রাজনীতি
আ. লীগের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
আওয়ামী লীগের দুদিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর মধ্যে রয়েছে- আগামীকাল রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এবং জেলা ও মহানগরে জমায়েত। পরদিন সোমবার বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নিহত এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে শোক মিছিল।
শনিবার (৩ আগস্ট) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অন্যদিকে আমরা কোনো রকম মুখোমুখি অবস্থানে জড়াতে চাই না। সে কারণে সংঘাত হতে পারে এ ধরনের প্রোগ্রাম আমরা এড়িয়ে চলেছি। গতকাল (শুক্রবার) এবং আজও (শনিবার) আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল।
আওয়ামী লীগের নতুন কর্মসূচির কথা জানিয়ে কাদের বলেন, রোববার ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে জমায়েত এবং বাংলাদেশের সব জেলা ও মহানগরীতে জমায়েত। ৫ আগস্ট (সোমবার) বিকেল ৩টায় আমরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করবো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির অভিভাবক। এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিনি বসতে চান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংঘাত এড়াতে পক্ষ-বিপক্ষ হতে পারে, পাল্টাপাল্টি হতে পারে এমন কর্মসূচি এড়িয়ে চলছি। বিবেক নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী। যারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও প্রগতিতে বিশ্বাস করেন, তাদের সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস আমরা চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতি যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সবার সম্মিলিত সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি।
কাদের বলেন, এখানে আমরা একটা বিষয় উল্লেখ করতে চাই। অবুঝ শিশুরা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় পড়ে না। অবুঝ শিশুর তাজা প্রাণ ঝড়িয়ে আমাদের সরকারি দলের কোনো লাভ নেই। লাভ তাদের যারা এ শিশুর লাশ থেকে ফায়দা লুটতে চায়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তারপরও আমরা ইউনিসেফকে বলবো, অনুরোধ করবো যে ৩২ জন শিশু হত্যার কথা তারা বলছেন, আমরা সেই শিশুদের নাম-ঠিকানা জানতে চাই। এটা পেলে ব্যবস্থা নেবো। সত্য খুঁজে বের করুন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। এ দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ফিরিয়ে এনেছে। আজ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপি-জামায়াত। তারা বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ। তাই যে কোনো আন্দোলন দেখলে সেটাকে সরকারবিরোধী রূপ দিতে উন্মত্ত হয়ে ওঠে। এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।
বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করছে দাবি করে কাদের বলেন, গত শুক্রবার তাদের ষড়যন্ত্র ও উসকানির মাধ্যমে ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডার বাহিনী সহিংসতা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে। ফলে দুটো তাজা প্রাণ ঝরে গেলো। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ অনেকেই আহত। এছাড়াও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে। পুলিশ সদস্য হত্যার দায় কার, তা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান কাদের।
শুক্রবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে সহিংসতা হয়েছে তার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়িত নয় উল্লেখ করে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গুজব ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশবিরোধী একটা মহল চলমান সংকট জিইয়ে রেখে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে। চলে গেছে তৃতীয় পক্ষের হাতে, যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে চায়। এ অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা আমরা সফল হতে দিতে পারি না। আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি কমিটমেন্ট শতভাগ। আমরা শিক্ষার্থীদের নিকট দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। তারা আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। দেশটি আমাদের। কোনো পক্ষকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে যাবে আমাদের এ বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদের বলেন, আমরা অফিসিয়ালি সেটা বলিনি। আমাদের যোগাযোগের একটা মাধ্যম তো আছে। যখন যোগাযোগটা হবে, তখন আপনারা দেখতে পাবেন, জানতে পাবেন। এখানে কোনো রাখঢাকের বিষয় নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন আলোচনার দরজা খোলা। কাজেই বিভিন্নভাবে যোগাযোগ হতে পারে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলছেন তার দরজা খোলা, তিনি আলোচনা করবেন। তাহলে নিচের দিকে আর কাউকে দায়িত্ব দেওয়া বা না দেওয়ার কোনো ব্যাপার নয়। আমাদের যোগাযোগের দরজা খোলা।
তারা আলোচনা না করলে আওয়ামী লীগ কী করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমি আমার পজিটিভ বিষয়টা বললাম। নেগেটিভে যাবো কেন? দরজা খোলা রাখছি।
বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে কি না, ঘটলে আওয়ামী লীগ কী করবে– জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
তদন্তে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘের কাছে সরকার আবেদন করেছে কি না– জানতে চাইলে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী এটা তার বক্তব্যে বারবার উল্লেখ করেছেন। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বলার পর…। জাতিসংঘ একটা প্রস্তাব দিয়েছে। এটা তো চিঠি দিয়ে বলেনি। আমরাও সেটাতে সায় দিয়েছি।
রোববার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি বলে দিয়েছি। এজন্য আমরা জমায়েত কর্মসূচি দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শারীরিক অবস্থার উন্নতি, হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো। তিনি একা একা হাঁটতেও পেরেছেন। দেশের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন তিনি।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিশেষায়িত এই হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এসময় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী এনামুল হক চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। ওই দিনই লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে লন্ডনের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ নেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার ‘রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ চলছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করানো হতে পারে বলেও জানান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি আরও জানান, রবিবার অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি খালেদা জিয়াকে দেখে গেছেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই লন্ডনে দ্য ক্লিনিকে তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া এদিন খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে তার অবস্থা স্ট্যাবল ছিল।
