জাতীয়
দশ দিনের রিমান্ডে সালমান ও আনিসুল হক
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের দিকে প্রিজনভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাদের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথমে তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর সদরঘাট থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর রাতেই তাদের ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ঢাকার নিউমার্কেট থানায় করা একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। একজন ছাত্র এবং একজন হকার। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব হত্যার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর মূলত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আসাদুজ্জামান নূর গ্রেপ্তার
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে তাকে গ্ৰেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিএমপি মিডিয়া উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, তিনি মিরপুর থানার একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী গ্রেপ্তার
সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আইনানুযায়ী তার রিমান্ড চেয়ে আগামীকাল আদালতের পাঠানো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রাম বন্দরে হেভি কার্গো জেটির নির্মাণকাজ শেষ চলতি বছরেই
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে চট্টগ্রাম বন্দরে হেভি কার্গো জেটি নির্মাণকাজ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে পরিকল্পনা কমিশনকে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের জন্য ডেডিকেটেড কোনো জেটি ও সুবিধাদি নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে ভারী কার্গো ল্যান্ডিং ও হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিদ্যমান এনসিটি বার্থ নং-৫ ব্যবহার করা হচ্ছে, জেটির লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি প্রতি বর্গমিটারে ৩ টন। প্রতি বর্গমিটারে ৫ টন লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি সম্পন্ন একটি হেভি লিফট কার্গো জোট নির্মাণ করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।
আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় ১২৪ মিটার দীর্ঘ একটি আরসিসি হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৫টি লো-বেড ট্রেইলার সংগ্রহ করা হবে। আর্থ রিটেইনিং স্ট্রাকচার, আরসিসি ইয়ার্ড, পেভমেন্ট সংশ্লিষ্ট সুবিধাসমূহ নির্মাণ/স্থাপন, ইয়ার্ড লাইটিং টাওয়ার ইত্যাদি সুবিধাসহ বৈদ্যুতিক কাজ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় আরও নির্মাণ করা হবে অফিস ভবন, সাইট অফিস, গুদাম ও সাইট ল্যাবরেটরি।
হেভি লিফট কার্গো জেটিটি জিসিবি ১৩ নং জেটির উজানে নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা করা হয়। মূলত যথোপযুক্ত স্থান না থাকার কারণেই জেটির দৈর্ঘ্য ১২৪ মিটার নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যেসব জাহাজ এ ধরনের কার্গো আনায়ন করে, সেগুলোর দৈর্ঘ্য ২০০ থেকে ২২০ মিটার পর্যন্ত হয়। ফলে একটি আধুনিক হেভি লিফট জেটির দৈর্ঘ্য ন্যূনতম ২৪০ মিটার হওয়া প্রয়োজন। এটি বিবেচনা করে যথোপযুক্ত দৈর্ঘ্য ও ড্রাফট সম্বলিত জাহাজ আনায়নের জন্য চট্টগ্রামের ইনকনট্রেড টার্মিনালের সামনের নদীমুখ ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়।
এক্ষেত্রে সেখানে সার্ভে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সার্ভে রিপোর্টে দেখা যায়, ওই এলাকায় জেটি নির্মাণ করলে নদীমুখ সংকীর্ণ হয়ে যাবে। ফলে উল্লিখিত স্থান পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে। সবকিছু বিবেচনায় লালদিয়া-১ এলাকাকে হেভি লিফট কার্গো জেটি নির্মাণের জন্য সর্বোত্তম স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নার্সিং অধিদপ্তরের ডিজি মাকসুরা নূরকে ওএসডি
বিক্ষোভের মুখে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মাকসুরা নূরকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব মাকসুরা নূরকে ওএসডি করে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে কটূক্তি করায় মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করছেন নার্সিং কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
তারা মাকসুরার পদত্যাগ ও শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছেন। দাবি পূরণ না হলে কোথাও কোথাও কর্মবিরতির হুমকিও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর নার্সিং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর বলেছেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার ভিত্তিতে নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তার এ বক্তব্য নারীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের শীর্ষ পদে নতুন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়াকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আমিরুল ইসলামকে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিনকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
সেনাসদর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেনাসদরে প্রধান উপদেষ্টার এটাই প্রথম পরিদর্শনে আসা।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা সেনাসদরে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাকে স্বাগত জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী প্রধানগণ।
আরও ছিলেন, পিএসও এএফডি, সামরিক ও অসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এর মহাপরিচালকগণ ও সেনাসদরের কর্মকর্তাগণ।
পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ব্রিফ করেন কর্মকর্তারা।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনাসমূহ সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে জানানো হয়।