জাতীয়
শপথের পর যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। শপথ নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে তিনি জানান, নতুন বাংলাদেশ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।
নাহিদ আরও বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক নির্বাচন। তবে এর আগে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার প্রয়োজন।
এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। তারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ।
এদিকে ঢাকার বাহিরে অবস্থান করায় শপথ নিতে পারেননি সুপ্রদিপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায় এবং ফারুকী আযম।

জাতীয়
দেশে জঙ্গি নেই, মালয়েশিয়াফেরত ৩ জনের ভিসার মেয়াদ শেষ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের কোনো অবস্থান নেই। এখানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো তিনজনের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি।
রবিবার (৬ জুলাই) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে এসে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
মালয়েশিয়া থেকে বেশ কিছু জঙ্গি ধরা হয়েছে এবং বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আপনাদের বিভিন্ন সংস্থা থেকে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো জঙ্গি নেই এই টার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটা প্রেস রিলিজও দিয়েছে। মালয়েশিয়া থেকে তিনজন যারা আসছে তাদের মেইনলি ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। পুলিশের চিফ যেটা বলেছে ওই পাঁচজনের আসা হয়নি। তাদের সঙ্গে আমাদের সরকারি লেভেলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ইনভেস্টিগেশন করে দেখবো।
আপনারা বাংলাদেশে জঙ্গি খুঁজে পাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এদের (মালয়েশিয়ায় গ্রেফতারকৃতদের) কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
মালয়েশিয়ার আইজিপি বলছেন, গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশের আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সেখানকার আইজিপি কি বলেছেন সেটা আমি জানি না। ওখান থেকে আমরা একটা মেসেজ পেয়েছি, সরকারি লেভেলের কোনো অফিসিয়াল মেসেজ পাই নাই। আমরা যে মেসেজটা পেয়েছি সেটাও কিন্তু একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের যে অবস্থান, এখন কি মনে হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের কোনো অবস্থান নেই। এখানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই। আপনাদের (গণমাধ্যম কর্মীদের) সহযোগিতায় জঙ্গিবাদ নির্মূল করে দেওয়া হয়েছে। গত দশ মাসে আপনারা কোন জঙ্গিবাদের ইনফরমেশন দিতে পেরেছেন? আগে জঙ্গি ছিল আপনারা ইনফরমেশন দিয়েছেন। এখন নেই আপনারা ইনফরমেশন দেন না।
বিভিন্ন দেশ থেকে যে কথাগুলো আসছে বাংলাদেশের ওপর কোন ধরনের তকমা লাগানোর থ্রেট কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপনাদের ভালো বলতে পারবে।
আজকের পরিদর্শন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের অধীনে শাকসবজি ফলমূল এখান থেকে এক্সপোর্ট করা হয়। এগুলো কীভাবে এক্সপোর্ট করা হয় সেগুলো পরিদর্শনে এসেছিলাম। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে এনবিআরের একটা সমস্যা ছিল ওই সমস্যায় আমাদের সবজি ও ফলমূলও বিদেশে এক্সপোর্ট করতে সমস্যা হয়েছিল। আমাদের যারা এসেছিলেন সেসময় তাদেরও কিছু ক্ষতি হয়েছিল। যেহেতু আমাদের এক্সপোর্ট আগে থেকে বেরিয়ে গেছে সেহেতু যে কোল্ড স্টোরেজ আছে সেই কোল্ড স্টোরেজটা আরো বড় করতে হবে। আপনাদের জন্য সুখবর হলো আমাদের যে নতুন এক্সপোর্ট টার্মিনাল করা হচ্ছে ওই টার্মিনালে একটা বড় সুবিধা থাকবে সেটা হলো স্ক্যানিং হওয়ার পর বিমানে মাল না যেতে পারে তখন কোল্ড স্টোরেজে রেখে দেওয়া হবে। আর এখানেও কোল্ড স্টোরেজটাও আমরা আর একটু বড় করে দিতে চাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন পণ্য যাতে এক্সপোর্ট করতে পারি এবং কীভাবে এক্সপোর্ট বৃদ্ধি করা যাই সেই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা হচ্ছে।
জাতীয়
শাহজালালের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে এসেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ পরিদর্শনে আসেন তিনি।
এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করবেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও এদিন তিনি উত্তরা পূর্ব থানা পরিদর্শন করবেন বলেও জানা গেছে।
জাতীয়
হোসেনি দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শোক ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকায় শুরু হয়েছে তাজিয়া মিছিল।
রবিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টার পরে ঐতিহাসিক হোসেনি দালান ইমামবাড়া থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মিছিল শুরু হয়। চারশ বছরের পুরনো এই ইমামবাড়ায় ভোর থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারও মুসলিম জড়ো হতে থাকেন।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই কালো পোশাক পরিধান করেছেন, যা শোক প্রকাশের প্রতীক। অনেকের হাতে প্রতীকী ছুরি, আলাম, নিশান, বেস্তা ও বইলালাম- যা কারবালার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পরিবেশ ছিল ভারাক্রান্ত ও আবেগঘন। ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ ধ্বনিতে রাজধানীর বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। শোকযাত্রাটি আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউ মার্কেট, সায়েন্সল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মিছিলে অংশ নিতে আসা মহব্বত বলেন, এই দিনটি আমাদের জন্য বেদনার। ইমাম হোসেন ও তার পরিবারকে যেভাবে কারবালার প্রান্তরে শহীদ করা হয়েছিল, সেটি আমরা কখনো ভুলতে পারি না। প্রতিবছর আমি এই মিছিলে অংশগ্রহণ করি, যেন নিজেকে তাদের সেই ত্যাগের সঙ্গে একাত্ম করতে পারি।
তাজিয়া মিছিল নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। হোসেনি দালান ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, সোয়াট, অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্য।
পবিত্র আশুরা ইসলামের ইতিহাসে এক শোকাবহ দিন। হিজরি ৬১ সালের ১০ মুহাররম কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (আ.) ও তার পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে শহীদ হন। সেই ঘটনাকে স্মরণ করেই প্রতিবছর আশুরার দিন তাজিয়া মিছিল আয়োজন করে থাকেন শিয়া মুসলিমরা।
জাতীয়
ছুটির দিনে ‘সহনীয়’ ঢাকার বাতাস

পবিত্র আশুরা আজ। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটি রয়েছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও কম। ফলে মাঝারি বা সহনীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকার বায়ু।
বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে উগান্ডার কামপালা। অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকা রয়েছে ১২ নম্বরে।
রোববার (৬ জুলাই) সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
দূষণ তালিকায় শীর্ষে থাকা কামপালার স্কোর ১৭২ অর্থাৎ সেখানকারবাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাহরাইনের মানামা।
অন্যদিকে, ১২ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। এই শহরটির দূষণ স্কোর ৯০ অর্থাৎ এখানকার বাতাস মাঝারি বা সহনীয় অবস্থানে রয়েছে।
স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
জাতীয়
আজ পবিত্র আশুরা

আজ ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে শোকের এ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়ে থাকে। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল এ দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
৬১ হিজরির এই দিনে ফোরাত নদীর তীরবর্তী কারবালার প্রান্তরে শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমার (রা.) পুত্র। হজরত আলীর মৃত্যুর পর খলিফা হন হজরত মুয়াবিয়া (রা.)। জীবদ্দশাতেই তিনি পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন।
তবে ইয়াজিদের কাছে বায়াত নিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম হোসেন (রা.)। প্রতিবাদে মদিনা ছেড়ে কুফায় হিজরতের জন্য যাত্রা করেন তিনি। পরে কারবালা ময়দানে সঙ্গীদের নিয়ে যাত্রাবিরতি করেন। ইমাম হোসেন (রা.) ও তার অনুসারীদের আটক করে মদিনায় ফিরিয়ে নিতে ইয়াজিদের নির্দেশে উমর ইবনে সাদ বিন আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে।
আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ইমাম হোসেনের শিবিরে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা। পানির অভাবে কাফেলার নারী-শিশুরা তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেও ইমাম হোসেন আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানান। ১০ মহররম অবরোধের বিরুদ্ধে অসম এক যুদ্ধে ইমাম হোসেন ও তার ৭২ সঙ্গী শহীদ হন। শিমার ইবনে জিলজুশান কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হোসেনকে হত্যা করে।
ইসলাম ধর্মমতে, ১০ মহররম আশুরার দিনেই কেয়ামত হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এই দিনে রোজা রাখতেন।
কারবালার শোকাবহ স্মরণ ছাড়াও মুসলমানদের কাছে ১০ মহররম গুরুত্বপূর্ণ দিন। শিয়া মতাবলম্বীরা ইমাম হোসেনের শোকে এ দিনে মাতম করেন। আজ রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তাজিয়া মিছিল হবে।
আশুরা উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পবিত্র আশুরা জুলুম ও অবিচারের বিপরীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় মানবজাতিকে শক্তি ও সাহস জোগাবে। তিনি সমাজে সাম্য, ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম উম্মার ঐক্য, সংহতি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেন।