জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ সদস্যের নাম প্রকাশ

কিছু সময় পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন হতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্য হিসেবে কারা থাকছেন, তা নিয়ে গত দুদিন ধরে জনমনে কৌতূহলের শেষ নেই। অবশেষে আজ (বৃহস্পতিবার) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্ভাব্য সেই ১৭ সদস্যের নাম প্রকাশ্যে এসেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সম্ভাব্য সেই তালিকা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো—
প্রধান উপদেষ্টা : ড. মুহাম্মদ ইউনূস
উপদেষ্টা:
১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. ড. আসিফ নজরুল
৩. আদিলুর রহমান খান
৪. হাসান আরিফ
৫. তৌহিদ হোসেন
৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান
৭. মো. নাহিদ ইসলাম
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন-
১০. সুপ্রদিপ চাকমা
১১. ফরিদা আখতার
১২. বিধান রঞ্জন রায়
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান
১৪. নুরজাহান বেগম
১৫. শারমিন মুরশিদ
১৬. ফারুকী আযম
এর আগে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ইউনূসকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ একটা বড় পরিবার। এই পরিবারে আমরা একসঙ্গে চলতে চাই। আমাদের সঙ্গে দ্বিধাদ্বন্দ্ব যা আছে সরিয়ে ফেলতে চাই। যারা বিপথে গেছে তাদের পথে আনতে চাই। যাতে করে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।
জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাকবেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এই কাজগুলো করছে গণপূর্ত অধিদফতর (পিডব্লিউডি)।
তবে যমুনা ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন।
এর আগে, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।

জাতীয়
একদিনে করোনায় ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে, সবশেষ গত ৫ জুন একজনের মৃত্যু হয়েছিল। শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপরীতে ৫ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনা থেকে তিনজন সুস্থ হয়েছেন।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জন। এরমধ্যে ২৯ হাজার ৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
কাফি
জাতীয়
ইরানে হামলায় বাংলাদেশের নিন্দা

ইরানে দখলদার ইসরায়েলের ভয়াবহ সামরিক হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (১৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায়।
এতে বলা হয়, এ হামলা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তির ওপর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এর প্রভাব হতে পারে সুদূরপ্রসারী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদেশ এ ঘটনায় সকল পক্ষকে সংযত থাকার এবং উত্তেজনা বাড়ায়-এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।
একইসঙ্গে কূটনৈতিক উপায়ে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে এরই মধ্যে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় পাঁচ দফা হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া হামলায় ইরানের অন্তত ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছে। তারা হলেন ফেরেয়দুন আব্বাসি, মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি, আব্দুলহামিদ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জোলফাঘারি ও আমিরহোসেইন ফেকহি। ষষ্ঠ জনের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
ইসরাইলের সামরিক অভিযানের পর পাল্টা প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইহুদিবাদী সরকার আমাদের প্রিয় দেশের বুকে তার রক্তাক্ত ও কলুষিত হাত বিস্তার করেছে, আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে আগের থেকেও স্পষ্টভাবে তার বর্বর স্বভাব প্রকাশ করেছে। এর জন্য তাদের কঠিন শাস্তি ভোগ করতেই হবে।
তিনি বলেন, এই হামলার মাধ্যমে ইহুদিবাদীরা নিজেদের জন্য এক তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক পরিণতি ডেকে এনেছে এবং তা তাদের ভোগ করতেই হবে।
কাফি
জাতীয়
ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৫৯

গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে ৫ জোনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ১৫৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২৪ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে।
শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চলতি বছর এ পর্যন্ত এটি এক দিনে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গুতে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। সবমিলিয়ে চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১ জন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ১১ জন। চলতি বছরের ১৩ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন।এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
জাতীয়
রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন যে, যদি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা যায়, তাহলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের পর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে, ওই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
এর আগে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এই বৈঠক শুরু হয়।
তারেক রহমান হোটেলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রেস সচিব শফিকুল আলম সহ অন্যান্যরা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলের উদ্ধৃতি দিয়ে সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির জানান, তারেক রহমান বাসা থেকে রওনা হওয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।
জাতীয়
ডেঙ্গু-করোনার প্রকোপ: জ্বর হলে অবহেলা নয়

