অর্থনীতি
নগদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালে আইনি ব্যবস্থার হুশিয়ারি
দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের চক্রান্ত ও অপপ্রচারের শিকার হয়ে আসছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেড। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নগদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিকখাতকে বিশৃঙ্খল ও অস্থিতিশীল করার একটা অপচেষ্টা কলে মনে করছে নগদ। চলমান এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে নগদ।
সোমবার (১২ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আজ ৫২ শতাংশ পার হয়েছে, এর পেছনে রয়েছে নগদের বিরাট অবদান। নগদ ২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর আগে মোবাইল ব্যাংকিং ছিল শহরের কিছু মানুষের হাতে বন্দি এবং ব্যয়বহুল একটি পদ্ধতি। একটি অ্যাকাউন্ট খোলাও সেখানে বিরাট সময়সাধ্য ব্যাপার ছিল।
নগদ ডিজিটাল ই-কেওয়াইসি চালু করে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি সহজ করে। যে পদ্ধতি এখন দেশের প্রায় সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুসরণ করছে। এরপর টেলিকম অপারেটর প্রতিষ্ঠাগুলোর সাথে চুক্তি করে *১৬৭# ডায়াল করে বাটন ফোন থেকে নিমেষেই অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি সামনে আনে। ফলে বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী প্রথমবারের মতো প্রথামগত আর্থিক লেনদেনের আওতায় আসে।
এর সাথে নগদ ক্যাশআউট খরচ কমানো, ইউটিলিটি বিল প্রদানের খরচ তুলে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ নিয়ে বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। ফলে একাধারে বাজার দখলকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা কমে যায়; অন্যদিকে দেশের মানুষের জন্য সত্যিকারের ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে এমএফএস। আর এ কারণেই দেশের আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে বিপ্লব আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমএফএসে আর্থিক বিপ্লব আনার পর দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক নিয়ে কাজ শুরু করেছে নগদ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পেয়েছে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক। নগদ সফলভাবে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর দ্বারপ্রান্তে। সে জন্য নগদের সাথে হাত মিলিয়ে বিশ্বের নামকরা কিছু তথ্যপ্রযুক্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এখন কেবলই নগদের নতুন এক আর্থিক বিপ্লব শুরু করার অপেক্ষা।
ঠিক সে সময়ে নগদের ধারাবাহিক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল নগদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। বাজারে মনোপলি ভেঙে দিয়ে মানুষের আর্থিক সাশ্রয় করায় নগদের বিরুদ্ধে অনেকেই ঈর্ষাপরায়ণ মনোভাব প্রকাশ করেছে এবং বর্তমানে নামে-বেনামে ফেইসবুক পেইজ খুলে সেগুলো থেকে ভুয়া-অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক অপতথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এমনকি অনেক পেইজ থেকে নগদের বিরুদ্ধে করা অপপ্রচার ‘বুস্ট’ করা হচ্ছে, যা কোনো ব্যক্তি মানুষ বা নগদ গ্রাহকের কাজ নয় বলে বাজার অভিজ্ঞজনেরা অবগত রয়েছেন।
নগদ জানায়, মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে একটি পক্ষ নগদের বিপক্ষে অপপ্রচার শুরু করেছে। নগদের বিপক্ষে লিফলেট বিতরণ, নগদের প্রচার-প্রচারনার জিনিসপত্র নষ্ট করে ফেলা, উদ্যোক্তাদের আক্রমণ করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। যা নিয়ে নগদ আইনের আশ্রয়ও নিয়েছে একাধিকবার। এসব কাজে প্রতিপক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর থেকে অনৈতিক সুবিধাভোগী কিছু কর্মকর্তাও জড়িয়েছেন কখনো কখনো।
এবারও নগদ লক্ষ্য করছে, সেই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়ে নগদ সম্পর্কে নানা ধরনের অন্যায়, মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে। নগদ অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে এসব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছে। সেই সাথে এসব কর্মকাণ্ডের ঘোরতর নিন্দা করছে। নগদ কর্তৃপক্ষ বলতে চায় যে, যারা এসব অনৈতিক ও মিথ্যা তথ্য নিয়ে অপ্রচার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নগদ বাজারে টিকে থাকলে দেশের জনগণের সাশ্রয় হবে, বাংলাদেশের আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী হবে। কারণ নগদে ক্যাশ আউট চার্জসহ সবকিছু সাশ্রয়ী মূল্যে উপভোগ করেন গ্রাহকেরা, সাড়ে আট কোটির বেশি গ্রাহকের নগদ নিয়ে এমন ষড়যন্ত্রে কান না দেওয়ার জন্য সম্মানিত গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী ও নীতিনির্ধারকদের আহ্বান জানায় নগদ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
৯০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে এডিবি
বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে। আর ব্যাংকসহ বিভিন্ন খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে এডিবি।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন-আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে এই অর্থ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে এডিবির প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে এডিবির সিনিয়র অ্যাডভাইজার এডিমন গিনটিং, কান্ট্রি ডিরেক্টর হুয়ে ইউন জুয়াং ও ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম অর্থায়ন সহযোগী। আজকের বৈঠকে আমরা ক্লাইমেট ফান্ড এবং অন্য জলবায়ু প্রকল্পগুলো নিয়ে আলাপ করেছি। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও আলাপ হয়েছে।
এডিবি তার চলমান অর্থায়ন প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আলাপ করেছি।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, এলইডিসি গ্র্যাজুয়েশন উপলক্ষে বাজেট সহায়তা বাবদ এডিবি যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা তা ডিসেম্বরের মধ্যে আসবে।
এছাড়া ব্যাংকিং ও অন্যান্য খাতের সংস্কারের জন্য সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে এই খাতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি। এছাড়া জ্বালানি খাতের উন্নয়নে এক বিলিয়ন ডলারের বাজেট সাপোর্ট চেয়েছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এডিবির অর্থায়নের প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখার আশ্বাস
এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে চলমান প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। একই সঙ্গে চলমান ঋণ ও ভবিষ্যৎ অর্থায়ন নিয়ে এডিবির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এডিবি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থ উপদেষ্টা।
বৈঠক শেষে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম অর্থায়ন সহযোগী। আজকের বৈঠকে আমরা ক্লাইমেট ফান্ড এবং অন্যান্য জলবায়ু প্রকল্পগুলো নিয়ে আলাপ করেছি। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও আলাপ হয়েছে।
এডিবি তার চলমান অর্থায়ন প্রকল্পগুলো অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আলাপ করেছি।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, এলইডিসি গ্রাজুয়েশন উপলক্ষে বাজেট সহায়তা বাবদ যে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা, তা ডিসেম্বরের মধ্যে আসবে। এছাড়া ব্যাংকিং ও অন্যান্য খাতের সংস্কারের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে এই খাতে দেড়শ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি। এছাড়া জ্বালানি খাতের উন্নয়নে এক বিলিয়ন ডলারের বাজেট সাপোর্ট চেয়েছে বাংলাদেশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দিলো সরকার
উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিম, সোনালি মুরগি ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
ডিম খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্টদের এ দাম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সই করা চিঠিতে জানানো হয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তদর এবং পোলট্রি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়েছে।
গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২০২৪ সালের মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের দাম নির্ধারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারণ করা যৌক্তিক মূল্য সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে চিঠিতে ২০২৪ সালের মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য (উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে) সঠিকভাবে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে চিঠিতে।
ডিমের মূল্য উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১টা ০১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেজিপ্রতি সোনালি মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ছাড়া বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশসন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েটস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড টেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ হাজার কোটি টাকা
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ১১৬ কোটি ৭২ লাখ (এক দশমিক ১৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। এর আগের সপ্তাহে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম ৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার (৫৮৪ মিলিয়ন) ডলার।
আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি মার্কিন ডলার (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। যা আগের ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার।
সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স দেশে আসে। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। রেমিট্যান্সের অঙ্ক এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এনবিআরের পাঁচ কর্মকর্তার পদায়ন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পাঁচ কর্মকর্তার পদায়ন করা হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এনবিআরের এক অফিস আদেশে তাদের পদায়ন করা হয়।
আদেশের তথ্য অনুযায়ী, শুল্ক ও আবগারি সদস্য হোসেন আহমদকে মূসক নীতি থেকে কাস্টমস নীতি ও আইসিটি বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া সদ্য যোগদানকৃত চার কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্বের সঙ্গে চার দপ্তরে পদায়ন করা হয়েছে। চার কর্মকর্তা হলেন- মোহাম্মদ বেলাল হোসাইনকে মূসক নীতিতে, মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে শুল্ক রপ্তানি বন্ড ও আইটিতে, মো. আজিজুর রহমানকে মূসক নিরীক্ষাতে এবং ড. মো. আবদুর রউফকে মূসক বাস্তবায়ন ও আইটিতে পদায়ন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে একইসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গত ২০২২ সালে ৫ জানুয়ারি ও ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর পৃথক দুই অফিস আদেশে মো. মাসুদ সাদিক ও ফারজানা আফরোজকে পদায়নের আদেশটি বাতিল করা হয়েছে।
যথাযথ কর্তপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো এবং ইহা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
এসএম