আন্তর্জাতিক
শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে এখন ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে কোন দেশে যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন সরকার।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এ তথ্য জানা যায়। তবে জানতে চাইলে দূতাবাস থেকে জানায়, কোনো ব্যক্তির ভিসা নিয়ে মন্তব্য করবে না দূতাবাস।
ভারত ভিত্তিক গণমাধ্যম নিউজ এইটটি এক প্রতিবেদনে বলছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করেছে। বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভের পর পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা বর্তমানে গাজিয়াবাদের হিন্দন এয়ারবেসে রয়েছেন।
তিনি ইউরোপীয় দেশগুলিতে আশ্রয়ের চেষ্টা করছেন। তবে যুক্তরাজ্য তাকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত নয় বলেও জানিয়েছে। তবে তার বোন রেহানা, যার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব রয়েছে; তিনি শীঘ্রই যুক্তরাজ্যে চলে যেতে পারেন।
এদিকে আজ সকালে পার্লামেন্টে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করে ভারত। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই শেখ হাসিনাকে সময় দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে ভারতীয় সব দলের নেতাদের জয়শঙ্কর বলেন, হাসিনা এখন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই তাকে ধাতস্থ হতে সময় দিয়েছে ভারত। আপাতত ভারত হাসিনাকে কিছু দিন সময় দিতে চায়। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তা তিনি ভারত সরকারকে জানাবেন। সেই ভাবনা-চিন্তার জন্য সময় নিচ্ছেন। হাসিনার পরিকল্পনা জানার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নয়াদিল্লি।
প্রসঙ্গত, এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে যান শেখ হাসিনা। তিনি যুক্তরাজ্যের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তবে এখনো ব্রিটিশ সরকার তার আবেদন মঞ্জুর করেনি। তাই যুক্তরাজ্য আশ্রয় না দেয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকবেন শেখ হাসিনা।

আন্তর্জাতিক
আবুধাবিতে ৮০ কোটি টাকা লটারি জিতলেন বাংলাদেশি যুবক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বিগ টিকিট র্যাফেল ড্রতে ২৫ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছেন এক প্রবাসী বাংলাদেশি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮০ কোটি টাকা। জনপ্রিয় এই র্যাফেল ড্রয়ের ভাগ্যবান বিজয়ী নাম মোহাম্মদ নাসের মোহাম্মদ বেলাল। খবর গালফ নিউজের।
র্যাফেল ড্রর পর শো’র উপস্থাপক রিচার্ড ও বুশরা ওই প্রবাসীকে কল করেন। তবে তারা বিজয়ীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি।
আয়োজকরা জানান, গত ২৪ জুন ০৬১০০৮০ নম্বরের টিকিট কিনে এ পুরস্কার জিতেছেন বেলাল।
র্যাফেল ড্রয়ের আয়োজক বিগ টিকিট কর্তৃপক্ষ বেলালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
এর আগে, গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক মোবারক গারিব রাশিক সালেম আল ধাহেরি ২৭৫ সিরিজের ড্রতে ২০ মিলিয়ন দিরহামের গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতেছিলেন। অন্যদিকে, সাপ্তাহিক ই-ড্রতে ১ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম বিজয়ীদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ চৌধুরী নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি।
আন্তর্জাতিক
শুল্ক চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে দুই দেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তা।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মার্কিন কোম্পানি বোয়িং থেকে বিমান কেনা এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম, তুলা ও তেল আমদানি বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বুধবার এএফপিকে বলেন, আমরা পারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তির একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছি। সরকার উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আশাবাদী, বলেও মনে করছেন তিনি।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা বলেন, বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন সময় সকালে সাড়ে ১১টায় এবং বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায় শুল্ক কমানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)-এর মধ্যে বৈঠক ছিল। বেশ কিছুদিন ধরে নিয়মিত এধরনের বৈঠক হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশই টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্প থেকে আসে, এবং এই খাতটি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, বিশেষ করে গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে সরকারের পতনের পর।
ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা কটন বা তুলাজাত পণ্যের ওপর আগে থেকেই থাকা ১৬ শতাংশের দ্বিগুণেরও বেশি। তবে তিনি শুল্ক কার্যকর করার সময় ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন, যেমনটি তিনি অন্যান্য বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের ক্ষেত্রেও করেছেন, যদিও একটি প্রাথমিক ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যেখানে সেখান থেকে আমদানি হয়েছে ২.২১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণে গম, ১৪টি বোয়িং বিমান, তুলা এবং আরও তেল ও গ্যাস কেনার পরিকল্পনা করেছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব।
তিনি প্রস্তাবিত চুক্তিগুলোর সুনির্দিষ্ট সময় বা পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি। তবে বলেছেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সরকার এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮টি বৈঠক ও দলিল আদান-প্রদান করেছে।
আন্তর্জাতিক
গাজায় একদিনে আরও ১১৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ১১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাছাড়া আহত হয়েছেন ৫৮১ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত ফ্রানচেস্কা আলবানিজ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাণিজ্য ও আর্থিক সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি নতুন প্রস্তাব তারা পর্যালোচনা করছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজাযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৭ হাজার ১৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৯২ জন।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল সম্মতি জানিয়েছে এবং এখন তিনি হামাসকে এই প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ এর কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে ১৩০টিরও বেশি সাহায্য সংস্থা ও আরও কিছু এনজিও। যেসব সংস্থা বিতর্কিত এই সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধের দাবি করেছে তার মধ্যে অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন ও অ্যামনেস্টির মতো সংস্থাও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক
মে মাসে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি আরও বেড়েছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে এবং সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। ফলে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি মে মাসে মোট ৭১.৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড করেছে। এর আগে এপ্রিল মাসে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬০.৩ বিলিয়ন ডলার।
দেশটির বাণিজ্য বিভাগের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, মে মাসে আমদানি ও রপ্তানি উভয়ই কমে গেছে। মার্কিন আমদানি ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫০.৫ বিলিয়ন ডলারে। ভোক্তা পণ্যের আমদানি ৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে, বিশেষ করে পোশাক ও খেলনা আমদানিতে পতন দেখা গেছে। তবে গাড়ি ও যন্ত্রাংশের আমদানি বেড়েছে।
অন্যদিকে রপ্তানি ৪.০ শতাংশ কমে ২৭৯.০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। শিল্প কাঁচামাল এবং উপকরণ রপ্তানিতেই বেশি পতন দেখা গেছে।
যদিও ট্রাম্প এপ্রিল মাসে কিছু কঠোর শুল্ক থেকে সরে আসেন, তবে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর দ্বিগুণ হারে শুল্ক আরোপ করেন।
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ সেই সময় তীব্র রূপ নেয়। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অনিশ্চয়তার কারণে পণ্য প্রেরণ বন্ধ রাখে। একে অনেকেই বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতি হিসেবে দেখেছেন।
পরবর্তীতে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কিছুটা সমঝোতায় পৌঁছায় ও অস্থায়ীভাবে শুল্ক কমায়।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে ফ্ল্যাট কিনলেন নেতানিয়াহুর ছেলে

যুক্তরাজ্যে ভিন্ন নামে অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছেলে আভনের নেতানিয়াহু।
বুধবার (২ জুলাই) প্রকাশিত ইসরায়েলের ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক পত্রিকা ‘ক্যালকালিস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে নেতানিয়াহুর পুত্র ‘আভি আভনের সেগাল’ নামে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড শহরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। যার মূল্য ছিল পাঁচ লাখ ইউরোরও বেশি।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই অ্যাপার্টমেন্ট কেনার বিষয়ে ইসরায়েলের কর কর্তৃপক্ষকে কোনো ধরনের জবাবদিহি করেননি আভনের।
ইসরায়েলি আইনে বিদেশে স্থাবর সম্পত্তি থাকলে নির্ধারিত হারে কর পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু ক্যালকালিস্ট-এর অভিযোগ, আভনের নেতানিয়াহু সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ গোপন রেখে সরকারের কাছে কম কর পরিশোধ করেছেন।
তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আভনের বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
নেতানিয়াহু পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা বিতর্ক ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড একাধিকবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের গোপন লেনদেন জনমনে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাও দুর্বল করতে পারে।