রাজনীতি
ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান ১৪ দলের
ছাত্রদের কাঁধে ভর করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে দাবি করে এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে ১৪ দলীয় জোট।
সোমবার (২৯ জুলাই) মহাখালীতে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগে ভস্মীভূত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কার্যালয় পরিদর্শন করেন ১৪ দল জোটের নেতারা।
পরিদর্শন শেষে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, পরাজিত শক্তি এই দেশকে অকার্যকর করতে চায়। ছাত্ররা বলেছে ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে তারা জড়িত নয়, কিছু দুর্বৃত্তরা এই কাজ করেছে। দুষ্কৃতকারীরা এই কাজ করে দেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মৃণাল কান্তি দাশ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ফজলে হোসেন বাদশা প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বিএনপি শিক্ষার্থীদের কাঁধে বন্দুক রেখে সরকারকে নিশানা করেছে: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাঁধে বন্দুক রেখে সরকারকে নিশানা করেছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে এবং সরকার তাদের সব দাবি পূরণ করেছে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। সরকারের পদত্যাগের দাবি শুধু সরকারবিরোধী বা দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতের। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন কেবল জনরায়ের মাধ্যমেই সম্ভব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার জনগণের রায় নিয়ে সাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনার করছে। সব উসকানি ও নৈরাজ্যের মুখেও সরকার সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম ধারণ করেছে এবং জনগণকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি। যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সন্ত্রাসীরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ও ভুয়া ছবি পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা মেট্রোরেল, বিটিভিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সুপরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। জনগণের শান্তি, শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করবে।
তিনি বলেন, এই সন্ত্রাস-সহিংসতায় প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রকাশ হয়নি মর্মে মন্তব্য করেছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস-সহিংসতা ও নাশকতায় নিহতের সংখ্যা গণমাধ্যমের নিকট প্রকাশ করেছেন। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল এসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। মির্জা ফখরুল ও বিএনপি-জামায়াত যে কোনো প্রকারে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এসব সন্ত্রাসী ও ঘটনার মদদদাতা, অর্থের জোগান দাতাদের চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং এ দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের জীবনের বিনিময়ে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শ্রীলঙ্কার মতো গণভবন দখলের ষড়যন্ত্র হয়েছিল: কাদের
কারফিউ না দিলে শ্রীলঙ্কার মতো গণভবন দখলের ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৮ জুলাই) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতার জন্য লন্ডনে পলাতক ব্যক্তি (তারেক রহমান)… শ্রীলঙ্কান স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করার টার্গেট ওই রাতে করেছিল, যদি কারফিউ জারি না হতো। এই প্ল্যান তাদের ছিল। শ্রীলঙ্কা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি আক্রমণ করা, অভ্যুত্থানের ওপর ভর করে হাওয়া ভবনের যুবরাজ ক্ষমতা দখল করতো। এটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা।
এ সময় তিনি ড. ইউনূসেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূস অতীতে গোপনে বিরোধিতা করলেও এবার প্রকাশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ অবস্থায় কোটা আন্দোলনে সহিংসতা এবং ড. ইউনূসের বিবৃতি একই সূত্রে গাঁথা কি না তা নিয়েও ভেবে দেখার কথা বলেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর কারফিউ দেয়ার সিদ্ধান্তের পর সেনাবাহিনী সড়কে নামলেও কোথাও একটাও গুলিও ছুড়েনি। অথচ হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলার অপবাদ দেয়া হচ্ছে।
হতাহতদের দেখতে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাদের দেখতে যাচ্ছেন বিবেকের টানে, হৃদয়ের টানে। আপনাদের মতো মায়াকান্না করতে নয়। বিবেক ও হৃদয়ের টানে তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য যা করতেন, তার কন্যাও সেই সহানুভূতি নিয়ে যাচ্ছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সহিংসতায় নিহত পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
সহিংসতায় নিহত পরিবারের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে নির্মম হত্যাকাণ্ড তারাই ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে তারা। এই হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের দায় তাদের।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কয়েকটি ওয়ার্ডের নেতাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা নিতে চায়। তাদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান নেওয়ার নিদের্শনা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা নিয়ে একদিনের জন্যও আন্দোলন হয়নি। তবে কেন হঠাৎ করে এ মরণপণ আন্দোলন। এ আন্দোলনের কুশীলব তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের দোসররা এ হামলা চালিয়েছে। এ আন্দোলন যতক্ষণ শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল, ততক্ষণ কোনো সহিংসতা বাংলাদেশে হয়নি। পুলিশও সহনশীল ভূমিকা পালন করেছে। সব পক্ষ ধৈর্য ধরেছে।
তিনি বলেন, এ আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তাদের এ হামলা পুরো পূর্বপরিকল্পিত। কোথায় কোথায় হামলা করবে, আগে থেকে তারা নীলনকশা তৈরি করেছে এবং তার মহড়া দিয়েছে মাসের পর মাস ধরে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সেই ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসীদেরকে ঢাকায় এনে তাণ্ডব শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের মেগা উন্নয়ন মেট্রোরেল, সেতুভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এগুলো দেখলে বোঝা যায় কারা এসব করেছে। যারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে চায় না তারাই করেছে।
আন্দোলনকারীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে আশঙ্কা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পদায়ন করেছে। হামলা পরিচালনার জন্য তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে; কোথায় কে হামলা চালাবে, কারা সহযোগিতা করবে সবকিছু প্রস্তুত ছিল।
তিনি বলেন, তারেক জিয়াকে লন্ডন থেকে এনে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা আজকে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের জনগণ দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট (bsl.org.bd) আজ হ্যাক হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে দেখা যায়, ছাত্রলীগ এবং এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাভাবিক তথ্যের পরিবর্তে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের ছবিসহ একটি ভিজ্যুয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার পরে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে একাধিক বার্তা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটটি এই অবস্থায় ছিল।
ওয়েবসাইটের উপরে, ‘Hacked by The Resistance’ বলে একটি বাক্য দেখা যাচ্ছে। সেখানে আরও লেখা রয়েছে, ‘এটি এখন আর কোনো প্রতিবাদের আন্দোলন নয়, এটি যুদ্ধ।’
ওয়েবসাইটের যেকোনো জায়গায় ক্লিক করলে এখন অপারেশন হান্টডাউন নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের সাথে লিঙ্ক করা হচ্ছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ছাত্রশিবির-ছাত্রদল ও বহিরাগতরা ঢাবির হলে তাণ্ডব চালিয়েছে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধী আল বদর, আল শামসের বংশধর, ছাত্র শিবির এবং বিএনপির প্রেতাত্মা ছাত্রদলের ছেলে-মেয়েরা ও বহিরাগতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননার বক্তব্যের’ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যতদিন আমাদের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছিলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা বলেছি; ওরা ওদের দাবি… একজন এ দেশের নাগরিক হিসেবে একটা দাবি করতেই পারে, সেটা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করতেই পারে। আমরা আপনারাও অনেক সময় সরকারের কাছে অনেক দাবি করি। দাবি করাতো কোনো অন্যায় না, করতেই পারে এবং তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করতে পারে, কেউ বাধা দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোটাবিরোধী ছাত্ররা, আমাদের সন্তানরাই। তারা যারা আন্দোলন করেছে, আমরা কেউই কোনো বাধা দেই নাই। তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের বক্তব্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে করেছে। কিন্তু এরপরে যখন তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার বলে হলগুলো তছনছ করলো, সবকিছু ভাঙচুর করলো, হলের গেটগুলোও ভেঙে ফেলল, আপনারা দেখেছেন।’
‘তারপর আপনারা লক্ষ্য করেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী সেই আল বদর, আল শামসের বংশধর যারা সেই ছাত্রশিবির এবং বিএনপির প্রেতাত্মা ছাত্রদলের ছেলে-মেয়েরা এবং বহিরাগতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ঢুকে কী তাণ্ডব চালিয়েছে। চট্রগ্রামসহ বাংলাদেশের সর্বত্রই।’
কাফি