আন্তর্জাতিক
আরও অনেক বিদেশি কর্মী নিতে চায় ফিনল্যান্ড
২০২৩ সালে ফিনল্যান্ডের সরকার ‘ট্যালেন্ট বুস্ট’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। তারা ইইউ, ইইএ ছাড়াও চারটি নির্দিষ্ট দেশ; ভারত, ব্রাজিল, ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন থেকে কর্মীদের সক্রিয়ভাবে নিয়োগ করতে চায়। এই নিয়োগের জন্য ‘ট্যালেন্ট বুস্ট’ নামে পাঁচ বছরের প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।
ফিনিশ শহর ল্যাপল্যান্ড সুমেরুবৃত্তের মধ্যে অবস্থিত, যা ফিলিপাইনের রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার থেকে অনেকটাই আলাদা। কিন্তু ল্যাপল্যান্ডে বসবাসকারী ১৪ জন ফিলিপিনো নিজের কর্মক্ষেত্রকেই বাড়ি হিসাবে ভাবেন।
স্থানীয় ফিনিশ পাবলিক সার্ভিস ব্রডকাস্টার ওয়াইএলই বুধবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, ল্যাপল্যান্ডে রিটেল খাতে কাজ করা ফিলিপিনো কর্মীদের দেখে বোঝা যায় দেশের শ্রমশক্তি পরবর্তীতে কেমন হতে পারে। এই কর্মীরা সবাই তরুণ এবং বিদেশি।
ফিলিপাইনের নিয়োগকারী সংস্থা বারোনার সঙ্গে ল্যাপল্যান্ডের স্থানীয় রিটেল সংস্থা আরিনার একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির কারণে ল্যাপল্যান্ডে কাজ করতে এসেছেন ফিলিপিনোরা।
এই নিয়োগ কার্যক্রম এক বছর আগে শুরু হয়েছে। পাঁচ মাসের ভাষা কোর্স এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি প্রশংসাপত্র সুরক্ষিত করতে সহায়তা করে এই প্রকল্প। এর ফলে ফিনল্যান্ডে স্থানান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক দ্রুততর হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে নতুন বিদেশি কর্মীদের ফিনল্যান্ডে একীভূত হতে সাহায্য করা হবে। এর মাধ্যমে নতুন দেশটিতে বাসস্থান খুঁজে পেতে এবং করের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বুঝতে সাহায্য করা হয়।
আরিয়ানার মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মিন্না স্যালোনেন ওয়াইএলইকে বলেন, ফিনল্যান্ডে ইতিমধ্যে বসবাস করছেন, এমন মেধাবী তরুণদের তারা নিয়োগ করতে চাইলেও তা কঠিন। তার কথায়, ‘‘কয়েকটা জায়গায় রিটেল খাতে চাকরির জন্য ন্যূনতম উৎসাহ নেই।’’
এ দেশে বয়স্কদের সংখ্যা অনেক বেশি। অল্পবয়সী ফিনিশ নাগরিকদের পড়াশোনা বা অন্য কোথাও কাজ করার জন্য চলে যাওয়ায় স্থানীয় প্রতিভাবান তরুণদের নিয়োগ করা যায় না। ওয়াএলইর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিয়োগকর্তা এবং কর্মী উভয়ের জন্য ‘ট্যালেন্ট বুস্ট’ ইতিবাচক বলেই মনে করা হচ্ছে।
ল্যাপল্যান্ডের পেলো এস মার্কেটে কাজ করা ফিলিপিনো জেভ ফার্নান্দেজ বলেন, ফিনল্যান্ড আমার স্বপ্নের দেশ। আমি এখানে ক্যারিয়ার গড়ে নিতে চাই।
পেলো স্টোরের ম্যানেজার ইয়ানা ইয়ারভেনপা ফিলিপিনো কর্মীদের কাজের নীতি এবং আচরণের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘তারা কঠোর পরিশ্রমী, সুখী, হাসিখুশি। গ্রাহকরা তাদের পছন্দ করেন। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, তারা কাজের ব্যাপারে নিখুঁত।’’
• শ্রমিকের অপ্রতুলতা
অনেক ইউরোপীয় দেশের মতো ফিনল্যান্ডের রিটেল খাতে এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো টিকিয়ে রাখার জন্য প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১ সালের শেষে, আনুমানিক এক লাখ ৯৬ হাজার পার্সোনাল কেয়ার কর্মী চাকরি পেয়েছেন ফিনল্যান্ডে। যার প্রায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ হাজার ৫০০ জন বিদেশি। পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সহায়তাকর্মীদের মধ্যে বিদেশিই বেশি ছিল।
• ট্যালেন্ট বুস্ট প্রোগ্রাম
শ্রমের ঘাটতি মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যে, ফিনিশ সরকার ‘ট্যালেন্ট বুস্ট’ প্রোগ্রাম চালু করেছে। এতে পাঁচ বছরের (২০২৩ থেকে ২০২৭) কাজ এবং ইইউ ও ইইএর পাশাপাশি চারটি রাষ্ট্রের মানুষদের আকৃষ্ট করার জন্য শিক্ষা-ভিত্তিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। টার্গেট দেশগুলো হলো, ফিলিপাইন, ব্রাজিল, ভারত এবং ভিয়েতনাম।
উচ্চমাত্রার দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও ফিনল্যান্ডের শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমিকের উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে। এটা মোকাবেলার জন্য, প্রধানমন্ত্রী অর্পোর সরকার ফিনল্যান্ডে বসবাসকারী বেকার চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ এবং অভিবাসনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিচ্ছেন। সংশোধিত ট্যালেন্ট বুস্ট প্রোগ্রাম ইইউ ও ইইএ দেশগুলো থেকে নিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এছাড়াও নন-ইইউ দেশগুলো থেকে আন্তর্জাতিক নিয়োগের প্রচার করছে।
