জাতীয়
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ সময় ৪ নভেম্বর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে সদ্য পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা না থাকায় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এখন ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা চলে এসেছে।তবে এই সময়ের মধ্যেই গঠন করতে হবে অন্তবর্তীকালীন সরকারও।
সংবিধানের ১২৩ (৩)(খ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের আইনি বৈধতা নিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা একমত হলেও, ভোটের সময় নিয়ে ভিন্নমত পাওয়া গেছে।
কেউ বলছেন, ৯০ দিনের মধ্যে করতে পারে ভালো। তবে না করতে পারলে কিছুটা সময় বাড়াতে পারেন রাষ্ট্রপতি। কেউ বলছেন, সময় বাড়ানো কোনোভাবেই ঠিক হবে না। এতে অনির্বাচিত সরকার থেকে যেতে পারে। আবার কেউ বলছেন দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে নির্বাচন দেওয়া উচিত হবে।
৯০ দিনের খু্ব বেশি সময় নেওয়া ঠিক হবে না:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশে থাকলে আরেকজন নতুন প্রধানমন্ত্রী না আসা পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব পালন করতেন। এক্ষেত্রে তার অধীনেই নির্বাচনটা করা যেত। সংবিধানের ৫৭ অনুচ্ছেদের বিধান এটা। তবে তিনি যেহেতু দেশ ছেড়ে গেছেন, এক্ষেত্রে একটা প্রক্রিয়ায় তো যেতে হবে। রাষ্ট্রপতি তো নিজে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন না। তাই তিনি তার ইনহেরেন্ট ক্ষমতা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়োগ দিতে পারবেন অধ্যাদেশের মাধ্যমে। পরে সংসদ গঠন সেটার বৈধতা নিয়ে নেবেন।
তিনি বলেন, সংসদ ভেঙে যাওয়ায় ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে অতীতে কিন্তু আমরা এই সময়ের মধ্যে পারিনি। তখন রাষ্ট্রপতি অন্তর্ববর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ বাড়াতে পারবেন।
এছাড়া নতুন নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকাও প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকেও সময় দিতে হবে। কাজেই ৯০ দিনের মধ্যে ভোট না করা গেলেও সময়টা বেশি দেওয়াও ঠিক হবে না।
সময় নিয়ে নির্বাচন দিলে আন্দোলনের সুফল আসবে:
ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারীও প্রায় একই কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ায় কোনো আইন নেই নির্বাচনকালীন বা অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের। এইটা একটা সংকট। তবে রাষ্ট্রকে তো সংকট কাটাতে হবে। তাই এখানে নেসেসিটি অব ল বিষয়টা চলে আসে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইনটেরিন বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়োগ দেবেন। যে সরকার কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।
তবে নির্বাচন তড়িঘড়ি না করে একটু সময় নিয়ে করার পক্ষে তিনি। এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দিলে যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের জন্যও ভালো হবে না। কেননা, দেশের প্রতিটি সেক্টর দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই এদের আগের সংশোধন করতে হবে। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে ছাত্র জনতা আন্দোলন করে অভ্যুত্থান করেছে, তার সুফল আসবে না৷
তিরি বলেন, নির্বাচন হলে হয়তো বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন দিয়ে সরকার চালাতে পারবে না। তাই সবার স্বার্থেই সময় নিয়ে নির্বাচন করা উচিত। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নির্ধারণ করতে পারবেন। এতে সংবিধানের ব্যত্যয় হবে না।
যথা সময়ে ভোট না দিলে অনির্বাচিত সরকার থেকে যাবে:
জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ অবশ্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের পক্ষে। তিনি বলেন, নির্বাচন যথা সময়ে না হলে অনির্বাচিত সরকার এসে যায়। আর অনির্বাচিত সরকার কেউ চায় না। তাই ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করে ফেলা উচিত। ভোটার তালিকা করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
অন্তর্ববর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধানে বিষয়টি না থাকলেও কি হবে। আইনের তো প্রয়োজন এখন। তাই রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতা বলে এটা গঠন করতে পারবেন।
সোমবার (৬ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। মন্ত্রিসভার অনেকেই চলে যান আত্মগোপনে। সরকার প্রধানের পদত্যাগ করায় সংবিধান অনুযায়ী পুরো মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাই মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি।
এদিকে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দ্রুত অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করার প্রস্তাব করেন। রাষ্ট্রপতি অন্যদলগুলোর দেওয়া প্রস্তাব থেকে গঠন করবেন নির্বাচনকালীন সরকার।

জাতীয়
দেশে ১৭ লাখ শিশু শ্রমিক, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১২ লাখ

