জাতীয়
হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
![হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেকনো](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/07/govt-1.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইন প্রয়োগকারী অভিযানের সময় হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মূলত নজরদারি, নির্দিষ্ট স্থানে আটকা পড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের উদ্ধার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে অগ্নিনির্বাপক সুবিধা দেওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
রোববার (২৮ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও সহিংসতার ঘটনায় নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও কিছু আন্তর্জাতিক অংশীদারের উদ্বেগ প্রকাশের বিষয়টি লক্ষ্য করেছে সরকার। বিশেষ করে প্রোপাগান্ডা, অপতথ্য ও গুজব প্রচারের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে অকুণ্ঠ সমর্থন ও পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণার জন্য সরকার কৃতজ্ঞ। সরকার সব আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আশ্বস্ত করতে চায় যে, সরকার এবং জনগণের সময়োপযোগী এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে।
নিহতদের পরিবারের জন্য সরকার সহায়তার হাত বাড়িয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, প্রাণহানির জন্য ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির নিশ্চয়তা দিয়েছেন তিনি। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের যে ভোগান্তি হচ্ছে, তা সুরাহায় অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার। এটা খুবই পরিষ্কার যে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠনগুলো এ আন্দোলনের ওপর চেপে বসে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছড়িয়েছে। পাশাপাশি তারা ব্যাপক প্রোপাগান্ডা ও অপতথ্য ছড়িয়েছে।
গত ৫ জুন কোটাপ্রথা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে এ আন্দোলন করে আসছিলেন। ২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দেয় সরকার। সরকারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ছাত্রদের আশ্বস্ত করেছিল যে তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারবেন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করবেন। এ সময়ে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেছিল সরকার। একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহিতায় নিয়ে আসতে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার। এরই মধ্যে হাইকোর্টের এক বিচারকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয়েছে।
অব্যাহত প্রোপাগান্ডার মুখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সরকার কিছু বিষয়গুলো তুলে ধরতে চায় উল্লেখ করে এতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট আন্দোলনকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে ‘দেখামাত্র গুলি’ করার একটি ঘটনাও ঘটেনি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলির ঘটনাও ঘটেনি। আইন প্রয়োগকারী অভিযানের সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। মূলত নজরদারি, নির্দিষ্ট স্থানে আটকা পড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের উদ্ধার এবং জরুরি পরিস্থিতিতে অগ্নিনির্বাপক সুবিধা দেওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়েছে। একটি সাঁজোয়া যান সাবধানতাবশত মোতায়েন করার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সেটিতে জাতিসংঘের লোগো ঢেকে দেওয়ার জন্য রঙের ব্যবহার হলেও তা দৃশ্যমান ছিল। যদিও প্রশ্নবিদ্ধ যানটি দ্রুত সেবা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট–সংযোগ এখন পুরোপুরি চালু হয়েছে। অস্থিরতা ও সহিংসতার পুরো সময়কালে ভূমিভিত্তিক এবং মোবাইল টেলিযোগাযোগসহ যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলো কার্যকর ছিল।
প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো কারফিউ ঘণ্টার সময় অন্যান্য জরুরি পরিষেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে মিডিয়া কর্মীদের জন্য ছাড়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সরকার যে কোনো মূল্যে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারকে সমুন্নত রেখেছে এবং অব্যাহত রাখবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বন্ধই থাকবে কোচিং সেন্টার
![শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বন্ধই থাকবে কোচিং সেন্টার টেকনো](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Coaching-Centre.jpg)
সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও এর পরে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলমান অবস্থায় সারা দেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ গত ১০ জুন নির্দেশনা জারি করে। সেই নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
এর আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলার সময়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের একপর্যায়ে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে করে ১৬ জুলাই থেকে কয়েক দফা পিছিয়ে এইচএসসি ও সমমানের সব পরীক্ষা আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালাতে হাইকোর্টে রিট
![আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালাতে হাইকোর্টে রিট টেকনো](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/high-court.jpg)
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর আজ থেকে গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে কোটা আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়কের ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট দায়ের করেছেন। রিটে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে দুপুর ১২টায় এর শুনানি হবে।
এর আগে গেল ১০ দিন আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে র্যাব। তবে হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার গুলি বা কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
র্যাব জানায়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১৮ জুলাই সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। শাটডাউনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও নাশকতার মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি, সরকারি ও জনগণের সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালায়।
একইসঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (২৮ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশি ঋণের ৩৩৬ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ
![বিদেশি ঋণের ৩৩৬ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ টেকনো](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Dollar-Reserve-Remittance-1.jpg)
বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বেড়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছর বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল দুই ক্ষেত্রেই ছাড়িয়েছে অতীতের সব রেকর্ড। মোট ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে এ বাবদ। স্থানীয় মুদ্রায় যা ৩৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এই অর্থ দেশের আলোচিত যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতু কিংবা মেট্রোরেল নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও অনেক বেশি। এই দুটি বড় অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয় যথাক্রমে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ও ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদন থেকে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধের সর্বশেষ তথ্য জানা গেছে। গতকাল রোববার ইআরডির ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছর বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। মোট ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে সুদ বাবদ। আগের অর্থবছর ছিল ৯৪ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় সুদ পরিশোধের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছর ছিল ৯ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ ৫ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
অন্যদিকে গত বছর বিদেশি ঋণের আসল পরিশোধে ব্যয় বেড়েছে ১৬ শতাংশ। পরিশোধ করা হয়েছে ২০১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছর এটি ছিল ১৭৩ কোটি ডলারের কম। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের আসল বেড়েছে ২৮ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় আসল পরিশোধের পরিমাণ ২২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছর এ পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আসল পরিশোধ বেড়েছে ৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
সুদ এবং আসল মিলে গত অর্থবছরে মোট পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৩৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছর যা ছিল ২৬৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ পরিশোধ বেড়েছে প্রায় ৬৯ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় গত বছর সুদাসল বাবদ ৩৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগের অর্থবছর যা ছিল ২৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানেই বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ ১০ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
এদিকে গত অর্থবছর উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি এবং অর্থছাড় বেড়েছে। ইআরডির প্রতিবেদন বলছে, গত অর্থবছর অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৯৮৬ কোটি ডলার। আগের অর্থবছর যা ছিল ৯২১ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৬৫ কোটি ডলার বেশি ঋণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছর নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি বেড়েছে ১৯২ কোটি ডলার। ১ হাজার ৭২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা আগের অর্থবছর ছিল ৮৮০ কোটি ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন-ঋণ বিতরণ বেড়েছে
![এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন-ঋণ বিতরণ বেড়েছে টেকনো](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/01/agent-banking.webp)
ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন (টাকা জমা ও উত্তোলন) করতে সাধারণ মানুষকে এখন জেলা বা উপজেলা শহরে যেতে হয় না। হাতের নাগালেই পাচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং, যার মাধ্যমে মিলছে এসব সুবিধা। সহজেই ব্যাংকে টাকা জমা ও উত্তোলনের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট ও আউটলেট থেকে ঋণ সুবিধাও পাচ্ছেন গ্রাহক। এতে ক্রমেই বাড়ছে এজেন্টের সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেন, আমানত ও ঋণ বিতরণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৮৬৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে হয়েছিল ৭২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
শহরের চেয়ে গ্রামে এসব ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেশি। মে মাসে শহরের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৩০৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। গ্রামের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৫৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মাসটিতে শহরের চেয়ে গ্রামে ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে ২৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্ট ব্যাংকিং মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছিল ৭১ হাজার ১৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের মাস এপ্রিলে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছিল ৬৭ হাজার ৪৫৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এসব লেনদেনের মধ্যে শহরের তুলনায় গ্রামে লেনদেন অনেক বেশি হয়েছে। আলোচিত মে মাসে শহরের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। একই সময়ে গ্রামের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৫৫ হাজার ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে শহরের চেয়ে গ্রামে লেনদেন বেশি হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে ছিল ৩৬ হাজার ৯৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ৯১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
বর্তমানে দেশের ৩১ ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সেবা চালু রয়েছে। মে মাস শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৫টি। যা তার আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ১৫ হাজার ৮৪০টি। এর মধ্যে শহরের এজেন্ট ২ হাজার ৪৭৭টি এবং গ্রামে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা রয়েছে ১৩ হাজার ৪০৮টি। মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৫৫টি। এপ্রিলে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৫১৭টিতে। এজেন্ট ও আউটলেটের প্রায় সিংহভাগই গ্রামে।
আলোচিত মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৫টি। আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ২ কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৪টি। এর মধ্যে শহরের হিসাবের সংখ্যা ৩১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪টি আর গ্রামে রয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯১টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মশক কর্মীদের কাজ মূল্যায়ন করতে ডিএনসিসির কমিটি
![মশক কর্মীদের কাজ মূল্যায়ন করতে ডিএনসিসির কমিটি টেকনো](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/dncc-1.jpg)
আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মশক কর্মীদের কাজের সামগ্রিক মূল্যায়নের জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
রোববার (২৮ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ডিএনসিসির সচিব মাসুদ আলম ছিদ্দিক একটি অফিস আদেশ জারি করে এই কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
সচিব মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, এই ৫ সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ডিএনসিসির উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এবং সদস্য সচিব করা হয়েছে সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান এবং সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন।