকার লঙ্ঘন: সারজিস
গতকাল ১৫ আগস্টে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে বিবস্ত্র করা থেকে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন৷
সারজিস বলেছেন, ধানমন্ডি ৩২-সহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এমন অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, যেগুলো আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না৷ এগুলো কোনোভাবেই আইনসংগত নয়৷
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস আলম৷ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো কর্তৃপক্ষ নয়, বরং একটি প্রেসার গ্রুপ৷
সারজিস আলম বলেন, ভাইরাল ভিডিওতে দেখেছি যে আমার বাবার বয়সী একজনকে কান ধরে ওঠবস করানো হচ্ছে, আমার বাবার বয়সী একজনকে বিবস্ত্র করা হয়েছে ও লোকজন যাচ্ছেতাই বলেছে, অসংখ্য মানুষের ফোন চেক করা হচ্ছে, আমার মায়ের বয়সী একজনের গায়ে হাত তোলা হয়েছে এবং সাংবাদিক ভাইবোনদের ওপর হামলার বিভিন্ন ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি৷ এমন অসংখ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে৷ গত ১৬ বছরের নির্যাতন-নিপীড়ন, কথা বলার অধিকার হরণ, দুর্নীতি-নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে—এগুলোর বিরুদ্ধেই ছিল আমাদের অভ্যুত্থান।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চেয়েছি, যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে, মতপ্রকাশ করতে পারবে, যে যে ধারায় বিশ্বাসী, সে অনুযায়ী কাজ করতে পারবে- এই স্বাধীনতাগুলো থাকবে৷ গতকাল আমরা এমন বেশ কিছু চিত্র দেখেছি, যে জায়গাগুলোতে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল৷ আমরা জানি না, ওই শিক্ষার্থীরা কোন মতাদর্শ ধারণ করে, তাদের ডিফাইনও করতে পারব না৷
গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের সবাই একসঙ্গে বসে আলোচনা করেছেন উল্লেখ করে সারজিস বলেন, আমরা স্পষ্ট বলছি, আমরা খুঁজছি যে এসব ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়ক যুক্ত আছেন কি না৷ আমাদের প্রথম সিদ্ধান্ত, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পুরো বাংলাদেশে এসব ঘটনার সঙ্গে একজন সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়কের যুক্ততা পাওয়া গেলে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টিম থেকে বহিষ্কার করব৷ মানুষকে বিবস্ত্র করা থেকে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনাগুলো যারা ঘটিয়েছে, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে৷ এগুলো কোনোভাবেই আইনসংগত নয়৷ আমাদের দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যা করা প্রয়োজন, একটি প্রেসার গ্রুপ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সেই কাজটি করবে৷ আমাদের যে দুজন ছাত্র-প্রতিনিধি অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তাঁদের মাধ্যমে যেভাবে বিচার নিশ্চিত করা যায়, আমরা সেই কাজটি করব৷
সারজিস আলম বলেন, আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট বার্তা, ১৫ আগস্টে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কেউ ফুল দিয়ে তাঁর শোক পালন করতে চায়, আমরা আমাদের জায়গা থেকে তাঁকে বাধা দিতে পারি না৷ স্বাধীন বাংলাদেশে যখন যে ক্ষমতায় এসেছে; তখন শুধু তার সুপ্রিম মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে, বাকিদের শ্রদ্ধা জানানো দূরের কথা, উল্টো ছোট করা হয়েছে৷ যাঁর যতটুকু সম্মান প্রাপ্য, ইতিহাসে যে জায়গাটুকু তাঁরা ধারণ করেন, তা তাঁদের দেওয়া হয়নি৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে কথা বললে যে মানুষগুলোর অবদান একদম অনস্বীকার্য, তাঁদের প্রত্যেককে তাঁদের অবদানের জন্য স্মরণ করতে হবে৷ কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছোট করা যাবে না৷ শেখ মুজিবুর রহমানের যতটুকু সম্মান প্রাপ্য, তা তাঁকে দিতে হবে; একইভাবে জিয়াউর রহমানের যে সম্মান প্রাপ্য, তাঁকে তা দিতে হবে৷ এত বড় একটি গণ-অভ্যুত্থানের পরে দাঁড়িয়েও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য যখন নেতিবাচক কাজগুলো করা হয়, আমরা আমাদের জায়গা থেকে এগুলো কখনোই সমর্থন করি না৷ আমাদের মধ্যে যদি কেউ এ কাজগুলো করে থাকে, তাঁদের বয়কট করা হোক৷
