ব্যাংক
ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের দাবি
ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থপাচার, ঋণখেলাপি ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল।
আজ রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানভীর আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মাসুম বিল্লাহর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সমগ্র ব্যাংকিং এবং আর্থিক খাতের সংস্কারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পক্ষ হতে কাউন্সিল তার এ প্রত্যয়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সমগ্র ব্যাংকিং সেক্টর সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাংকিং তথা আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন জরুরি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতকরণ, গভর্নর পদকে সাংবিধানিক পদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণ, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অবস্থান উন্নীতকরণ, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সে অন্তর্ভুক্তকরণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও কর্পোরেট প্রভাবমুক্তকরণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনি ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, সুপারভিশন ও পরিদর্শন কার্যক্রমকে শক্তিশালীকরণ, কেবল জাতীয় সংসদের নিকট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জবাবদিহিতার বিধান কার্যকরকরণসহ নানাবিধ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কাউন্সিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।
পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থপাচার, ঋণখেলাপি ও দুর্নীতি রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করা আবশ্যক। সর্বোপরি, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মর্যাদা সমুন্নত রেখে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করবে মর্মে কাউন্সিল প্রত্যাশা করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল, ঢাকার পক্ষ থেকে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণ করায় বাংলাদেশ ব্যাংক পরিবারের পক্ষ থেকে তাকেও আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী পরিবর্তনের বাস্তবতায় রাষ্ট্রের সামগ্রিক সংস্কারের সাথে সংহতি প্রকাশ করে গত ৭ আগস্ট (বুধবার) সকালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রাপ্ত শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পদত্যাগ এবং অন্যান্য দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক আন্দোলন শুরু হয়। কাউন্সিল কর্মকর্তাদের যৌক্তিক যেকোনো দাবি-দাওয়ার প্রতি সর্বদা সমর্থন প্রকাশ করে। আলোচ্য ক্ষেত্রেও কর্মকর্তাগণের যৌক্তিক দাবিগুলোর বিষয়ে কাউন্সিলের অবস্থান ব্যতিক্রম নয়। তবে, উক্ত আন্দোলনের মাঝে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত এমএলএসএস (অরনেট) সমবেত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের সময়কে কাজে লাগিয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত এমএলএসএস কর্তৃক এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও বিধি-বিধান পরিপন্থি মর্মে কাউন্সিল মনে করে। এছাড়া, উক্ত আন্দোলন পরবর্তী সময়ে এক্সিকিউটিভ ফ্লোরসহ অফিস প্রাঙ্গণে শীর্ষ কিছু কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংঘটিত অশোভন আচরণ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। একটি সুশৃঙ্খল কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ভবিষ্যতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিকট হতে সবাই অধিকতর দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সমগ্র ব্যাংকিং সেক্টরের সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে কাউন্সিল এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা প্রণয়ন করত তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল, সুশৃঙ্খল ও সুচারুভাবে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মপরিবেশ বজায় রাখার জন্য কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
পুরস্কার পেল বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের তরুণ সম্প্রদায়কে আর্থিক খাতে অন্তর্ভুক্তির স্বীকৃতিস্বরূপ ‘অ্যালাইনস ফর ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন এএফআই-২০২৪’ পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্লোবাল ইয়ুথ ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ক্যাটাগরিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, এল সালভাদরে অনুষ্ঠিত এএফআই গ্লোবাল পলিসি ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ সম্মাননা দেয়া হয়। শিক্ষার্থী ও তরুণদের আর্থিক খাতে অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং এ খাতে তাদের সাক্ষরতা অর্জনের জন্য দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় করা, ২১ থেকে ৪৫ বছরের জনসাধারণের জন্য স্টার্টআপ ঋণ ফান্ড গঠনে ভূমিকা রাখার দিকগুলো পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রমে আর্থিক সাক্ষরতা বিষয়ক অধ্যায় সংযোজন, দেশব্যাপী ৪৩ লাখ স্কুলে ব্যাংক হিসাব চালু এবং প্রায় ৫০ শতাংশ নারী শিক্ষার্থীকে ব্যাংকখাতে অন্তর্ভুক্ত করে লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণের ভূমিকা রাখার দিকগুলোও বিবেচনা করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ৪ সিদ্ধান্তে খুলছে রিজার্ভ-জট
ডলার সংকটে গত কয়েকবছর ধরে অসহনীয় হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। ধরা-বাঁধা আমদানি, পরিবহনে বাড়তি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি- সবকিছুর পেছনে প্রধান দায় ছিল রিজার্ভ সংকট। অপরিকল্পিত চলন নীতি, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতে গিয়ে রিজার্ভের ডলার প্রায় নাই করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পেছনে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফের জোগসাজশকে অনেকটা দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর তার সাহচর্যে থাকা উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা জনগণের তোপে পদত্যাগ শুরু করেন। প্রাক্তন গভর্নর আব্দুর রউফের পদত্যাগের পর অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুরকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন গভর্নর নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে মাত্র ৪ সিদ্ধান্তে রিজার্ভের জট খুলতে শুরু করেছেন নতুন এ গভর্নর। তাতে রিজার্ভের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা বাণিজ্যেও কিছুটা অগ্রগতি দেখা গিয়েছে।
