জাতীয়
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

দেশে কারফিউ চলাকালে ‘বিশেষ ও জরুরি প্রয়োজন’ ছাড়া কেউ বাইরে বের হলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রবিবার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী সোম, মঙ্গল ও বুধবার (৫, ৬ ও ৭ আগস্ট) সাধারণ ছুটি থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জামায়াত, শিবির ও বিএনপির নাশকতাকারীরা রাস্তায় নেমেছে। তাদের দমাতে যেভাবেই আইন প্রয়োগ করলে হবে, সেভাবেই করা হবে।
এদিকে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অহসযোগ কর্মসূচির মধ্যে জনগণকে কারফিউ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
গণমাধ্যমে পাঠানো আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের জান-মাল ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের আলোকে তার প্রতিশ্রুত দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ চলছে। রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন আন্দোলনকারীরা। পাল্টা কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে পুলিশসহ এখন পর্যন্ত ৮৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারের জারি করা কারফিউও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

জাতীয়
আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

গ্যাস পাইপলাইন মেরামত কাজের কারণে আজ রাত ১০টা থেকে ৮ ঘণ্টা কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস জানিয়েছে, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভাল্ভ স্টেশনগামী ১০ইঞ্চি বা ১২ইঞ্চি বা ১৪ইঞ্চি মুখ্য বিতরণ পাইপ লাইনের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্নকরণ কাজে জরুরি মেরামতের কাজ চলবে।
তাই শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মোক্তারপুর ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া, এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস।
জাতীয়
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বোরিস ভ্যান বমেলের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, বাণিজ্য ও কৃষি খাত এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকটের বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়।
বোরিস ভ্যান বমেল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি নেদারল্যান্ডসের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল এ সপ্তাহেই বাংলাদেশে পৌঁছাবে এবং নেদারল্যান্ডস এই মিশনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পানি ব্যবস্থাপনায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিম্নাঞ্চল রক্ষায় নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে উপকৃত হচ্ছে বলে ড. ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। আমরা একসঙ্গে অনেক কিছু গড়ে তুলতে পারি এবং একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারি।
রাষ্ট্রদূত ভ্যান বমেল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন অর্জনগুলোতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, বিশেষ করে সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ খাতে উদ্ভাবনের বিষয়ে।
ড. ইউনূস কক্সবাজারে অবস্থানরত প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সহায়তায় নেদারল্যান্ডসের বাড়তি সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, অর্থসংকটের কারণে চলমান মানবিক কর্মকাণ্ড ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন যে, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় একটি উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এ সম্মেলন আন্তর্জাতিক সমর্থন জোরদার করবে এবং শরণার্থী শিবিরে মানবিক সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
রাষ্ট্রদূত সংকটের জরুরি সমাধানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি আরও আন্তর্জাতিক মনোযোগের দাবিদার। তবে বর্তমানে বৈশ্বিক মনোযোগ অন্য ভূ-রাজনৈতিক সংকটে বিভ্রান্ত হয়েছে।
এসময় সরকারের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
বাংলাদেশ-চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা চীন প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ড. ইউনূস অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন।
চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০২৫ সাল কেবল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও।
তিনি আট দশক আগে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় চীনের অপরিসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শক্তিশালী রেকর্ডসহ একটি প্রধান শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্বে, চীনা জনগণ নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন, যা বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার একটি নজির।
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিনি বলেন, দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কেও ভিত্তিতে সর্বদা ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে তার আধুনিকীকরণের যাত্রায় সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি চীন-বাংলাদেশ সম্প্রদায় গঠনে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবাতে চীনের অবদানের প্রশংসা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশি জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা প্রদান করেছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুটি দেশ জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশী কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞ সহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সেনানিবাস এলাকার হলে প্রবেশে বিশেষ নির্দেশনা

আগামীকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি কেন্দ্রে অংশ নেবেন বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থী। সেনানিবাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করতে ওই তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য আলাদা গেইট ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুমা আফরীনের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেনানিবাস এলাকায় অবস্থিত ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ বীর বিক্রম রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং মুসলিম মডার্ন একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সময় নির্দিষ্ট গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের পরীক্ষার্থীরা মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস (এমইএস) গেইট অথবা ইসিবি সংলগ্ন পকেট গেইট ব্যবহার করবেন। অন্যদিকে মুসলিম মডার্ন একাডেমির পরীক্ষার্থীরা কচুক্ষেত সংলগ্ন এমইএস কনভেনশন হলের পাশের পকেট গেইট দিয়ে প্রবেশ করবেন।
একই সঙ্গে পিএসসির পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট প্রবেশপথ ব্যবহার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে পরীক্ষার দিন সেনানিবাস এলাকায় কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা তৈরি না হয়।
জাতীয়
সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়লো

সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের আয়োজন করা কোর্সে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক ভাতা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রত্যেকের জন্য চাকরির গ্রেড অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যুগ্ম-সচিব মো. ফেরদৌস আলম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নবম গ্রেড থেকে তার ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীরা কেন্দ্রে অবস্থানকালে ৮০০ টাকা এবং মাঠে সংযুক্তকালীন ১ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। এ ছাড়া দশম গ্রেড থেকে তার নিচের পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রে অবস্থানকালে ৬০০ টাকা এবং মাঠে সংযুক্ত থাকার সময় ৭০০ টাকা ভাতা ধরা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৪ আগস্ট সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সে সময় প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী উভয়ের ভাতা বাড়ানো হয়। প্রশিক্ষার্থীদের ভাতা বাড়িয়ে দ্বিগুণ আর প্রশিক্ষকদের ভাতা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এবং অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তর আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য বক্তার সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতার হার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টার সেশনে তৃতীয় গ্রেড বা যুগ্ম-সচিব ও তার ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীর প্রশিক্ষণ সম্মানী ৩ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর চতুর্থ ও পঞ্চম গ্রেড বা উপ-সচিব এবং তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের ভাতা নির্ধারণ করা হয় ৩ হাজার টাকা।
অপরদিকে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণে গ্রেড-৯ থেকে এর ওপরের পর্যায়ের কর্মচারীদের প্রতিদিন ভাতা নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ২০০ টাকা। গ্রেড-১০ থেকে তার নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীর জন্য তা হয় ১ হাজার টাকা।
প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি শর্তের কথা বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-
- মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তরগুলোর শুধু নিজ নিজ দপ্তরের কর্মচারীদের বিষয়ভিত্তিক অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।
- মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য সদর দপ্তর আয়োজিত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
- প্রশিক্ষণের ব্যাপ্তিকাল দিনব্যাপী না হলে দুপুরের খাবার বাবদ কোনো ব্যয় করা যাবে না।
- প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
- গ্রেড বলতে মূল গ্রেড বুঝাবে।
- আদেশ জারির তারিখ থেকে পুনর্নির্ধারিত হার কার্যকর হবে।