ব্যাংক
নয় ব্যাংকের ১ কোটি টাকার বেশি চেক ক্লিয়ারেন্স বন্ধের নির্দেশ
এস আলমের মালিকানাধীন ছয়টি ব্যাংকসহ মোট নয়টি ব্যাংকের ইস্যুকৃত এক কোটি টাকা বা তার বেশি টাকার চেক নিজ নিজ ব্যাংক থেকে বা অন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে নগদায়ন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ সোমবার (১২ আগস্ট) রাতে সব ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং কিছু বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন।
নয়টি ব্যাংক হলো: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক এবং আইসিবি ব্যাংক।
এর আগে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাবে টাকা না থাকলেও অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে চেক ক্লিয়ারিংয়ের অনুমতি দিয়েছিল। এই সুবিধার ফলে বিভিন্ন কাগজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
তবে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের প্রভাব কমাতে এবং তাদের ঋণ গ্রহণ বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গ্রুপটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সরাসরি সম্পর্ক ছিল। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য এস আলম গ্রুপকে কাগজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ থেকে বিরত রাখা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এস আলমের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঘাটতিতে রয়েছে। নামে-বেনামে ঋণ দিয়ে এই ব্যাংকগুলোর এমন সংকট তৈরি হয়েছে। তারপরও সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদের বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে এসব ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে নিয়মিত টাকা সরবরাহ করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন গভর্নরের অনুমোদনে বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের প্রভাব থাকা ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে একদিনে ৩৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তা প্রদান করেছে। একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশনা নেই। তবে ব্যাংকগুলো এখন সার্বিক পরিস্থিতির কারণে বড় চেক নেয় না।
ইসলামী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর বেনামি ঋণের মাধ্যমে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংক থেকে কাগজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একইদিনে ৮৮৯ কোটি টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ব্যাংকের কর্মকর্তারা তা জানতে পেরে এসব লেনদেন আটকে দিয়েছে। অর্থ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল গোল্ডেন স্টার ও টপ টেন ট্রেডিং হাউজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান।
কর্মকর্তারা জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানই ব্যাংকের মালিকপক্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ জন্য সরকার পরিবর্তনের পরে এভাবে অর্থ তুলে নেওয়া ঠেকানো গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, সোনালী, জনতা, রূপালী, পূবালী এবং সিটি ব্যাংকের পাঁচটি চেক গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখায় নগদ অর্থের জন্য উপস্থাপন করা হয়। গোল্ডেন স্টার এই পাঁচটি চেক জারি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মূল হিসাব ছিল আগ্রাবাদ শাখায়।
পাঁচটি চেক আগ্রাবাদ শাখার ম্যানেজার প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়ার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এই চেকগুলোর মাধ্যমে ৩৪৬ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের তৎপরতায় তা আটকে যায়। একইদিনে টপ টেন ট্রেডিংয়ের ৫৪৮ কোটি টাকার বেনামি ঋণও আটকে দেওয়া হয়।
বর্তমানে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ৮টি ব্যাংকসহ ৯টি ব্যাংক চরম আর্থিক সংকটের মুখোমুখি। এসব ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সিআরআর এবং এসএলআর বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে এবং তাদের চলতি হিসাবগুলোতে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসব ব্যাংক আমানতের চেয়ে বেশি ঋণ দেওয়ায় সেগুলোর চলতি হিসাবের ঘাটতি আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ বিবেচনায় এসব ব্যাংককে জামানত ছাড়াই টাকা ধার দিচ্ছে এবং লেনদেন হিসাব চালু রেখেছে। এ কারণেই মূলত নতুন ঋণ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলো ব্যাংকগুলো।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে কোনো ব্যাংক থেকে ২ লাখ টাকার বেশি নগদ উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ঋণের অর্থ আদায়ে পিএফআই সিকিউরিটিজের ভবনের সামনে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবস্থান
পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের নামে বকেয়া ঋণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্রোকারেজ হাউসটির স্বত্বাধিকারী পরিচালক কাজী ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকরা প্রতিষ্ঠানের নামে এ ঋণ নিয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) পিএফআই সিকিউরিটিজের ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন ব্যাংকটির দিলকুশা শাখার বিভিন্ন স্থানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এসময় তাঁরা ব্রোকারেজ হাউসটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ সকলকে বকেয়া ঋণ আদায়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নেয়া ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, পিএফআই সিকিউরিটিজের স্বত্বাধিকারী পরিচালক কাজী ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকরা প্রতিষ্ঠানের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের দিলকুশা শাখার থেকে ঋণ গ্রহণ করে। যার বকেয়া বর্তমানে ১৭৩ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯১৮ টাকা। আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ গ্রাহককে বার বার অনুরোধ করার পরেও তিনি ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করছেন না। এতে ব্যাংকের গ্রাহকসহ জনগনের মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক সম্পর্কেও একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। যার কারণে আমাদের আজকের এই অবস্থান কর্মসূচী।