জানা যায়, নতুন গভর্নর দায়িত্ব পাওয়ার পরেই বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা কমাতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি বাণিজ্য-ভিত্তিক অর্থপাচারে রেখেছেন কঠোর নজরদারি। পাশাপাশি ক্রলিং পেগ এক্সচেঞ্জ রেট সিস্টেমের অধীনে ১১৭ টাকার মিড রেটে আড়াই শতাংশ ব্যান্ড চালু করেন, যার ফলে ব্যাংকগুলো ডলার লেনদেনের জন্য সর্বোচ্চ ১২০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করতে পারে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি ন্যূনতম পর্যায়ে কমিয়ে এনেছে এবং সরকারি সংস্থাগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য না নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারি এলসির (ঋণপত্র) জন্য ডলারের ব্যবস্থা করতে বলেছে।
এসব পদক্ষেপে এবং ব্যাংকগুলোকে দেওয়া আশ্বাসের ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বিদেশি ব্যাংকগুলোও স্থানীয় ব্যাংকগুলোতে ক্রেডিট লাইন বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভরসা পেয়েছে। তাতে বাংলাদেশের আন্তঃব্যাংক ফরেক্স মার্কেটে এখন গড়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত থাকছে।
এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে নেওয়া এসব উদ্যোগ দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছে, যার ফলে দ্রুত স্বস্তি আসার পাশাপাশি সামনের দিনগুলোতে আরও স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীর দিনগুলোতে দেশের রিজার্ভ এবং বাণিজ্যিক খাতে উন্নতি আসবে। তাতে মূল্যস্ফীতির বোঝা কমে জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি নামতে পারে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
এটিএম বুথে মিলছে না টাকা, বিপাকে গ্রাহকরা
এস আলম মুক্ত হওয়া ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথগুলোতে টাকা নেই, ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকেরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখাকে মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তাকে মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি মুখপাত্র মেজবাউল হকের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
নতুন মুখপাত্র হুসনে আরা শিখাকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য দুজন সহকারী মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা হলেন, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি-১) পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী ও ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক সাঈদা খানম। সাঈদা মেজবাউল হকের সময়কালেও সহকারী মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গত মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান হুসনে আরা শিখা। তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। আইবিএ থেকে এমবিএ (ফাইন্যান্স) ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জাপান থেকে অর্থনীতি বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় কৃতিত্বের জন্য রূপালী ব্যাংক পুরস্কার ও পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক এমপ্লয়িজ রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড (গোল্ড মেডেল) পান হুসনে আরা শিখা।
তিনি আইপিএফএফ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে পিপিপির আওতায় অর্থায়ন, বাংলাদেশে পিপিপি অফিস প্রতিষ্ঠা ও ধারণা বাস্তবায়ন কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন।
এছাড়া তিনি ব্যাংকিং খাতে ঋণমান নিয়ন্ত্রণে বহুল ব্যবহৃত আইসিআরআরএস প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের পরিচালক হিসেবে করোনা পরবর্তী শতভাগ ঋণ বিতরণে নেতৃত্ব দেন হুসনে আরা শিখা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ৬ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন
ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে ৬ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী, ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহরিয়ার এম হাসান, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সাইন্স ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান ও হুদা ভাসি চৌধুরী এন্ড কোংয়ের পার্টনার সাব্বির আহমেদ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি, মন্দ সম্পদ এবং ঝুঁকিসমূহ নিরূপণ, দুর্বল ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচক পর্যালোচনা, ঋণের প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ, প্রভিশন ঘাটতি নিরূপণ, তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা, নিট মূলধন নির্ণয়, সম্পদের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মন্দ সম্পদকে পৃথকীকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে এই টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সংকটকালীন প্রতিঘাতসক্ষমতা অর্জনে ব্যাংকের সুশাসন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়ন, ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক এবং করপোরেট প্রভাব সীমিতকরণ, ব্যাংকের মালিকানা সংস্কার ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রদান, প্রবলেম ব্যাংকের জন্য রিকভারি এবং রেজুলেশন ফ্রেমওয়ার্ক ও সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন প্রস্তুতকরণ, দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য বিভিন্ন নীতিগত ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে টাস্কফোর্স আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন যেমন ব্যাংক কোম্পানি আইন, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ইত্যাদি সংস্কার এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ব্যাংক অধিগ্রহণ, একীভূতকরণ আইন প্রণয়ন, সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব প্রদান করবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কাফি