লাইফস্টাইল
কখন চা-কফি খাওয়া ক্ষতিকর?
আমাদের অনেকেরই দিন শুরু হয় চা কিংবা কফির কাপে চুমুক দিয়ে। কিন্তু আমাদের মধ্যে আবার অনেকেই আছেন যারা সারাদিনই একের পর এক কফি কিংবা চায়ের কাপে চুমুক দিতে থাকেন। এই দুই পানীয় আমাদের জন্য উপকারী, তবে কিছু সময়ে এগুলো পান না করাই ভালো। অনুপযুক্ত সময়ে চা এবং কফি পান করার ফলে হজম এবং পুষ্টির শোষণ সম্পর্কিত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। কখন আপনার এই পানীয়গুলো এড়ানো উচিত?
চা বা কফি কতটা নিরাপদ?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) অনুসারে, চা এবং কফি উভয়েই ক্যাফেইন থাকে, যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে এবং নির্ভরশীলতার দিকে পরিচালিত করে। প্রস্তাবিত দৈনিক সীমা ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইনের বেশি নয়। ১৫০ মিলি কাপের কফিতে ৮০-১২০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে, ইনস্ট্যান্ট কফিতে ৫০-৬৫ মিলিগ্রাম এবং চায়ে ৩০-৬৫ মিলিগ্রাম থাকে।
কখন চা বা কফি এড়িয়ে চলা উচিত?
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডাঃ ডিক্সা ভাবসার সাভালিয়া সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন কখন চা এবং কফি থেকে বিরত থাকতে হবে। এই পানীয়গুলো এড়ানোর জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সময় রয়েছে-
১. সকালে খালি পেটে
ঘুম থেকে ওঠার পর যখন অনেকেই তাদের দিন শুরু করেন গরম এক কাপ চা বা কফি দিয়ে, ডাঃ সাভালিয়া এর বিপরীত পরামর্শ দেন। খালি পেটে ক্যাফেইন গ্রহণ করলে কর্টিসল উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এপ্রাথমিক স্ট্রেস হরমোন, যার ফলে দিন শুরু হওয়ার আগেই আপনি উদ্বিগ্ন এবং ভারসাম্যহীন বোধ করতে পারেন।
২. খাবারের সঙ্গে
আপনি কি খাবার বা নাস্তার সঙ্গে আপনার চা বা কফি উপভোগ করেন? সেই অভ্যাসটি বাদ দেওয়ার সময় এসেছে। চা এবং কফি উভয়ই অম্লীয় এবং হজমে বাধা দিতে পারে। আপনি যখন চায়ের সঙ্গে প্রোটিন খান, তখন অম্লতা প্রোটিনকে শক্ত করে, এটি হজম করা কঠিন করে তোলে। খাবারের ঠিক পরে চা কিংবা কফি খাওয়া হলে তা আয়রন শোষণে হস্তক্ষেপ করতে পারে। হজম এবং পুষ্টি গ্রহণকে অনুকূল করতে, খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে এবং পরে চা এবং কফি এড়িয়ে চলুন।
৩. বিকাল ৪ টার পরে
যারা সন্ধ্যায় চা কিংবা কফি পান করেন ক্যাফেইন তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। ডাঃ সাভালিয়া ঘুমানোর কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আগে এবং তা সম্ভব না হলে অন্তত ৬ ঘণ্টা আগে ক্যাফেইন এড়ানোর পরামর্শ দেন। বিকাল ৪ টার পর ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকতে হবে। এই অভ্যাস আপনার ঘুমের গুণমান উন্নত করতে, লিভারের ডিটক্সিফিকেশনকে সহায়তা করতে, কর্টিসলের মাত্রা কমাতে এবং ভালো হজমশক্তি বাড়াতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
কিডনি সুস্থ রাখার উপায়
কিডনির ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া পর্যন্ত তেমন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাহলে উপায়? রুটিনমাফিক কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করলে বোঝা যাবে, কিডনি সুস্থ আছে কি না। বিশেষ করে যেসব রোগে কিডনি আক্রান্ত হয়, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, লুপাস। নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করা উচিত।
কিডনির কাজ
রক্ত পরিশোধিত করে দূষিত বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়া, ইরাইথ্রোপোয়েটিন নামের গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরি করা, যা রক্ত তৈরিতে ভূমিকা রাখে; রক্তের খনিজ, পানি ও রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা এবং রক্তের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়া কিডনিতে ভিটামিন ডি চূড়ান্তভাবে ব্যবহার উপযোগী হয়, যা হাড়ের সুরক্ষা দেয়।
কিডনি আক্রান্ত হলে ওপরের কার্যক্রমগুলো বিঘ্নিত হয়। শরীরে পানি ও লবণের ভারসাম্য নষ্ট হয়, কারও কারও শরীরে পানি জমে। রক্ত তৈরি হতে না পারায় রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বর্জ্য পদার্থ জমে ইউরেমিয়া হয়, যে কারণে অরুচি, অবসাদ, ওজন হ্রাস, মস্তিষ্কের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ভিটামিন ডি কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় হাড় ক্ষয় হয়।
কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেন
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ বা কিডনি ফেইলিউরের কারণ হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির প্রদাহ বা নেফ্রাইটিস, কিডনি সংক্রমণ, বংশগত কিডনি রোগ, যেমন পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ, ভাসকুলাইটিস ও বাতরোগ, যেমন লুপাস। এ ছাড়া আকস্মিক কিডনি ফেইলিউর হতে পারে যেসব কারণে, তা হলো, হঠাৎ ডায়রিয়া বা বমির কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা; রক্তক্ষরণ—যেমন দুর্ঘটনার পর; নেফ্রাইটিস বা প্রদাহ, ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, কিডনি বা মূত্রথলিতে পাথর, প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যা।
লক্ষণ
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, শরীরে পানি জমা বা মুখ–পা ফোলা, প্রস্রাব লাল বা দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া, প্রস্রাবে ফেনা যাওয়া, রক্তশূন্যতা, চুলকানি, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, বমি বা বমি ভাব, অরুচি, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ।
যেভাবে সুস্থ থাকবেন
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তিন মাসের গড় এইচবিএওয়ানসি অবশ্যই ৭–এর নিচে থাকতে হবে।
- রক্তচাপের টার্গেট ১৩০/৮০ মিমি পারদের নিচে রাখুন।
- ডায়রিয়া বা পানিশূন্যতায় দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে।
- কিডনি বা মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণে যথাযথ চিকিৎসা নিন।
- প্রস্টেট গ্রন্থি বা কিডনিতে পাথরজনিত সমস্যায়ও চিকিৎসা জরুরি।
- ধূমপান পরিহার করুন ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করবেন না।
- রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখুন।
- প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস করুন।
বয়স ৪০ বছরের ওপরে হলে বছরে নিয়মিত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। দেখতে হবে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ আছে কি না, প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা ও অ্যালবুমিন ক্রিয়েটিনিন রেশিও, সেরাম ক্রিয়েটিনিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
হাত-পায়ের তালু ঘামলে যা করবেন
ঘাম হওয়া মানুষের জীবনে স্বাভাবিক ব্যাপার। এটি কোনো অসুখ নয়। তবে অতিরিক্ত ঘাম নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ঘাম হওয়াকে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে ‘হাইপারহাইড্রোসিস’ বলা হয়।
শরীরের পাশাপাশি দেহের নির্দিষ্ট জায়গাতেও এরকম হতে পারে। যেমন- হাত ও পায়ের তালু। এতে করে প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজ যেমন লেখালেখি, মোবাইল-কম্পিউটার চালানোতে অসুবিধা হয়। কেডস, বুট বা স্নিকার্স পরলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাটি শীতকালে বেশি দেখা যায়। তবে গরমেও হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের কিছু ঘরোয়া উপায় আছে:
পানি
পানি শরীর ঠাণ্ডা রাখে। ফলে ঘাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই হাত ও পায়ের তালুর ঘাম রোধে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নিয়মিত বিরতিতে হাত ও পা ধোয়ার চেষ্টা করুন।
গোলাপজল
ঘাম প্রতিরোধে গোলাপজল অত্যন্ত কার্যকর। এ ক্ষেত্রে বাজার থেকে কেনা কিংবা ঘরে বানানো উভয় গোলাপজলই ব্যবহার করা যাবে। প্রতিদিন অন্তত তিনবার তুলা বা সুতি কাপড়ের সাহায্যে হাত ও পায়ের তালুতে গোলাপজল ম্যাসাজ করতে পারেন।
ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ভিজিয়ে রাখা
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখা ঘাম কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে থাকা ট্যানিন প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিজান্ট’য়ের প্রভাব রাখে যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে।
বেকিং সোডা
হাত ও পায়ের তালুর অতিরিক্ত ঘাম প্রতিরোধে অন্যতম ঘরোয়া উপায় হলো বেকিং সোডা। প্রথমে এক বোল কুসুম গরম পানি নিন। এতে দুই থেকে তিন চামচ বেকিং সোডা মেশান। সোডা মিশ্রিত পানিতে অন্তত ৩০ মিনিট হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন। পরে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। এতে ঘামের সমস্যায় উপকার পাওয়া যাবে।
লেবুর রস
অ্যাস্ট্রিজান্ট উপাদান সমৃদ্ধ যা অতিরিক্ত ঘাম কমাতে সহায়তা করে। তাজা লেবুর রস হাতের তালুতে ঘষে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
কর্পূর
সামান্য গরম পানিতে কর্পূর গুলে হাত ও পা ১৫ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। কর্পূর শীতলকারক উপাদান যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও কর্পূরের গুঁড়ার সাথে ট্যালকম পাউডার বা নারিকেল তেল মিশিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে ব্যবহার করা যায়। সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল আসে। ক্রমাগত হাত ও পা ঘামা খুবই বিরক্তিকর বিষয়। তবে সঠিকভাবে খেয়াল রাখলে আর সতর্ক হলে এর প্রকোপ অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করবেন যেভাবে
ব্রণের সমস্যা গুরুতর না হলেও ভোগান্তির কারণ হতে পারে। এটি কেবল চেহারা সৌন্দর্যই নষ্ট করে ক্ষান্ত হয় না, সেইসঙ্গে ত্বকে জ্বালা, চুলকানির মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে। তবে ব্রণ হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এক্ষেত্রে অনেকগুলো ঘরোয়া উপায় রয়েছে। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও থাকবে না। ব্রণ হলে তাই প্রাকৃতিক উপায়ে প্রতিকারের চেষ্টা করুন। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও বজায় রাখতে হবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বককে প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং ব্রণ নিরাময় করে। খাঁটি অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ব্রণের স্থানে করুন এবং এটি ধুয়ে ফেলার আগে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েল তেল তার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। এটি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমাতে এবং প্রদাহ প্রশমিত করতে সাহায্য করে। নারিকেল বা জোজোবা তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে লাগান। ভালো ফলাফলের জন্য এটি প্রতিদিন দুইবার ব্যবহার করুন।
আপেল সাইডার ভিনেগার
আপেল সাইডার ভিনেগারে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে এবং ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এক ভাগ আপেল সাইডার ভিনেগার দুই ভাগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে একটি তুলোর বল দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটি ধুয়ে ফেলার আগে এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করুন।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি
ব্রণ প্রতিরোধের জন্য ভালো স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন গোসল করুন, বিশেষ করে ঘামের পরে, ত্বক পরিষ্কারে ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে সাবান এড়িয়ে চলুন যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে ফেলতে পারে এবং আরও জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
এক্সফোলিয়েশন
নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করতে সাহায্য করতে পারে যা ছিদ্রগুলোকে আটকে রাখে। সপ্তাহে একবার বা দুইবার ত্বকে এক্সফোলিয়েট করুন। সেজন্য একটি মৃদু এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাব বা লুফা ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েট না করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন, কারণ এটি আরও জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেভাবে পেঁয়াজ কাটলে চোখে পানি আসবে না
আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় পেঁয়াজের প্রয়োজন হয়ই। ঝাঁঝালো স্বাদের এই ভেষজ না থাকলে অনেক খাবারই পানসে লাগে। তবে একটা মুশকিল, পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখে পানি আসার সমস্যা হয় অনেকেরই। অনেক সময় বেশি পেঁয়াজও কাটার প্রয়োজন হয়। তখন পড়তে হয় অসুবিধায়। কারণ চোখের পানির কারণে পেঁয়াজ কাটাই সম্ভব হয় না বলতে গেলে। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই, এমন অবস্থারও রয়েছে সমাধান।
পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে পানি আসে কেন?