অন্যান্য দিনের মতো রোববারও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মীনি ডা. জোবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছেন।
এদিকে, ব্রিফিংকালে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় যুক্তরাজ্য বিএনপির সব ইউনিটকে স্ব স্ব এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাষ্ট্রে অগ্রগতিশীল ও উন্নত সংস্কার কার্যক্রম সময়ের দাবি। যারা এখন আমলাতন্ত্রকে প্রভাবিত করছে, নির্বাচনে তারাই আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করবে। চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে যাতে সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত গণশক্তি সভা কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণশক্তি সভার সভাপতি সাদেক রহমান। কবি মনির ইউসুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন, লে. কর্নেল অব ফেরদৌস আজিজ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ডক্টর দেওয়ান সাজ্জাদ, মেজর অব রেজাউল হান্নান শাহীন, গণমুক্তি জোটের কো- চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিজবুল্লাহ, বিশিষ্ট গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল প্রমূখ।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের আশা হত হলে চলবে না সুদিনের আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আরো সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। প্রত্যেককে নিজেকে নিজের জায়গায় ছাড় দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এখন লড়াই জ্ঞানের, লড়াই বুদ্ধির। রাজনীতিবিদদের অতীত দেখেছে বলেই মানুষ রাজনীতিবিদদের উপর আস্থা রাখতে আস্থা হারাচ্ছে।
কর্নেল অব হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক বলেন, প্রধান ইস্যু গুলোতে আমাদের ঐক্যমতে পৌঁছতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোতে পরিবর্তন এনেই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরাই দেশকে পুনরায় গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষার্থীদের এ ত্যাগকে খাটো করে দেখলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হলে সংস্কার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন হওয়া দরকার। আজকের এই সেমিনারে আমরা বলতে চাই বাংলাদেশের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আসন সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৫০০ হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, একই দিনে নির্বাচন নয় অন্তত তিন থেকে চারদিনে দেশকে ভাগ করে নির্বাচন করলে একটি ভালো নির্বাচন আশা করা যায়। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে একটা ট্রায়াল জাতি দেখতে চায়। নির্বাচন কমিশনে সৎ এবং যোগ্য অফিসার নিয়োগ প্রদান করা এবং দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে কালো টাকা প্রভাব যে কোন মূল্যে বন্ধ করা দরকার না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ হচ্ছে না। আগামীতে রাজনীতিতে একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে এটা আমরা আশা করতে চাই। মানুষের কথা বলার অধিকার পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ইইউর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় এ বৈঠক শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন ৫ সেল গঠন
সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার উদ্দেশ্যে নতুন পাঁচটি সেল গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আজ রবিবার জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নবগঠিত সেলগুলো হলো শহীদ পরিবার ও আহত কল্যাণ, দপ্তর সেল, প্রচার ও প্রকাশনা সেল, আইসিটি সেল এবং তথ্য ও জনসংযোগ সেল। জাতীয় নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে সেলগুলো গঠন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এগুলোর মধ্যে শহীদ পরিবার ও আহত কল্যাণ সেলের সেল সম্পাদক করা হয়েছে ডা. মাহমুদা আলম মিতুকে। এছাড়া সেলের সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন তামিম আহমেদ, শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, মো. রাকিব হোসেন এবং কাজী আশরাফুর রহমান।
দপ্তর সেলের সম্পাদক করা হয়েছে মনিরা শারমিনকে। এ সেলের সদস্য করা হয়েছে হাসান আলী খান ও আবু সাঈদকে।
প্রচার ও প্রকাশনা সেলের সম্পাদক হয়েছেন মো. আরিফুর রহমান। আর সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন খান মুহাম্মদ মুরসালিন, মীর আরশাদুল হক ও আরেফিন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ।
আইসিটি সেলের সেল সম্পাদক হয়েছেন মো. ফারহাদ আলম ভুঁইয়া এবং সদস্য হিসেবে আছেন মো. আজহার উদ্দিন অনিক, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, রাফিদ ভুঁইয়া এবং তারিক আদনান মুন।
এ ছাড়া তথ্য ও জনসংযোগ সেলের সেল সম্পাদক করা হয়েছে মামুনুর রশীদকে। সেলটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন মশিউর রহমান ও তামিম আহমেদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচনে যুব সমাজ ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার চায় জামায়াত
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যুব সমাজ এবং প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
কুয়েতে সালুয়া সী সাইডে জুমেরিদা হলে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কুয়েতের আয়োজনে এ সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা, দেশে বিনিয়োগে ব্যবসায়িক লাইসেন্সের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস ব্যবস্থা, প্রবাসী মন্ত্রণালয়ে প্রবাসীদের অগ্রাধিকারসহ সবার জন্য সমান আইন প্রতিষ্ঠা করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের তৃতীয় সচিব আবদুল লতিফ ফকির, জামায়েত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, কুয়েত মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা, কুয়েত সংসদের সাবেক পার্লামেন্ট মেম্বার আদেল দামকী, ইসলাম প্রেজেন্টেশন কমিটি আইপিসি কর্মকর্তা আম্মায় আল কান্ডারীসহ অনেকে।