অর্থনীতি
৪৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০০ টন সার কিনবে সরকার
রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং দেশিয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন করে মোট ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব সার কিনতে ব্যয় হবে ৪৯৮ কোটি ৭ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা।
বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ১ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব করে শিল্প মন্ত্রণালয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৩০.৫০ মার্কিন ডলার।
অপরদিকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ফার্টিগ্লোব ডিসট্রিনিউশন লিমিটেড থেকে ১০ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির ক্রয় প্রস্তাবটিও করে শিল্প মন্ত্রণালয়। এই সার আমদানি করতে মোট খরচ হবে ১২১ কোটি ৪৮ লাখ ২১ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৩৪৩.১৭ মার্কিন ডলার।
এদিকে সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সৌদি আরবের মা’আদেন থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন এই সার আমদানি করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৫৫০ মার্কিন ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা
নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তিন লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে ব্যাংকগুলোকে খুদে বার্তা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক জরুরি বার্তায় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একাধিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক তিন লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন না। তবে যেকোনো পরিমাণ টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তর করতে পারবেন এবং ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সেজন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত ১০ আগস্ট বলা হয়, অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তারও আগে ৮ আগস্ট এক লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারেননি গ্রাহক। ওই দিন বলা হয়েছিল, শুধু একদিনের জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজকের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে শাখায় টাকা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, দেশে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সেজন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কেজিতে চিনির দাম কমল ১০ টাকা
শিক্ষার্থী ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে চিনির দাম কমেছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে চিনির দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিনি ডিলার ব্যবসায়ী সমিতি।
আগে যেখানে খুচরায় প্রতিকেজি চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হতো বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১২৭ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ প্রতিকেজি চিনিতে কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
একইভাবে চিনির দাম কমেছে পাইকারি বাজারেও। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিনি ডিলার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
বাংলাদেশ চিনি ডিলার ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, বর্তমানে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে কোম্পানি অনুযায়ী প্রতিকেজি চিনি ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর থেকে চিনির দাম কমেছে। এর আগে প্রতিকেজি চিনি পাইকারিতে ১২২ টাকা থেকে ১২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল।
অপরদিকে, সরকারি চিনি মিলগেটে বিক্রি করা হচ্ছে ১২৫ টাকা করে। এ দাম দীর্ঘদিন ধরে একই রকম আছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারেও চিনির দাম কমেছে। সে অনুযায়ী দেশে চিনির দাম আরও কমা উচিত ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েই চলেছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এরই মধ্যে সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫০০ ডলার ছুঁয়েছে।
এভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে সোনার দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও যে কোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে দেশের বাজারে রেকর্ড দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে দাম বাড়ানো হলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আরও উচ্চতায় উঠবে সোনার দাম।
দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সোনার দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য জানান, বিশ্ববাজারে সোনার দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার এবং স্থানীয় বাজারে পাকা সোনার দাম পর্যালোচনা করে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে। সোনার দাম কতটা বাড়ানো হবে সেই সিদ্ধান্ত কমিটি নেবে। দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করার পর এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ১০০ ডলার বেড়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এখন দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়বে।
তথ্য পর্যালোচনায় গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৪২৮ দশমিক শূন্য ৭ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫০৭ দশমিক ৮২ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৭৯ দশমিক ৭৫ ডলার বা ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহে শেষ কার্য দিবসেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫০ দশমিক ৪৮ ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
এদিকে দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ১৪ জুলাই। যা কার্যকর হয় ১৫ জুলাই থেকে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ১৯০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে ১ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাক হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে উঠেছে সোনা।
এর আগে দেশের বাজারে এক ভরি সোনা সর্বোচ্চ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ২০ এপ্রিল বিকেবল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়।
ভালো মানের সোনার পাশাপাশি ১৫ জুলাই থেকে সব ধনের সোনার দাম বাড়ানো হয়। এর মধ্যে ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৩১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৬৮ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ২৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৮৫ টাকা বাড়িয়ে ৮১ হাজার ২২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে দেশের বাজারে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে এখন ২২৫
দেশে তৈরি পোশাক শিল্পে আরও দুটি কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান দুটি হলো- আশুলিয়া মোল্লা বাজারের সাদাতিয়া সোয়েটারস লিমিটেড এবং গাজীপুর শ্রীপুরের এক্সিকিউটিভ গ্রীনটেক্স লিমিটেড।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ফলে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২২৫টি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এর পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়ার ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।
এক্সিকিউটিভ গ্রীনটেক্স লিমিটেড পেয়েছে গোল্ড সনদ। ইউএসজিবিসি থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১১০ এর মধ্যে পেয়েছে ৬৯ নম্বর।
বিজিএমইএ তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে হয়েছে ২২৫টি। তার মধ্যে ৮৯টিই লিড প্লাটিনাম সনদধারী। এছাড়া ১২৩টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সবজির দামে স্বস্তি
সরকার পতনের পর কমেছে সবজি ও মুরগিসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম। শিক্ষার্থীদের বাজার তদারকি অব্যাহত থাকায় রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও রাজশাহীতে বিভিন্ন পণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত মাসের তুলনায় বাজারে সব ধরনের সবজির দাম আগের চেয়ে কমেছে। তবে ২-৩ আইটেমের সবজির বর্তমানে মৌসুম না হওয়ায় সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজকের সাপ্তাহিক ছুটির দিনের বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ২২০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা কেজি ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া যেসব সবজির দাম কিছুটা বাড়তি সেই তালিকায় আছে করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মূলা ৮০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৭০, টমেটো ১৫০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা এবং কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বেসরকারি চাকরিজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত মাসের তুলনায় বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কমেছে। কিছুদিন আগেও বাজারে কোনো সবজি ৮০ টাকার নিচে ছিল না, এখন সেগুলো কমে ৩০ টাকা ৪০ টাকা, ৫০ টাকা, ৬০ টাকার মধ্যে এসেছে। তবে এখনো কিছু কিছু সবজির দাম ৮০ টাকার ঘরে আছে। আর যে সবজির এখন মৌসুম না সেগুলো ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সব মিলিয়ে বলা যায় আগের তুলনায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
আসলেই কী সবজির দাম কমেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় কমেছে এ কথা ঠিক। এর মূল কারণ হলো পথে পথে যে সবজি পরিবহনের চাঁদাবাজি ছিল, কারণ বাজারেও বিভিন্ন জায়গায় যে টাকা দিতে হতো সেগুলো এখন দিতে হচ্ছে না। যে কারণে এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে সবজির বাজারে। এজন্যই সবজি বিক্রেতারা তুলনামূলক কম দামে সবজি বিক্রি করতে পারছেন। এছাড়া এলাকাভিত্তিক স্থানীয় বাজারগুলোতে শিক্ষার্থীরা এসে বাজার মনিটরিং করছে। সবমিলিয়ে আগের তুলনায় সবজির দাম বাজারে কমেছে।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ভ্যান গাড়িতে করে সবজি বিক্রি করেন সোহেল আহমেদ। তিনি বলেন, আগে রাস্তার পাশে ভ্যান গাড়ি দিয়ে সবজি বিক্রি করতে হলে প্রতিদিন লাইন ম্যানকে দিতে হতো এলাকা ভেদে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে লাইনম্যানকে এই টাকা দিতে হচ্ছে না। এছাড়া যখন পাইকারি কারওয়ান বাজার থেকে মাল কিনে নিয়ে আসা হয় তখন কারওয়ান বাজার থেকে শুরু করে গাড়িতে করে রাস্তা দিয়ে আসার সময়ও বিভিন্ন জায়গায় চাঁদার টাকা দিতে হতো, এগুলো এখন দিতে হচ্ছে না। যে কারণে আগের তুলনায় কম দামে সবজি বিক্রি করা যাচ্ছে।
এমআই