গণমাধ্যম
অভিযুক্ত সাংবাদিকদের তালিকা দিলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
দেশের ছাত্র-জনতার রক্ত ঝরানোর ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি করে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বরাবর আবেদন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (১০ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের স্বাক্ষরিত এ আবেদনপত্রটি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের হাতে তুলে দেন।
আবেদনপত্রে সমন্বয়করা বলেন, প্রেসক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রেসক্লাব বরাবরই জাতির দুঃসময়ে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এ প্রতিষ্ঠানটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে এর ভাবমূর্তি ধবংস করে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন (যিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের শুধু দালালই নয় পার্লামেন্ট মেম্বার), সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রতিনিয়ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগকে মদদ দিয়ে এবং টকশোতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদের রক্ত ঝরানোর মতো মানবতা বিরোধী কাজে জড়িত ছিল।
এছাড়াও ছাত্রদের রক্ত ঝরানোর মতো অমানবিক কাজে জড়িত ছিলেন প্রেসক্লাবের সদস্য প্রভাষ আমিন, জায়েদুল আহসান পিন্টু (ছাত্রদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মিথ্যাচার করেছে), মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফারজানা রুপা, আরিফ জেপ্তিক, অশোক চৌধুরী, শাহজান সরদার, সুভাষ সিংহ রায়, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মঞ্জুরুল ইসলাম (ডিবিসি), প্রণবসাহা (ডিবিসি), নঈম নিজাম (বাংলাদেশ প্রতিদিন), খায়রুল আলম (ভারতীয় গোয়ান্দা সংস্থার এজেন্ট ও ডিইউজে নেতা), সাইফুল আলম (যুগান্তর), আবেদ খান, সুভাষ চন্দ্র বাদল, জ,ই মামুন, জাফর ওয়াজেদ (পিআইবি), শাহনাজ সিদ্দিকী (বিএসএস), সাইফুল ইসলাম কল্লোল (বিএসএস), পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ বোরহান কবির, শাবান মাহমুদ, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মোল্লা আমজাদ, শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মামুন আবদুল্লাহ (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), সোমা ইসলাম (চ্যানেল আই), শ্যামল সরকার (ইত্তেফাক), অজয় দাশ ( সমকাল), আলমগীর হোসেন (সমকাল), শাকিল আহমেদ (৭১ টিভি), রামা প্রসাদ (সমকাল), সঞ্জয় সাহা পিয়াল (সমকাল), ফরাজী আজমল (ইত্তেফাক), আনিসুর রহমান (বিএসএস), স্বপন বসু (বিএসএস), হাসান জাবেদ (এনটিভি), মিথিলা ফারজানা (৭১ টিভি), শবনম আজিম (৭১ টিভি), এনামুল হক চৌধুরী, দিপক কুমার আচার্য, নাঈমুল ইসলাম খান।
আবেদনপত্রে আরো বলা হয়, আমরা মনে করি সাংবাদিকতার আড়ালে এদের কর্মকাণ্ড ছিল জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্র বিরোধী। ছাত্ররা এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে। এসব জাতীয় দুশমনরা প্রেসক্লাবের বা সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে আর যাতে জাতির ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য তাদের বহিষ্কার ও সাংবাদিকদের অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার নিবেদন জানাচ্ছি।
ইতোমধ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব
আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তলব করা সাংবাদিকরা হলেন- এপির ব্যুরো চিফ জুলহাস আলম, ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ঢাকা ট্রিবিউনের স্টাফ রিপোর্টার আলী আসিফ শাওন, ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক (সাবেক প্রেস মিনিস্টার) নাদিম কাদির, ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রাজীব ঘোষ, ডেইলি পিপলস লাইফের (সাবেক বাসস) সম্পাদক মো. আজিজুল হক ভুঁইয়া, বাসসের স্পোর্টস ইনচার্জ স্বপন বসু, ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার তাহমিদা সাদেক জেসি, চ্যানেল আই এর সিনিয়র রিপোর্টার নিলাদ্রি শেখর কুন্ডু, বাংলা টিভি সাবেক (দেশ টিভি) নজরুল কবীর, গাজী টিভির বার্তা সম্পাদক ইকবাল করিম নিশান, গ্রিন টিভির সাজু রহমান, বাংলাভিশনের (সাবেক) আমিনুর রশীদ।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্মের সহযোগী ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহে বেশকিছু পেশাজীবীদের ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করে বিএফআইইউ।
তলব করা হিসাবগুলোতে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন কিংবা অর্থপাচার বা অনিয়মের কোনো প্রমাণ মিললে এসব হিসাবের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করতে দিয়ে থাকে বিএফআইইউ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
