জাতীয়
সেনাবাহিনীর সহায়তা পেতে যোগাযোগ করবেন যেসব নম্বরে

বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমাল ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সার্বিক নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড, হানাহানি ও প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হলে কাছের সেনাবাহিনী ক্যাম্পে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও গুজবে আতঙ্কিত হয়ে সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সহায়তা পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর
ঢাকার লালবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, আগারগাঁও, মহাখালী, তেজগাঁও, এলিফ্যান্ট রোড ও কাঁটাবন: ০১৭৬৯০৫১৮৩৮, ০১৭৬৯০৫১৮৩৯
ঢাকার গুলশান, বারিধারা, বনানী, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, শাহজাহানপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও বনশ্রী: ০১৭৬৯০১৩১০২, ০১৭৬৯০৫৩১৫৪
ঢাকার মিরপুর-১ থেকে মিরপুর-১৪, খিলক্ষেত, উত্তরা ও হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: ০১৭৬৯০২৪২১০, ০১৭৬৯০২৪২১১
ঢাকার মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, ইস্কাটন, রাজারবাগ, পল্টন, গুলিস্তান ও পুরান ঢাকা: ০১৭৬৯০৯২৪২৮, ০১৭৬৯০৯৫৪১৯
ঢাকা বিভাগ
মাদারীপুর: ০১৭৬৯০৭২১০২, ০১৭৬৯০৭২১০৩
কিশোরগঞ্জ: ০১৭৬৯১৯২৩৮২, ০১৭৬৯২০২৩৬৬
টাঙ্গাইল: ০১৭৬৯২১২৬৫১, ০১৭৬৯২১০৮৭০
গোপালগঞ্জ: ০১৭৬৯৫৫২৪৩৬, ০১৭৬৯৫৫২৪৪৮
রাজবাড়ী: ০১৭৬৯৫৫২৫১৪, ০১৭৬৯৫৫২৫২৮
গাজীপুর: ০১৭৮৫৩৪৯৮৪২, ০১৭৬৯০৯২১০৬
মুন্সিগঞ্জ: ০১৭৬৯০৮২৭৯৮, ০১৭৬৯০৮২৭৮৪
মানিকগঞ্জ: ০১৭৬৯০৯২৫৪০, ০১৭৬৯০৯২৫৪২
নারায়ণগঞ্জ: ০১৭৩২০৫১৮৫৮
নরসিংদী: ০১৭৬৯০৮২৭৬৬, ০১৭৬৯০৮২৭৭৮
শরীয়তপুর: ০১৭৬৯০৯৭৬৬০, ০১৭৬৯০৯৭৬৫৫
ফরিদপুর: ০১৭৬৯০৯২১০২, ০১৭৪২৯৬৬১৬২
চট্টগ্রাম বিভাগ
নোয়াখালী: ০১৬৪৪৪৬৬০৫১, ০১৭২৫০৩৮৬৭৭
চাঁদপুর: ০১৮১৫৪৪০৫৪৩, ০১৫৬৮৭৩৪৯৭৬
ফেনী: ০১৭৬৯৩৩৫৪৬১, ০১৭৬৯৩৩৫৪৩৪
লক্ষ্মীপুর: ০১৭২১৮২১০৯৬, ০১৭০৮৭৬২১১০
কুমিল্লা: ০১৩৩৪৬১৬১৫৯, ০১৩৩৪৬১৬১৬০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ০১৭৬৯৩২২৪৯১, ০১৭৬৯৩৩২৬০৯
কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা: ০১৭৬৯১০৭২৩১, ০১৭৬৯১০৭২৩২
চট্টগ্রাম (লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও সাতকানিয়া উপজেলা ব্যতীত): ০১৭৬৯২৪২০১২, ০১৭৬৯২৪২০১৪
ময়মনসিংহ বিভাগ
শেরপুর: ০১৭৬৯২০২৫১৬, ০১৭৬৯২০২৫২৪
নেত্রকোনা: ০১৭৬৯২০২৪৭৮, ০১৭৬৯২০২৪৪৮
জামালপুর: ০১৭৬৯১৯২৫৪৫, ০১৭৬৯১৯২৫৫০
ময়মনসিংহ: ০১৭৬৯২০৮১৫১, ০১৭৬৯২০৮১৬৫
খুলনা বিভাগ
বাগেরহাট: ০১৭৬৯০৭২৫১৪, ০১৭৬৯০৭২৫৩৬
কুষ্টিয়া: ০১৭৬৯৫৫২৩৬২, ০১৭৬৯৫৫২৩৬৬
চুয়াডাঙ্গা: ০১৭৬৯৫৫২৩৮০, ০১৭৬৯৫৫২৩৮২
মেহেরপুর: ০১৭৬৯৫৫২৩৯৮, ০২৪৭৯৯২১১৫৩
নড়াইল: ০১৭৬৯৫৫২৪৫৬, ০১৭৬৯৫৫২৪৫৭
মাগুরা: ০১৭৬৯৫৫৪৫০৫, ০১৭৬৯৫৫৪৫০৬
ঝিনাইদহ: ০১৭৬৯৫৫২১৫৮, ০১৭৬৯৫৫২১৭২
যশোর: ০১৭৬৯৫৫২৬১০, ০১৭৬৯০০৯২৪৫
খুলনা: ০১৭৬৯৫৫২৬১৬, ০১৭৬৯৫৫২৬১৮
সাতক্ষীরা: ০১৭৬৯৫৫২৫৩৬, ০১৭৬৯৫৫২৫৪৮
বরিশাল বিভাগ
বরিশাল: ০১৭৬৯০৭২৫৫৬, ০১৭৬৯০৭২৪৫৬
পটুয়াখালী: ০১৭৬৯০৭৩১২০, ০১৭৬৯০৭৩১২২
ঝালকাঠি: ০১৭৬৯০৭২১০৮, ০১৭৬৯০৭২১২২
পিরোজপুর: ০১৭৬৯০৭৮২৯৮, ০১৭৬৯০৭৮৩০৮
রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী: ০১৭৬৯১১২৩৮৬, ০১৭৬৯১১২৩৮৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ০১৭৬৯১১২০৭০, ০১৭৬৯১১২৩৭২
পাবনা: ০১৭৬৯১২২৪৭৮, ০১৭৬৯১১২৪৮০
সিরাজগঞ্জ: ০১৭৬৯১২২৪৬২, ০১৭৬৯১২২২৬৪
নাটোর: ০১৭৬৯১১২৪৪৬, ০১৭৬৯১১২৪৪৮
নওগাঁ: ০১৭৬৯১২২১১৫, ০১৭৬৯১২২১০৮
জয়পুরহাট: ০১৭৬৯১১২৬৩৪
বগুড়া: ০১৭৬৯১১২৫৯৪, ০১৭৬৯১১২১৭০
রংপুর বিভাগ
রংপুর: ০১৭৬৯৬৬২৫৫৪, ০১৭৬৯৬৬২৫১৬
দিনাজপুর: ০২৫৮৯৯২১৪০০, ০২৫৮৯৬৮২৪১৪
নীলফামারী: ০১৭৬৯৬৮২৫০২, ০১৭৬৯৬৮২৫১২
লালমনিরহাট: ০১৭৬৯৬৮২৩৬৬, ০১৭৬৯৬৮২৩৬২
কুড়িগ্রাম: ০১৭৬৯৬৬২৫৩৪, ০১৭৬৯৬৬২৫৩৬
ঠাকুরগাঁও: ০১৭৬৯৬৬৬০৬২, ০১৭৬৯৬৭২৬১৬
পঞ্চগড়: ০১৯৭৩০০০৬৬২, ০১৭৬৯৬৬২৬৬১
গাইবান্ধা: ০১৬১০৬৫২৫২৫, ০১৭৫৪৫৮৫৪৮৬
সিলেট বিভাগ
সিলেট: ০১৭৬৯১৭৭২৬৮, ০১৯৮৭৮৩৩৩০১
হবিগঞ্জ: ০১৭৬৯১৭২৫৯৬, ০১৭৬৯১৭২৬১৬
সুনামগঞ্জ: ০১৭৬৯১৭২৪২০, ০১৭৬৯১৭২৪৩০
মৌলভীবাজার: ০১৭৬৯১৭৫৬৮০, ০১৭৬৯১৭২৪০০
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
রাজধানীতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ

