জাতীয়
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা

সম্প্রতি উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতির কারণে কোনো কোনো ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র, সিটি কর্পোরেশন মেয়র, কাউন্সিলর তাদের কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে জনগণের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা প্রাপ্তি বিঘ্নিত হচ্ছে এবং জনস্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ইস্যুতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বুধবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল, সকল বিভাগীয় কমিশনার, সকল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সকল জেলা প্রশাসক ও সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র/কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর/কর্মকর্তারা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের নিবন্ধক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতির কারণে কোনো কোনো ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র, সিটি কর্পোরেশন মেয়র, কাউন্সিলর তাদের কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন।
ফলে জনগণের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা প্রাপ্তি বিঘ্নিত হচ্ছে এবং জনস্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত সকল সেবা দ্রুততার সঙ্গে দেওয়ার লক্ষ্যে নিচের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো:
ক) ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে
অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পরিবর্তে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্ব বিবেচনায় উপজেলা পর্যায়ের প্রয়োজনীয় সংখ্যক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান করবেন এবং এসব কর্মকর্তাদের নিবন্ধকের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করবেন। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কর্মকর্তারা নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) পৌরসভার ক্ষেত্রে
অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পৌরসভাগুলোর মেয়রদের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট জেলার উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) স্ব বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান করবেন এবং এসব কর্মকর্তাদের নিবন্ধকের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করবেন। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কর্মকর্তারা নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করবেন।
গ) সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে
অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত মেয়র ও কাউন্সিলরের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট জেলার উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) স্ব বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব প্রদান করবেন এবং এসব কর্মকর্তাদের নিবন্ধকের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রদান করবেন। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উক্ত কর্মকর্তারা নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করবেন।

জাতীয়
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আটকে পড়া ১৫৮ বাংলাদেশি

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় আটকেপড়া ১৫৮ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় ত্রিপলীর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটকেপড়া ১৫৮ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ত্রিপলীর মেতিগা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বুরাক এয়ারের বিশেষ ফ্লাইটে (নম্বর: UZ222) ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তারা।
জাতীয়
তেহরানে ঝুঁকিতে বাংলাদেশ দূতাবাস

ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন।
সোমবার (১৬ জুন) তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, তেহরানে বাংলাদেশ মিশন ভবনের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইরানের একটি পরমাণু কেন্দ্রসহ কমপক্ষে দুটি সংবেদনশীল স্থাপনা রয়েছে। সেগুলোতে হামলার ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে বাংলাদেশ মিশন, আশপাশে বসবাসরত কূটনীতিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের জীবন ও সম্পদ ঝুঁকিতে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সম্ভাব্য হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটানো ওই সব কূটনীতিক ও স্টাফদের পরিবারকে শহরের ৩০-৪০ কিলোমিটার বাইরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি হটলাইন চালু করেছে তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য ইমার্জেন্সি হটলাইন চালু করা হয়েছে। ইরানে বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিকদের +৯৮৯৯০৮৫৭৭৩৬৮ এবং +৯৮৯১২২০৬৫৭৪৫ (হোয়াটসঅ্যাপসহ) নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
জাতীয়
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠক আজ

দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু হচ্ছে আজ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ বৈঠক শুরু হবে। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
প্রথম ধাপের অসমাপ্ত আলোচনা এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর ঐকমত্য গঠনে এই বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—এতে সংবিধানে ৭০ অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, নারী প্রতিনিধিত্বসহ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং প্রধান বিচারপতির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে দ্বিমত রয়েছে সেসব বিষয়ে ঐক্যমত্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। ১৭, ১৮ ও ১৯ জুন পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলবে বৈঠক।
আলোচনা অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন-নিউজ (বিটিভি-নিউজ) সরাসরি সম্প্রচার করবে।
প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হলেও মৌলিক সংস্কারের কিছু প্রস্তাব নিয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি। সেসব প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ২ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরের দিন বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তিনটি বিষয়ে (সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন ও নারী প্রতিনিধিত্ব) আলোচনার পর ওই দিন অধিবেশন মুলতবি করা হয়। সেই মুলতবি বৈঠকই আবার শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গণআন্দোলনে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনগুলো ২০২৫ সালে ফেব্রুয়ারিতে তাদের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করে।
পরে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে।
জাতীয়
গত ৩ নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের বের করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ-এ এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গিয়েছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।
জাতীয়
জুলাই সনদ ও গণহত্যার বিচার চেয়ে ঢাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের সংবাদ সম্মেলন
