ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে ইবিতে দোয়া ও বিক্ষোভ মিছিল
কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী পুলিশের গুলিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শহীদ, আহত, পঙ্গু ও গ্রেপ্তার হওয়া সকল শিক্ষার্থীদের স্মরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুম্মা নামাজের পরে দোয়া প্রার্থনা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২ আগষ্ট) জুম্মার নামাজের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা৷ পরবর্তীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী সফলে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়কসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মিছিলে শিক্ষার্থীরা আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই, হল গুলো বন্ধ কেন, প্রশাসন জবাব চাই; আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই; কয় দফা কয় দাবী, নয় দফা নয় দাবী, দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে ছাত্র সমাবেশে রূপ নেয়।
মিছিল শেষে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুরো জাতি দেখেছে আবু সাঈদকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে অথচ সেখানে নিরপরাধ একজনকে ধরা হয়েছে। স্কুল ড্রেস থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে, হাসপাতাল থেকে সুস্থ হলে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। আমাদের ক্যাম্পাসের ছোট ভাইকে এখানে থাকা অবস্থায় চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এগুলো সরকারের প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। এসব প্রহসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সমাজ মাঠে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় রাজধানীতে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে এ সময় আমি ঢাকায় ছিলাম। জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির একাত্মতা ঘোষণা করছি। আমি মিরপুর যে হত্যাকান্ড দেখেছি তার বিচার অবশ্যই বাংলাদেশে হওয়া উচিত। বাংলাদেশে না পারলে ছাত্রসমাজ তার ভাইয়ের প্রতি একশো পারসেন বেইমানি করবে। এ জন্য আমি এই তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল শিক্ষকদের একটি মৌন মিছিল আছে সেখানে আমি বক্তব্য রাখবো। আপনাদের যদি শোনার সৌভাগ্য হয় তাহলে শুনবেন সেদিন ঢাকায় ১০ নম্বরে কি হয়েছিল, কি ঘটেছিল, কেমন করে ঘটেছিল। এ কথাটি বারবার বলা হচ্ছে মেট্রোরেল পোড়ানো হয়েছে, কোন প্রেক্ষাপটে ছাত্ররা মেট্রোরেলে উঠেছিল, সেদিন আমি নিজের চোখে দেখেছি। ছাত্রদের এখানে দোষ দেবার কোন সুযোগ নাই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্যসচিব পলাশ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ (ঐক্যমঞ্চ)-এর নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে বুনন সংগঠনের বর্তমান সভাপতি মো নাহিদুর রহমান ও সদস্য সচিব হিসেবে সাহিত্য সংসদের সভাপতি পলাশ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আগামী ছয় মাস তারা এ দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াই টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি ঐক্যমঞ্চের কক্ষে আহ্বায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভের সভাপতিত্বে ঐক্যমঞ্চের অধিভুক্ত ১২টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঐক্যমঞ্চের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
সদস্য সচিব পলাশ হোসেন বলেন, প্রতিটি সংগঠন তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে করতে পারে এবং যে সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ছে তাদের কার্যক্রম কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় এই বিষয়ে ঐক্যমঞ্চ ও ঐক্যমঞ্চের অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলোকে আরো বেশি একে অপরের প্রতি আন্তরিক হতে হবে।
এসময় আহ্বায়ক মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ঐক্যমঞ্চ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে আর এই সকল সংঠনগুলো অরাজনৈতিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক অধিকার নিয়ে কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক সংগঠনগুলো যাতে মুক্তভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে ঐক্যমঞ্চের আহ্ববায়ক হিসেবে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।
সর্বোপরি, বিদায়ী আহ্বায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক অধিকার আদায়ে ঐক্যমঞ্চ কাজ করবে এবং উক্ত কাজের সাথে সকলেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠনের যেকোনো যৌক্তিক কাজে সবসময় পাশে থাকবো।
প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ যা সংক্ষেপে ঐক্যমঞ্চ নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ও সংগঠকদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও দাবি আদায়ে কাজ করে থাকে ঐক্যমঞ্চ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগ, পদ ৯৯৭
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধিভুক্ত ৮টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া হবে ৯৯৭ জন অফিসার জেনারেল। ৯ জানুয়ারি এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: অফিসার (জেনারেল)।
পদসংখ্যা: ৯৯৭টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম একটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। গ্রেডিং পদ্ধতির ফলাফলের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না।
বয়সসীমা: ২১–৩২ বছর।
প্রতিষ্ঠান এবং আসন সংখ্যা: সোনালী ব্যাংকে ৫৪৬টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ১২০টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ৬টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ২৭১টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ২৫টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৫টি, কর্মসংস্থান ব্যাংকে ২৩টি এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে ১টি।
