অন্যান্য
অলিম্পিকে নিষিদ্ধ হিজাব, যা বললেন মুসলিম বক্সার
দীর্ঘ ১০০ বছর পর অলিম্পিক গেমসের আয়োজক হয়েছে ফ্রান্স। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিল তারা। টুর্নামেন্টটিতে মুসলিম নারী অ্যাথলেটদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধ করে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয় ৩৩তম আসরটির আয়োজক দেশটি।
সেই সময় চুপ থাকলেও টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে ফ্রান্সের এমন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম নারী বক্সার টিনা রাহিমি।
তার মতে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে ফ্রান্সের অনেক অ্যাথলেটই নিজ দেশের অলিম্পিকে অংশ নিতে পারেননি। গত শুক্রবার নিজের ইন্সটাগ্রামের এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন টিনা।
পোস্টে এই বক্সার লিখেছেন, নারীদের অধিকার আছে তারা কেমন পোশাক পরবে তা পছন্দ করার। হোক সেটা হিজাব পরে বা হিজাব ছাড়াই। আমি হিজাবকেই বেছে নিয়েছি আমার ধর্মের একটা অংশ হিসেবে আর আমি তার জন্য গর্বিত।
প্রথম অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম বক্সার হিসেবে অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন টিনা রাহিমি। দক্ষিণ-পূর্ব সিডনি থেকে উঠে আসা ২৮ বছরের এই বক্সার রিংয়ে নামবেন পুরো হাত এবং মাথা ঢেকে।
নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ধর্ম আর খেলার মধ্যে বিকল্প ভাবনা ভাবাই উচিৎ না। কিন্তু ফ্রান্সের অনেক অ্যাথলেটের এটাই করতে হয়েছে।
ফ্রান্সের অ্যাথলেটের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই একটাই লক্ষ্য নিয়ে একত্র হয়েছি। প্রতিযোগিতায় নামা এবং জিতে ফেরা। কাউকেই বঞ্চিত করা উচিৎ না। খেলার মাঠে বৈষম্য মোটেই স্বাগত জানানোর বিষয় না, বিশেষ করে অলিম্পিকে।
গত বছর ফ্রান্স সরকার জানায়, অলিম্পিকের আসরে কোনো ফ্রেঞ্চ মুসলিম নারী ক্রীড়াবিদ হিজাব পরিধান করে খেলায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির অবশ্য ধর্মীয় কারণে মাথা ঢাকার বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই ফ্রান্সের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয় হাইকমিশনার মারিয়া হুরতাদো। তিনি জানিয়েছিলেন, একজন নারী কী পরিধান করবেন আর কী পরবেন না, তা নিয়ে কারোর হস্তক্ষেপই কাম্য না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ৬ লাখ ছাড়িয়েছে
চলতি (২০২৪-২০২৫) করবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এবার ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধের সুবিধা ও কর সমন্বয়ের সুবিধা পাচ্ছেন করদাতারা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরের এই সময়ে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৪৭১টি। সেখানে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছয় লাখ অতিক্রম করেছে। একইসঙ্গে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ১৩ লাখ অতিক্রম করেছে।
করদাতাসহ ২ হাজার ৪০০ জনকে রিটার্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, যার ফলে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করতে পারছে। একই সঙ্গে দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তিস্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার কাগজপত্র দাখিল বা আপলোড করতে হয় না। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজ ও সাবলীল করার জন্য করদাতাদের নিকট হতে যে ফিডব্যাক গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের ফলে অনলাইন রিটার্ন দাখিল প্লাটফর্মটি করদাতাদের নিকট ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এনবিআরে www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত তাদের ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিলপূর্বক দাখিলকৃত রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।
একইসাথে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট(ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে করদাতাগণ কর পরিশোধের সুবিধা ও কর সমন্বয়ের সুবিধা পাচ্ছেন। এই বিষয়ে কল সেন্টার ও ই-মেইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
এবারে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলগুলোর অধিক্ষেত্রভুক্ত সব সরকারি কর্মচারী, সব তফসিলি ব্যাংক, সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বর্তমান পরিস্থিতির সমাধানে সব দলের সঙ্গে বসবে সরকার
সারাদেশে বিভিন্ন ইস্যুতে যে উত্তেজনা চলছে, এসব নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে বসে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশে এক ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চলছে। এখানে ইসকন ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। দেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশের মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিহতের ঘটনায় জড়িত কেউ যেন ছাড় না পায়, সরকারের পক্ষ থেকে তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুটি মামলা হয়েছে, আরো মামলা হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে যে ধরনের সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা ছিল, দেশের জনগণ, সব রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় গোষ্ঠী মিলে তা রুখে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এ বাস্তবতায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন। বৈঠকে দেশের সামগ্রিক ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা কিভাবে করা যায় এবং উগ্রতা কিভাবে রুখে দেওয়া যায় সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, দলগুলো সরকারকে ইতিবাচক প্রস্তাব দিয়েছে এবং সরকারকে সহযোগিতার বিষয়ে তারা তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে। পরবর্তীতে যেন কোনো ধরনের উন্মত্ততা না তৈরি হয়, সে জন্য সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করছি। শুধু ইসকন ইস্যু নয়, মাজারে হামলার বিষয়েও আমরা নজর রাখছি।
তিনি আরো বলেন, শিগগিরই আমরা এসব বিষয়ে উদ্যোগ নেব। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে যে উত্তেজনা বা উন্মত্ততা চলছে, সবগুলো দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে আমরা আশা করি সমাধান করতে পারব। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সমর্থন কামনা করছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
কক্সবাজারে মাকে হত্যা করে থানায় হাজির ছেলে
কক্সবাজারে মাদকের টাকার জন্য মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। পরে নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশের হাতে ধরাও দিয়েছেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ারা বেগম সদর উপজেলার বড়ুয়া পাড়ার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী। আটক যুবক হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ জানান, আবিদ প্রায়ই মাদকের টাকার জন্য মাকে অত্যাচার করতেন। শনিবার রাতে হত্যাকাণ্ডের সময় মা-ছেলে ঘরে ছিলেন। এক পর্যায়ে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে ছেলে।
নিহত নারীর মুখ, মাথা ও হাতে কোপের জখম রয়েছে। হত্যার পর বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে নিজে থানায় গিয়ে হত্যার বিষয়টি পুলিশকে জানান আবিদ। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশে চোখের যত্ন ও পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কাজ ও সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকির সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চোখের যত্নের সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আরা অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হড, অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডেরেক বাংলাদেশ সফর করছেন। এখন চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলছে। ডেরেকে গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে অধ্যাপক ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
অরবিস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় ডেরেকের সাথে ছিলেন। অরবিস প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টাকে ফ্লাইং আই হাসপাতালের একটি মডেল সংস্করণ উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ইউনূস এটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডেরেক অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কাজ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবিহিত করেন। অরবিস ১৯৮২ সালে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি-সংরক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছিল। অরবিস গত ৩৯ বছর ধরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে।
ডেরেক বলেন, এই সময়ের মধ্যে, অরবিস এ পর্যন্ত কমিউনিটি আউটরিচ ইভেন্টে ৭.৮ মিলিয়নেরও বেশি চোখের স্ক্রিনিং পরিচালনা করেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তিকে ওষুধ ও অপটিক্যাল চিকিৎসা প্রদান করেছে, ২৫৮,০০০টিরও বেশি চোখের সার্জারি করেছে এবং বাংলাদেশের ৪০ হাজারের বেশি লোককে চোখের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে চক্ষু স্বাস্থ্য খাতে অরবিসের অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অরবিস এখন বাংলাদেশে ১১তম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমি অরবিসকে ভালোবাসি। আমি ফ্লাইং আই হসপিটালকে ভালোবাসি। তিনি উল্লেখ করেন যে, অরবিস বাংলাদেশে চোখের স্বাস্থ্য খাতে ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।
ডেরেক বলেন, অরবিস ব্যক্তি, পরিবার ও জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বব্যাপী ২ শতাধিক দেশ ও ভূখণ্ডে দৃষ্টি সংরক্ষণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণভাবে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নিয়ে বসবাস করছে উল্লেখ করে ডেরেক বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিস জোরদার ও টেকসই চোখের যত্ন ব্যবস্থা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
অরবিস প্রেসিডেন্ট বলেন, অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, গত চার দশক ধরে অরবিস শিশুদের চোখের যত্ন, মাইক্রোসার্জারি, রেটিনাল সার্জারি, কর্নিয়ার রোগ, প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় অংশীদারদের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
ডেরেক এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে আরও অবিহিত করেন, অরবিস সারা দেশে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ৪২টি দৃষ্টি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে চোখের যত্নের সাথে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করেছে; ১৭টি সেকেন্ডারি হাসপাতাল, চারটি তৃতীয় হাসপাতাল, দুটি ওয়েট ল্যাব, একটি মানসম্পন্ন রিসোর্স সেন্টার ও একটি ডিজিটাল ট্রেনিং হাব প্রতিষ্ঠা বা উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
এছাড়া, অরবিস ৪০০টি কমিউনিটি ক্লিনিককে ভিশন স্ক্রিনিং টুলস দিয়ে সজ্জিত করেছে এবং শৈশব অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ, প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথির স্ক্রিনিং ও ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্দেশিকা তৈরি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
১৪ কোম্পানির লেনদেন বন্ধ মঙ্গলবার
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন রেকর্ড ডেট সংক্রান্ত কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বন্ধ থাকবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে- কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ, রংপুর ফাউন্ড্রী, এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, সাফকো স্পিনিং, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং, সায়হাম টেক্সটাইল, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, শমরিতা হসপিটাল, বিএটিবিসি এবং বাটা সু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
রেকর্ড ডেট সংক্রান্ত কারণে কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন এ দিন বন্ধ থাকবে। আর রেকর্ড ডেটের পর আগামী বুধবার (২০ নভেম্বর) কোম্পানিগুলো আবার লেনদেনে ফিরবে।
এসএম