রাজধানীর বাড্ডার দক্ষিণ আনন্দ নগরের আনসার ক্যাম্পের পাশে একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
দগ্ধরা হলেন- তোফাজ্জল মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে তানিশা (৪), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (১১)। দগ্ধ তোফাজ্জল ঠাকুরগাঁও সদরের চিলা রং গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে ওই ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকেন।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. শরীফ বলেন, আমার প্রতিবেশী তোফাজ্জল মিয়া একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে লেবার হিসেবে কাজ করেন। রাতে রান্না করার সময় চুলায় দেয়াশলাই জ্বালানো মাত্রই ঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ হয়। এতে সে, তার স্ত্রী এবং তাদের তিন মেয়ে দগ্ধ হয়। পরে বিষয়টি আমরা জানতে পেরে দ্রুত তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রাতে বাড্ডা এলাকা থেকে গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে আমাদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেন শরীর ৮০ শতাংশ, তার স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম ৬৭ শতাংশ, তানজিলা ৬৬ শতাংশ, মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রাখা হয়েছে। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১ হাজার ৬৬২ জন

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১০৫৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন ৬০৪ জন।
শুক্রবার (১৬ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১০৫৮ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য ঘটনায় ৬০৪ জন। মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬৬২ জনকে।
অভিযানে একটি ওয়ান শুটারগানও (এলজি) উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তথ্য উপদেষ্টাকে বোতল নিক্ষেপ: ডিবি অফিসে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

