অর্থনীতি
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পদত্যাগ করবেন গভর্নর
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পদত্যাগ করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এমন তথ্য জানিয়েছে গভর্নরের পরিবার সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
সূত্রটি জানায়, গত সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর এমনিতেই গভর্নরের মনের অবস্থা ভালো নেই। তারপর একজন ডেপুটি গভর্নরকে যে পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে, এতে তার মন আরও খারাপ হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি দ্রুত পদত্যাগ করতে চান। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হচ্ছে। তিনি নতুন সরকারের অপেক্ষায় আছেন। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পদত্যাগ করবেন।
সূত্র জানায়, ডেপুটি গভর্নরকে পদত্যাগ করানো, অন্য ডেপুটি গভর্নর ও দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করার পর যদি গভর্নর পদত্যাগ করে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শূন্যতা সৃষ্টি হবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে শূন্যতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা আর্থিক খাতের জন্য শুভ নয়। এ অবস্থায় তিনি নতুন সরকারের অপেক্ষায় আছেন। পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা চাচ্ছেন দ্রুত পদত্যাগপত্র জমা দিতে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তোড়ে গত সোমবার ( ৫ আগস্ট) সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরের দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অন্যান্য কর্মকর্তারা গেলেও গভর্নর যাননি। সে সময় ডেপুটি গভর্নর-১ কাজী সাইদুর রহমান জানিয়েছিলেন, গভর্নরের মানসিক অবস্থা ভালো নেই। তিনি আজ (৬ আগস্ট) ব্যাংকে আসবেন না।
সাইদুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় পাঁচ মাস ধরে সাংবাদিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকারের ওপর মহলের ওপর দায় চাপান। তিনি নতুন সরকারের অপেক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা তাকেই আগে পদত্যাগ ও সেনা প্রহরায় বাংলাদেশ ব্যাংক ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ‘গুড লিস্টে’ ছিলেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে অর্থ সচিব থাকাকালীন অর্থমন্ত্রী অসুস্থ থাকায় পুরো দুর্যোগকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থনীতি সামাল দিয়েছিলেন। মহামারি মোকাবিলায় প্রণোদনা বিতরণেও তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল। এ কারণে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ ছিল। পরে গভর্নর হওয়ার কারণে আর্থিক খাতে তার নিয়ন্ত্রণ আরও পোক্ত হয়। এ কারণে তিনি অন্য কর্মকর্তাদের কম পাত্তা দিতেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরের দিনই তিনি নিজের পরিস্থিতি টের পান। সেদিন থেকেই যাচ্ছেন না বাংলাদেশ ব্যাংকে।
এরই মধ্যে খবর ছড়ায় গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দেশ ছেড়েছেন। বুধবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা প্রথমেই গভর্নরের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের কাছের লোকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবি করেন। ডেপুটি গভর্নরের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনেন। তারা বলেন, এই গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকজনদের অনৈতিক, আইন বহির্ভূত সুবিধা দিয়েছেন। তাদের রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সুশাসন ফেরানো সম্ভব নয়। বিষয়টি গভর্নরের মন খারাপকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও দ্রুত পদত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গভর্নরের পরিবারের সূত্রটি জানায়, এ অবস্থায় তিনি নতুন সরকারের অপেক্ষায় আছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করবেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাজেট সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক
আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে এক সভায় তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন।
সভায় জ্বালানি উপদেষ্টা দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পরিস্থিতি তুলে ধরে এ খাতে বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তা প্রাপ্তির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এসময় গেইল মার্টিন জানান, বিশ্বব্যাংক বর্তমান সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে বাজেট সহায়তা দেয়া হতে পারে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাচার হওয়া অর্থ-সম্পদ ফেরতে যুক্তরাষ্ট্রকে যৌথ চিঠি
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অবৈধ সম্পদ জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ ও অর্থ ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-ইউএস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এজন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের কাছে যৌথ উদ্যোগে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থা দুটির প্রধানরা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে টিআইবি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের উদ্দেশ্যে প্রেরিত চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিকদের জবাবদিহি নিশ্চিত এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে বাংলাদেশ সরকারকে সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানান হয়েছে।
এর আগে, ৩০ আগস্ট যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশিদের অবৈধ সম্পদ ফ্রিজ ও অর্থ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল টিআইবি ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক চারটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা।
এছাড়া সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সবকটি দেশ, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ-সম্পদ ফেরত আনার উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়েছিল টিআইবি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেল ২২ প্রতিষ্ঠান
