গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের প্রশংসায় প্রধান বিচারপতি
গণজাগরণের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, সে গণজাগরণে সাংবাদিকদের ‘অংশীজন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের দেওয়া ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে এ মন্তব্য করেন বিচার বিভাগের প্রধান।
এর আগে প্রধান বিচারপতিকে তার নিজ দপ্তরে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সুপ্রিম কোর্ট বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)’র নেতৃবৃন্দ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, গণজাগরণের মধ্য দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, সে গণজাগরণে দেশের সাংবাদিকরাও অংশীজন। সাংবাদিক সম্প্রদায়ের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করার মত না। সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকদের মাধ্যমেই আমরা খবরা-খবর জেনে থাকি। ফলে পেশাদারত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ মানের সাংবাদিকতা আমরা প্রত্যাশা করি। সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গনের সাংবাদিকদের কাছে সে প্রত্যাশা আরও বেশি।
সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনের নিয়মিত সাংবাদিকদের পেশাগত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তাঁদের শুভকামনা জানান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিক ঊর্মি রহমান মারা গেছেন
বিবিসির সাবেক সাংবাদিক ও বিশিষ্ট লেখক ঊর্মি রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারতের কলকাতায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
বেশ কিছুদিন ধরে ঊর্মি রহমান অসুস্থ ছিলেন। বাংলাদেশে সাংবাদিকতা জগতে তার দীর্ঘদিনের পদচারণ ছিল। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী সাগর চৌধুরী ও একমাত্র সন্তান রূপক রহমানকে রেখে গেছেন।
শিক্ষার্থী থাকাকালীন দৈনিক সংবাদে ঊর্মি রহমানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। পরবর্তী সময়ে দৈনিক বাংলা ও হলিডেতে কাজ করেন। বিবিসির সাংবাদিক হিসেবে অবসর নেন।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে কাজ করেছেন। লেখালেখির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তার রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে আছে প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি ও অনুবাদ। ছোটদের জন্যও লিখেছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ট্যুরে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ
চীনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সাত দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মিডিয়া ট্যুর অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকারের আমন্ত্রণে এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।
গত ০৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ট্যুরটি গুয়াংশি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নাননিং শহর এবং চংছিং মিউনিসিপ্যালের বিভিন্ন জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে গুয়াংশি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং চংছিং মিউনিসিপ্যাল পার্টি কমিটির প্রচার বিভাগ। আয়োজনে যৌথভাবে সহায়তা করে চীনের মর্যাদাপূর্ণ সংবাদমাধ্যম চায়না নিউজ সার্ভিস এর গুয়াংশি এবং চংছিং শাখা।
এই সফরের ফলে, পরিদর্শনকারী দলটি গুয়াংশি এবং চংছিং এর উচ্চমানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্প ও অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি এবং পরিবেশগত অর্জন সম্পর্কে জানতে পারে।
সাত দিনব্যাপী বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য পরিদর্শনকারী দলের সদস্যরা আধুনিক উৎপাদন উদ্যোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জাদুঘর, বন্দর এবং বড় প্রকল্পগুলোর নির্মাণ স্থান, তথ্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এবং আন্তর্জাতিক লজিস্টিক হাব, রেলওয়ে লজিস্টিক সেন্টার, স্থল-সমুদ্র করিডোর এর আন্তর্জাতিক কনজাম্পশন সেন্টার, কৃষি শিল্পের স্থান এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্থান পরিদর্শন করে।
বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, লাওজ, এবং থাইল্যান্ড সহ ১০টি দেশ ও অঞ্চলের ৫০ জন বিদেশি মূলধারার মিডিয়া সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিত ব্যক্তি, এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি দল এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
প্রথম আলোর নিরাপত্তা ভেঙে ‘শুভাকাঙ্ক্ষীর’ বার্তা
প্রথম আলো অনলাইনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ওয়েবসাইটে শুভাকাঙ্ক্ষীর বেশে একটি বার্তা দিয়েছিলেন হ্যাকার। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিজেকে ‘প্রথম আলো’র শুভাকাঙ্ক্ষী দাবি করে মেসেজটি দেন তিনি। তবে কিছু সময় পর বার্তাটি ওয়েবসাইট থেকে সরানো হয়।
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মীদের সম্বোধন করে হ্যাকার তার বার্তায় বলেন, আমি প্রথমেই এই বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে আমি আপনাদের শত্রু নই বা দেশের সর্বাধিক পঠিত ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বাংলা সংবাদপত্র প্রথম আলোর কোনো সম্পদের ক্ষতি করার কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই।
