জাতীয়
ভারত পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা, ‘সেফ প্যাসেজ’ দেবে নয়াদিল্লি: রিপোর্ট

ভারতে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে ভারতের আগরতলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও রয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শেখ হাসিনাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ভারতের আগরতলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিল বলে জানায় বিবিসি বাংলা।
ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন-নিউজ১৮ জানিয়েছে, এরই মধ্যে আগরতলায় পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ‘সেফ প্যাসেজ’ দেবে ভারত সরকার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসও শেখ হাসিনার ভারত পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করেছে।
সকাল থেকে বাংলাদেশ বিষয়ে লাইভ আপডেট দিচ্ছে ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস এবং দ্য হিন্দুও। এসব সংবাদমাধ্যমের হোমপেজে প্রধান খবর হিসেবে উঠে এসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তিনি এবং তার বোন গণভবন ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। যাওয়ার আগে তিনি একটি বক্তব্য রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন। তবে সেই সুযোগ পাননি তিনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, সামরিক একটি হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন।

জাতীয়
অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে একমত বাংলাদেশ-পাকিস্তান

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়াসহ দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর এখনো কোনো চূড়ান্ত সমাধান হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তবে এসব বিষয়ে সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তান এসব বিষয়ে একমত হয়েছে বলে জানান তিনি।
রবিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীতে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই আশা করেন না যে ৫৪ বছরের সমস্যা একদিনে মিটে যাবে। এটি ছিল গত ১২-১৩ বছর পর অনুষ্ঠিত প্রথম দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, তাও আবার হিনা রব্বানী খার আমন্ত্রণে। এটি পূর্ণাঙ্গ দ্বিপক্ষীয় সফরও ছিল না।
তিনি আরও বলেন, এখানে বসে আমরা এক ঘণ্টায় সমাধান করে ফেলতে পারবো- এটা নিশ্চয়ই কেউ আশা করবেন না। তবে বৈঠকে আমরা পরস্পরের অবস্থান তুলে ধরেছি।
এর আগে হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ইসহাক দার দাবি করেন, ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং অন্যান্য অমীমাংসিত তিনটি বিষয় এরই মধ্যে দুবার সমাধান হয়েছে।
অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ইসহাক দার বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো বিষয়টির সমাধান হয়েছে। সেই সময়ের দলিল দুই দেশের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এরপর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ২০০০ সালের শুরুতে বাংলাদেশে এসে বিষয়টি প্রকাশ্যে সমাধান করেছেন। তাই এটি দুইবার সমাধান হয়েছে।
জাতীয়
একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু দুইবার সমাধান হয়েছে: ইসহাক দার

১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং অন্যান্য অমীমাংসিত তিনটি বিষয় এরই মধ্যে দুইবার সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই দাবি করেন তিনি।
অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ইসহাক দার বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো বিষয়টির সমাধান হয়েছে। সেই সময়ের দলিল দুই দেশের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এরপর জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ২০০০ সালের শুরুতে বাংলাদেশে এসে বিষয়টি প্রকাশ্যে সমাধান করেছেন। তাই এটি দুইবার সমাধান হয়েছে।
বাংলাদেশ মনে করে, ১৯৭১ সালের গণহত্যার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া, যুদ্ধক্ষতির ক্ষতিপূরণ, বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রত্যাবাসন, যৌথ সম্পদের হিস্যা এবং ১৯৭০ সালের অবিভক্ত পাকিস্তানের সময় দেওয়া বৈদেশিক সহায়তার পাওনা আদায়ের মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলো বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে তুলে ধরা হয় বলে জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্র।
জাতীয়
সীমানা পুনর্নির্ধারণে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি: সিইসি

সংসদীয় এলাকার সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির শুনানি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শুনানি শুরুর আগে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা পেশাদারত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নির্বাচন ভবনে এই শুনানি শুরু হয়। এর আগে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের আবেদনগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। এখন শুনানিতে যৌক্তিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এতে উপস্থিত রয়েছেন।
প্রথমদিনে কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮টি আসনের শুনানি চলবে।
শুনানিতে আপত্তিকারী ও তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কৌশলী উপস্থিত রয়েছেন।
ইসি সচিব জানান, রোববার কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তির শুনানি রয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫; আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা-৬, ৯, ১০ ও ১১; সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫, চাঁদপুর-২ ও ৩, ফেনী-৩, লক্ষ্মীপুর-২ ও ৩ আসনের দাবি-আপত্তি আবেদনের।
৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়।
শুনানি উপলক্ষে নির্বাচন ভবনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নিয়ম মেনে আবেদনকারীদের নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
চারদিন শুনানি শেষে ইসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে ৩০০ আসনের সংসদীয় লেখার সীমানা গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয়
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে এক চুক্তি ও চার সমঝোতা স্মারক সই

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে একটি চুক্তি এবং চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
রবিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় সফরত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের মধ্যে বৈঠক শেষে এ সই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে জাতীয় উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও।
এর আগে, শনিবার (২৩ আগস্ট) তিন দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় আসেন ইসহাক দার। সফরের প্রথম দিনেই ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
রোববার বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ইসহাক দার। এছাড়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তার।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী পাকিস্তান

বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক ও অগ্রসরমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। শনিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ইচ্ছার কথা জানান দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের উদ্যোগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক এক্স পোস্টে এ তথ্য জানায়।
অনুষ্ঠানে সরকারের উপদেষ্টা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বুদ্ধিজীবী, থিংক ট্যাংক প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, শিল্পী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনায় পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানও অংশ নেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী পাকিস্তান
বক্তব্যে ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তানের জনগণ সবসময় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভ্রাতৃত্বপূর্ণ অনুভূতি পোষণ করে আসছে। দুই দেশের সম্পর্ক শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য, ইসলামি উত্তরাধিকার, সামাজিক মূল্যবোধ ও সাহিত্যিক বন্ধনের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের জনগণের শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসলামাবাদ ঢাকা’র সঙ্গে আরও সহযোগিতামূলক ও ভবিষ্যতমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।