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস বলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ধানমন্ডি ৩২-এ গিয়েছিলেন৷ তাঁর গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর হয়েছে৷ কেন? তিনি যদি ওই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন, তিনি সেখানে ফুল নিয়ে যেতে পারেন, আমরা বাধা দিতে পারি না৷ বরং আমরা যদি মনে করি, তিনি যে রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন, যে ব্যক্তিকে তিনি অনুসরণ করেন, তিনি অনুসরণযোগ্য নন, আমরা তাঁকে বয়কট করতে পারি৷ কিন্তু তাঁর গাড়িতে হামলা করা বা গায়ে হাত তোলার অথোরিটি আমাদের কেউ দেয় না৷ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমরা সব জায়গায় বলেছি, যেটি ন্যায্য ও ন্যায়সংগত, সেটিই যেন বাস্তবায়ন হয়৷
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অশোভন আচরণ করা সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: আইএসপিআর
কিছু সেনা সদস্যের অশোভন আচরণের বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং দোষী প্রমাণ হলে ওই সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটি জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) আইএসপিআর জানায়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাসদস্য কর্তৃক কতিপয় ব্যক্তির সাথে অশোভন আচরণের কয়েকটি ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণরূপে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনোই সমর্থন করে না।
ইতোমধ্যে দোষী সেনাসদস্যদের শনাক্ত করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে প্রাপ্ত দোষী সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় আইএসপিআর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়াদের তালিকা করছে মন্ত্রণালয়
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে সরকারি চাকরি নেওয়াদের ধরতে পদক্ষেপ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে এ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য চেয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের সময় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদ দিয়ে অনেকে চাকরি নিয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সচিব ও সিনিয়র সচিবদের কাছে এ তথ্য চেয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে মন্ত্রণালয়গুলোকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ করা জনবলের তথ্য পাঠাতে একটি ছক করে দেওয়া হয়েছে। ছক অনুযায়ী প্রার্থীর নাম, নিয়োগপ্রাপ্ত পদ ও শ্রেণি; বাবার নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, যার মুক্তিযোদ্ধা সনদ/গেজেটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন (পিতা-মাতা-পিতামহ-মতামহ) তার নাম ও ঠিকানা; মুক্তিযোদ্ধার নাম, পিতা-মাতা-পিতামহ-মাতামহের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট নম্বর এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার তারিখ জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট জনরোষে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক)।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টার শপথ বিকেলে
শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আকার আরও বাড়ছে। নতুন করে যুক্ত হচ্ছেন আরও পাঁচজন। তাদের মধ্যে চার উপদেষ্টার নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম ও মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
তারা আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে তিন দফায় শপথ গ্রহণ করেন ১৭ উপদেষ্টা। এর মধ্যে ৮ আগস্ট শপথ নেন প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা সেদিন শপথ নেননি।
পরে ১১ আগস্ট দুপুরে বঙ্গভবনে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের আরও দুই উপদেষ্টা, সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায়। সবশেষ গত মঙ্গলবার শপথ নেন ফারুক ই আজম।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপরই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন (৬ আগস্ট) ভেঙে দেয়া হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। এরপর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পরে ৯ আগস্ট শপথ নেয়া প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্য উপদেষ্টাদের দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এমআই