‘কিন্তু অনলাইন মাধ্যমে সংবাদ প্রচারের জন্য আপনাদের ওয়েবসাইটের ব্যবহৃত কুইনটাইপ টেকনলজিকস ইন্ডিয়া লিমিটেডের তৈরি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস)-এ গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ত্রুটি রয়েছে। যা ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর পূর্বপ্রকাশিত কোনো সংবাদ বা তথ্য পরিবর্তন, পরিমার্জন বা নতুন কোনো মিথ্যা তথ্য সংবাদ আকারে প্রকাশ করে প্রথম আলোর বিশ্বাসযোগ্যতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজব ছড়াতে পারে।’
তাই সতর্ক করতে বার্তাটি প্রকাশ করছেন বলে জানান ওই হ্যাকার।
প্রথম আলোর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মী গণমাধ্যমকে জানান, কিছুক্ষণের জন্য তারা ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। ওই সময় হ্যাকার ওয়েবসাইটের হোম পেজে একটি বার্তা প্রকাশ করেছিল। তবে পরবর্তীতে প্রথম আলোর আইটি টিম সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে বাংলাদেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক সর্বভারতীয় সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং তার ছেলে ও ভারতের বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর নামে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা শেয়ারের অভিযোগে বাংলাদেশের সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী এবং অদিতি নামের এক ভারতীয় সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির পুলিশ।
আজ সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর হাই গ্রাউন্ডস পুলিশ স্টেশনে মামলাটি করা হয়েছে। কর্ণাটক রাজ্য কংগ্রেস শাখার নেতা এবং মামলার অন্যতম বাদি শ্রীনিবাস জি. ভারতের জাতীয় দৈনিক দ্য হিন্দুকে জানান, প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়েছে যে সোনিয়া গান্ধী এবং তার ছেলে রাহুল গান্ধী একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার আন্ডারকভার এজেন্ট।
শ্রীনিবাস আরও জানান, সংবাদটির লেখার ধরনে এটি স্পষ্ট যে এটি একটি উসকানিমূলক লেখা এবং গান্ধী পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের জন্য পরিকল্পিতভাবে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।
যে নিউজ পোর্টালে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে, মামলার অপর আসামি অদিতি সেখানে চাকরি করেন। নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে সংবাদটি শেয়ার করেছিলেন তিনি।
বেঙ্গালুরু পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দ্য হিন্দুকে বলেন, “গান্ধী পরিবারের নামে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা মামলা করেছি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৬ নম্বর ধারা অনুসারে মামলাটি নিবন্ধিত হয়েছে।” মামলার তদন্তও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের নির্ভয়ে কাজের পরিবেশ তৈরির আহ্বান মার্কিন পররাষ্ট্রের
বাংলাদেশে সাংবাদিকরা যেন নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন, তেমন পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। একই সঙ্গে তারা বলেছে, বিচারিক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হলে সংবাদকর্মীদের জন্য পক্ষপাতহীন আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তত দু’জন সাংবাদিকের গ্রেপ্তার ও আসামি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শত শত মামলায় এখন পর্যন্ত আসামি হয়েছেন অর্ধ লক্ষাধিক ব্যক্তি। সাবেক মন্ত্রী, বিচারপতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তর, প্রশাসন, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, খেলোয়াড়, শিল্পী ও আওয়ামী লীগের সব স্তরে নেতাকর্মীরা এখন আসামি হচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন পর্যন্ত ছাত্র-জনতার ওপর ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’ ও ‘গুলি করে হতাহতের ঘটনা’র তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় আইনগতভাবে তাদের অধিকার যেন প্রতিপালন হয়, সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ভাষ্য জানতে চাইলে একজন মুখপাত্র লিখিত বিবৃতিতে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই মুখপাত্র বলেন, সাবেক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ সবার জন্য নিরপেক্ষ বিচারের নিশ্চয়তা চেয়ে আমরা ন্যায় ও পক্ষপাতহীন আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করছি।
তিনি বলেন, বিশেষ করে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার হওয়া এড়াতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ বিচারপ্রাপ্তি ও তাদের প্রাপ্য সম্ভাব্য সব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন আওয়ামীপন্থি সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা। দুজনেই একাত্তরে টেলিভিশনে চাকরি করতেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে প্রচার চালনোর অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তারা চাকরি হারান এবং গ্রেপ্তার হন।
এমআই