এবিসি’র সভাপতি জাফরী, মহাসচিব দেবাশীষ রঞ্জন
সরকারি ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনগুলোর সংবাদ উপস্থাপক, টক-শো সঞ্চালক, রেডিও জকি ও অনুষ্ঠান উপস্থাপকদের সংগঠন অল ব্রডকাস্টার্স কমিউনিটির (এবিসি) কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন চৌধুরী দৌলত মোহাম্মদ জাফরী ও মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেবাশীষ রঞ্জন সরকার।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) ঢাকার পূর্বাচলের একটি রিসোর্টে এবিসি’র ফ্যামিলি ডে ২০২৫ অনুষ্ঠানে কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার এবিসি’র ফ্যামিলি ডে ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বার্ষিক সাধারণ সভার অংশে কণ্ঠ ভোটের মাধ্যমে আগামী ২ বছরের জন্য ২৩ সদস্যের এ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন হয়।
এদেশের টেলিভিশন ও রেডিওর উপস্থাপকদের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করতে অল ব্রডকাস্টার্স কমিউনিটি (এবিসি) বদ্ধপরিকর। মিডিয়া ভিত্তিক সকল সংগঠনের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা ও সম্প্রীতি বজায় রেখে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যেতে চায় টিভি-রেডিওর সকল উপস্থাপকদের এই ফোরাম।
ইতিহাস সাক্ষী ছাত্র-জনতা বিপ্লবে এবিসির সদস্যদের ছিল সক্রিয় ভূমিকা। আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বন্যা মোকাবিলা ও পূনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে দাঁড়ায় অল ব্রডকাস্টার্স কমিউনিটি (এবিসি)।
গত ৭ মাসে এড হক কমিটির অধীনে ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার ও ওয়ার্কশপসহ নানান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এবং রেডিও স্টেশনগুলোর সংবাদ উপস্থাপক, টক-শো সঞ্চালক, রেডিও জকি ও অনুষ্ঠান উপস্থাপকদের সংগঠন অল ব্রডকাস্টার্স কমিউনিটি (এবিসি) যাত্রা শুরু করে ২০২৪ এর ৭ জুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সভায় চাঁদপুরের সাংবাদিকদের একগুচ্ছ সুপারিশ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চাঁদপুরের গণমাধ্যম কর্মীরা কিছু লিখিত প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সভায় চাঁদপুরের ৪ গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- চাঁদপুর টাইমসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বার্তা সম্পাদক মুসাদ্দেক আল আকিব, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মো. ইলিয়াস পাটোয়ারী, দৈনিক চাঁদপুর সময়ের বার্তা সম্পাদক আশিক বিন রহিম, দৈনিক ইলশেপাড়ের বার্তা সম্পাদক এস এম সোহেল প্রমুখ।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৮টি জেলার জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংবাদিকগণ বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন। চাঁদপুরের গণমাধ্যম কর্মীদের পক্ষে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদের হাতে লিখিত প্রস্তাবনা তুলে দেন মুসাদ্দেক আল আকিব।
প্রস্তাবনা সমূহ:
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ
• আইনগত সংস্কার: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করতে প্রাসঙ্গিক আইন যেমন “মিডিয়া আইন” সংশোধন বা নতুন আইন প্রণয়ন করা উচিত, যা সরকারের হস্তক্ষেপ থেকে গণমাধ্যমকে মুক্ত রাখবে।
• স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরদারি কমানো: গণমাধ্যমের ওপর রাজনৈতিক অথবা প্রশাসনিক চাপ কমানোর জন্য নজরদারি কমাতে হবে।
• গণমাধ্যম স্বাধীনতা রক্ষা কমিশন: একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা উচিত, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে এবং অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা করবে।
বস্তুনিষ্ঠতা এবং নৈতিকতার উন্নয়ন
• সাংবাদিকতার নৈতিক গাইডলাইন তৈরি: সঠিক তথ্য প্রদান এবং বস্তুনিষ্ঠতা রক্ষার জন্য একটি জাতীয় নৈতিক গাইডলাইন প্রণয়ন করা উচিত।
• সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ: গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন করতে হবে, যাতে তারা তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশনে সঠিকতা এবং নৈতিকতা অনুসরণ করে।
• স্বতন্ত্র সাংবাদিকতা উন্নয়ন: সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ ও পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা কোনো ধরনের বাহ্যিক চাপ থেকে মুক্ত থাকে।
গণমাধ্যমের মালিকানা এবং অঙ্গীকার
• মালিকানা বৈচিত্র্য: গণমাধ্যমের মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণ একাধিক প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকা উচিত, যাতে একক কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির প্রভাব না পড়ে।
• সংকটকালীন মালিকানার স্বচ্ছতা: গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা ও অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জনগণ জানতে পারে কে বা কীভাবে কোন সংবাদ মাধ্যম পরিচালিত হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ এবং তদারকি সংস্থা গঠন
• স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা: একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠন করা উচিত যা মিডিয়ার কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে। এই সংস্থাটি সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীন থাকবে এবং শুধু গণমাধ্যমের মানসম্পন্নতা বজায় রাখার জন্য কাজ করবে।
• ফেক নিউজের বিরুদ্ধে আইন: মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে, তবে এটি যেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিঘ্ন না ঘটায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার ও ডিজিটাল গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ
• ডিজিটাল নিরাপত্তা: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য আরও কার্যকর প্রযুক্তিগত নজরদারি ব্যবস্থা থাকতে হবে।
• অনলাইন গণমাধ্যমের সুরক্ষা: অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে কনটেন্ট মডারেশন প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে হবে, যাতে মিথ্যা তথ্য বা ভুয়া খবর দ্রুত বন্ধ করা যায়।
গণমাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ
• পাঠক বা দর্শকের মতামত: গণমাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পাঠক বা দর্শকদের মতামত প্রকাশের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা সংবাদকর্মীদের কাজের প্রতি তাদের মূল্যায়ন জানাতে পারে।
• গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা: গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতা, স্বাধীনতা ও নৈতিকতা বজায় রাখতে গণমাধ্যমকর্মীদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করতে হবে।
এ ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং শক্তিশালী ভূমিকা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ। তিনি বলেন, সংবাদপত্রকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করার জন্য এ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সংবাদ প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকদের কাজের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের সম্পাদকীয় নীতিমালা নেই। সারা দেশে সম্পাদকীয় মান অভিন্ন ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড থাকা উচিত, সব প্রতিষ্ঠান মেনে চলবে ন্যূনতম সাংবাদিকতার নৈতিকতার দিকগুলো- সেরকম কোন কিছু নেই। সেটার জন্য আমরা সম্পাদক পরিষদকে বলেছি।
কমিশন প্রধান বলেন, আমাদের দেশে একই মিডিয়া হাউসকে টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল, প্রিন্ট ভার্সন বা অনলাইন রেডিওর অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফলে একই খবর ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এতে পাঠক ভিন্ন কোন মত বা বৈচিত্র পাচ্ছেন না। এগুলোর সমাধান আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আপনারা আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত mrc.portal.gov.bd এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত বা সুপারিশ কমিশনের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। আপনাদের প্রেরিত মতামত বিবেচনা করে কিভাবে গণমাধ্যমে সংস্কার আনা যায় এ বিষয়ে কমিশন সুপারিশ পেশ করবে।
এছাড়া, কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা সবুজ সহ চট্টগ্রাম পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. সাঈদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব
সংবাদমাধ্যমে কর্মরত আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। রোববার (৫ জানুয়ারি) ওই ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।
সাংবাদিকেরা হলেন- দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ডিবিসি নিউজের বার্তা প্রধান প্রণব সাহা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক ও সিইও এম শামসুর রহমান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বার্তা প্রধান মামুন আবদুল্লাহ ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট অনিমেষ কর, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. রুহুল আমিন রাসেল ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, দৈনিক খোলা কাগজের সিনিয়র রিপোর্টার জাফর আহমেদ (বর্তমানে বাংলানিউজে কর্মরত)।
এছাড়া দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক এমজি কিবরিয়া চৌধুরী, আমাদের সময় ডটকম ও আমাদের অর্থনীতির চিফ রিপোর্টার দীপক চৌধুরী, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ঝুমুর বারী, একুশে সংবাদ ডটকমের সম্পাদক জিয়াদুর রহমান, দৈনিক কালবেলার বিশেষ প্রতিনিধি আঙ্গুর নাহার মন্টি, মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, এস এ টিভির হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল, এস এ টিভির নির্বাহী পরিচালক রাশেদ কাঞ্চন, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার শাহনাজ সিদ্দিকী, একুশে টিভির সাংবাদিক রাশেদ চৌধুরী ও সমকালের সাংবাদিক রমা প্রসাদ।
এর আগে ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সেই সঙ্গে তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
ফারাবি হাফিজের সুসংবাদ দিয়ে শুরু নতুন বছর
বছরের শুরুতেই সুসংবাদ দিলেন জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপক ফারাবি হাফিজ। নতুন একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে দেশের স্বনামধন্য স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল২৪-এ দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় সংবাদ উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ফারাবি হাফিজ প্রায় ১৬ বছর যাবত সাংবাদিকতায় চ্যালেঞ্জ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়েছেন। প্রথমে তিনি সরকারি চাকরিতে নন-ক্যাডারে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি চাকরির ধরাবাঁধা নিয়মে তিনি স্বস্তি পাননি। তাই দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে অবদান রাখার প্রত্যয় নিয়ে তিনি সরকারি চাকরিকে বিদায় জানিয়ে গণমাধ্যমে পা রাখেন। এই যাত্রায় প্রথমে সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল দেশ টিভিতে ২০০৯ সালে ফুলটাইম রিপোর্টিংয়ে যোগ দেন। এরপর ২০০৯ সালে ক্যারিয়ারে ভিন্নতা আনেন। এটিএন নিউজে যোগ দেন সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে।
এরপর ২০১০ সালের শেষ দিকে সময় টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনায় যুক্ত হন। দুই বছরেরও বেশি সময় সেখানে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন। তারপর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪-এ টানা এক যুগেরও বেশি সময় কাটিয়ে দেন। এবার দেখছেন নতুন স্বপ্ন। ২০২৫ সালে নিজের ক্যারিয়ারের ভিন্নমাত্রার পালক যুক্ত করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন কোনো স্যাটেলাইট টিভির হাতেখড়ি হচ্ছে তার মাধ্যমে।
ফারাবি হাফিজ ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি। তার কণ্ঠের জাদুতে মোহাবিষ্ট করেছেন দেশ-বিদেশের কোটি কোটি দর্শক-শ্রোতাকে। বলা যায়, দেশীয় সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ উপস্থাপনায় জনপ্রিয়তার শীর্ষদের একজন তিনি।
সংবাদ উপস্থাপনায় কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফের রিপোর্টিং পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রজেক্টেও সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। ফারাবি জানান, পুরস্কার হিসেবে মানুষের ভালোবাসা অর্জনই তার কাছে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান।
এই সফল ব্যক্তিত্ব বলেন, পরিশ্রম করলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া যায়, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা ক’জন অর্জন করতে পারে! তাই আমি সবসময় মানুষকে সেবার মধ্যদিয়ে তাদের ভালোবাসা খুঁজি। নিজেকে সবসময় অপরিহার্য করে তৈরি করতে হয়, তাহলে আর ক্যারিয়ারের চিন্তা করতে হয় না।
ফারাবি হাফিজ স্কুল-কলেজ জীবন পার করেছেন তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। এখানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ সাংবাদিকতায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পছন্দের ক্যারিয়ারে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তৈরি করতে সম্পন্ন করেছেন অসংখ্য ছোট-বড় কোর্স। ক্যারিয়ার জীবনে যেসব তাকে এনে দিয়েছে একঝুড়ি সাফল্য। শিক্ষাজীবনে অসংখ্য গুণীজনের সান্নিধ্য পেয়েছেন তিনি। যারা তাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এক স্বর্ণখোচিত ব্যক্তিত্বের।
প্রসঙ্গত, ফারাবি হাফিজ ১৯৮৯ সালের ২ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে জন্মগ্রহণ করেছেন। বাবা শেখ মুজিবুর রহমান এবং মা শেখ সালেহা বেগম। পাঁচ ভাই-বোনের মাঝে তিনি চতুর্থ। তার চার বোন। একমাত্র ভাই হওয়ায় আদর পেয়েছেন পরিবারের সবার।