পুঁজিবাজার
গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না এস আলমের ব্যাংক
নগদ অর্থের তীব্র সংকট ও নিরাপত্তাজনিত কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের সকল শাখা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জোনাল হেড কামাল উদ্দিন।
কামাল উদ্দিন বলেন, গতকাল কাজ করা সত্ত্বেও, ব্যাংকটি অত্যন্ত কম নগদ প্রবাহের সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা শঙ্কা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদ স্থানান্তরকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তাছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামের কেরানীহাটে একটি সহ ঢাকার কয়েকটি শাখায় হামলা বন্ধের আদেশকে প্ররোচিত করেছে। দেশব্যাপী সমস্ত শাখায় কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মাসুদের (এস আলম) নিয়ন্ত্রণাধীন সব ব্যাংকেই দীর্ঘদিন ধরে তীব্র তারল্য সংকট চলছে। বেনামী বিভিন্ন ঋণের মাধ্যমে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল টাকা সরিয়ে নিয়েছে। আমানতের বিপরীতে যে অনুপাতে ঋণ দেওয়ার কথা, প্রতিটি ব্যাংক তারচেয়ে বেশি অনুপাতে ঋণ দিয়েছে। আবার বিতরণকৃত ঋণের বড় অংশই খেলাপী।
তারল্য সংকটের কারণে এস আলমের ব্যাংকগুলো অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়েছে। সোমবার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর কর্তৃত্ব হারায় আওয়ামীলীগের সুবিধাভুগী সাইফুল আলম মাসুদ।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের রোষের কারণে এসআলমের ব্যাংকগুলোকে আর অন্যায্য ভাবে তারল্য সুবিধা দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ কারণেই আজ গ্রাহকদেরকে টাকা দিতে পারেনি ব্যাংকটি। আগামী দিনেও এমন অবস্থা হতে পারে বলে আশংকা করছেন অনেক গ্রাহক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জনসংযোগ প্রধান বসুনিয়া দাবি করেন, টাকার অভাবে তাদের কোনো শাখার কার্যক্রম বন্ধ হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
২০ কোটি টাকা ব্যয়ে হারবাল ডিভিশন নির্মাণ করবে নাভানা ফার্মা
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি নিজেদের উৎপাদন কেন্দ্রে হারবাল ডিভিশন বা ভেষজ বিভাগ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ১০ হাজার বর্গ ফুটের এই ভেষজ উৎপাদন বিভাগ তৈরি করবে কোম্পানিটি। এই হারবাল ডিভিশন কেন্দ্র নির্মাণে কোম্পানিটির ব্যয় হবে ২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। যা কোম্পানির অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক উৎস হতে বিনিয়োগ করা হবে।
এই বিভাগ নির্মাণের প্রথম বছর থেকে ৪০ কোটি টাকা আয় হবে বলে ধারণা করছে নাভানা ফার্মা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে পাঁচ বছরের মতো সময় লাগতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আয় বেড়েছে ফাইন ফুডসের
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফাইন ফুডস লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর’২৪-ডিসেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১৮ পয়সা। গত বছর একই সময় আয় হয়েছিলো ৩৬ পয়সা।
হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই,২৪-ডিসেম্বর,২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিলো ৩৮ পয়সা।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১২ টাকা ২৭ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৭ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৯১৫টি শেয়ার ৮২ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৭ কোটি ৪১ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ব্লকে সবচেয়ে বেশি রিলায়েন্স মিউচুয়াল ফান্ডের ৩ কোটি ৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ২৬ হাজার টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের ২ কোটি ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি গত ৩০ জুন,২০২৪ অর্থবছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রেরণ করেছে।
কোম্পানি দুটি হচ্ছে- জিপিএইচ ইস্পাত এবং জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে।
আলোচ্য অর্থবছরে জিপিএইচ ইস্পাত ১০ শতাংশ এবং জেএমআই সিরিঞ্জ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সম্পদ নিলামের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিলো এসএস স্টিল
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসএস স্টিল লিমিটেডের ১৬৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বকেয়া ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে এর সম্পদ নিলামে তুলছে ব্যাংক এশিয়া। সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত এমন সংবাদ সম্পর্কে ব্যাখ্যা চেয়ে কোম্পানিকে চিঠি পাঠায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এতে কোম্পানিটি ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে আর্থিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ডিএসইর চিঠির জবাব দিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ব্যাংক এশিয়া ১৬৮ কোটি টাকার ঋণ আদায়ের জন্য এসএস স্টিলের সম্পদ নিলাম করবে এমন সংবাদ প্রকাশের পর গত ১৪ জানুয়ারি কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠিয়ে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে। এতে কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্রকাশিত সংবাদটি কোম্পানি এবং ব্যাংক এশিয়ার মধ্যে চলমান আর্থিক বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত সেটি আমরা নিশ্চিত করছি। আমাদের আইন বিভাগ কোম্পানির সম্পদ এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য সক্রিয়ভাবে এই সমস্যাটি সমাধান করছে।
কোম্পানিটি আরও জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং চলমান জ্বালানি সংকটসহ অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তা কোম্পানি স্বীকার করে। এই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও, আমরা স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করেছি এবং আমাদের অংশীদারদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি। ২০২৪ অর্থবছর আমরা ২ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার একীভূত রাজস্ব অর্জন করেছি, যা আগের আর্থিক বছরের তুলনায় ৬২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। তবে এস. এস. স্টিল শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক এবং অন্যান্য অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রিপোর্ট অনুসারে, ব্যাংক এশিয়ার কাছে আনুমানিক ঋণের পরিমাণ ১৬৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। তবে, আমরা নিশ্চিত যে চলমান আলোচনা এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, এই বিষয়টির সমাধান কোম্পানির পরিচালনা ক্ষমতা বা আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণের ক্ষমতাকে বস্তুগতভাবে প্রভাবিত করবে না।
এসএম