আন্তর্জাতিক
ড. ইউনূসকে শুভকামনা জানালেন মোদী
![ড. ইউনূসকে শুভকামনা জানালেন মোদী ব্লক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Narendra-Modi.jpg)
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভকামনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী লিখেছেন, দ্রুত আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার আশা করছি। হিন্দুসহ অন্যান্য সব সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথাও বলেছেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও শান্তির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টার পর শপথ নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তাদের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানেও বাংলাদেশের ‘লক্ষণ’, বিঘ্ন ইন্টারনেট সেবা
![পাকিস্তানেও বাংলাদেশের ‘লক্ষণ’, বিঘ্ন ইন্টারনেট সেবা ব্লক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/internet-mobile1.jpg)
ইন্টারনেট ব্যবহারে বিঘ্ন ঘটছে পাকিস্তানে। দেশটিতে ইন্টারনেট সচল থাকলেও এর গতি কম। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে, কেন এমন হচ্ছে–এর কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি (পিটিএ)। দেশটিতে রাজনৈতিক উত্তেজনা চলছে, অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থা। এ অবস্থায় এভাবে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। দেশটিতে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না তো?
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রথমে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়। পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও। একপর্যায়ে চাপে পড়ে জুলাইয়ের শেষদিকে চালু হয় ইন্টারনেট। তবে, এর মধ্যেই আন্দোলন বাড়তে থাকে। একসময় সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়।
ছাত্র-জনতার সেই আন্দোলনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ছাড়তে হয় দেশ। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিনও বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল বলে উঠে এসেছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে।
সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে বলছে, পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের একটি বন্দরনগরীতে চালু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি নির্মাণে সরাসরি চীন যুক্ত। দুই দেশের অর্থনৈতিক করিডরের অংশ হিসেবেই এটি বানানো হয়েছে। কিন্তু এই এলাকার অনেকেই প্রকল্পটির বিরোধিতা করছেন। সম্প্রতি এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখা গেছে।
এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানবাধিকার সংস্থা বেলুচ ইয়াকজেহতি কমিটি (বিওয়াইসি) বলছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয়দের সম্পদ নষ্ট করা হয়েছে। নিজেদের অর্থনীতি ধ্বংসের পায়তারা চলছে। এ ছাড়া বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে সরকার। এ জন্য সবাই রাস্তায় নেমেছে।
বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটাসহ বিভিন্ন এলাকায় গত জুলাই থেকেই রাস্তায় নামছে জনতা। সংবাদমাধ্যম দ্য পিনাকল গ্যাজেট বলছে, এই জনতার ওপর নিরাপত্তাকর্মীরা বেশ কয়েকবার চড়াও হয়েছে বলে অভিযোগ। গুলিতে নিহত হয়েছে অন্তত ৯ জন। তবে, এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে প্রশাসন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলছেন, এই আন্দোলনে দুষ্কৃতিকারীরা জড়িত।
এদিকে, ডন ও জিও নিউজসহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশটিতে গতির কারণে গ্রাহকদের ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে কিছু অঞ্চলে মোবাইল ডেটা ব্যবহার করার সময় বেশি সমস্যা হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যাঘাতে শুধু নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে না, বরং অর্থনৈতিক ক্ষতিও হচ্ছে ব্যাপক। এ কারণে ই-কমার্স এবং রাইড শেয়ার পরিষেবাসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন ব্যবসা সীমিত হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তান সরকার জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ব্লক করে। কিন্তু ব্যবহারকারীরা এখনো ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ছাড়া এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ব্যবহার করতে পারছে না।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান অবজারভার জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের বিভ্রাটের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এতে ব্যক্তি এবং ব্যবসা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নেটিজেনরা বলছেন, সরকার ইন্টারনেট বিভ্রাট ঘটিয়ে কেবল যোগাযোগকে বাধা দিচ্ছে না। তারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে।
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেবায় বিঘ্ন ঘটার বিষয়ে মুখে যেন কুলুপ এঁটেছে পাকিস্তান সরকার। দেশটির টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (পিটিএ) কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ক্ষমতাচ্যুত হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
![ক্ষমতাচ্যুত হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ব্লক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/gg.jpg)
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি আদালত রায় দিয়েছে তিনি সংবিধান ভঙ্গ করেছেন। এ কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। আদালতের এমন রায়ের কারণে আরও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল থাইল্যান্ড।
এই একই আদালত গত সপ্তাহে দেশটির জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল প্রোগ্রেসিভ মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিকে নিষিদ্ধ করে দেয়। অথচ দলটি গত বছরের সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পায়। এছাড়া দলটির নেতাদের রাজনীতি থেকে ১০ বছর নিষিদ্ধও করা হয়।
ব্যাংককের সংবিধান আদালত তার রায়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন একজন জেলখাটা আইনজীবীকে সরকারের দায়িত্বে নিয়োগ করে নৈতিকতা ভঙ্গ করেছেন।
আদালতের ৯ বিচারকের মধ্যে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। তারা বলেছেন, তিনি জেনেশুনে একজন নীতি নৈতিকতাহীন ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন।
এখন দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। ক্ষমতাসীন ফিউ থাইয়ের নেতৃত্বাধীন জোট ফের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নতুন প্রার্থী দেবে। যিনি সংসদের ৫০০ সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।
গত বছরের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন স্রেথা। এরমাধ্যমে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান হয়েছিল। কিন্তু তার ফিউ থাই পার্টিকে সেনাবাহিনীর মনোনিত প্রার্থীদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে হয়েছিল।
স্রেথার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে আদালত আজকে এই রায় দিয়েছে; এই অভিযোগটি আদালতে করেছিলেন সেনাবাহিনীর নিয়োগকৃত ৪০ জন সিনেটর। পিচিট চুয়েনবান নামের যে আইনজীবীকে সরকারে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কাছের লোক ছিলেন।
পিচিট চুয়েনবান ২০০৮ সালে জমি সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জমি সংক্রান্ত মামলাটিতে থাকসিন সিনাওয়াত্রাও জড়িত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, ভারতে দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে
![ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, ভারতে দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে ব্লক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/09/154301HILSA.jpg)
সুস্বাদু মাছ ইলিশের মৌসুম চলছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ ‘উপহার’ যাওয়াটা ছিল অনেকটাই নিশ্চিত। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অবস্থার বদল হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে মাছ রপ্তানি বন্ধ। এমন অবস্থায় ভারতের বাজারে এই মাছটির দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আবার অবৈধপথে ভারতে যাওয়া কিছু মাছ আবার বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
এছাড়া শুধু ইলিশ নয়, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে ভারতের বাজারে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার জনপ্রিয় মাছের বাজারগুলোতে চলতি বর্ষায় ‘বেস্ট সেলার’ পদ্মা নদীর ইলিশের সংকটে পড়েছে। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। তবে এই মাছটি সীমান্তের অপর পাশে পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের মানুষের কাছে হট ফেভারিট।
এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া ইলিশের সিংহভাগই পেয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়া দুর্গা পূজাকে ঘিরে সুস্বাদু এই মাছের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও ইলিশ মাছটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিখ্যাত ইলিশ কূটনীতির অংশ হিসাবে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভারতে বার্ষিক ইলিশ রপ্তানির সুবিধা দিতেন। ২০১২ সাল থেকে অন্যান্য দেশে রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ভারতে মাছ বিক্রির অনুমতি দিতো হাসিনার সরকার।
এনডিটিভি বলছে, পশ্চিমবঙ্গের পরে ইলিশ সরবরাহের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়েছে ত্রিপুরা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটি পদ্মার ইলিশের প্রধান ক্রেতা এবং সেখানে সুস্বাদু এই খাবারের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের জেরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল না হওয়ায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।
ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক অজয় সাহাই গত সপ্তাহে বলেছিলেন: বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটের কারণে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমরা অনুমান করছি। আমরা প্রতিদিন বাংলাদেশে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সরে দাঁড়াচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী
![সরে দাঁড়াচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ব্লক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/08/Kishida.jpg)
ক্ষমতাসীন দলের নেতা হিসেবে আর থাকছেন না জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সেপ্টেম্বরে দলের নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না। তার মানে হলো খুব দ্রুতই নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে জাপান।
বুধবার (১৪ আগস্ট) জাপানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা হিসেবে আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না তিনি। বিভিন্ন কারণে তার প্রতি সমর্থন কমেছে ব্যাপকভাবে।
তারপরে যিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তাকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এর মধ্যে রয়েছে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য আগমন।
আগামী নিম্নকক্ষের নির্বাচন নিয়ে এলডিপির মধ্যেই উদ্বেগ রয়েছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে কিশিদা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেন। তিনি হতে যাচ্ছেন জাপানের যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে দীর্ঘ আট প্রধানমন্ত্রীর একজন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আদানিকে বিমানবন্দর দেওয়া নিয়ে কেনিয়ায় ধর্মঘট
![আদানিকে বিমানবন্দর দেওয়া নিয়ে কেনিয়ায় ধর্মঘট ব্লক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/adani-1.jpg)
আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর নির্মাণ ও উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানি। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেনিয়ার বিমানবন্দর কর্মচারী ইউনিয়ন। খবর ডয়েচে ভেলের।
কেনিয়ার এভিয়েশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের দাবি, আদানি এয়ারপোর্টস হোল্ডিংসের সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বিদেশ থেকে কর্মী আনা হবে। এর ফলে অনেক কেনিয়ান চাকরি হারাবেন। তাই তারা সাত দিনের নোটিশ দিয়ে ধর্মঘটে যাচ্ছে। তাদের মতে, সরকার জেকেআইএ বিমানবন্দরকে বেআইনিভাবে বেচতে চাইছে।
কেনিয়ার সরকার জানায়, বিমানবন্দর বেচে দেওয়া হচ্ছে না। প্রস্তাবিত পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের উন্নয়নের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আদানির পক্ষ থেকে কোনও মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কেনিয়ার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মস এনডিয়েমা বলেছেন, আদানির সঙ্গে চুক্তি পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। তার দাবি, কেনিয়া এয়ারপোর্টস অথরিটির (কেএএ) পুরো বোর্ডকে ইস্তফা দিতে হবে।
কেএএ জানিয়েছে, তারা ধর্মঘটের নোটিশ পেয়েছে। তবে তারা আশাবাদী যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান হবে। কর্তৃপক্ষ জানায়, আদানি গোষ্ঠী দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরি ও যাত্রীদের জন্য টার্মিনাল উন্নয়ন করতে চায়।
সরকার গত মাসে জানিয়েছে, জেকেআইএ বিমানবন্দরে বছরে ৭৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে যাত্রীসংখ্যা বেড়ে গেছে, তাই অবকাঠামোর উন্নতির প্রয়োজন।
জেকেআইএর আধুনিকীকরণের জন্য দুইশ কোটি ডলার প্রয়োজন। বর্তমান আর্থিক অবস্থায় এ অর্থ দেওয়া সরকারের পক্ষে কঠিন। সরকার বলেছে, আদানির প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। কোনও চুক্তি হলে দেশের স্বার্থ বজায় রাখা হবে।
গত জুনে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে তরুণরা আন্দোলনে নেমেছিল। সেই সময় আদানির সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও সমালোচিত হয়েছিল। গত মাসে বিক্ষোভকারীরা জেকেআইএতে ঢুকতে চেষ্টা করে, তবে পুলিশি বাধার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
এমআই