পেঁয়াজে থাকে সালফেনিক অ্যাসিড। যখন আমরা পেঁয়াজ কাটি তখন সেই অ্যাসিড অন্য এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। এর ফলে তৈরি হয় সালফার গ্যাস। তখন এই গ্যাস চোখে গেলেই চোখ জ্বলতে থাকে এবং পানি পড়া শুরু হয়। তবে রান্নার সময় আর এই এনজাইম কাজ করে না। যে কারণে কাটার সময় সমস্যা হলেও রান্নার সময় সমস্যা হয় না। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক পেঁয়াজ কাটার সময় কী করলে চোখে পানি আসবে না-
চুইংগাম চিবানো
অবাক হলেন নিশ্চয়ই? ভাবছেন, পেঁয়াজ কাটার সঙ্গে চুইংগাম চিবানোর সম্পর্ক কোথায়? একটা সম্পর্ক তো রয়েছেই। আপনি যদি পেঁয়াজ কাটার সময় চুইংগাম চিবুতে থাকেন তাহলে আর চোখ দিয়ে পানি পড়ার মতো সমস্যা হবে না। কারণ আপনার মুখে যদি চুইংগাম থাকে তাহলে পেঁয়াজের ঝাঁঝ আর চোখ পর্যন্ত যাবে না। ফলে চোখে পানি আসার সমস্যাও বন্ধ হবে।
ফ্রিজে রাখুন
পেঁয়াজ কাটার কিছুক্ষণ অর্থাৎ অন্তত ১৫ মিনিট আগে ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর বের করে কেটে নিন। তাহলে আর চোখে পানি আসবে না। কারণ পেঁয়াজ ঠান্ডা হয়ে গেলে এনজাইম ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না। এর ফলে আর চোখ জ্বলবে না এবং চোখ থেকে পানিও পড়বে না।
ধারালো ছুরি বা বটি ব্যবহার
আপনি যখন ভোঁতা ছরি বা বটি ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখ থেকে পানি পড়বেই। এর বদলে ধারালো ছুরি বা বটি ব্যবহার করলে আর সমস্যা হবে না। তাই এক্ষেত্রে সব সময় ধারালো বটি বা ছুরি বেছে নিন। এতে সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিসের ‘যম’ দারুহরিদ্রার যত গুণ
শুধু দামি ওষুধ ও পণ্য কিনেই যে আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে, এমনটি কিন্তু নয়। কিছু কিছু প্রাকৃতিক উপাদানও স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদের মতো। দারুহরিদ্রা এমনই একটি চমৎকার আয়ুর্বেদিক ওষুধ।
এটি ব্যবহারে শরীরে আশ্চর্যজনক উপকারিতা দেখা যায়। এটি পেট সংক্রান্ত যে কোনও রোগ নিরাময় করতে খুবই উপকারী। এই ফলটি চোখের জন্যও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। এই ওষুধটি চর্মরোগ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও ভালো।
দারুহরিদ্রা প্রসঙ্গে তথ্য দিতে গিয়ে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা জানান, আয়ুর্বেদে শত শত বছর ধরে দারুহরিদ্রা ব্যবহার হয়ে আসছে। এর ব্যবহার শরীরে আশ্চর্যজনক উপকার এনে দেয়। এই ফলটি আমাদের পেটের রোগ নিরাময়েও ব্যবহৃত হয়।
এটি পেটের সমস্ত রোগ নিরাময় করে এবং শরীর ভেতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে। দারুহরিদ্রা চোখ ও কানের রোগও নিরাময় করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে ঘটতে থাকা প্রদাহকে দ্রুত নিরাময় করে।
এ ছাড়া, এই ফলটি ক্ষত নিরাময়ের পাশাপাশি ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাকেও দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। এই ওষুধে সুগারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এটি ব্যবহার করা খুব সহজ। এটি সহজেই যে কোনও জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়। এই ফলটি জলে সেদ্ধ করে ক্বাথ তৈরি করে পান করা যেতে পারে। এ ছাড়া, এর পাউডারও তৈরি করা যায়। দারুহরিদ্রা পাউডার দুধ এবং জলে এক সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা জানান, কম খরচে চিকিৎসার জন্য দারুহরিদ্রা একটি ভালো বিকল্প। এটি পিসিওডি রোগে নারীদের প্রাকৃতিকভাবে চিকিৎসা করতে ব্যবহার করা হয়। এই ফলটিতে প্রোটিন, আয়রন এবং জিংক ও ম্যাঙ্গানিজের মতো নানা প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। তাই এটি সবার জন্যই উপকারী।