পুঁজিবাজার
ফার্স্ট ফাইন্যান্সের লোকসান বেড়েছে
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৪-জুন’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেড।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার লোকসান হয়েছে ৯৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ৫৯ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৪-জুন’২৪) কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৯২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ২৬১ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে মাইনাস ৩৪ টাকা ৬৩ পয়সায়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে: ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট
পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারছি না। এর মধ্যে ফ্লোর প্রাইস ছিলো রেগুলেটরি ব্যর্থতা। ফ্লোর প্রাইস পদ্ধতি পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে বলে জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘Bi-annual Economic State & Future Outlook of Bangladesh Economy- Private Sector Perspective’- শীর্ষক এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলেন ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ।
ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। ফার্মাসিউটিক্যালসে খাতের মাত্র ৪-৫ টা কোম্পানি তালিকাভুক্ত। এ খাতসহ অন্যান্য খাতের ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে উৎসাহ দেওয়ার মতো কিছু নেই। বন্ড মার্কেট আইপিও মার্কেটের ২০ গুণ হলেও এখানে লেনদেন হচ্ছে না। বন্ড মার্কেটে নামকাওয়াস্তে সামান্য লেনদেন হয় বলেও জানান তিনি।
আশরাফ আহমেদ বলেন, সুদহার বাড়িয়ে সাময়িকভাবে মূল্যস্ফীতি কমানো যায়। অপরদিকে সুদহার বৃদ্ধি পেলে ঋণ প্রবাহ কমে যায়। পাশাপাশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানও কমবে। তাই সুদহার বৃদ্ধির এ প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদে অনুসরণ করা ঠিক হবে না। এসএমই খাতে ঋণের সংকট রয়েছে। তাই এ খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানো দরকার। আমাদের ফরেন ট্রেড ক্রেডিটের পরিমাণও কমে গেছে।
ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন বড় আকারে হবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে বলে জানান ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, টাকার বড় বড় দরপতনের পরিবর্তে ছোট ছোট দরপতন হবে। এটা একটি স্বস্তির বিষয়। রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য অনেক পথ খোলা রয়েছে। দেশের ঋণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঋণ ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে ট্যাক্স রেভিনিউ বাড়াতে হবে।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) ডঃ মোঃ সেলিম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (RAPID) নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (BIDS) এর সাবেক মহাপরিচালক ডক্টর খান আহমেদ সাঈদ মুরশিদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের আহ্বান বিনিয়োগকারীদের
পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিষয়ে সকল স্টেকহোল্ডারদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহন করে পারস্পরিক অনাস্থা দূর করে বিনিয়োগকারীদেরকে আস্থায় নেয়ার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অন্যাথায় ধারাবাহিক মার্কেট পতন ও অযোগ্যতার দায়ভার নিয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে নিজ দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের ব্যানারে এ দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি আতাউল্লাহ নাঈম বলেন, পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সকল প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে থাকা বিগত সরকারের সুবিধাভোগীরা ছাত্র-জনতার সরকারকে বেকাদায় ফেলতে এবং পুঁজিবাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি করে স্বার্থ হাসিলে বিগত বিএসইসির জেড ক্যাটাগরি সংক্রান্ত উদ্যোগ বর্তমান সময়ে বাস্তবায়নে কারা অসৎ উদ্দেশ্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১২টি দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-
২। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৮টি কোম্পানীকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর কারণে শেয়ারধারীরা মূলধন হারাচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টকোম্পানীগুলোকে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি উক্ত কোম্পানীগুলোর পরিচালকদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া যেতেপারে। কোম্পানী সম্পর্কিত নন-কমপ্ল্যায়েন্স এর জন্য পরিচালকদের ব্যাক্তিগত অ্যাকাউন্ট ফ্রীজ করে কমপ্ল্যায়েন্স ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে ডিভিডেন্ট বিতরণের অনিয়ম দূর হবে।
৩। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় আমাদের দেশে “পুঁজি বিনিয়োগ আইন” প্রণয়নও কার্যকর করতে হবে। প্রকৃত লভ্যাংশ না পেলে এবং কোম্পানীগুলো প্রতারণার আশ্রয় নিলে যাতে বিনিয়োগকারীরা আইনী সুযোগ নিতে পারেতা নিশ্চিত করতে হবে। বিএসইসিকে পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা বাড়াতে আইনের সময়োপযোগী সংশোধন করতে হবে।
৪। বিগত ১৫ বছর কারসাজির কারণে সৃষ্ট পতনে সর্বস্ব হারিয়ে যে সব বিনিয়োগকারী আত্মহত্যা ও হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন, সে সব বিনিয়োগকারীদের পরিবার থেকে ০১ জনকে চাকুরীর সু-ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
৫। ২০১০ সালের ধসের পর থেকে আজ অবদি পুঁজিহারা বিনিয়োগকারীদের ৫০% পুঁজির যোগান দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।
৬। চিহ্নিত কারসাজীকারকদের কারণে ২০১০ সালের মহাধসের পর থেকে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে বিগত সরকারের হামলা-মামলার রোষানলে পড়ে নিরীহ বিনিয়োগকারীরা। চরম আর্থিক সংকট, পারিবারিক ও সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছে। যার খবর কেউ রাখেনি। সুতরাং সকল হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা নিঃশর্ত প্রত্যাহার করতে হবে। মিথ্যা মামলা চালাতে গিয়ে যত টাকা খরচ হয়েছে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে ।
৭। পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পানীগুলোতে স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য না দেওয়া, প্রকৃত লভ্যাংশ থেকে বিনিয়োগকারীদের বঞ্চিত করা, কোম্পানীর বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে কথা বলার সুযোগ না দেওয়া এবং দুর্নীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে এজিএম সম্পন্ন করে কোম্পানীর এজেন্ডা পাশ করানোর মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীদের সর্বপ্রকার অধিকার হরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি আইপিওতে আসা কোম্পানীগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন সংস্থার নামে চাঁদা আদায়ও এজিএম কে ঘিরে চলমান অনিয়ম দুর্নীতি অনুসন্ধান করে প্রকৃত দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অবিলম্বে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
৮। পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকটকালে ব্যাংকগুলোকে সংকট উত্তরণে এগিয়ে আসতে হবে, কারণ রাইট শেয়ার ছেড়ে সুবিধামতো সময়ে ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজার থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। তাই পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নিশ্চিত করার কার্যকর ভূমিকা ও উদ্যোগগ্রহণ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কে পলিসি সাপোর্ট দিতে হবে।
৯। সবকিছু শুধু আইন দিয়েই হয় না, মানবিক বিষয়টি অনেক সময় আইনের উর্ধ্বে উঠে যায়। কারণ আইন যেহেতু মানুষের জন্যই। বর্তমান ধারাবাহিক দরপতনে বিনিযোগকারীরা নিঃস্ব। সুতরাং মানবিক কারণে ফোর্সসেল আপাতত বন্ধ রাখার আকুল আবেদন জানাই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুঁজিবাজারকে অব্যাহতভাবে গতিশীল রাখার স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বড় বিনিয়োগকারীদের বাজারে সক্রিয় করতে উদ্যোগ গ্রহণ করলেই ক্যুইটি মাইনাস একাউন্টগুলো দ্রুত লেনদেনের আওতায় আসবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনী কাঠামোয় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার হাউজগুলোকে তহবিল বৃদ্ধির জন্য তাদের কে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অর্থ সংগ্রহের সুযোগ দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে বিএসইসির মনোযোগ আকর্ষণ করছি।
১০। অতিদ্রুত বাইব্যাক আইন করতে হবে। কারণ সেকেন্ডারি মার্কেটে মৌলভিত্তি সম্পন্ন অনেক শেয়ারের মূল্য ফেসভ্যালুর কাছাকাছি। এমতাবস্থায় প্রিমিয়ামসহ ইস্যু মূল্যের নিচে শেয়ার দর নামলে তা সংশ্লিষ্ট কোম্পানী/ মালিককে বাইব্যাক করতে হবে ।
১১। আইনি নির্দেশনা থাকা সত্বেও ইস্যু ম্যানেজাররা মৌলভিত্তি সম্পন্ন ইস্যু না এনে, নাম সর্বস্ব কোম্পানীর শেয়ার ছেড়ে অধিক প্রিমিয়ামসহ আইপিওএর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করার পর আর কোন দায়বদ্ধতা নিতে চায় না। অথচ তালিকাভূক্তির ৩ বা ৬ মাসের মাথায় অনেক কোম্পানী বিভিন্ন অজুহাতে বিনিয়োগকারীদের অর্থ বছরের পর বছর আটকে যায়। এর জন্য দায়ী ইস্যু ম্যানেজারদের চিহ্নিত করে জরিমানা আদায় পূর্বক লাইসেন্স বাতিল ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নতুন কোম্পানীর সেকেন্ডারী মার্কেটে তালিকাভূক্তির পর তাদের সার্বিক কার্যক্রম সঠিক মনিটরিংএর আওতায় আনতে হবে।
১২। “পুঁজিবাজার বিষয়ক তথ্য ব্যাংক” গঠন করে বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সকল প্রকার তথ্য নির্দিষ্ট স্থান থেকে সংগ্রহ করার সহজ সুবিধা নিশ্চিত করতে বিএসসিইকে ডিএসই ও সিএসই সমন্বয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। তবে সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সূচকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকা। পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬২১ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর দুই সূচক কমেছে। চলতি সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪১ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তবে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সূচকের পতনের পরও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৩৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে ৯৪৪ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এদিকে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১০.৮০ শতাংশ বা ৬৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৭৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৬১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০টি কোম্পানির, কমেছে ৩৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
শেয়ার কারসাজি নিয়ে যা বললেন সাকিব
সাকিব আল হাসান যেন বিতর্কের আরেক নাম। ক্যারিয়ারের খুব কম সময়ই বিতর্ক আর সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে চলতে পেরেছিলেন তিনি। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাকিবকে আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলার আসামি করা হয়। এছাড়া শেয়ার কারসাজির কারণে অর্ধকোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এবার নিজের নামের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন সাকিব আল হাসান।
শেয়ারবাজার কারসাজি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার লাইফে আমি নিজে থেকে কোনো ট্রেড করিনি। কেউ যদি এটা বলে আমি ট্রেডিংয়ে কথা বলেছি, আমাকে প্রমাণ দিলে আমি খুশি হবো। এই সবগুলোয় এখন যেকেউ যার যার মতো করতেই পারে। তবে বিষয়গুলো যদি একটু সুন্দরভাবে করতো, আমার জন্য হয়ত ভালো হতো। আমার জন্য মেন্টালি সহজ হতো।’
নিজের ওপর আনা অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘মিথ্যে অভিযোগগুলো আমার মনে হয় না খুব একটা ভালো দিক বহন করে আমাদের দেশের জন্য বা বাইরের জন্য। কারণ বাইরের মানুষগুলো যখন কথা বলবে তখন আমার মনে হয় না জিনিসগুলো অ্যাপ্রোপিয়েট হবে। আমার লাইফে যখন আমি কোনো ট্রেডই করিনি নিজ থেকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমার ভুল করা বা যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে সেসবও কতটা যথার্থ, তা (চিন্তা করা) আমার জন্য দুঃখজনক।’
হত্যা মামলা নিয়েও কথা বলেছেন এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘একটা কেইস (হত্যা মামলা) হয়েছে, সবারই রাইটস (অধিকার) আছে। বাট আপনারা সবাই জানেন এটা কেমন ধরণের কেইস ছিল। আমি ওই সময় কোথায় ছিলাম। আমার কাজ কী ছিল কিংবা আমি কী করছিলাম। সো এই বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না।’
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাকিব ছিলেন কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। তবে আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলার আসামি করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৫ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৩০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮১টি শেয়ার ৮১ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ব্লকে সবচেয়ে বেশি ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ২ কোটি ৫৩ লাখ ৭৯ হাজার ও তৃতীয় স্থানে বেক্সিমকোর ১ কোটি ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম