রাজধানী
দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে চান সজীব ওয়াজেদ জয়
দলের নেতা–কর্মীরা চাইলে বাংলাদেশে ফেরার এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব হাতে তুলে নেওয়ার কথা ভাববেন বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
গতকাল শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জয় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তাঁর মা দেশ ছেড়ে যেতে চাননি এবং বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান।
নিজের প্রধানমন্ত্রিত্বের শেষ দুই মেয়াদে শেখ হাসিনা অবসরে যেতে চেয়েছিলেন বলেও সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেন জয়। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর মায়ের আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
জয় বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) এক জায়গাতেই আছেন। তাঁর ভিসা বা আশ্রয় প্রার্থনা নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়।’
জয় এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে তাঁর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এখনো কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেননি। তিনি আসলেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান। সেটা হতে পারে রাজনীতিতে ফেরা অথবা অবসরের জন্য ফেরা। এটা তাঁর বাড়ি। তিনি সেখানে বড় হয়েছেন। এটাই তাঁর শেষ মেয়াদ হতো, তাঁর বয়স ৭৬ বছর। তিনি টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর গ্রামের বাড়িতে অবসরজীবন কাটাতে চান। ওটা তাঁর স্বপ্ন। তিনি বাংলাদেশের বাইরে কোথাও অবসরজীবন কাটাতে চান না।’
জয় দাবি করেন, তাঁর মা দেশের জন্য রাজনীতি করেছেন, ক্ষমতার জন্য নয়। জয় বলেন, ‘গত দুই মেয়াদেই তিনি অবসরে যেতে চেয়েছেন। এমনকি প্রতিটি নির্বাচনের আগে তিনি আমাকে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য জোরাজুরিও করেছেন। আমাদের পরিবারের কেউই ক্ষমতা বা রাজনীতির প্রতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন না।’
তখন মায়ের প্রস্তাবে সাড়া না দিলেও এখন দলের নেতৃত্ব দিতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জয় আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখন আমি এমনিতেই তা হয়ে গেছি। আমি কখনো এটা চাইনি। আমার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। কিন্তু যখনই আমি জানতে পারলাম, আমাদের দলের নেতারা হামলার শিকার হচ্ছেন, তাঁদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি বলেছি, তাঁদের হাত আমি ছেড়ে দিতে পারি না।’
শেখ হাসিনার ছেলে বলেন, ‘আমি আমার দলের অনেক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমাদের প্রায় সব মন্ত্রীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষের বাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে…এই পরিস্থিতিতে, যেটা দরকার আমি সেটাই করব। আওয়ামী লীগের এখনো লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে, রাতারাতি এটা গায়েব হয়ে যেতে পারে না।’
কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, কে হাল ধরবে
শেখ হাসিনা দেশে যে উন্নয়নকাজ করেছেন, তাতে যখন নির্বাচন হবে আওয়ামী লীগ জিততে পারবে বলে মনে করেন জয়। বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দলগুলোর একটি এবং নেতা–কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, কে দলের হাল ধরবেন।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘যদি আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাকে ফিরতে বলেন, আমি বিষয়টি ভেবে দেখব। এটা দলের সদস্যদের ওপর নির্ভর করছে। যদি দল চায় তিনি (শেখ হাসিনা) নেতা হন, তবে তিনি নেতা হবেন। আমরা পুরোপুরি গণতান্ত্রিক দল। কে তাদের দলের নেতৃত্ব দিতে চলেছেন, সেটা সম্পূর্ণরূপে দলের সদস্যদের ওপর নির্ভর করবে।’
এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলন, বিক্ষোভ, সংঘাত ও সহিংসতার মুখে গত সোমবার (৫ আগস্ট) দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা, সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
‘এতোগুলো পরিবার কী করে খাবে, কী করে চলবে?’
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অটোরিকশা চালকরা। সড়ক অবরোধ করে তারা আন্দোলন করছেন।
এসময় আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা বলেন, এতোগুলো পরিবার কী করে খাবে, কী করে চলবে? অটোরিকশা বন্ধ করে এতগুলো পরিবার কি সরকার চালাবে?।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকার সড়কে অটোরিকশা চালকদের অবরোধ, বন্ধ যান চলাচল
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অটোরিকশা চালকরা। সড়ক অবরোধ করে তারা আন্দোলন করছেন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁও, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, ডেমরা এলাকায় অটোরিকশা চালকরা সড়ক বন্ধ করে দেন।
গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আদালতের ওই নির্দেশনার পর পরের দিন বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রিকশাচালকরা ওইদিন কয়েক ঘণ্টা রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে আন্দোলন করেন। তাতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না কাল
নিয়মিত গ্যাস পাইপলাইন সংস্কারের কাজ করছে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গ্যাস পাবেন না ওই সব এলাকার গ্রাহকেরা।
আজ বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানিয়েছে তিতাস গ্যাস।
এতে বলা হয়, ইসলামবাগ, রহমতগঞ্জ, লালবাগ ডিপিডিসি উপকেন্দ্র–সংলগ্ন এলাকায়, লাকসাম বাজার, চান্দিরহাট এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। একই সময় আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকতে পারে। সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ফের ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এখনো থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপরই একপক্ষ আরেকপক্ষকে ধাওয়া করছেন, ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ধানমন্ডি জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার তারিক মোস্তফা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারামারি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে জরিমানা প্রায় কোটি টাকা, মামলা ২৭০৯
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ ৯৮ লাখ ৮৭; হাজার টাকা জরিমানা ও ২৭০৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ((১৪-১৫ নভেম্বর) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ৯৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত ২৭০৯টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও দুই দিনে অভিযানকালে ২৪৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৩টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।