অন্যান্য
ইজারার দলিল নিবন্ধনে কর দিতে হবে ৪ শতাংশ
সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভূমি, ফ্ল্যাট ও প্লটসহ অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দিয়ে আসছে। কিন্তু ইজারা দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে উৎসে কর ইজারাদার প্রতিষ্ঠান না কি ইজারা নেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে তা নিয়ে প্রশ্ন বা জটিলতা ছিল। সেই জটিলতা নিরসনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সমাধান দেওয়া হয়েছে। রোববার এক বিশেষ আদেশে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এনবিআর বলছে, ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে দলিল নিবন্ধনের সময় ৪ শতাংশ হারে উৎসে কর পরিশোধ করতে হবে। নিবন্ধনের সময় সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস ইজারাদার প্রতিষ্ঠান এই কর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে নিবন্ধন করবে। তবে ১০ বছরের অধিক সময়ের জন্য ইজারা দেওয়া ভূমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই উৎসে কর কর্তন করতে হবে।
সূত্র জানায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি বিভিন্ন মেয়াদে ইজারা দিয়ে থাকে। এছাড়া গণপূর্ত, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাও বিভিন্ন সময় স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দিয়ে থাকে। আবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিনিয়োগের শর্তে জমি ইজারা দিয়ে থাকে।
আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এসব জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা দেয়ার ক্ষেত্রে উৎসে আয়কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান না কি ইজারা নেওয়া ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান উৎসে কর পরিশোধ করবে-এই নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সম্প্রতি এনবিআর ওই বিষয়ে স্পষ্টীকরণ করে আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, যেসব ক্ষেত্রে কোনো ইজারাদার কর্তৃক অন্যূন ১০ বছর মেয়াদে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ভূমি, ফ্ল্যাট, প্লট বা অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি ইজারা প্রদান করা হয়। অথবা কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল বা শিল্পনগরীতে ভূমি উন্নয়নপূর্বক শিল্প স্থাপনের উপযোগী করে বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ইজারা প্রদান করা হয়, সে সকল ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর অধীন সংশ্লিষ্ট ভূমি, ফ্ল্যাট, প্লটসহ সকল প্রকার স্থাবর সম্পত্তির ইজারা দলিল নিবন্ধনের সময় রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৮ এর বিধান অনুযায়ী ইজারাদার থেকে ইজারা মূল্যের উপর ৪ শতাংশ হারে কর সংগ্রহ করে তা সরকারি কোষাগারে জমাদান নিশ্চিত করবে।
তবে দুইটি ক্ষেত্রে এই কর কর্তন করতে হবে না। তা হলো—স্থাবর সম্পত্তির ইজারার মেয়াদ ১০ বছরের কম হলে এবং হস্তান্তরকারী ইজারাদার না হলে।
আদেশে বলা হয়েছে, উৎসে কর কর্তনের ক্ষেত্রে চারটি বিষয় বিবেচ্য হবে। যার মধ্যে রয়েছে—১০ বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের জন্য ইজারাকৃত স্থাবর সম্পত্তির ইজারা দলিল নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৮ এর অধীন উৎসে কর সংগ্রহ প্রযোজ্য হবে।
ইজারা দলিল নিবন্ধনকালে ইজারাদার উৎসে কর পরিশোধ করবেন। ইজারা দলিল নিবন্ধনকালে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৫, ধারা ১২৬ বা অন্য কোনো ধারার অধীন কর পরিশোধের প্রযোজ্যতা নেই। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ প্রুফ অব সাবমিশন অব রিটার্ন বা পিএসআর উপস্থাপনের ব্যর্থতায় উৎসে কর সংগ্রহের হার অপেক্ষা ৫০ শতাংশ অধিক হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি উত্তরা ১৮নং সেক্টরে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে ‘সি’ ব্লকের ১৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট পেয়েছেন। রাজউক ৯৯ বছরের জন্য রহমানকে এই ফ্ল্যাট ইজারা দিয়েছে। রহমান ইজারা মূল্য হিসেবে ৪০ লাখ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করে ফ্ল্যাটের ইজারা দলিল নিবন্ধন করতে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে গিয়েছেন।
এক্ষেত্রে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ১২৮ এর বিধান অনুযায়ী, রাজউক হতে ইজারা মূল্যের ৪ শতাংশ হারে ৪০ লাখ টাকায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা উৎসে কর সংগ্রহ এবং তা সরকারি কোষাগারে জমাদানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সাব রেজিস্ট্রার ইজারা দলিল নিবন্ধন করবেন।
আরেক উদাহরণে বলা হয়েছে, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫৫ একর জমি শিল্প স্থাপনের উপযোগী করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এবিডি লিমিটেডকে ৫০ বছরের জন্য ইজারা প্রদান করেছে। বেজা এবং এবিডি লিমিটেড কর্তৃক সম্পাদিত ল্যান্ড লিজ এগ্রিমেন্ট (এলএলএ) অনুযায়ী, এই জমির ইজারা মূল্য ১০০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রার ইজারা দলিল নিবন্ধনের পূর্বে বেজা হতে ইজারা মূল্যের ৪ শতাংশ হারে ৪ কোটি টাকা উৎসে কর সংগ্রহ ও তা সরকারি কোষাগারে জমা দান নিশ্চিত করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৮ কোটি ৬৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রবি আজিয়াটা। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার। ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন নিয়ে শীর্ষ তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড লিমিটেড।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, লাভেলো আইসক্রিম, জিপিএইচ ইসপাত, খান ব্রাদার্স, সানলাইফ ইন্সুরেন্স, আইসিবি এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
মেট্রো স্পিনিংয়ের ২৯তম বার্ষিক সাধারন সভা
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেট্রো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ২৯তম বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হাইব্রিড মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় পরিচালক পর্ষদের সদস্যগনসহ বহু শেয়ারহোল্ডার স্বশরীরে ও অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন। সভায় শেয়ারহোল্ডারগন তাদের বক্তব্য ও মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন। শেয়ারহোল্ডারগন কোম্পানীর সার্বিক সফলতা কামনা করেন। কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ শেয়ারহোল্ডারদেরকে তাদের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভায় ২০২৩-২০২৪ ইং অর্থ বছরের পরিচালকমন্ডলীর প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত হিসাব বিবরনীসহ অন্যান্য সকল এজেন্ডা ও বিশেষ এজেন্ডা হিসেবে কোম্পানীর নাম ‘মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড’ থেকে ‘মেট্রো স্পিনিং মিলিস পিএলসি’ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত ও গৃহীত হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
আজ কেন বছরের দীর্ঘতম রাত?
উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতম রাত আজ (২১ ডিসেম্বর)। আজ (শনিবার) বছরের দীর্ঘতম রাত হলেও পূর্ণিমার কারণে আকাশে থাকবে চাঁদের উজ্জ্বল আলো।
সেইসঙ্গে পৃথিবীর এই অর্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিনও আগামীকাল (২২ ডিসেম্বর)। দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা অবশ্য বিরাজ করবে। বিষুবরেখার দুই পাশে সূর্যের আলো পড়ার কারণে বছরে ৪টি এমন তারিখ আসে। ‘দিবা-রাত্রি’র হিসেবে এগুলোর মধ্যে ২টি তারিখে সমান ও ২টি সময়ের পরিসরে সবচেয়ে ছোট-বড়।
কেন ২১ ডিসেম্বর বছরের দীর্ঘতম রাত তা জানতে হলে সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের গতিপ্রকৃতি জানতে হবে। ২১ জুনকে বছরের দীর্ঘতম দিন বলা হয়, আর দীর্ঘতম রাত হলো ২১ ডিসেম্বর। এই দীর্ঘতম রাত হয় সূর্যের দক্ষিণায়নের কারণে।
বছরের ৩৬৫ (লিপ ইয়ার ব্যতীত) দিন কখনো সমান থাকে না। কখনো দিন বড় রাত ছোট হয়, আবার কখনো তার উল্টো। বছরে ছয়টি ঋতু। ঋতু বদলের সঙ্গে দিন ও রাতের সময়কালও বদলায়। ঠিক এভাবেই বছরে এমন একটা দিন আসে, যেখানে দিন সবচেয়ে ছোট হয় এবং রাত সবচেয়ে বড়। আবার এর উল্টোটাও হয়।
ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে, উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে, ফলে সেখানে তখন শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল। ২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে।
ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে, দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয়। রাত হয় দীর্ঘ। একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণায়ন। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বৃহৎ করদাতা ইউনিটের চট্টগ্রাম শাখা বিলুপ্ত
বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) আয়কর এর চট্টগ্রাম শাখার কার্যক্রম স্থগিত বা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এলটিইউর চট্টগ্রাম শাখায় থাকা কর নথিগুলো (করদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) চট্টগ্রামের চারটি কর অঞ্চলের অধিক্ষেত্র অনুযায়ী বণ্টন করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এলটিইউর চট্টগ্রামের এই শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে।
সম্প্রতি এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদের সই করা এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। এলটিইউর ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম শাখার বিলুপ্ত করতে গত ২৮ অক্টোবর এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর এলটিইউর চট্টগ্রাম শাখা বিলুপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এলটিইউর চট্টগ্রাম শাখায় প্রায় ১৩৫টি কর নথি রয়েছে (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান)।
এনবিআরের আদেশে বলা হয়েছে, কর ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ২০০৩ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ডিএফআইডি (ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট) এর রিরা (রিফর্মস ইন রেভিনিউ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) আওতায় এনবিআরের অধীনে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) গঠিত হয়। পরে রাজস্ব আহরণের গতি ত্বরান্বিত করতে ট্যাক্টস (ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ক্যাপাসিটি অ্যান্ড ট্যাক্সপেয়ার সার্ভিস) প্রজেক্টের আওতায় ২০১১ সালে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ), ঢাকার অধীনে চট্টগ্রামে একটি শাখা চালুর মাধ্যমে চট্টগ্রামে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। যা বৃহৎ করদাতা ইউনিট (চট্টগ্রাম শাখা) নামে পরিচিত। বর্তমানে একজন কর কমিশনারের অধীনে এনবিআরের নির্ধারিত অধিক্ষেত্র অনুযায়ী ঢাকা ও চট্টগ্রামে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
অপরদিকে, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের বিগত বছরগুলোর মোট লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চট্টগ্রাম শাখায় আহরিত রাজস্বের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য নয়। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের মোট নথির তুলনায় চট্টগ্রাম শাখার নথির সংখ্যাও নগণ্য। নথি সংখ্যা ও রাজস্ব আহরণের বিবেচনায় বৃহৎ করদাতা ইউনিট চট্টগ্রাম শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করতে অফিস ভবন ভাড়াসহ বিপুল পরিমাণে প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে। এছাড়াও বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার ও যুগ্ম কর কমিশনার ঢাকাস্থ কার্যালয়ে অবস্থান করেন। দূরত্বের কারণে এই শাখার রাজস্ব আহরণ ও উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রমের সুষ্ঠু মনিটরিংসহ গুণগতমান নিশ্চিত করা কঠিন।
আর আদেশে বলা হয়, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের চট্টগ্রাম শাখার কার্যক্রম পরিচালনার উপযোগিতার বিষয়টি বিবেচনায় বৃহৎ করদাতা ইউনিটের চট্টগ্রাম শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। বৃহৎ করদাতা ইউনিট, চট্টগ্রামে ন্যস্তকৃত আয়কর নথিসমূহ চট্টগ্রামস্থ চারটি কর অঞ্চলে অধিক্ষেত্র অনুযায়ী বণ্টন করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এনবিআর সূত্রানুসারে, এনবিআরের আয়কর লক্ষ্যমাত্রার সিংহভাগই জোগান দেয় এলটিইউ। উৎসে আয়করের বেশিরভাগ জোগান দেয় এলটিইউ। এলটিইউতে মোট করদাতার সংখ্যা এক হাজার ১৫৯। এর মধ্যে কোম্পানি করদাতা ৪৩৯। কোম্পানি করদাতার মধ্যে ৬২টি ব্যাংক, পাঁচটি মোবাইল কোম্পানি, ৩৯টি লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, ৪৭টি মার্চেন্ট ব্যাংক, ৪৮টি সাধারণ বিমা, ৩২টি জীবন বিমা, ১২টি ফার্মাসিউটিক্যালস, পাঁচটি টোব্যাকো ম্যানুফ্যাকচারিং, ২৭টি টেক্সটাইলস, ১৪টি গার্মেন্ট, ৯টি মাল্টিপল প্রোডাক্টস, ৭৪টি ম্যানুফ্যাকচারিং, ৬৫টি অন্যান্য কোম্পানি। আর ব্যক্তি করদাতা ৭২০। যার মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির পরিচালক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সাবেক মন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ফের ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী, আমলা, বিচারপতি এবং রাজনীতিবিদসহ ১৬ জনকে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
এর আগে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১৬ জন অভিযুক্ত হলেন- সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, আব্দুর রাজ্জাক, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও সচিব জাহাংগীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জনকে বিচার করতে প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয়েছিল।