জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সব মৃত্যু ও সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান কানাডার

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত সহিংসতা ও সব মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান সংকট সমাধানে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এগিয়ে যাওয়ার পথকে কানাডা সমর্থন করে। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতান্ত্রিক শাসনের পথ প্রশস্ত এবং শান্তি ফেরানোর পথে এটা প্রথম পদক্ষেপ।’
মেলানি জোলি বলেন, ‘পরিবর্তনের এই সময়ে কানাডা এমন এক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়; যেটা ধর্মীয় সংখ্যালঘু, তরুণ, নারী ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ সমাজের সব ক্ষেত্রের বৃহত্তর রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত।’
সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান পুর্নব্যক্ত করে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।’
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার চর্চা সমর্থন করা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট ও অন্যান্য যোগাযোগের উপায়গুলোয় প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মেলানি জোলি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, মৃত্যু ও সহিংসতার সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গত বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারে সদস্য ১৭ জন।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে আজ শনিবার এক্সে পোস্ট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি লিখেন, ‘সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকতে তিনি (ড. ইউনূস) যে আহ্বান জানিয়েছেন, সেটায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ার প্রচেষ্টায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে গতকাল যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি।

জাতীয়
৫ আগস্ট পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে সব পোশাকশিল্প কারখানা সাধারণ ছুটি হিসেবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি মালিকদের এই নির্দেশনা দেয়।
বিজিএমইএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার প্রতি বছর ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ সাধারণ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে। যদিও শ্রম আইন অনুযায়ী বছরের শুরুতে নির্ধারিত ১১ দিনের উৎসব ছুটির মধ্যে এই দিন অন্তর্ভুক্ত ছিল না, তবুও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ১১৮ এবং শ্রম বিধিমালা ২০১৫-এর বিধি ১১০ অনুযায়ী এই ছুটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে সংগঠনটি বিশেষভাবে দিনটি সাধারণ ছুটি হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতীয়
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব শাকিল আখতার

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সংযুক্ত) এস এম শাকিল আখতারকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। পদোন্নতির পর তাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে পদায়ন করা হয়েছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়। এরপর থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন সচিবের রুটিন দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
জাতীয়
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের তারিখ, সময় ও স্থান প্রকাশ

বহুল আলোচিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠের তারিখ, সময় ও স্থান প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (৩ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হবে।
পোস্টে বলা হয়, ছত্রিশ জুলাই—গত বছর এই দিনে পৃথিবী দেখেছিল এক অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান, যার ফলে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ফ্যাসিস্ট। বহু শহীদের রক্ত ও যোদ্ধাদের ত্যাগের পথ ধরে পুরো বাংলাদেশ এক হয়েছিল। পথে পথে ছিল উল্লাসমুখর জনতার জোয়ার। বাংলাদেশের বহু রাস্তায় আবেগাপ্লুত মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন। এক বছর পর আবার ফিরে এসেছে ছত্রিশ জুলাই। এই দিনে ঘোষিত হতে যাচ্ছে জাতির আকাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। এই উপলক্ষে সারা দিনব্যাপী আয়োজন থাকছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে।
পোস্টে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ৫ আগস্ট ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানসূচি যুক্ত করা হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, অনুষ্ঠান শুরু হবে বেলা ১১টায়। নানা অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় বিকেল ৫টায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। অনুষ্ঠানে সবশেষ আয়োজন হিসেবে রাত ৮টায় থাকছে আর্টসেল-এর গান।
অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় থাকছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আর সহযোগিতায় থাকছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
বিএনপিসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ঘোষণাপত্রের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো সম্মত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও লিখেন, ‘আগামী মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫ বিকেল পাঁচটায় গণ-অভ্যুত্থানের সকল পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।’
কাফি
জাতীয়
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী শমশের আলী মারা গেছেন

বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য, প্রফেসর এমিরেটাস ড. এম শমশের আলী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
শমশের আলীর বড় ছেলে জেহান আলী তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাদ জোহর ধানমণ্ডির ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান মসজিদে জানাজা হবে। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির প্রাক্তন সভাপতি শমশের আলী ১৯৩৭ সালের ২১ নভেম্বর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে যশোর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্টিক পাস করেন। ১৯৫৬ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে। ১৯৫৯ সালে শ্রেষ্ঠত্বের সঙ্গে অনার্স ও ১৯৬০ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬১ সালে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন। ১৯৬৫ সালে সেই ম্যানচেস্টার থেকেই থিওরেটিক্যাল নিউক্লিয়ার ফিজিক্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৬১ সালে পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগদানের মাধ্যমে শমশের আলীর কর্মজীবন শুরু হয়। পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করার পর ১৯৬৫ সালে দেশে ফিরে এসে তিনি ঢাকায় আণবিক শক্তি কেন্দ্রে সিনিয়র সায়িন্টিফিক অফিসার হিসেবে যোগ দেন। কর্মদক্ষতার জন্য তিনি ১৯৭০ সালে অত্যন্ত অল্প বয়সে আণবিক শক্তি কমিশনের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা স্পেশাল সাইটেশনের মাধ্যমে শমসের আলীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনারারি প্রফেসর অব ফিজিক্স করে তাকে একটা বিরল সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৮২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন।
এর মধ্যে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সাল থেকে ২০১০ সাল সময় পর্যন্ত সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন অধ্যাপক শমসের আলী।
অধ্যাপক এম শমশের আলী গত ২৪ মার্চ বাউবির প্রফেসর ইমেরিটাস পদে তার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করেন।
জাতীয়
শতকোটি টাকা নিয়ে পালালো ফ্লাইট এক্সপার্ট

বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফরম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’। তাদের অফিস বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ওয়েবসাইট হারিয়ে গেছে। বহু এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্টে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
ফ্লাইট এক্সপার্টের সেলস ডিপার্টমেন্টের একজন মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘গত রাতেই আমাদের মালিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আমরা এখন মতিঝিল থানায় যাচ্ছি।’
এদিকে ফ্লাইট এক্সপার্টের সিওও সালমান তাদের অফিসের অভ্যন্তরীণ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখেছেন, সাঈদ, হোসাইন এবং সাকিব তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
তারা খুব সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করে গত বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে এসব দোষ তার (সালমানের) ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল এবং সালমানকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। আজ সকালে তারা ৩ কোটি টাকা বা তার কম টাকা তুলে নিয়েছেন এবং তা নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন। এর ফলস্বরূপ, কম্পানিটি এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
সালমান আরো জানিয়েছেন যে, তার দিকে আসা হুমকি এবং দোষারোপের কারণে নিজেকে রক্ষা করার জন্য তিনি ছুটি নিয়েছেন। এই পরিস্থিতির জন্য তিনি দুঃখিত এবং বলেছেন যে এভাবে চলে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না।
এদিকে ফেসবুকে অনেকেই লিখেছেন, ফ্লাইট এক্সপার্ট মালিক গতরাতেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ফ্লাইট এক্সপার্টের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গিয়ে দেখা গেছে, তাদের সর্বশেষ পোস্ট ছিল হজ নিয়ে। সেই পোস্টে হজ ২০২৬-এর রেজিস্ট্রেশন শুরু জানিয়ে হজ প্যাকেজের মূল্য ছাড়া হয়েছে।
জয়িতা আফ্রিন নামে একজন প্রশ্ন করে লিখেছেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের মতো ট্রাস্টেড কম্পানি যদি দেশ থেকে পালিয়ে যায় তাহলে আর কাকে বিশ্বাস করব?
ফ্লাইট এক্সপার্ট ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। তখন একটি লঞ্চ ইভেন্টের মাধ্যমে তাদের প্ল্যাটফরম চালু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি খুব দ্রুত বাংলাদেশের অনলাইন ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে একটি প্রভাবশালী নাম হয়ে ওঠে। তখন তারা দেশের ফ্লাইট টিকেটিং শিল্পে একটি বড় জায়গা দখল করে নেয়।
প্রতিষ্ঠানটি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ট্যুর প্যাকেজ এবং ভিসা প্রক্রিয়াকরণের মতো নানা ধরনের সেবা দিত। বিশেষ করে, সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্লাইট টিকিট বুক করার সহজ সুবিধার কারণে এটি গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার, ডিসকাউন্ট এবং সহজে পেমেন্টের ব্যবস্থা থাকায় এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।