বেতন: ১৬০০০–৩৮৬৪০ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এ লিংকের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন ফি: ২০০ টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (রকেট) মাধ্যমে প্রিপেইড পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রার্থীকে নিজের অথবা এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ফি দিতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবিতে কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে গণ কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সেন্ট্রাল মসজিদে ও বিভিন্ন হলগুলোতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির লক্ষ্যে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি পালন করেছে রাবি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার মুক্তমঞ্চে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়া কমিউনিটির উদ্যোগে এই কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি পালন হয়।
এই অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) প্রোফেসর ড. মাঈন উদ্দিন খান বলেন, পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে মুসলমানদের হৃদয়ে তারা আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশটা ভালোভাবে চলুক তারা চায় না। আগস্ট বিপ্লবের পরে তারা চাচ্ছে আমাদের ক্যাম্পাস অচল হয়ে যাক।
তিনি আরও বলেন, শুধু ক্যাম্পাস না দেশের মধ্যে তারা লুকিয়ে থেকে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এখনো। আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের এই চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারা যে কর্মকাণ্ড করেছে তাদের উচিৎ জবাব দিতে এই কর্মসূচি করা দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি এবং আমি চাই এরকম কর্মসূচি শুধু শহীদ মিনারে না প্রতি হলে হলে হোক।
আয়োজক কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শুয়েবুল হাসান বলেন, রাবির আবাসিক হলগুলোতে পবিত্র কুরআনে আগুন দেওয়া এবং চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে মুসলমানদেরকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে চক্রান্তকারীরা। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর যে চেষ্টা চালানো হচ্ছে আমরা তার শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আজকের এই গণ কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি তারই অংশ। যারা এই ন্যক্কারজনক কাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলোতে পবিত্র আল কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। কে বা কারা এই কর্মকাণ্ড করেছে তার কোনো হদীস এখনো পাইনি। তবে তাদের এই কর্মকাণ্ডের বিপরীতে আমরা কোরআনের বাণীর সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরাগণ কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করেছি। আমরা আমাদের কোরআনের অবননার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকবো ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে শনিবার (১২জানুয়ারি) ও তার আগে (১০জানুয়ারি) রাবির সেন্ট্রাল মসজিদে কোনো এক সময়ে কে বা কারা পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করেছিল। তবে এখন পযর্ন্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
এছাড়াও এই আয়জনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেত্রিবৃন্দ সহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জবি শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
আগামী বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে মর্মে লিখিত চিঠি পাওয়ার পর অনশন প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত জবির শিক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত সামনে না আসা পর্যন্ত জবি পুরোপুরি শাটডাউন থাকবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় অনশন প্রত্যাহারের কথা জানান অনশনরত শিক্ষার্থী একেএম রাকিব।
তিনি বলেন, আমাদের তিনটি দাবির মধ্যে দুটি পুরোপুরি মেনে নিয়ে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাকি একটি আলোচনা সাপেক্ষে মেনে নেওয়া হবে। লিখিত চিঠি পাওয়ায় আমরা অনশন প্রত্যাহার করছি।
তবে মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত সামনে না আসা পর্যন্ত আমাদের শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।
এর আগে দুপুর ২টায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে সচিবালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। এ চিঠি আসার পর অনশনরত শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি জানান। সেগুলো হলো-
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম বলেন, আগামী বুধবার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হবে।
এদিন বিকেল ৩টায় সচিবালয়ের মিটিং শেষে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। আগামী বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার প্রসঙ্গে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যাবলী পরবর্তীতে জানানো হবে।
এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে এই সমাবর্তনের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনসহ নানা কারণে সেটা স্থগিত হয়। ২০২৪ সালের জুনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং ২৮ নভেম্বর সমাবর্তনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জুলাই বিপ্লবে দেশের পটপরিবর্তন হলে ফের স্থগিত হয় এই সমাবর্তন।
পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুসারে দ্বাদশ সমাবর্তনে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান), ২০১৭ ও ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এমবিবিএস, বিডিএস, ডিভিএম এবং ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এমফিল, এমডি, পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন।
তবে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারীরা যেকোন একটির জন্য রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পেয়েছেন। প্রত্যেক আবেদনকারীদের অনলাইনে পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব এক ফেসবুক পোষ্টে জানান, ভালো-মন্দ মিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। একটা ভালো খবর, অনেক চেষ্টার পর আমরা দ্বাদশ সমাবর্তনের একটা তারিখ পেয়েছি। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। ছয় হাজারের বেশি রেজিষ্ট্রেশন হয়েছে। সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
অর্থসংবাদ/জুবাইর/এসএম