টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রেস ক্লাবের সামনে বৈষম্যের স্বীকার গ্রামীণফোনের চাকরিচ্যুত কর্মীদের মানববন্ধন
লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসাবে বৈষম্যের স্বীকার গ্রামীণফোনের ২০২ স্থায়ী কর্মীর অধিকার রক্ষায় আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, অবস্থান ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর সুকৌশলে মামলা ঝুলিয়ে রেখে কর্মীদের বেতন ভাতা বন্ধসহ অন্যান্য সকল আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিতদের সপক্ষে তৃতীয় দিনের মতো আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী গ্রামীণফোনের কর্মীগণ।
গ্রামীনফোন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাসুলুল আমিন মুরাদের নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিকেশন সেক্রেটারি আদিবা জেরিন চৌধুরীসহ ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যে আজাহার ইসলাম, শাহরীয়ার মুরতুজা, শাহজাহান শাহ, আসাদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান।
রাসুলুল আমিন মুরাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নয়ওয়ে ভিত্তিক এই কোম্পানির নিজ দেশ উন্নত শ্রমনীতি মেনে চললেও বাংলাদেশ আইনের চর্চা করে না। উচ্চআদলতের মহামান্য আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন না করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ যে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করিয়াছে তা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ও সরকারের প্রতি অসম্মানজনক ও ন্যাক্কারজনক। গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের এই বেআইনী ছাঁটাই, অবৈধ লক-আউট ও অসৎ শ্রম আচরনসহ সকল অবৈধ ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে তদন্তপূর্বক গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে বেআইনী ছাটাইয়ের শিকার ২০২ জন কর্মীকে তাদের স্বীয় কর্মে পুনর্বহালের ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্দেশনা প্রদানের জন্য বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
সমাবেশে বক্তারা জানান, ২০১২ সালের ২৪ জুন শুধু মাত্র ট্রেড ইউনিয়ন আবেদন করার অপরাধে ২১৩ জন কর্মীকে বেআইনীভাবে কোন রকম আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে সরাসরি চাকরিচ্যুত করেছিল গ্রামীণফোনের লিমিটেড। এদের মধ্যে থেকে ২২ জন কর্মী এই অন্যায় ও বৈষম্যের প্রতি মাথানত না করে আপসহীন থেকে বিগত ১৩ বছর ধরে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিভিন্ন আদালতে আইনি যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। অপরদিকে অপারেটরটি বিগত সরকারের সাথে আঁতাত করে বছরের পর বছর ধরে আইনের প্রক্রিয়া গুলোকে সুকৌশলে প্রলম্বিত করছে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
সমাবেশে জানানো হয়, করোনা মহামারীর সময়ে গ্রামীণফোনের ব্যবসা প্রসার ও মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি হওয়া সত্বেও ২০২০ সালের ২৩ এপ্রিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সাধারণ শাখা হতে মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়ে শ্রমিক ছাটাই/ চাকুরীচ্যুতি বন্ধ রাখা হয় (স্মারক নম্বরঃ ৪০.০১.০০০০.১০২.২৭.০৩০. ১৮.৭৭৯) কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সরকারি নির্দেশে অমান্য করে ২০২১ সালে ২১ জুন, যখন করোনা দ্বিতীয় ঢেউ তুঙ্গে সম্পূর্ণ দেশ যখন স্থবির ছিল লক ডাউনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১৫৯ জন কর্মীকে একসাথে রাতের আঁধারে ছাঁটাই করা হয়। যদিও উল্লেখিত কর্মীদের একটি মামলা তখন মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন ছিল। পরবর্তীতে মহামান্য আপিল বিভাগের উক্ত মামলাটি নিষ্পত্তি করে রায় দেয়। কিন্তু রায়কে সম্মান না দেখিয়ে অন্য একটি মামলার মাধ্যমে স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত কর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এটা বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান এর ধারাঃ ১১১ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
নতুন আইসিটি সচিবের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আইসিটি উদ্যোক্তা কাউন্সিলের সাক্ষাৎ
সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বৈষম্যবিরোধী আইসিটি উদ্যোক্তা কাউন্সিলের প্রতিনিধি দল।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাউন্সিলের সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার তালহা ইবনে আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সাক্ষাতে অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন মনিরুল মাওলা, এ এন এম আবরার, আব্দুল্লাহ নাবিল, ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ , মো. জুয়েল প্রমুখ।
সাক্ষাৎকালে বৈষম্যবিরোধী আইসিটি উদ্যোক্তা কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ নতুন সচিবকে শুভেচ্ছা জানান এবং আইসিটি খাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে যে সকল দুর্নীতি করা হয়েছে সেগুলো কঠোর হাতে দমন করতে আহ্বান জানান। উদ্যোক্তারা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেট ভেঙে প্রাইভেট সেক্টরের সকল কোম্পানি ও উদ্যোক্তাদের জন্য সুষম কর্মপরিবেশ সৃষ্টিরও দাবি জানান।
এ সময় সরকারের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী তাদেরকে আশ্বস্ত করে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরকে দুর্নীতিমুক্ত ও সত্যিকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল জনগণকে পৌঁছে দিতে সময় ও তরুণ উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এর আগে, গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে অডিট ক্যাডারের কর্মকর্তা বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) শীষ হায়দার চৌধুরীকে সচিব পদে নিয়োগ দেয় সরকার। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কথা বলে প্রকিউরমেন্ট ও অডিট খাতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এই সচিবের দক্ষতা ও সুনাম সম্পর্কে জানা গিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা দিলো তথ্য মন্ত্রণালয়
আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দফতর, সংস্থা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এ পরিকল্পনা ঘোষণা দেন।
১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনায় যা যা থাকছে
- বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারকে দক্ষ ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ছাত্র জনতা এবং তাদের পরিবারবর্গকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণপূর্বক বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে;
- স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- সম্প্রচার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ সংক্রান্ত নির্দেশিকার প্রয়োজনীয় সংশোধনঅন্তে প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোর আইনি সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইন, বিধি ও নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে;
- সাংবাদিকদের বেতন কাঠামোর যৌক্তিক সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক এর ডিজিটালাইজেশনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইসেন্স প্রদান নীতিমালা যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের ৪টি শূন্য পদ পূরণ করা হবে;
- চলমান প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে সম্পাদনে কিংবা প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে;
- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) এর আয়বর্ধক কর্মসূচির জন্য বিজনেস সল্যুশন প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন, ১৯৫৭-কে যুগোপযোগী করা হবে।
- বাংলাদেশ বেতার থেকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের পথে শীর্ষক, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ ছাত্র-জনতাকে নিয়ে এপিসোড প্রচার করা হবে।
- বাংলাদেশ বেতারের অনিয়মিত শিল্পীদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ/আহত ছাত্র-জনতার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার, আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, সংগঠিত হওয়া এবং সমন্বয়কদের মাধ্যমে সুশৃঙ্খলভাবে লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার বিবরণের উপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
- ঢাকাসহ সারাদেশে দেওয়াল লিখন, স্লোগান এবং গ্রাফিতি তুলে ধরে তথ্য বিবরণীমূলক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রদের পরিবারকে নিয়ে ২০০টি ফিচার প্রকাশসহ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যুগোপযোগী করা হবে। তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরিসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
- পতিত সরকারের ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল দুর্নীতি, অনাচার, দমন-পীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে।
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সকল শহীদের উপর পরিচিতি ভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ এবং দেওয়ালে অংকিত গ্রাফিতির উপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক অ্যালবাম তৈরি করা হবে।
- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং রাষ্ট্র সংস্কার ভিত্তিক ফিচার প্রকাশ করা হবে।
- বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা ভিত্তিক সেমিনার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজন করা হবে।
- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর্ড অবস্থায় থাকা চলচ্চিত্রসমূহ নীতিমালা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।
- চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
- প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আইন ২০১৮ এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
- তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
- তথ্য কমিশনের বিদ্যমান চাকরির বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে।
এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা থেকে নিয়মিত দাপ্তরিক কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে এবং অব্যাহত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বন্যাকবলিত এলাকার ৯৮ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার সচল
ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলার বন্যার পানি। এতে করে পানিতে ডুবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির যেসব টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছিল, সেগুলো ফের সচল হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৮ শতাংশ টাওয়ারই সচল হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, এখনও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে এমন জেলার সংখ্যা ১১টি। জেলাগুলো হলো— নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কক্সবাজার।
এর মধ্যে নোয়াখালী জেলায় ৭১টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ২০টি, ফেনী জেলায় ৭৩টি, কুমিল্লা জেলায় ১৮টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ২৪টি, চট্টগ্রাম জেলায় ২৭টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৭টি, হবিগঞ্জ জেলায় ১৩টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৯টি, সিলেট জেলায় ২৭টি ও কক্সবাজার জেলায় ১১টিসহ মোট ৩০০টি টাওয়ার অচল হয়ে আছে।
বন্যাকবলিত ১১ জেলায় মোট টাওয়ার রয়েছে ১৪ হাজার ৫৫১টি। যার মধ্যে এখন সচল রয়েছে ১৪ হাজার ২৫১টি। অর্থাৎ অচল টাওয়ারের পরিমাণ ২.১ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে বাকি অচল টাওয়ারগুলো সচল করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ারকো অপারেটরদের টেকনিক্যাল লোকবল, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি ইত্যাদি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বন্যাপ্লাবিত এলাকায় অচল ১১৯৩ মোবাইল টাওয়ার
ভারত থেকে আসা ঢল আর টানা বর্ষণে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। টেলিযোগাযোগ খাতেও পড়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। বন্যার পানিতে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ারের গ্রিনফিল্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ডুবে যাওয়ার এখনও ১১টি জেলায় ১ হাজার ১৯৩টি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে গেছে। এর মধ্যে ফেনী জেলায় অচল হয়েছে ৫৩৪টি টাওয়ার।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়া ১১টি জেলা হচ্ছে- নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কক্সবাজার।
এরমধ্যে নোয়াখালী জেলায় ৩৩৭টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬২টি, ফেনী জেলায় ৫৩৪টি, কুমিল্লা জেলায় ১৪১টি, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলায় ৭টি, চট্টগ্রাম জেলায় ৪৬টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৪১টি, হবিগঞ্জ জেলায় ৫টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৯টি, সিলেট জেলায় ৬টি ও কক্সবাজার জেলায় ৫টি মোট ১ হাজর ১০৩টি টাওয়ার অচল হয়ে আছে। এর বিপরীতে এই ১১টি জেলার মোট টাওয়ার রয়েছে ১৪ হাজার ৫৫১টি। যারমধ্যে এখন সচল রয়েছে ১৩ হাজার ৩৫৮টি।
অপরদিকে দ্রুত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক জটিলতা নিরসনে সকল টাওয়ার সচল করতে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ সম্পর্কে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ারকো অপারেটরদের টেকনিক্যাল লোকবল, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি ইত্যাদি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় নেওয়া হচ্ছে।
এরইমধ্যে ফুলগাজী উপজেলায় মোবাইল অপারেটর রবি এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো, সোনাগাজী উপজেলায় মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন ও রবি এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো, ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোবাইল অপারেটর গ্রামীনফোন এবং টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকো এর সাথে সমন্বয় করে নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন কার্যক্রম দ্রুত করার জন্য ৬টি স্পিডবোট সরবরাহ করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হচ্ছে চ্যাট থিম ফিচার
মেটার মালিকানাধীন জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে নিত্যনতুন ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মেসেজিংকে আরো সহজ করে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ব্যবহারকারীদের জন্য এআই সুবিধা চালু করা হয়েছে। তবে এবার নিয়ে আসছে চ্যাট থিম ফিচার।
এ ফিচার ব্যবহারকারীকে চ্যাট ব্যাকগ্রাউন্ড ও ইন্টারফেস কাস্টমাইজ করার অনুমতি দেবে। হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, চ্যাট থিম দিয়ে ব্যবহারকারী তার মেসেজিং অভিজ্ঞতাকে পারসোনালাইজড করতে বিভিন্ন ডিজাইন, রং ও প্যাটার্ন থেকে নিজের পছন্দ বেছে নিতে পারবেন।
যদিও এই সুবিধা এখনও আইওএস-এর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বিটাতে বিকাশের অধীনে রয়েছে, এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড ২.২৪.১৭.১৯ আপডেটের জন্য সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপ বিটাতে আবিষ্কৃত হয়েছে।
ডব্লিউবিটাইনফো টুইটারে (বর্তমানে এক্স) একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে, এতে দেখা যায় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থিম সেটিংসে একটি নতুন বিভাগ পরীক্ষা করছে। এই কাস্টমাইজেশন বিকল্পের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের চ্যাট ব্যাকগ্রাউন্ড এবং ডিফল্ট চ্যাট থিমের জন্য ওয়ালপেপারের জন্য বিভিন্ন রঙের পরিসর থেকে একটি নতুন রং সিলেক্ট করতে সক্ষম হবে। তবে এই নতুন হোয়াটসঅ্যাপ সুবিধাটি ভবিষ্যতের আপডেট প্রকাশের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।
যেহেতু এটি একটি ডিফল্ট চ্যাট থিম, এই সুবিধাটি আমাদের সমস্ত কথোপকথনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার জন্য সেট করা হবে। ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারসহ অন্যান্য মেটার মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে দেখা ডিফল্ট থিম এবং চ্যাট ব্যাকগ্রাউন্ডের মতো। একবার একটি রং নির্বাচন করা হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিফল্ট চ্যাট থিম হিসাবে সেট হয়ে যাবে।
সেই অনুযায়ী ওয়ালপেপার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড রং উভয়ই সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের থিম নির্বাচন করার ক্ষমতা প্রদান করে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুসারে তাদের মেসেজিং অভিজ্ঞতাকে উপযোগী করার অনুমতি দেবে এবং এটিকে আরো বেশি সুন্দর দেখাবে।
তবে ডিফল্ট চ্যাট থিম কাস্টমাইজ করা শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর ইন্টারফেসকে প্রভাবিত করবে এবং এটি অন্যদের জন্য চেহারা পরিবর্তন করবে না। এটি নিশ্চিত করে যে এই কাস্টমাইজেশনটি ব্যক্তিগত থাকে এবং তাদের মেসেজিং অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করে না।