রাজধানীর কাকরাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় একজনকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তার অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গত ১৪ মে রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি সেখানে অবস্থানরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপে বসেন। কিন্তু আলোচনা চলাকালে হঠাৎ এক পর্যায়ে তার দিকে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল ছুড়ে মারা হয়। উপস্থিত সবাই মুহূর্তেই হতভম্ব হয়ে যান, তবে সৌভাগ্যক্রমে উপদেষ্টা গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হননি।
ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বোতল ছোঁড়ার পরপরই এক তরুণ দ্রুত ভিড়ের মধ্যে মিশে যায়। তার মুখ আংশিক স্পষ্ট হওয়ায় শনাক্তকরণ কিছুটা সময়সাপেক্ষ হলেও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
উড্ডয়নকালে খুলে গেলো বিমানের চাকা, ঢাকায় অবতরণ

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর চাকা খুলে নিচে পড়ে যায় বিমানের। এসময় বিমানটিতে শিশুসহ মোট ৭১ জন যাত্রী ছিল। পরে তা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যাত্রীরা বিমান থেকে নিরাপদে নেমে এসেছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে ওড়ার পরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। পরে দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে। চাকার বিষয়টি কী হয়েছিল সেটি বিমানের ইঞ্জিনিয়াররা যাচাই-বাছাই করে দেখছেন।
যাত্রীরা নিরাপদে নেমে এসেছেন দাবি করে তিনি বলেন, এসময় বিমানটিতে পাইলটের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন বিল্লাল।
এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে বিজি ৪৩৬ (ড্যাশ ৮-৪০০) ফ্লাইটটি।
উড্ডয়নের পরপরই পাইলট ঢাকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) জানান, তিনি জরুরি অবতরণ করতে চাচ্ছেন। পাইলটের বার্তা পাওয়ার পরপরই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জরুরি অবতরণের প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুত রাখা হয় ফায়ার সার্ভিস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নিষিদ্ধ সংগঠনে জড়িত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এজাজ

হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একটি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন। জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তবে নিষিদ্ধ এই সংগঠনে জড়িতের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বর্তমান প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজেরর বিরুদ্ধে। সংগঠনটির প্রচারণা ও অর্থায়নের অভিযোগে তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) দুপুর ২টায় নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন তথ্য তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
ফেসবুকে পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরে যেন আরেকটি ছায়া সরকার পরিচালিত হচ্ছে, যার অগ্রভাগে রয়েছে অন্তত ৬ জন ব্যক্তি, বেশ সুকৌশলে এরা সরকারের ভেতর প্রবেশ করেছে। যেসব উপদেষ্টা বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে আপনারা হরহামেশাই মুখরোচক গল্প শুনে অভ্যস্ত তারা কেউই এসবের সাথে সংশ্লিষ্ট নেই। বরং আপনাদের কাছে ওইসব ছাইপাঁশ গল্প প্রচারই করা হয় সংশ্লিষ্টতা নেই এমন সব ব্যক্তিদের সামনে এনে বিতর্কিত করে আপনাদের ব্যস্ত রাখার জন্যে। উদ্দেশ্য ১৪ জনের বিশেষ দলটি বা ছোটন গ্যাং যেন নিভৃতে তাদের কুৎসিত উদ্দেশ্য সফল করতে পারে।
আজকে উন্মোচন করা হবে ছোটন গ্যাং এর অন্যতম সদস্য এবং সরকারের ভেতর চতুরতার সাথে স্থান করে নেয়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. এজাজের পরিচয়।
মো. এজাজ, নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের শীর্ষ নেতাদের একজন। তিনি ছাত্র জীবনে ইসলামি ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন, ২০০২ সাল থেকে হিজবুত তাহরীরের সাথে জড়িত হন। এই সংগঠনের কাজ করতে গিয়ে কমপক্ষে দু’বার গ্রেফতার হন তিনি।
২০১৪ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর ইস্যু করা সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি স্মারক পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ নামক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের তালিকায় এই মো. এজাজের অবস্থান ছিলো পঞ্চম। একই বছর নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির প্রচারণা ও অর্থায়নের অভিযোগে মো. এজাজ সহ আরো আটজ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(১)(ক)(৩)/২৫/ঘ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় কিছুদিন আটক থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও একই নিষিদ্ধ সংগঠনের সাথে তৎপর থাকে এজাজ।
৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১০ নভেম্বর ২০২৪ এজাজ সহ তার অন্য সহযোগীদের মামলা থেকে খালাস প্রদান করা হয়। মো. এজাজ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা থেকে বের করতে বিভিন্নভাবে দেনদরবার করা শুরু করেন।
ছোটন গ্যাং এর সাথে আগে থেকেই পরিচয় থাকার সুবাদে এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সরাসরি সুপারিশে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে আবির্ভূত হন মো. এজাজ। জানা যায় এই পদের জন্যে পর্দার আড়ালে থেকে তদবির করেন একজন নারী উপদেষ্টা।
বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সাথে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়া গেছে সরকার পক্ষ থেকে মো. এজাজকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের আগে কোন রকমের নিরাপত্তা ছাড়পত্র গ্রহণ করা হয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ অর্থসংবাদকে বলেন, আমার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা বিত্তিহীন। যেই ডকুমেন্টস গুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে এগুলো আমি বিশ্বাস করিনা। আমার ফেসবুকে দেখেন আমি এ বিষয়ে লিখেছি।
এসএম