উপস্থাপিত সেরা বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং কর্পোরেট সুশাসনে ১৩ খাতে আইসিএবি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ২২ প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁও হোটেলে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন, ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীন। এছাড়া সেরা প্রতিবেদন নির্বাচন প্রক্রিয়া তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আইসিএবি’র রিভিউ কমিটি ফর পাবলিশড একাউন্টস এন্ড রিপোর্টস (আরসিপিএআর) এর চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির এফসিএ ও কো-চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জান।
২৪তম আইসিএবি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় ব্যাংক এশিয়া পিএসি ওভারঅল উনার নির্বাচিত হয়েছে। সেরা উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদন, সমন্বিত প্রতিবেদন এবং করপোরেট সুশাসন ডিসক্লোজারস এই তিন খাতে মোট ২২ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও ৮ প্রতিষ্ঠানকে ‘মেরিট’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জানা যায়, প্রতিযোগিতায় মনোনয়নের জন্য ৭৬ প্রতিষ্ঠান তাদের আর্থিক প্রতিবেদন ২০২৩ আইসিএবিতে জমা দেয়। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে প্রতিটি খাতে তিনটি সেরা প্রতিবেদন সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব একাউন্ট্যান্টসের (সাফা) প্রতিযোগিতায় মনোনয়নের জন্য প্রেরণ করা হবে।
আইসিএবি-বিপিএ পুরস্কারের বিজয়ী যারা
প্রাইভেট সেক্টর ব্যাংকস: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে গোল্ড পুরস্কার বিজয়ী এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি সিলভার এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস সেক্টর: আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড গোল্ড এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ম্যানুফ্যাকচারিং: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড গোল্ড, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি সিলভার এবং রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
পাওয়ার এন্ড এনার্জি সেক্টর: ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সিলভার পুরস্কার বিজয়ী।
ডাউভার্সিফাইড হোল্ডিংস: অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড/এসিআই লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
ইন্স্যুরেন্স (জেনারেল): গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গোল্ড, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড সিলভার এবং সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
ইন্স্যুরেন্স (লাইফ): ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
এনজিও/এনপিও: সাজিদা ফাউন্ডেশন সিলভার এবং শক্তি ফাউন্ডেশন ফর ডিসঅ্যাডভান্টেজড উইমেন ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
কমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি: রবি আজিয়াটা লিমিটেড গোল্ড, গ্রামীণফোন লিমিটেড সিলভার এবং জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
সার্ভিস সেক্টর: ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী।
করপোরেট গভর্ন্যান্স ক্যাটাগরি: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি গোল্ড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি সিলভার এবং ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।
ইনটিগ্রেটে রিপোটিং ক্যাটাগরি: ব্যাংক এশিয়া পিএলসি এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি যৌথভাবে গোল্ড পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে, আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি সিলভার এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি ব্রোঞ্জ পুরস্কার বিজয়ী হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবছর নির্ধারিত নম্বর না পাওয়ায় পাবলিক সেক্টর ব্যাংক, ইনফ্রাস্ট্রাকচার এন্ড কনস্ট্রাকশন সেক্টর ও এগ্রিকালচার খাতে কোন পুরস্কার প্রদান করা হয়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ড. ইউনূসকে প্রধান করে অর্থনৈতিক পরিষদ গঠন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চেয়ারপারসন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) গঠন করা হয়েছে। এ পরিষদে সদস্য হিসেবে থাকছেন উপদেষ্টা পরিষদের সব সদস্য। এ পরিষদ গঠন করে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, পরিষদকে সহায়তাদানকারী কর্মকর্তা হিসেবে থাকছেন-মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব/সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবরা।
পরিষদের কার্যপরিধিতে বলা হয়, সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত নীতি ও কৌশল গ্রহণে দিক-নির্দেশনা দেওয়া; দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও কর্মপন্থা চূড়ান্তকরণ এবং অনুমোদন প্রদান; দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা; আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের দায়িত্ব পালনে সহায়ক বিবেচিত যে কোনো কমিটি গঠন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিষদের বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। পরিকল্পনা বিভাগ পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক আলোচনা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অংশ নেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসও। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এটাই হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের প্রথম বৈঠক, যা ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইউএসএআইডি ও বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের কর্মকর্তারা থাকবেন।
আন্তর্জাতিক অর্থবিষয়ক মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি সহকারী ব্রেন্ট নেইম্যান বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু আর্থিক খাতে গভীর সংস্কারের মধ্য দিয়ে দুর্নীতি কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চাইছে, সেহেতু আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের অব্যাহত সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিষয়টি বৈঠকে তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে ওয়াশিংটন।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা করতে পারবে। তাছাড়া অব্যাহত প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিরভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী।
এমআই