জাতীয়
ইডিজিই প্রকল্পে ১০৩ কোটি টাকা ব্যয়ের অনুমোদন

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) বাস্তবায়নাধীন ‘ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকারণ (ইডিজিই)’ শীর্ষক প্রকল্পের দুটি লটে ১০৩ কোটি ৩১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭২ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকে ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের লট-১ এর আওতায় সাপ্লাই, ইন্সটলেশন অ্যান্ড কমিশনিং অব এক্সপানশন অব এক্সিস্টিং নুটানিক্স প্রাইভেট লিমিটেড ক্লাউড প্ল্যাটফরম ইন ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার অ্যাট বিসিসির ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের কাজ সম্পাদনের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে একটি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ঠাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৫৮২ টাকা।
এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে, ডিজিটাল সরকার ও অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের লট-২ এর আওতায় সাপ্লাই, ইন্সটলেশন অ্যান্ড কমিশনিং অব এক্সপানশন অব এক্সিস্টিং প্রাইভেট ক্লাউড প্ল্যাটফরম (ডিসি অ্যান্ড ডিআর) ইন ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার অ্যাট বিসিসির ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৬ হাজার ২৯০ টাকা। যৌথভাবে ইএসএল এবং ইউসিসিএল জেভি এই কাজ পেয়েছে।

জাতীয়
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় ফ্রান্সের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ফ্রান্স। আগস্টের ঘটনাগুলোকে এ দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রার এক মোড় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স।
মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাস তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় এক বিবৃতিতে জানায়, আজকের দিনটি ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের করুণ ঘটনার স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ফ্রান্সের অটুট সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
এই বার্তাটি এমন সময় এলো, যখন যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক অংশীদারও আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের অধীনে গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য অব্যাহত সমর্থন জানিয়েছে।
জাতীয়
ঢাকায় পৌঁছেছে ছাত্র-জনতা বহনকারী ৬ ট্রেন

রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ৩৬ জুলাই উদযাপন ও জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণের জন্য দেশের আটটি অঞ্চল থেকে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুর ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে মোট ছয়টি ট্রেন পৌঁছেছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মোট আটটি বিশেষ ট্রেনের ছয়টি স্টেশনে পৌঁছেছে। যাত্রীরাও স্টেশন ত্যাগ করেছে। এখনও দুটি ট্রেন স্টেশনে পৌঁছায়নি, কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছাবে।
তিনি জানান, ভাঙ্গা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম থেকে আসা ট্রেনগুলো পৌঁছেছে। নরসীংদী এবং জয়দেবপুর থেকে আসা ট্রেন এখনও পৌঁছায়নি।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণের জন্য আটটি বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছিল সরকার। এসব ট্রেনে ফ্রিতে যাতায়াত করতে পারছেন সাধারণ মানুষ।
জাতীয়
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু নাসের খান।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
জাতীয়
রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টার প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ (মঙ্গলবার) রাত ৮টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ ও বাংলাদেশ বেতারে ভাষণটি একযোগে সম্প্রচার করবে।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টা আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টায় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহিদ পরিবারের প্রতিনিধি ও আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন।
এ ছাড়া এদিন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয়
ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন ৫ আগস্ট: প্রধান উপদেষ্টা

৫ আগস্ট শুধু একটা দিবস নয়, এটি একটি প্রতিজ্ঞা। গণ-জাগরণের উপাখ্যান এবং ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের কারণে আত্মত্যাগের কারণে আমরা আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল ফ্যাসিবাদী সরকার। বিগত ১৬ বছরে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে গুলিবিদ্ধ আহদের চিকিৎসা নিতে দেওয়া হয়নি এবং তৎকালীন সরকার হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, যাতে আহদের চিকিৎসা দেওয়া না হয়।
জুলাই আগস্ট আন্দোলনে আহত নিহতদের স্মরণ করে ড. ইউনূস বলেন, শহীদ পরিবার এবং আহতদের আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের বিদেশে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালে সাম্য সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এদেশের জনগণ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। লাখো প্রাণের বিনিময়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পরেও এদেশের মানুষ সুবিচার ও গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের উত্তাল জুলাই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক সংকটময় অধ্যায়। ১৬ বছরের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এ দেশের এই বিপুল সংখ্যক তরুণরা ১৬ বছর ধরে ক্রমাগত হতাশায় নিমজ্জিত ছিল। ভালো ফলাফল করেও চাকরির জন্য ক্ষমতাসীনদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে। চাকরিকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর তদবির বাণিজ্য। যে তরুণ ঘুষ দিতে পারেনি এলাকার মাফিয়াদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতে পারেনি, তার চাকরি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি, যেটা মূলত ছিল দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির আরেকটা হাতিয়ার। এর বিরুদ্ধে তরুণ সমাজ দীর্ঘদিন প্রতিবাদ বিক্ষোভ করলেও ফ্যাসিবাদী শাসকের টনক নড়েনি। দীর্ঘদিন এই সেক্টরে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করে একটি সুবিধাভোগী শ্রেণি তৈরি করা হয়েছিল। যারা আর্থিক বা অন্য সুবিধার বিনিময়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলবে-কাজ করবে। স্বৈরাচারের পক্ষের সঙ্গী হলেই তার চাকরি হবে।