এসময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্রোকারেজ হাউসটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবস্থান কর্মসূচী সম্পর্কে তাদের মালিকদের অভিহিত করতে বলেন। সেই সঙ্গে বকেয়া ঋণ আদায়ে তাদের সহায়তার আহ্বান জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্যাংক-পুঁজিবাজারের জন্য নতুন সুবিধা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ থেকে সেবার বিপরীতে অর্থ বিদেশে পাঠানো সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সেবার অর্থ বিদেশে পাঠাতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদন লাগবে না। ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব নিয়মিত বৈদেশিক ব্যয় বাবদ অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে। সেই সেঙ্গ একই সুবিধা পাবে পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলার অনুযায়ী, সেবা খাতের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে রয়টার্স মনিটর, ব্লুমবার্গ ফি, ব্যাংকার্স আলমনার্ক, ডিউ ডিলিজেন্স রেপোজিটরি ব্যয়, ক্রেডিট রেটিং সার্ভিস ফি, মূল্য যাচাই ফি, প্রভৃতি। এছাড়া ব্যাংকগুলোকে বিদেশ ভ্রমণকারীদের লাউঞ্জ সুবিধার সঙ্গে সম্পর্কিত খরচ পরিশোধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বছরে একজন কার্ড হোল্ডার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ব্রোকারেজ ফার্ম, মার্চেন্টব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইত্যাদি, আর্থিক ইনফরমেশন এবং কমিউনিকেশন সংক্রান্ত সেবার জন্য বিদেশে ফি প্রেরণের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হবেনা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব ব্যয় পরিশোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন নিতে হতো। এই সার্কুলারের ফলে বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হলো।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ডার্ক ওয়েবে গ্রাহকের তথ্য বিক্রির অভিযোগ: সিটি ব্যাংকের ব্যাখ্যা
সিটি ব্যাংক পিএলসির গ্রাহকদের গোপন তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রি হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তাকে গুজব ও ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই গুজব বা ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে শনিবার (১১ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্যাংকটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্টেটমেন্ট পোর্টালটি শুধুমাত্র গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট দেখার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এতে অর্থ লেনদেন করার কোনো সুযোগ নেই। গত ২ জানুয়ারি সাইবার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত একটি সংস্থা এ ত্রুটির বিষয়ে ব্যাংককে জানায়। এরপরই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়, হ্যাকাররা একটি-দুটি গ্রাহক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টে প্রবেশ করেছিল। তবে তারা কোনো আর্থিক লেনদেন করতে পারেনি। মূল ব্যাংকিং সিস্টেম সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। ঘটনার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অননুমোদিত সব সেশন বাতিল করে এবং ত্রুটিটি ঠিক করে। সাইবার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য কর্মরত রিয়েল-টাইম মনিটরিং টিমকে পুনর্বিন্যাস করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে জানায়, তাদের আর্থিক তথ্য পুরোপুরি সুরক্ষিত রয়েছে এবং ডার্ক ওয়েবে কোনো তথ্য বিক্রি হয়নি। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ব্যাংক যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিএফআইইউ প্রধান হলেন এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধের তদারকি সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম। আগামী দুই বছরের জন্য এ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপনে জারি করেছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) এর ধারা ২৪(১) (ঘ) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ২২ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম শাহীনুল ইসলামকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর পদমর্যাদায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাঁর যোগদানের তারিখ থেকে ০২ (দুই) বছর মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের শর্তাবলি অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নতুন প্রধান নিয়োগের সাক্ষাৎকার নিতে ১০ জনকে ডাকেন বাংলাদেশ ব্যাংক। ১১ ও ১২ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকার হয়।এর আগে, ৩১ অক্টোবর এ পদের জন্য আবেদনপত্র জমা দেন এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।
এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে বিএসসি (অনার্স) ও এমএসসি করেছেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে বিভিন্ন পদে কর্মরত অবস্থায় পর্যায়ক্রমে ব্যাংকিং সুপারভিশন, বৈদেশিক মুদ্রা ট্রেজারি ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনা, কৃষিঋণ ব্যবস্থাপনা, আইন বিভাগ, সচিব বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী অফিসে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২২ সালের ২ মার্চ তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিস প্রধান হিসেবে বগুড়া অঞ্চলের ব্যাংকসমূহের সার্বিক কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্বাহী পরিচালক ও উপ-প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান তিনি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর বাজারে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতের কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) মুজিবনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজেন্ট ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল গাফফার বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাংকের পিয়ন হাসিবুল ইসলাম ব্যাংক খুলে সিন্দুক ভাঙার বিষয়টি দেখতে পান। আমাকে ফোন দিলে আমি দ্রুত ব্যাংকে আসি এবং দেখি ব্যাংকের পেছনের জানালার গ্রিল কাটা, ভোল্ট রুমের তালা কাটা এবং ভোল্টের ভেতরে রাখা সিন্দুক ভাঙা। বুধবার হিসাব শেষে রেখে যাওয়া ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে অবহিত করি।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, চুরির বিষয়ে খবর পেয়ে আমরা এজেন্ট ব্যাংকে গিয়েছিলাম। প্রাথমিক তদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি ব্যাংকের পেছনের জানালার গ্রিল কাটা, ব্যাংকের ভোল্টের দরজা কাটা এবং ভোল্টের ভেতরে রাখা সিন্দুকটি ভাঙা।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের ম্যানেজারের দাবি ভল্টে ৬ লাখ ৩৩ হাজারের কিছু বেশি টাকা ছিল। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিম এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি গোপাল চন্দ্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ব্যাংকে চুরির ঘটনা উদঘাটনের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে শাখার ম্যানেজার একটি মামলা দায়ের করার প্রস্ততি নিচ্ছেন।