বাংলাদেশে এখনও ১৭ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। এটি জাতীয় অগ্রগতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, শিশু শ্রম শুধু শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, পুরো জাতির টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘শিশু শ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আমাদের অঙ্গীকার’ বিষয়ক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এছাড়া আর এক অনুষ্ঠানে শ্রম সচিব বলেন, কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক সুরক্ষার মূল ভিত্তি হলো মাতৃত্ব সুরক্ষা। বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন সুবিধার আইনি কাঠামো থাকলেও বাস্তবায়নে বেশ কিছু ঘাটতি রয়েছে। ‘বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন বিমা প্রকল্পের রোডম্যাপ তৈরি’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী উপলক্ষ্যে আয়োজন করা এই অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
এই কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা। শ্রম সচিব জানান, কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন বিমা চালুর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, মাতৃত্বকালীন বিমা প্রবর্তনের মাধ্যমে নারী শ্রমিকদের সুরক্ষা দেওয়া এবং কর্মক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা মাতৃত্বকালীন সুবিধার বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে একটি টেকসই রোডম্যাপ প্রণয়নে মতামত দেন।
বাংলাদেশে আরএমজি ও অন্যান্যখাতে কর্মরত নারী শ্রমিকদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ও স্বাস্থ্যসুবিধা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর্মশালার সুপারিশমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাতৃত্ব সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
এদিকে ‘শিশু শ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আমাদের অঙ্গিকার’ বিষয়ক সংলাপে সচিব বলেন, শিশু শ্রম শুধু শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, পুরো জাতির টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। বাংলাদেশে এখনও ১৭ লাখ শিশু শ্রমিক রয়েছে, যাদের মধ্যে ১২ লাখ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। এটি জাতীয় অগ্রগতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (বিবিএস)-২০২২-এর তথ্য উল্লেখ করে শ্রম সচিব বলেন, যে বয়সে শিশুদের স্কুলে থাকার কথা, সেখানে তারা লেদ মেশিন, হোটেল কিংবা গ্যারেজে কাজ করছে। দারিদ্র্য ও অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবই এটির মূল কারণ।
তিনি সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিশুশ্রম নিরসনে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন এবং সুশীল সমাজের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-৮.৭ অর্জনে শিশুশ্রম নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শ্রম সচিব বলেন, শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয়
২০২৬ সালের হজে অংশ নিতে এজেন্সিগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান

২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য সৌদি সরকার এরইমধ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ কার্যক্রমে অংশ নিতে অনুমোদিত এজেন্সিগুলোর কাছে আবেদন চেয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৪ জুলাই) এজেন্সিগুলোকে আবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য সৌদি সরকার এরইমধ্যে রোডম্যাপ বা টাইমলাইন প্রকাশ করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত যেসব হজ এজেন্সি ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক সেসব হজ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছ থেকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুত করা নির্ধারিত আবেদন ফরমে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী বছর হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি হজযাত্রীদের চলতি বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে হবে। এরপর সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের হজচুক্তি হবে ৯ অক্টোবর। আগামী ১০ জুলাই হজের কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার।
জাতীয়
শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক: বাণিজ্য উপদেষ্টা

শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেন, আমরা দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শেষ করে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনার জন্য। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাব। আমরা আশা করছি একটা ভালো আউটকাম আসবে। আমাদের আলোচনাগুলো উৎসাহব্যঞ্জক।
সোমবার (১৪ জুলাই) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অ্যাগ্রিমেন্টের খসড়া বিষয়ক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা গতকাল (রোববার) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছি আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ডের আলোচনা শেষ করে। আলোচনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা আলোচনা শেষ করে আবার প্রস্তুতি নিচ্ছি তৃতীয় রাউন্ডের আলোচনার জন্য। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাব। আমরা আশা করছি একটা ভালো আউটকাম আসবে।
তিনি বলেন, আমাদের আলোচনাগুলো উৎসাহব্যঞ্জক। আলোচনাটা যথেষ্ট এনগেজিং ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়েছে। দফাওয়ারি আমাদের সঙ্গে যারা নেগোশিয়েশনে যুক্ত ছিলেন তাদের ৩৫-৪০ জনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বেশকিছু পরামর্শ পেয়েছি। অবশ্য এ পরামর্শগুলো আমরা আমাদের মধ্যেই নির্দিষ্ট রাখব। আমরা আশা করছি এই আলোচনার মাধ্যমে আমাদের জন্য একটি যৌক্তিক শুল্কহার নির্ধারণ করবে রপ্তানির ওপরে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আমরা প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করি। ২০১৫ সাল থেকে আমরা শুল্ক পরিশোধ করে ব্যবসা করছি। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব সক্ষমতার ভিত্তিতে এই ব্যবসা করে থাকে। যদি তুলনামূলকভাবে আমাদের সঙ্গে কোনো বৈষম্যমূলক অবস্থান তৈরি না হয় তাহলে আমাদের ব্যবসায়ীরা সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করে যাবে।
যৌক্তিক শুল্কহারের কথা বলা হচ্ছে। আসলে কত শতাংশ শুল্ককে যৌক্তিক মনে করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শূন্য’।
নেগোশিয়েশনের কোন পর্যায়ে আমরা রয়েছি– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো আলোচনা করি। আমাদের তো আশা আছে এটাকে (শুল্কহার) শূন্যতে নিয়ে আসা। তবে এ বিষয়ে আমাদের ‘নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ রয়েছে। সুতরাং অ্যাগ্রিমেন্ট বিষয়ক কোনো প্রশ্নের উত্তর আমরা দেব না।
জাতীয়
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেলেন শেখ মইনউদ্দিন

রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন।
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী শেখ মইনউদ্দিনকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করে সোমবার (১৪ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তিনি এখন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহায়তা করতে প্রধান উপদেষ্টা গত ৫ মার্চ শেখ মইনউদ্দিনকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় এই মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেন।
আগের আদেশের মতো রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সহায়তা করতে শেখ মইনউদ্দিনকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর অতিরিক্ত দায়িত্ব এবং এই মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
জাতীয়
মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের ধরতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের ধরতে হবে। মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে।
সোমবার (১৪ জুলাই) কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মাদক কারবারিদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পাশাপাশি মাদক ঢুকে পড়ছে। মাদক নির্মূলে কক্সবাজারের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন হতে হবে। মাদক নির্মূলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ সচেতন হলে মব ভায়োলেন্স হবে না। এ ছাড়া মব ভায়োলেন্স, চাঁদাবাজি গ্রহণের মতো অপরাধ কেউ করলে ক্ষমা করা হবে না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতীক, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল হাফিজ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, জেলা প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি