অর্থনীতি
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট কমছে
![চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট কমছে এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/chittagonj-bondor-1.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় শুরু হওয়া অচলাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসছে চট্টগ্রাম বন্দর। তৈরি হওয়া কনটেইনার জটও কমতে শুরু করেছে। গত চারদিনে ১৪ হাজার টিইইউএসের বেশি কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেলিভারি হয়েছে ৪ হাজার ৬১৪ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য। চারদিনে ৩ হাজারের বেশি কনটেইনার কমেছে বন্দর অভ্যন্দরে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৮ হাজার টিইইউএসের কিছু বেশি কনটেইনার ছিল। যার বেশিরভাগই আমদানি পণ্যভর্তি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এ অবস্থায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়েছে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমেও।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গত কয়েকদিন যেভাবে পণ্য ডেলিভারি হয়েছে, আমদানিকারকরা খালাস নিয়েছে, সে ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই বন্দর পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস কনটেইনার ধারণক্ষমতা রয়েছে। বন্দরে স্বাভাবিক সময়ে গড়ে ৩০ থেকে ৩১ হাজার টিইইউএস কনটেইনার থাকে। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলকে ঘিরে পণ্য ডেলিভারি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ২৪ জুলাই পর্যন্ত পাঁচদিনে বন্দর ইয়ার্ডে ৪২ হাজার টিইইউএসের কাছাকাছি হয়ে যায়। বন্দর থেকে সরাসরি খালাস না হওয়ায় ও জাহাজীকরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক সময়ের বেশি কনটেইনার জমে যায়।
এতে বন্দরে সরাসরি পণ্যখালাসে বেগ পেতে হয়। কনটেইনার ও পণ্য খালাস নিতে আসার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান এবং ডিপোগুলোতে কনটেইনার বহনকারী প্রাইমমুভারের অতিরিক্ত চাপের কারণে বন্দর অভ্যন্তরেও যানজট তৈরি হয়। এতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট পরিচালনা করতে বেগ পেতে হয়। গতি কমে যায় বন্দর অপারেশনেও। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে ৩৮ হাজার ২০৮ টিইইউএস কনটেইনার ছিল।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত শনিবার (আগের ২৪ ঘণ্টায়) ৩ হাজার ৪৯৯ টিইইউএস, রোববার ২ হাজার ৭৪৮ টিইইউএস, সোমবার ৩ হাজার ৩৫১ টিইইউএস এবং সর্বশেষ মঙ্গলবার ৪ হাজার ৬১৪ টিইইউএস কনটেইনার ডেলিভারি হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২৭৮ টিইইউএস কনটেইনার জাহাজীকরণ হয়। ১৬ টিইইউএস কনটেইনার আইসিডিতে (কনটেইনার হ্যান্ডলিং) পাঠানো হয়। বন্দর থেকে ৬৩৮ টিইইউএস খালি কনটেইনার ডিপোগুলোতে পাঠানো হয়।
পাশাপাশি আমদানি পণ্যভর্তি ৪৯২ টিইইউএস কনটেইনার ডিপোতে পাঠানো হয় এবং ১ হাজার ৪৪৮ টিইইউএস পণ্যভর্তি কনটেইনার অনচেচিজ ডেলিভারি দেওয়া হয় বন্দর থেকে। আবার বন্দর ইয়ার্ড থেকে ২ হাজার ৬৭৪ টিইইউএস পণ্য সরাসরি খালাস নেন আমদানিকারকরা।
বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্দর ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনারের সংখ্যা সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। তবে এটি আরও কমে আসলে বন্দরে কাজের গতি বৃদ্ধি পাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার কারণে বন্দরে কনটেইনারের সংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজারের বেশি হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধারাবাহিক ডেলিভারি দেওয়ার কারণে বন্দরে ধীরে ধীরে কনটেইনারের সংখ্যা কমে আসছে। এভাবে আমদানিকারকরা পণ্য খালাস নিলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কনটেইনারের সংখ্যা কমে আসবে। তবে বর্তমানে বন্দরের অপারেশন স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্ন হচ্ছে বলে জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
পোশাকশিল্পের আমদানি চালানে ৭ দিনের জন্য বন্দর ভাড়া ছাড়
![পোশাকশিল্পের আমদানি চালানে ৭ দিনের জন্য বন্দর ভাড়া ছাড় এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/roptani-1.jpg)
ইন্টারনেট না থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে থাকা পোশাকশিল্পের আমদানি চালানের জন্য বন্দর ভাড়া ছাড় দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার এক চিঠিতে কোন সময় ও কী শর্তে এই ছাড় পাওয়া যাবে, তা স্পষ্ট করেছে মন্ত্রণালয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে ১৮ জুলাই রাত থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। তাতে অনলাইননির্ভর আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে বন্দরে আটকে পড়ে আমদানি চালান। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে সময় লাগে এক সপ্তাহ।
এ পরিস্থিতিতে গত রোববার বিজিএমইএ নেতারা নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি তুলে ধরেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ মন্ত্রণালয় থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত যেসব আমদানি চালান বন্দরে জাহাজ থেকে নামানো হয়েছে, সেসব পণ্যে সর্বোচ্চ সাত দিনের জন্য বন্দর ভাড়ায় ছাড় পাওয়া যাবে। তবে ছাড় পাওয়ার জন্য ১৪ আগস্টের মধ্যে পণ্য চালান বন্দর থেকে খালাস করে নিতে হবে।
সাধারণত জাহাজ থেকে পণ্য নামানোর চার দিন পর্যন্ত বিনা ভাড়ায় বন্দরে পণ্য রাখা যায়। মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী, সাত দিনের জন্য বন্দর ভাড়ায় ছাড় পাওয়া যাবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১১ দিনের জন্য ছাড় পাচ্ছেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।
বন্দরের ট্যারিফ অনুযায়ী, চার দিন পর বন্দর ভাড়া শুরু হয়। প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা কনটেইনারের ক্ষেত্রে প্রথম ৭ দিনের জন্য প্রতিদিন ৬ ডলার, এরপর ১১ দিনের জন্য প্রতিদিন ১২ ডলার এবং পরবর্তী সময়ের জন্য প্রতিদিন ২৪ ডলার ভাড়া দিতে হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাজস্ব আহরণে ভ্যাটে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৯৯.৩৫ শতাংশ
![রাজস্ব আহরণে ভ্যাটে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৯৯.৩৫ শতাংশ এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/NBR-2.jpg)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেশি অবদান রেখেছে ভ্যাট। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভ্যাট আদায় হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার ৭১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ভ্যাট খাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। যেখানে গত ২০২২-২৩ অর্থবছর আদায় হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৪২৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ভ্যাট আদায় প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ১৭ শতাংশে।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদায়ী অর্থবছরে ভ্যাট খাতে আইএমএফের প্রত্যাশা ছিল প্রায় এক লাখ ৪৩ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। আইএমএফের প্রত্যাশার চেয়েও ভ্যাট খাতে বেশি আদায় হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, সিগারেট খাত থেকে সব মিলিয়ে ৩৭ হাজার ৯১৫ কোটি টাকার শুল্ককর আদায় হয়েছে। ৩১টি কোম্পানি সিগারেট বিক্রির বিপরীতে সরকারকে এই শুল্ককর দিয়েছে। সিগারেটের ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আদায় করে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ। এই বিভাগের গত অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে শুল্ককর আদায়ের চিত্রটি পাওয়া গেছে।
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে ব্যান্ডরোল থাকে। কারণ কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানকে প্যাকেটের গায়ে ব্যান্ডরোল লাগিয়ে বাজারজাত করতে হয়। ব্যান্ডরোল বিক্রির মাধ্যমেই সরকার সিগারেট থেকে রাজস্ব আদায় করে থাকে।
ভ্যাট অনুবিভাগের হিসাবমতে, গত জুন মাসে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে। এ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ৯৪৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৯৫৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় জুনে বাড়তি আদায় হয়েছে ৪ হাজার ১০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কেবল জুনে ভ্যাট খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২১ শতাংশ।
কাস্টমস খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮১৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৯১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছর কাস্টমস খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯২ হাজার ৭৩২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিদায়ী অর্থবছরে কাস্টমস খাতে আহরণ প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।
আয়কর খাতে গত অর্থবছরে আয়কর ও ভ্রমণকর আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতি হয় ১৬ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। শুল্ক খাতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮১৯ কোটি টাকা, আর লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ঘাটতি হয়েছে ৯ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে এনবিআর।
এটি সাময়িক হিসাব। সংস্থাটির রাজস্ব আদায়ের মূল লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা করা হয়। সেই হিসাবে, রাজস্ব আদায়ের মূল লক্ষ্য থেকে ৪৭ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ও সংশোধিত লক্ষ্য থেকে ২৭ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে।
তবে ভালো করেছে ভ্যাট খাত। ১ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হঠাৎ বাড়ল ডলারের দাম
![হঠাৎ বাড়ল ডলারের দাম এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/doller-1.jpg)
দেশের বাজারে সংকট কাটেনি ডলারের। সংকট রোধে নেওয়া কোনো উদ্যোগই কাজে আসেনি। তবুও বেশ কিছু দিন অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল ডলারের দাম। তবে সেই স্থিতিশীল থাকা ডলারের দর আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এখন খোলাবাজারে ডলারের দর বেড়ে ১২২ টাকা থেকে ১২৩ টাকা চাওয়া হচ্ছে। এর মধ্যবর্তী দরেও মিলছে ডলার। মূলত চাহিদা বাড়ার কারণে দর বেড়েছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আগেও নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায়। ব্যাংকগুলোও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে ডলার কিনছে। এর আগে রেমিট্যান্স কেনায় দর ছিল ১১৭ টাকা।
মতিঝিল এলাকার একটি এক্সচেঞ্জের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার তারা ১২১ টাকা ৫০ থেকে ৭০ পয়সায় ডলার কিনেছেন। বিক্রি হচ্ছে ১২২ টাকা থেকে ১২২ টাকা ৫০ পয়সা দরে। তিনি বলেন, কয়েক দিন অফিস বন্ধের পর ডলারের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। সে তুলনায় সরবরাহ কম। বন্ধের আগে ১২১ টাকা কিনে বিক্রি করেন ১২১ টাকা ৩০ পয়সায়। একই চিত্র দেখা গেছে দিলকুশা, ফকিরাপুল ও পল্টন এলাকায়।
একই কথা বলছেন পল্টন এলাকার মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা। এলাকাটির এক ব্যবসায়ী জানান, এর আগে ১২১ টাকা থেকে ১২১ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে বেচাবিক্রি হয়েছে। এখন বন্ধের পর তারাও ডলার সংগ্রহ করতে পারেননি। আবার চাহিদাও বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সংকট থাকলে দর বাড়ে। এখন ১২২ টাকা থেকে ১২৩ টাকার মধ্যে বিক্রি চলছে। তবে দর বেশি চাইলেও ১২২ টাকা ৫০ পয়সাতেই বিক্রি বেশি হচ্ছে। যেখানে কেনা দামও বেড়েছে।
চলতি বছরের মে এবং জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। ডলারের দর বাড়ানোর পর মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ডলার এবং জুন মাসে ২৫৪ কোটি ডলার। চলতি মাস জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে ভালো রেমিট্যান্স আসে। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর তিন কার্যদিবস সাধারণ ছুটিসহ ৫ দিন ব্যাংক বন্ধের পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীরগতি চলে আসে।
চলতি মাস জুলাইয়ের ১৯ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ১০ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত এসেছিল ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসাবে জুলাই মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। শুরুর ১৮ দিনের ধারা বজায় থাকলে পুরো মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসার কথা ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আন্দোলনকে ঘিরে পোশাকশিল্পে ২১৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি
![আন্দোলনকে ঘিরে পোশাকশিল্পে ২১৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/RMG-dress-garments-cloths-poshak-1.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে ২১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন, শ্রমিকদের বেতন এবং ডাইং, ওয়াশিং ও এক্সেসরিজ শিল্পে এ ক্ষতি হয়েছে। অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার কারণে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করবে না, এয়ার শিপমেন্টও চাইবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় বায়ার্স ফোরামের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিজিএমইএ সভাপতি এসএম মান্নান কচি। এ সময় সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ৪-৫ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাবদ ক্ষতি হয়েছে ১১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। আর ওয়াশিং, ডাইং, ফিনিশিং ও এক্সেসরিজ শিল্পে ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, তারা (বিদেশি ক্রেতারা) দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা অবগত রয়েছেন। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বায়াররা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ৪-৫ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি করতে না পারলে অর্ডার বাতিল করবে না। ডিসকাউন্টও চাইবে না। এমনকি এয়ার শিপমেন্টও চাইবে না।
পোশাকশিল্প হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিগত দিনে গার্মেন্ট শিল্প হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত ছিল। তাই ভবিষ্যতেও যারা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেবে, তারা গার্মেন্ট শিল্পকে হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখবে বলে আশা করি। তিনি আরও বলেন, দেশের ইমেজ নিয়ে বায়াররা চিন্তিত নন। বরং তারা পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খোলাবাজারে বেড়েছে ডলারের দর
![খোলাবাজারে বেড়েছে ডলারের দর এনসিসি ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/dollar.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আগে ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল ডলার। তবে ডলারের দর স্থিতিশীল থাকলেও খোলাবাজারে ১২২ টাকা বিক্রি হচ্ছে ডলার। অন্যদিকে, ব্যাংকগুলোও রেমিট্যান্স কেনায় ১১৭ টাকার ডলার ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত দরে কিনছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন মানিচেঞ্জার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
একটি মানিচেঞ্জারের কর্মকর্তা বলেন, সোমবার তারা ১২১ টাকা ৬০ থেকে ৭০ পয়সায় ডলার কিনে বিক্রি করেছেন ১২২ টাকা। টানা ৫ দিন পর গত বুধবার অফিস খোলার পর ডলারের বাড়তি চাহিদার কারণে দর বাড়তে শুরু করে। ওই দিন তারা ১২১ টাকা থেকে ১২১ টাকা ১০ পয়সায় কিনে বিক্রি করেন ১২১ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে গতকাল এ পর্যায়ে উঠেছে।
গত ৮ মের ডলারের দর নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমে প্রতি ডলারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা ঘোষণা করা হয়। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ডলারের দর নির্ধারিত ছিল ১১০ টাকা। এর পর থেকে রেমিট্যান্স দ্রুত বাড়ছিল।