ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি পরীক্ষায় অটোপাসের বিষয়টি গুজব
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ফলে সৃষ্ট পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্থগিত রয়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এ অবস্থায় অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো পূর্ণ নম্বরে হবে নাকি অটো পাস দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভুয়া বিজ্ঞপ্তিও। তবে, এই বিজ্ঞপ্তিগুলোর কোনটিই সঠিক নয় বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
কমিটি জানিয়েছে, স্থগিত পরীক্ষাগুলো পূর্ণ নম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া শিগগিরই এসব পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে এ তথ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে কম নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়েছে, যা বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ইস্যুকৃত নয়।
এতে বলা হয়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এর স্থগিত পরীক্ষাগুলো গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের প্রকাশিত ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবণ্টন অনুযায়ী এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। স্থগিত পরীক্ষাগুলোর সময়সূচি শিগগির স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের উত্তাল ঢাবি
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত স্লোগান ছিল ‘তুমি কে আমি কে-রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে-স্বৈরাচার স্বৈরাচার’ এ স্লোগান নিয়ে উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের ‘নাতি-পুতি’ আখ্যা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ জুলাই রাতে এ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর সেই স্লোগানের দুই মাসপূর্তি।
দুই মাসপূর্তির এ দিনে কয়েকজন সমন্বয়ক স্লোগানটিকে বিকৃত করে অন্য একটি স্লোগান প্রচারের চেষ্টা করে। এর প্রতিবাদে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে সমেত মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এ স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি।এ সময় ‘তুমি কে আমি কে-রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে-স্বৈরাচার স্বৈরাচার’, ‘ঢাবির মাটি-রাজাকারের ঘাটি’, —ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের মিছিলটি হলপাড়া থেকে বের হয়ে সূর্যসেন হল-মুহসিন হল-ভিসি চত্বর হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি এখন রাজু ভাস্কর্যের দিকে যাচ্ছে।
গত ১৪ জুলাই রাতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন শেখ হাসিনার মন্তব্যের জেরে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে-রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। সেই ঘটনার দুই মাস পূর্তি কয়েকজন সমন্বয়ক একযোগে স্লোগানটিকে বিকৃত করে অন্য একটি স্লোগান প্রচার করার চেষ্টা করে। যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আবার এই স্লোগান নিয়ে মিছিল বের করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন শুরু, করতে হবে যেভাবে
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আজ। আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শুরু হয়ে এ কার্যক্রম চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম আগামী ১৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। শিক্ষা বোর্ডসমূহের আওতাধীন দেশের সকল উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভর্তি ওয়েবসাইটের (https://www.xiclassadmission.gov.bd) College Log in প্যানেলে (কলেজের ইআইআইএন নম্বর ও পাসওয়ার্ড) দিয়ে লগইন করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি অনলাইনে প্রেরণের সমুদয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়ে শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজ অনলাইনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে উদ্ভূত জটিলতার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি পাসে নৌবাহিনীতে নিয়োগ
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) ভর্তি এ-২০২৫ ব্যাচে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ নৌবাহিনী
ব্যাচের নাম: নাবিক ও এমওডিসি (নৌ) ভর্তি এ-২০২৫
শিক্ষাগত ও শারীরিক যোগ্যতা
বয়স: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে নাবিক পদে ১৭-২০ বছর এবং এমওডিসি (নৌ) পদে ১৭-২২ বছর
চাকরির ধরন: স্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: পুরুষ
বৈবাহিক অবস্থা: অবিবাহিত
দক্ষতা: সাঁতার জানা
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা নৌবাহিনীর ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন ফি: ২০০ টাকা
আবেদনের শেষ সময়: ১৫ অক্টোবর ২০২৪
উপস্থিতির সময়সূচি
উপস্থিত থাকা সময়: সকাল ০৮টায় উপস্থিত থাকতে হবে।
সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন
সূত্র: ইত্তেফাক, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির অধ্যাপক আব্দুল মুঈদের স্মরণে সভা ও শোক পালন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ রহমানের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় এ বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে মীর মোশাররফ একাডেমিক ভবনের চতুর্থ তলায় শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইবি কেন্দ্রীর মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দিন খান দোয়া পরিচালনা করেন।
এসময় অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফ, অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা, সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহেদ আহমেদ, ড. পার্থ সারথি লস্কর, সহকারী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুন্সী মোর্তজা আলী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ইইই অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুস সিদ্দিক বাদশাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্লাসে শুধু পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার বাইরে বিভিন্ন বাস্তবমুখী বিষয় নিয়ে স্যার আমাদের সাথে আলোচনা করতেন। আমরা কোন ধমক ধামকি ছাড়াই একনাগারে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় মনোযোগ দিয়ে স্যারের কথা শুনতাম। স্যার নিজের বেতনের টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য গাছ লাগিয়েছিলেন যেটার সুফল এখন আমরা ভোগ করছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের যেকোন বিপদে আপদে কিংবা যেকোন পরামর্শে নির্দ্বিধায় স্যারের কাছে যেতে পারতাম। স্যার অত্যন্ত যত্নের সাথে আমাদের সমস্যার সমাধান করে দিছেন। আমরা স্যারের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
অর্থনীতি বিভাগের এক শিক্ষার্থী মো. সানজিদ আহমেদ সজীব বলেন, স্যার টাইম মেনেজমেন্টের এক মূর্ত প্রতীক ছিলেন। এমন কোন দিন হয়নি যে তিনি লেইটে ক্লাসে এসেছেন,তিনি যথা সময়ে ক্লাসে এন্ট্রি নিয়ে ক্লাস নেয়া শুরু করে দিতেন। ছাত্র ছাত্রীরাও মূহুর্তেই ক্লাসে মনযোগী হয়ে যেত, পুরো ক্লাসে নেমে আসতো পিনপতন নিরবতা, সবাই যেন উত্তম শ্রোতা।
‘স্যারের কাছ থেকে আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা ছিলো, তিনি প্রসংশার চেয়ে উনার গঠণমূলক সমালোচনা শোনতে পছন্দ করতেন এবং সে অনুযায়ী নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করতেন। অর্থাৎ স্যার প্রতিনিয়তই শিখতেন, এই শিখতে শিখতে স্যার অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছেন, জায়গা করে নিয়েছেন ধর্ম, দল, মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের হৃদয়ে।’
সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহেদ আহমেদ বলেন, ঢাকায় অনেক আত্মীয়-স্বজন থাকা সত্ত্বেও স্যার কারো মুখাপেক্ষী হবেন না বলে তার মেয়েকে ঢাকায় ভর্তি করেননি। আমার জানামতে তার এক ভাইয়ের ছেলেকে তিনি পিএল থেকে টাকা তুলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য দিয়েছিলেন। এমনকি এই সময়েও আমাদের প্রত্যেক শিক্ষককে ঈদের সালামি দিতেন। সেই মুঈদ স্যার আর নেই, এটা মেনে নিতেই আমাদের কষ্ট হচ্ছে।
অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা বলেন, সব ধর্মেই বলা আছে যে জন্মিলে মরিতে হবে। মৃত্যুটা অবধারিত, আমরা প্রস্তুত না থাকলেও আমাদের তা মেনে নিতে হয়। অর্থনীতি বিভাগ আজ যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে এর পেছনে অন্যতম কারিগর মুঈদ স্যার। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন জায়গায় বুক ফুলিয়ে চলতাম কারণ আমাদের একজন মুঈদ স্যার আছেন বলে। মুঈদ স্যার আমাদের মাঝে নেই, তাকে ছাড়াই আমাদের ক্লাস নিতে হবে এটা ভাবলে আমাদের হৃদয়ের অন্তস্থলে ঝড় বয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ইবি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ রহমান ১১ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর৷ তিনি অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বিশিষ্ট কলামিস্ট হিসেবে পরিচিত। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং একটি কন্যা সন্তান ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগে স্মারকলিপি প্রদান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জিওগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন, সেশনজট নিরসন এবং নির্দিষ্ট সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়াসহ ৮ দফা দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিভাগের ২০১৯-২০ সেশন থেকে ২০২২-২৩ সেশন পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিভাগের সভাপতি মো. ইনজামুল হকের কাছে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করে। এসময় দীর্ঘদিন সেশনজটে জর্জরিত থাকলেও জট নিরসনে বিভাগের পক্ষ থেকে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করে তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হচ্ছে – সেশনজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ সেশনের চলতি সেমিস্টারের ল্যাব ও থিওরির ক্লাস ০৫ অক্টোবরের মধ্যে এবং পরীক্ষা ২৮শে অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে। পরবর্তী সেমিস্টার গুলো ৩ মাস করার পাশাপাশি পূর্নাঙ্গ একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রদান করতে হবে; ক্লাস রুটিনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস নিশ্চিত করতে হবে; ক্লাসের নামে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখা যাবে না, শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে রুটিন মাফিক অনলাইন-অফলাইন ক্লাস, ল্যাব ও পরীক্ষা নিতে হবে; প্রত্যেক শিক্ষককে সুনির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শেষ ও পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে; অবৈধভাবে স্বাক্ষর গ্রহণের মাধ্যমে বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল, সিংহভাগ শিক্ষার্থীর সম্মতিক্রমে বর্তমানে সময়োপযোগী নাম পরিবর্তনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; পরীক্ষা শুরুর ন্যূনতম ১৫ দিন পূর্বে রুটিন প্রকাশ এবং ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ে মানোন্নয়ন এবং রিটেক পরক্ষা শুরু করতে হবে; ফিল্ড ওয়ার্কে বিভাগ হতে সম্পূর্ণ অর্থের অন্তত ৩০% বরাদ্দ রাখতে হবে এবং ক্যারিয়ার ভিত্তিক গবেষণা, থিসিস, উচ্চশিক্ষা, চাকুরী ও বিনিয়োগ বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান এবং সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিভাগের কার্যক্রম ১৭/১৮ সেশন থেকে চালু হলেও অবাক করা বিষয় এখনো একটা ব্যাচও মাস্টার্স শেষ করে বের হতে পারল না। অথচ দিনের পর দিন নানা কারণে সেশনজট বাড়লেও তা নিরসনে বিভাগের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। শিক্ষকরা ক্লাস পরীক্ষার নামে দিনের পর দিন শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন, সময় নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা, ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা করেই যাচ্ছে। শিক্ষকগণ একই টাইমে ৪ সেশনের ক্লাস দিয়ে রাখেন প্রায়শই। পরবর্তীতে দেখা যায় সকাল ১০ টার ক্লাস দুপুর ৩,৪ টায় কোনরকম দায়সারা ভাবে নিচ্ছে। আমরা এক প্রকার তাদের কাছে জিম্মি। এরকম প্রহসনমূলক আচরণ সমূলে নির্মূল প্রয়োজন।
২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভাগের নাম Environmental Science & Geography দেখে ভর্তি হই। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষকদের মদদে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং স্বার্থান্বেষী মহলদের চক্রান্তে পরবর্তীতে বিভাগের নাম ‘Geography & Environment’ করা হয়। ২০২১-২২ এবং ২২-২৩ সেশনের প্রসপেক্টাসে আগের নাম দেখানো হলেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে এসে জানতে পারে বিভাগের নাম পরিবর্তিত। শত শত শিক্ষার্থী এই স্ক্যামের শিকার। আমরা চাই, বিভাগের যেসব শিক্ষক এই কাজের সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং আমাদের বিভাগের নাম ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
বিভাগের সভাপতি ইনজামুল হক বলেন, বিভাগীয় মিটিং করে তাদের দাবিগুলোর বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেশনজট সর্বোচ্চ ২-৩ মাস রয়েছে যা সমাধান করা যাবে। ক্লাস রুটিনের মাধ্যমে যে ফ্রেমওয়ার্ক তারা দিয়েছে তা করার চেষ্টা করব। ১৫ দিন পূর্বে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ সম্ভব, তবে ১৫ কার্যদিবসে মধ্যে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব না। একটা খাতা বাহিরে গিয়ে ফিরে আসতে মাঝেমধ্যে ৩ মাস লেগে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিভাগের নাম পরিবর্তনের প্রসঙ্গে আমাদের হাত ছিল না, শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত একটা দরখাস্ত আসছিল অফিসে। আমরা শিক্ষকরা বসে মিটিং করলাম। পরে ডিন স্যারের মাধ্যমে একাডেমিক কাউন্সিলে ফরওয়ার্ড করা হয়। যেটা একাডেমিক কাউন্সিল ও ভিসি স্যারের ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে সমস্ত প্রক্রিয়ায় নাম পরিবর্তন হয়। সব ডকুমেন্টস আমাদের কাছে আছেই। তবে শিক্ষার্থীরা চাইলে ফিল্ডওয়ার্কের হিসাব নিকাশ অডিট করতে পারে। কিন্তু তাদের চাহিদামতো অর্থ বরাদ্দ সম্ভব না।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম