আন্তর্জাতিক
ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গাড়ি বিক্রি করছে হুন্দাই
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের শীর্ষ গাড়ি নির্মাণকারী দেশ ভারত। মারুতি সুজুকি দেশটির বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি। গত দশকে জেনারেল মোটরস, ফোর্ড ও ফিয়াটের মতো জায়ান্ট কোম্পানি নানা ব্যবসায়িক জটিলতায় ভারত থেকে নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু একই সময়ে ভারতের শীর্ষ কোম্পানি মারুতি সুজুকির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে হুন্দাই। ফলে স্থানীয় বাজারে গাড়ি বিক্রির দিক থেকে এখন ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে হুন্দাই। খবর নিক্কেইএশিয়া।
ভারত থেকে গাড়ি রফতানিতে অন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে গেছে হুন্দাই। গত ২০ বছরে দক্ষিণ কোরীয় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিটি বিশ্বের ১৫০ দেশে ভারতে তৈরি ৩৬ লাখ গাড়ি রফতানি করেছে, যা অন্য যেকোনো কোম্পানির চেয়ে বেশি। এর বেশির ভাগ রফতানি হয়েছে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোয়।
একই সঙ্গে ভারতও উত্তর আমেরিকার পর হুন্দাইয়ের সবচেয়ে বড় বাজারে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটির মূল দেশ দক্ষিণ কোরিয়া তৃতীয় অবস্থানে আছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশগুলোর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যেসব দেশ প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় ভারতকে যথাযথ সহযোগিতা করে না তাদেরকে আইসিই’র এই তালিকায় রাখে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ভারত ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া এবং ভেনেজুয়েলা।
উল্লেখিত দেশগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিই। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার অভিবাসীই ভারতীয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্র প্রদেশের প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অভিশংসিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন
আকস্মিক সামরিক আইন জারি ঘিরে সৃষ্ট অচলাবস্থার মাঝে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সংসদে দ্বিতীয় দফার ভোটে অভিশংসিত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির সংসদের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে পড়ে ২০৪ ভোট, বিপক্ষে পড়ে ৮৫ ভোট। পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের মধ্যে তিন জন সংসদ সদস্য ভোটদানে বিরত ছিলেন। এছাড়াও আটটি ভোট অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ইউন-এর নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার এক-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের ১৯২টি বিরোধী দলগুলোর নিয়ন্ত্রণে। অভিশংসন কার্যকর হওয়ার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। সে হিসাবে বিরোধী দলকে পিপিপির অন্তত ৮টি ভোট পেতে হতো। অপরদিকে, শাসক দলের সংসদ সদস্যের সংখ্যা ১০৮ জন।
সামরিক আইন জারি ইস্যুতে এর আগে ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপি) প্রথম তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের চেষ্টা চালায়।
গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। যদিও জনগণের চাপের মুখে ছয় ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি। তার এই পদক্ষেপের কারণে দেশটির জনগণ হতবাক হয়ে পড়ে। তার নিজ দলের মধ্যেও বিভক্তি তৈরি হয়। মেয়াদের অর্ধেক পথে এসে ঝুঁকির মুখে পড়ে তাঁর প্রেসিডেন্ট পদ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সিরিয়ায় গম রপ্তানি স্থগিত করলো রাশিয়া
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে গম রপ্তানি স্থগিত করেছে রাশিয়া। মস্কো এমন এক সময় এ সিদ্ধান্তের কথা জানালো যখন রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসা দুইটি গম বোঝাই জাহাজ এখনো সিরিয়ার গন্তব্যে পৌঁছেনি।
রাশিয়া হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ গম রপ্তানিকারক দেশ। সিরিয়ায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আসাদ আমলে শস্য রপ্তানি অব্যাহত রেখেছিল।
রাশিয়ার সরকারি একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানিয়েছে, সিরিয়ায় সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছে। কারণ দামেস্কের পক্ষে কারা আমদানি কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ গম রপ্তানি করার সাহস দেখাবে না।
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার পরিবার এরই মধ্যে রাশিয়ায় আশ্রয় পেয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন দীর্ঘ এই স্বৈরশাসক। সূত্র: রয়টার্স
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলা হয়নি
২০২৩ সালে বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক সহিংসতাকে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই সময়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাদের সন্ত্রাসবাদের নামে আটক করা হয়েছে। এমনকি এতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, গত বছর সরকার কঠোরভাবে জঙ্গিদের দমনের চেষ্টার অংশ হিসেবে আল কায়েদা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং আইএসআইএস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্যদের আটক করেছে। এছাড়া মার্কিন সরকারের কাছে প্রশিক্ষিত বাংলাদেশে পুলিশের বিশেষ ইউনিট একাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনলাইনে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তৈরি এ আইনটি সংশোধন করা হলেও এতে নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মে মাসে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় চট্টগ্রামে ২ সেনা নিহত এবং গত মার্চে আরও এক সেনা নিহত হন। এ ছাড়া কেএনএফের বিরুদ্ধে নতুন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়াকে (জেএএইচএস) প্রশিক্ষণের বিষয়টিও উঠে এসেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বোমা হামলার হুমকি
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইতে একটি বোমা হামলা হুমকির তদন্ত করছে দেশটির পুলিশ। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ওপর এই হুমকি ছিল বলে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছে তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আরবিআইয়ের নবনিযুক্ত গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার অফিসিয়াল মেইলে হামলার বিষয়ে রুশ ভাষায় লিখিত একটি সতর্ক বার্তা আসে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলমান আছে।
চলতি বছর ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সসহ অনেক স্থাপনা উদ্দেশ্য করে কয়েকশ’ বোমা হামলার হুমকি পেয়েছে। অবশ্য এখন পর্যন্ত সবই ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে।
গত সোমবার দিল্লির অন্তত ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেইলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশটির একাধিক বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্স প্রায় হাজার খানেক বোমা হামলার হুমকি পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় সংখ্যাটি ১০ গুণ বেশি।