টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইন্টারনেট ছাড়াই যেভাবে ইউটিউবে ভিডিও দেখবেন
স্মার্টফোনে ইন্টারনেট না থাকলেও চিন্তা নেই। নেট ছাড়াই দেখা যাবে ইউটিউব ভিডিও। যত খুশি দেখা যাবে সেই ভিডিও। কারণ ইউটিউবে অফলাইন মোড ফিচার রয়েছে। যেখানে ইন্টারনেট ছাড়াই উপভোগ করতে পারবেন হাসির ভিডিও থেকে শুরু করে প্রিয় শিল্পীর গান ও কনটেন্ট। কীভাবে পদ্ধতি জেনে নিন।
ইউটিউব অফলাইন কীভাবে কাজ করে?
নেট অন করে যদি ইউটিউব চালান তাহলে অনেক ডেটা খরচ হয়। কিন্তু, যদি অফলাইন মোড রাখেন তাহলে বেশি ডেটা খরচ হবে না। এবং আপনি যখন খুশি সেই ভিডিও চালাতে পারবেন। বহু মানুষ আছেন যারা কিছু গান বারবার ধরে শুনতে ভালোবাসেন। আবার কিছু ভিডিও রয়েছে যা বারবার দেখতে ভালো লাগে।
এই সব ভিডিও বারবার দেখার জন্য ইন্টারনেট খরচ কেন করছেন? ওই ভিডিওর নিচেই থাকবে একটি ডাউনলোড অপশন। যেখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তারপর অফলাইনে সেই ভিডিও যতখুশি দেখা যাবে।
কীভাবে ইউটিউব ভিডিও অফলাইনে চালাবেন?
-ইউটিউব খুলে সেই ভিডিও চালান যেটা অফলাইন মোডে সেভ করতে চান।
-তারপর একটি ডাউনলোড অপশন থাকবে ঠিক ভিডিওর নিচে।
-সেখানে ক্লিক করতে হবে।
-আপনি কেমন কোয়ালিটিতে ভিডিও সেভ করতে চান তার অপশন আসবে।
-কম (144p), মাঝারি (360p) এবং বেশি (720p) অপশন পাওয়া যাবে।
-ভিডিও কোয়ালিটি যত বেশি হবে ডাউনলোড করতে তত বেশি ইন্টারনেটের প্রয়োজন হবে।
-একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে যেখানে খুশি, যখন খুশি চালানো যাবে সেই ভিডিও।
কতগুলো অফলাইন ইউটিউব ভিডিও সেভ করা যাবে?
ইউটিউব অফলাইন মোডে যে ভিডিওগুলো ডাউনলোড করবেন সেগুলো আপনার ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজে সেভ হবে। অর্থাৎ ফোনের যে স্পেস রয়েছে তা ব্যবহার হবে। তাই ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। আপনি যতখুশি ভিডিয়ো অফলাইন মোডে সেভ করতে পারবেন। তবে এর জন্য ফোনে স্টোরেজ থাকা জরুরি।
এছাড়াও আরও একটি উপায় রয়েছে যার জন্য আপনাকে মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হবে। এটি হল ইউটিউব প্রিমিয়াম। এখানে স্মার্ট ডাউনলোড ফিচারও পাওয়া যাবে। ইউটিউব প্লেলিস্টে যোগ হয়ে যাবে ভিডিও। তা অফলাইনে দেখতে পাবেন। ভিডিওর পাশাপাশি ইউটিউব মিউজিকও ডাউনলোড করা যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
নতুন বছরের শুরুতেই যেসব ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ
মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করেন এই অ্যাপ। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ছবি, এবং ভিডিও শেয়ার করতে, পোল পরিচালনা করা যায়। এ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজ ছাড়াও ব্যবসায়িক, অফিসের কাজে এই অ্যাপটি নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০২৫ সালের শুরুতে কিছু ফোনে আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। মূলত পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম, ফোনের হার্ডওয়্যারের সীমাবদ্ধতা, নতুন ফিচার, নিরাপত্তা আপডেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে যেসব ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ
স্যামসাং: Galaxy S3, Galaxy Note 2, Galaxy Ace 3, Galaxy S4 Mini
সনি: Xperia Z, Xperia SP, Xperia T, Xperia V
মোটোরোল: Moto G (1st Gen), Razr HD, Moto E 2014
এইচটিসি: One X, One X+, Desire 500, Desire 601
এলজি: Optimus G, Nexus 4, G2 Mini, L90
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
রোববার রাতে ৩ ঘণ্টা থাকবে না ইন্টারনেট
কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (SMW4) ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণের কারণে আগামী রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানায় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।
এতে বলা হয়, আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৩টা (১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টা) থেকে ভোর ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট ২ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (SMW4) চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এই সময়ে SMW4 এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। এ কারণে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে বিএসসিপিএলসি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি
বর্তমানে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) স্বীকৃত। আমাদের দেশে বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন সব কাজকর্ম, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ-প্রকৃতি, বিনোদন-সংস্কৃতি সব মাধ্যম ইন্টারনেট নির্ভর। করোনা মহামারিতে আমাদের দেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়েছিল।
ইন্টারনেট না থাকায় আমরা কী পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময়। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল প্রায় ১৩ দিন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ছিল ৮ দিন, আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ ছিল প্রায় ১৫ দিন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী-অর্থনীতিবিদদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল কেবল ইন্টারনেট বন্ধের কারণে। ব্যাংক বীমা চিকিৎসা সবকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ ইন্টারনেট এখন আর শুধু বিনোদন কিংবা কথা বলার বা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইন্টারনেট এখন স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার। তাই বাংলাদেশে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার ও ডাটা সুরক্ষা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার ও ডাটা সুরক্ষা অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক নাগরিক মতামত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনায় বেসিসর সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্টারনেট নির্ভর। বিশ্বের সঙ্গে সব যোগাযোগসহ দেশের প্রায় সব কাজই এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজই হয় এখানে। সুতরাং ইন্টারনেট এখন সাধারণ কিছু না। এটি মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি।
আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কথা জানি, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের বিষয়ে জানি। ইন্টারনেটে যেন আমার ডাটাটা সুরক্ষিত থাকে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকারকে প্রস্তাব দিতে হবে এবং যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ইন্টারনেটে মৌলিক অধিকার দেওয়ার যে প্রস্তাব এসেছে, সেটার সঙ্গে আমি একমত। যে কারণে আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। যে কারণে এ প্রজন্ম ফার্মের মুরগি তকমা ছাড়িয়ে রাজপথে নেমেছে। সেই মাধ্যমটাকে ছোট করার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলের পয়সা উৎপাদনের কিছু ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেটের ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা। এ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা দাবি করছি এ ব্যবসাগুলোকে কর্পোরেট করে ফেলার। কারণ এখান থেকে রাজনৈতিক দলের নেতারা কোটি কোটি টাকা আয় করেন।
তিনি বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের এ দাবির সামারি আমাদেরকে দেবেন। আমরা সেগুলো প্রয়োজনীয় জায়গায় পৌঁছাব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করবেন যেভাবে
বর্তমানে সারাবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। যার মাধ্যমে টেক্সট মেসেজের পাশাপাশি অডিও ও ভিডিও কল করা যায়। তবে অ্যাপটিতে কল রেকর্ড করার কোনো অপশন নেই। তবে আপনি চাইলে সহজেই যে কারো ভয়েস কল রেকর্ড করতে পারবেন।
যেভাবে রেকর্ড করবেন হোয়াটসঅ্যাপ কল
মূলত হোয়াটসঅ্যাপে এমন কোনো অফিসিয়াল ফিচার নেই, যার মাধ্যমে কল রেকর্ড করা যায়। তবে সহজ কিছু উপায় রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি যে কারও ভয়েস কল রেকর্ড করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি কল রেকর্ডিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কিউব এসিআর (Cube ACR) আরো অনেক কল রেকর্ডার অ্যাপ রয়েছে সেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো একটি অ্যাপ ইনস্টল করে নিতে পারেন।
অ্যাপটি ইনস্টল হয়ে গেলে, হোয়াটসঅ্যাপে যান এবং যে কাউকে ভয়েস কল করুন। আপনি হোয়াটসঅ্যাপ কল শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই কিউব এসিআর নিজে থেকেই তার কাজ শুরু করবে এবং আপনার কলের রেকর্ডিং ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে সেভ হবে।
আপনি যদি দেখতে চান আপনার রেকর্ড করা কলগুলো কোথায় আছে এবং আপনি সেগুলো যদি আবার শুনতে চান, তাহলে আপনাকে ফাইল ম্যানেজারে যেতে হবে। আপনি যদি এখানে রেকর্ডিং খুঁজে না পান, তবে আপনি কিউব এসিআর অ্যাপে গিয়ে রেকর্ডিং দেখতে পারেন। শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই নয়, আপনি চাইলে এই অ্যাপ আইফোনেও ব্যবহার করতে পারবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
যে কারণে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার
গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে দেশে আর আমদানি, উৎপাদন কিংবা বিক্রি করা যাবে না সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার। রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের রাউটার পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিঙ্গেল ব্যান্ড, ডুয়াল ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার রয়েছে। সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটারগুলোতে ২ দশমিক ৪ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এতে ইন্টারনেটের গতি অনেকটাই কম। এ ক্ষেত্রে ডুয়াল-ব্যান্ড বা ট্রাই-ব্যান্ডের রাউটার সিঙ্গেল ব্যান্ডের চেয়ে বেশি কার্যকর। এ জন্য দেশে সিঙ্গেল ব্যান্ডের রাউটারের আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী বছর থেকে ডুয়াল-ব্যান্ড সাপোর্ট করে শুধু এমন রাউটারই বিদেশ থেকে আমদানি এবং দেশে উৎপাদন করা যাবে। দেশের বাজারে যেসব ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা হবে সেগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে ২ দশমিক ৪ থেকে ২ দশমিক ৪৮৩ গিগাহার্জ এবং ৫ দশমিক ৭২৫ থেকে ৫ দশমিক ৮৭৫ গিগাহার্জ, উভয় ব্যান্ড সাপোর্ট করতে হবে। এই দুটির মধ্যে একটিকে সাপোর্ট করে এমন ওয়াইফাই রাউটার বাজারজাত করা যাবে না। ফলে নিম্নমানের এবং কম ব্যান্ডের রাউটার বিদেশ থেকে আমদানি ও দেশে উৎপাদনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। যদিও আমদানিকারক ও উৎপাদকদের ওপর বিষয়টি হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। তাদের ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বিটিআরসির তরঙ্গ বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা জানান, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এক ব্যান্ডের রাউটার আমদানিকারকদের কোনো কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে না। বিদেশ থেকে এগুলো আমদানির প্রক্রিয়া হচ্ছে বিটিআরসি থেকে প্রথমে অনুমতি নিতে হয়। তারপর এলসি খুলে দেশে আনা হয়। এরপর বাজারজাত করতেও আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ এপ্রিলের পর থেকে এগুলো আর বাজারজাত করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এরই মধ্যে সবাইকে জানানো হয়েছে। নতুন করে কেউ আর সিঙ্গেল ব্যান্ড রাউটার আমদানির ব্যাপারে মনোনিবেশ না করেন। এ ছাড়া বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
কাফি