বাংলাদেশে ডেঙ্গু ও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে, যা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ রূপ নেওয়া বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস ফের নতুন রূপে ফিরে আসায় দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বাড়তি সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। একইসাথে দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
করোনা ও ডেঙ্গুর বর্তমান চিত্র
দীর্ঘদিন পর গত বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দেশে নতুন করে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ২৯ হাজার ৫০০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা সংক্রমণের হার এখন আবার ঊর্ধ্বমুখী। দেশে এ পর্যন্ত মোট ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে, বুধবার (১১ জুন) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে সর্বোচ্চ ২৮৮ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের ১২ জুন পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার ৪১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এবং একই সময়ে মোট ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত বছরের ১২ জুন পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল তিন হাজার ১৫০ জন এবং মারা গিয়েছিল ৩৯ জন। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
সরকারের সতর্কতা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা, মেট্রোরেল ভ্রমণে মাস্ক ব্যবহার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঁচ দফা নির্দেশনা পালনের নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক আগমনী ইমিগ্রেশনের প্রবেশ পথে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম বসানো হয়েছে এবং থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হচ্ছে। টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে ভ্যাপসা গরম ডেঙ্গু বৃদ্ধির জন্য সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এছাড়া, ডেঙ্গু রোধে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর তৎপরতার অভাব এবং সরকারের প্রস্তুতির অভাবকেও বিশেষজ্ঞরা দায়ী করছেন।
বর্তমানে দেশে করোনা, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ভাইরাসজনিত জ্বর, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত জ্বর, টাইফয়েডের কারণে জ্বর ইত্যাদি চলমান আছে। ফলে বয়স্ক মানুষ, দীর্ঘমেয়াদী জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষ, শিশু, গর্ভবতী নারী এবং যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারাই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাই এই সময়ে কারও জ্বর হলে কোনোভাবেই সেটাকে অবহেলা করা যাবে না। একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসা নিতে হবে।
হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “করোনা আবার বাড়তে শুরু করেছে। ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ভাইরাসজনিত জ্বর, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত জ্বর, পানিবাহিত সংক্রমণজনিত জ্বর (যেমন টাইফয়েড) ইত্যাদি চলমান রয়েছে। এগুলোর সঙ্গে করোনা যুক্ত হওয়াতে ভোগান্তি ও প্রাণহানির সম্ভবনা বেড়ে গেল।” তিনি আরও বলেন, “জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য জ্বরের ধরনটি শনাক্ত হওয়া জরুরি। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব করোনাসহ সব ধরনের জ্বরকে নিবিড় নজরদারিতে রাখা এবং জনসাধারণকে সময়ে সময়ে গাইড করা।”
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বর্তমান সময়ে জ্বর হলে করণীয় সম্পর্কে বলেন, “এই সময়ে কারও জ্বর হলে এবং জ্বর যদি সহনীয় পর্যায়ে থাকে তাহলে তিনদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। যদি জ্বর ঠিক হয়ে যায় তাহলে ভালো, আর যদি জ্বর না কমে বাড়তেই থাকে, তখন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসক লক্ষণ বুঝে বা পরীক্ষা করে পরামর্শ দেবেন।” তিনি আরও বলেন, “ভাইরাল জ্বর তিন দিন পর কমতে থাকে। কারও যদি প্রচণ্ড জ্বর থাকে তাহলে তিন দিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। দ্রুত তিনি যেন কোনো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেন।”
এই পরিস্থিতিতে আপনার বা আপনার পরিচিত কারো জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনার এলাকায় ডেঙ্গু বা করোনা প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, সে সম্পর্কে আপনি জানতে আগ্রহী?