প্রোগ্রামের বিভিন্ন উদ্যোগে এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে, যা মানুষকে শুধু ফিনল্যান্ডে আসতেই সাহায্য করবে না বরং তাদের এ দেশে থাকতে উৎসাহিত করবে।
মসৃণ অভিবাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বসবাসের অনুমতি প্রক্রিয়াকরণের সময় সংক্ষিপ্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের জন্য এক সপ্তাহে অনুমতি প্রক্রিয়াকরণ এবং অন্যান্য কর্মীদের জন্য ৩০ দিনে অনুমতির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সিস্টেমের অপব্যবহার প্রতিরোধ এবং সরকারি নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিতের ব্যবস্থাও বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বিদেশি কর্মীদের ফিনল্যান্ডে থাকার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়গুলো নিয়ে ভেবে দেখছে সরকার। যেমন অ্যাক্সেসযোগ্য ব্যাংকিং পরিষেবা, ইংরেজি-ভাষা শিক্ষা, এছাড়াও ফিনিশ ও সুইডিশ শেখার জন্য সহায়তা ইত্যাদি।
• বিদেশি শ্রমিক ছাড়া কাজ হবে না
কর্পোরেট জায়ান্ট এস গ্রুপ ফিনল্যান্ডের বৃহত্তম রিটেল গোষ্ঠী। বিদেশি কর্মীদের সমর্থন করছে তারা। সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের কথাও ভাবা হচ্ছে। সংস্থার ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিনের গ্রীষ্মের সংস্করণে বিদেশি কর্মীদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রচ্ছদের অনুলিপিতে লেখা ছিল, ‘‘সবসময় ফিনিশে পরিষেবা পাওয়া যাবে না। এতে অভ্যস্ত হতে হবে। ফিনল্যান্ড বিদেশি কর্মী ছাড়া কাজ করতে পারবে না।’’
এই ম্যাগাজিনের দুই লাখেরও বেশি সার্কুলেশন রয়েছে বলে জানা গেছে। ওয়াইএলইর প্রতিবেদন বলছে, কোম্পানি আরও বেশি বিদেশি কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি চায় গ্রাহকরা এই ধারণায় অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। সংস্থার হিউম্যান রিসোর্স অধিকর্তা লেহটোভুরি ওয়াইএলইকে বলেন, গ্রাহকদের জন্য ম্যাগাজিনের বার্তা দেওয়া, যাতে তারা বিষয়টা বুঝতে পারেন।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনেক বিদেশি কর্মীদের ফিনল্যান্ডে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তারা এ দেশে থাকতে চান। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪০ শতাংশ কর্মী বলেন, তারা কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের সম্মুখীন হন,আর সেটা মূলত ভাষার কারণে। ইনফোমাইগ্রেন্টস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির তদন্তকারীরা। সামরিক শাসন জারির ব্যর্থ চেষ্টার অন্তত ছয় সপ্তাহ পরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করে।
রাজধানী সিউলের মধ্যাঞ্চলে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মই বেয়ে ইউনের বাড়ির প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন।
ইউনকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের গতকালের প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে রুখে দেন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর (প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএস) সদস্যরা। গাড়ি দিয়ে বাড়ির প্রবেশপথে প্রতিবদ্ধকতা তৈরি করা হয়। সে সময় সেখানে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির আইনপ্রণেতা ও ইউনের আইনজীবীরা ছিলেন।
তাছাড়া ইউনকে গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা রুখে দিতে তীব্র শীতের মধ্যে তার বাড়ির সামনে হাজারো সমর্থক জড়ো হন। মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপেক্ষা করে তারা প্রতিবাদ জারি রাখেন। একই সঙ্গে সরকারবিরোধীরাও সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
তবে সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তদন্তকারীরা ইউন সুক ইউলকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হন। এখন তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) তার পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।
লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যে দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল। তারা বলছিল, টিউলিপের ওপর ব্রিটেনের দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারই নাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে। এতে তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
প্রতিবেশীদের মধ্যে বিদ্বেষ কারো জন্যই ভালো না: ভারতীয় সেনাপ্রধান
ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, প্রতিবেশী সম্পর্কে বিদ্বেষ কোনো পক্ষের জন্যই ভালো ফল আনবে না। এ ছাড়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। দেশটির খুব ছোট্ট একটি অংশ ছাড়া পুরো সীমান্তজুড়েই রয়েছে ভারত। আমাদের সবসময় একসঙ্গেই থাকতে হবে। একে অপরকে বুঝতেও হবে। এমন কোনো কিছু করা উচিত না, যাতে আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হল আরেকটি দেশ, যাদের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত আছে। আপনারা যদি দেখেন, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ছোট একটা অংশ, সেটা আদতে পুরোটাই ভারত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছিল। সবশেষ বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ হয়েছে।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের সেনাবাহিনী পর্যায়ে সম্পর্কে কোনো সমস্যা নেই। আর রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করা যাবে তখনই, যখন ‘নির্বাচিত সরকার’ থাকবে।
তিনি বলেন, বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে যদি বলতে হয়, সেটা আগের মতই চলছে। আমাদের অফিসাররা সেখানে এনডিসিতে যোগ দিয়েছেন। ওই পক্ষ থেকেও কোনো সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, শুধু একটা বিষয়, যৌথ মহড়া যেটা হত, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সেটা সাময়িকভাবে স্থগিত আছে। যখনই পরিস্থিতির উন্নতি হবে, আমাদের মহড়াও হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এবার দিল্লিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারকে তলব
দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির বিষয়ে এবার ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার নূরুল ইসলামকে তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়।
রোববার বিকালে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পরে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, অপরাধশূন্য সীমান্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাতে চোরাচালান, মানবপাচার ও অপরাধীদের চলাচল রোধ করা সম্ভব হয়।
তিনি জানান, নিরাপত্তার জন্য বর্ডার ফেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে একটি সমঝোতা আছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এর জন্য যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। আমরা আশা করি, যে সমঝোতা হয়েছে সেটি বাস্তবায়ন হবে। অপরাধ প্রতিরোধের জন্য দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে বলে আমরা আশা করি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
১০ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি
আইন লঙ্ঘনসহ নানা অভিযোগে সৌদি আরবে অবৈধ প্রবাসীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসীকে গ্রেফতার করেছে সৌদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই সময়ে সৌদি থেকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার ১০ হাজার ৩১৯ জন প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে গালফ নিউজ।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত দিনের অভিযানে ১৯ হাজার ৪১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আবাসিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১১ হাজার ৭৮৭ জনকে, নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৪ হাজার ৩৮০ জনকে এবং ৩ হাজার ২৫১ জনকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে সৌদিতে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ২২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪২ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৬ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ২ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক রয়েছেন। একই সময়ে সৌদি আরব থেকে অবৈধভাবে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ১৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইন লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন, আশ্রয় এবং নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবে বর্তমানে ৩০ হাজার ২৬১ জন পুরুষ এবং তিন হাজার ৩১৫ জন নারীসহ মোট ৩৩ হাজার ৫৭৬ জন প্রবাসী বর্তমানে আইনি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপের মধ্যে রয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২৩ হাজার ৯৯১ জনকে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহের জন্য নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ৩ হাজার ৮৬৯ জনকে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া১০ হাজার ৩১৯ জনকে নিজ নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কেউ যদি কাউকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে প্রবেশে সহযোগিতা করে এবং কাউকে পরিবহন সুবিধা ও আশ্রয় দেয়, তাহলে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে তার সম্পত্তি এবং যানবাহনও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে।